সময় থাকতেই সঠিক ডিসিশন নিন!

কাস্টমার তো ইনবক্সে একটা স্ক্রিনশট দিয়েই অর্ডার করে – এটাই সহজ- ওয়েবসাইটে কে অর্ডার করবে? কি দরকার এতো টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট তৈরি করার?

এই যাত্রায় প্রায় ৫ দিন ফেইসবুক বন্ধ থাকায় হাজার হাজার ফেইসবুক পেইজ থেকে লাইভ বন্ধ ছিল, ইনবক্সে অর্ডার নেয়া বন্ধ ছিল। অ্যাড যাদের রানিং ছিল রেজাল্টের কোন আউটপুট প্রায় ছিলই না বলা যায়। এটি নিয়ে গতকাল রাতে একটি পোস্ট করেছলাম।  যেখানে বলেছিলাম সামনের দিনগুলিতে বিভিন্ন কারণেই ফেইসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলি বন্ধ হতে পারে। এবার হয়ত ৫ দিন হয়েছিলো এর পর হয়ত তা ১০ বা ১৫ বা ৩০ দিনের জন্যও বন্ধ হতে পারে।

বিকল্প বা অল্টারনেট প্ল্যান হিসাবে বলেছিলাম নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে কিন্তু অনেকের কমেন্ট পরে যে ভয়াবহ তথ্য সামনে আসলো তা হল- অনেকেরই ওয়েবসাইট ঠিকই আছে কিন্তু তারা কাস্টমারদের ওয়েবসাইটে অর্ডার করতে উৎসাহিত করেন না বা মার্কেটিং করেনা না। এখন কথা হচ্ছে- যখন ফেইসবুক অফ থাকবে তখন যদি আপনি মনে করেন যে আপানর ওয়েবসাইট তো রানিং তাহলে ওয়েবসাইট এ অর্ডার ক্যানও আসে না? এখন এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু আপনার কাছেই থাকতে হবে- যখন সময় ছিল নিজের ওয়েবসাইট এর মার্কেটিং করে আপনার কাস্টমার এর কাছে পরিচিতি করানোর তখন নিশ্চয়ই আপনি এটিকে অবহেলা করেছেন অথবা মোটেও জোর দেননি- যেহেতু ইনবক্সেই অর্ডার আসে কি দরকার আছে কাস্টমার কে আবার এক্সট্রা ঝামেলা করে ওয়েবসাইট এ অর্ডার এর কথা বলার। অনেকে তো এটাও মনে করেন যে ওয়েবসাইট এ অর্ডার করতে বললে যদি কাস্টমার আর অর্ডারই না করে?

এভাবেই আপনার কাস্টমারকে আপনি নিজেই অভ্যস্ত করেছেন ইনবক্সে মোবাইল নাম্বার দিয়ে আর স্ক্রিনশট দিয়ে কত সহজে অর্ডার করা যায়!

এভাবেই চলতে থাকলে তো ভালোই ছিল- কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে নিজের বিজনেস এর প্রয়োজনেই আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট রেডি শুধু রেডি না তাতে যাতে অর্ডার করে কাস্টমার তার জন্য বিভিন্ন মার্কেটিং স্ট্রাটেজি সেট করতে হবে। নাহলে সামনে আপনি ও আপনার বিজনেস এবং ফুল স্টাফদের নিয়ে লম্বা ছুটির প্ল্যান যেকোনো সময় হয়ে যেতে পারে।

যাদের কাছে মনে হবে এগুলি দরকার নেই- দয়া করে এই পোস্টটি ইগ্নর করুন তবে একটা স্ক্রিনশট রেখে দিতে পারেন- যেদিন এমন কিছু একটা হবে সেদিন হয়ত এই পোস্ট দেখার সুযোগও নাও থাকতে পারে, কারণ ফেইসবুকই হয়ত এক্সেস করা যাবে না 😀

ভালো থাকুন- আর বিকল্প ব্যাবস্থা রেডি করতে থাকুন- প্রতি মাসে মার্কেটিং বাজেট থেকে কিছু কিছু জমিয়ে ডোমেইন কিনুন এবং ধীরে ধীরে ওয়েবসাইট বানাতে থাকুন আর অবশ্যই আপনার কাস্টমারদের সবাইকে ওয়েবসাইটে অর্ডার করতে উৎসাহিত করুন। সবাইকে ধন্যবাদ!

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন করবেন?

কথায় আছে ঢেকি সর্গে গেলেও ধান ভানে, উদ্যোক্তারা অনেকটা ঢেকির মত। তারা সবসময় ব্যাবসা এবং  এর প্রসার নিয়ে ভাবে। একজন সফল উদ্যোক্তার সবচাইতে বড় গুন হচ্ছে সে থেমে থাকে না, যখন কোন সমস্যা আসে তখন ব্যাস্ত থাকে সমস্যা সমাধানের জন্য। আর যখন কোন সমস্যা না আসে তখন ব্যাস্ত থাকে নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্টের জন্য। আর এই স্বভাবের জন্যই পৃথিবীতে ছোট ছোট অনেক স্টার্টআপ আজ অনেক বড় হয়েছে। নতুন নতুন আইডিয়া জেনারেট হয়েছে।

ফেসবুক সহ অন্যান্য সোসায়াল মিডিয়াগুলো এরকম আইডিয়ারই ফসল। আজ সোসায়াল মিডিয়া ছাড়া আমারা আমাদের জীবন চিন্তাই করতে পারি না। বাংলাদেশের প্রায় ৭৫ লক্ষ ফেসবুক ব্যাবহারকারি রয়েছে এবং এই সংখ্যা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে।তাই আপনার যদি সোসায়াল মিডিয়া ছাড়াই পর্যাপ্ত ক্রেতা থাকে, তবুও সোসায়াল মিডিয়া মার্কেটিং এর দিকে আপনার নজর দেয়া উচিত। এটা আপনার ব্যাবসার প্রসার কয়েকগুন বাড়িয়ে দিতে পারে। আর যদি আপনার পর্যাপ্ত ক্রেতা না থাকে তাহলে অনলাইন মার্কেটিং হতে পারে কম খরচে পর্যাপ্ত ক্রেতা পাওয়ার উপযুক্ত মাধ্যম।

মার্কেটিং প্রেক্ষাপট থেকে আপনার লক্ষ কি হতে পারে?

  • আপনার পণ্য এবং প্রতিষ্ঠান এর পরিচিতি বৃদ্ধি।
  • মানুষকে আপনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান অথবা ওয়েবসাইট এ আসতে উৎসাহিত করা।
  • আপনার পণ্যের ভাল দিক গুলো তাদের কাছে তুলে ধরা।
  • আপনার পণ্য বিক্রি করা।
  • ক্রেতার সাথে সুসম্পর্ক তৈরী করা, যাতে তারা পুনরায় পন্য ক্রয় করতে আসেন।
  • ক্রেতা যাতে তার পরিচিতজনদের কাছে আপনার প্রতিষ্ঠান / পন্য এর প্রশংসা করে তার ব্যাবস্থা করা।
  • আপনার নতুন নতুন পণ্য  অথবা বিশেষ অফার গুলো আপনার ক্রেতা অথবা সম্ভাব্য ক্রেতাদের নিকট পৌছে দেয়া।
  • আর সবশেষে তাদের কোন প্রশ্ন, অভিযোগ থাকলে তারা যেনো সেটা আপনাকে সহজেই জানাতে পারেন, এবং আপনি সেই অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিতে পারেন সে ব্যবস্থা করা।

এছাড়াও ছোট বড় আপনার আরো অনেক লক্ষ থাকতে পারে। ব্যাবসার ধরন এবং মাপের উপর ভিত্তি করে আপনার লক্ষ, প্লান এবং এক্সিকিউশন ভিন্ন হতে পারে। সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন করবেন তার কিছু কারন এখন বর্ননা করছি।

পরিচিতি বৃদ্ধি

যে কোন মার্কেটিং ক্যম্পেইন এর একটি মূল উদ্যেশ্য হচ্ছে কোন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বৃদ্ধি করা। নতুন নতুন অফারগুলোকে প্রচার করা। সম্ভাব্য সব ক্ষেত্র থেকে ক্রেতা খুজে বের করা। আপনার ব্যবসা ছোট হোক অথবা বড়, ব্যবসার সফলতা অনেকটা নির্ভর করবে আপনি কতটা পরিচিত। আপনি যত বেশী পরিচিত, আপনার ক্রেতা পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশী। আর আপনি যদি পরিচিতি পেতে চান আপনাকে সেখানেই একটিভ থাকতে হবে যেখানে আপনার সম্ভাব্য ক্রেতার উপস্থিতি রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টিভি, রেডিও এবং পত্রিকার পর সোস্যাল মিডিয়া বেশী জনপ্রিয়, এবং এর জনপ্রিয়তা যেভাবে বাড়ছে খুব দ্রুত এটা অন্য সবগুলাকে ছাড়িয়ে যাবে অথবা আরো বেশী জনপ্রিয় হবে তা সহজেই অনুমান করা যায়।

ফেসবুকের জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য আপনি নিচে প্রদত্ত ডাটা গুলো দেখে নিতে পারেন।

২০১০ সালে ফেসবুকের নিবন্ধিত ব্যাবহার কারি ছিলেন ৩৫০ মিলিয়ন। ২০১১ সালে তা বেড়ে দারায় ৭৫০ মিলিয়ন। এ থেকেই ধারনা করা যায় মানুষ সোস্যাল মিডিয়ার উপরকি পরিমান আসক্ত হচ্ছে।তাই সোস্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করে আপনি খুব দ্রুতই আপনার পণ্য অথবা ব্যাবসার পরিচিতি বৃদ্ধি করতে পারেন।

 

যোগাযোগ তৈরী

আপনি অনেক পরিচিতি পেলেন, কিছু ক্রেতাও পেলেন, কিন্তু এর মানে এই নয় যে আপনার কাজ শেষ বা আপনি সফল হয়ে গেলেন। কাজের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হলেও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আপনাকে এখনই করতে হবে। আর তা হচ্ছে ক্রেতার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। তারা আপনার পণ্য বা সেবাতে সন্তুষ্ট কিনা এর উত্তর বের করা। তাদের কোন অভিযোগ অথবা পরামর্শ আছে কিনা তা জানতে চাওয়া। অথবা আপনার পণ্য এবং সেবা সংক্রান্ত যেকোন ব্যাপারে তারা কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা এবং হয়ে থাকলে সেটা কি ধরনের। এই উত্তর গুলো যদি আপনি বের করতে না পারেন এবং বের করার পর যদি এর সমাধান বের করতে না পারেন তাহলে আপনি যতই প্রচারনা চালান, আপনার ব্যবসা বেশীদিন টিকে থাকবে না। আর এই উত্তর গুলো পাওয়ার সব চাইতে সহজ উপায় হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়া। কারন মানুষ ফোনে অথবা সামনা সামনি অভিযোগ দেয়ার চাইতে লিখতে বেশী সাচ্ছন্দ বোধ করেন। একই ঘটনা ঘটবে প্রশংশা করার বেলায়। আবার সোস্যাল মিডিয়াতে লিখার সময় মানুষ পর্যাপ্ত সময় নিতে পারে, যা অন্য মাধ্যমগুলাতে সম্ভব নয়। তাই সোস্যাল মিডীয়াকে শুধু মাত্র প্রচারনার জন্য ব্যাবহার করা হলে তা ভুল হবে। সোস্যাল মিডিয়াকে ক্রেতা অথবা সম্ভাব্য ক্রেতার সাথে যোগাযোগ এর মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার করতে হবে।

ভাইরাল প্রমোশন

মানুষ শেয়ার করতে ভালোবাসে, সোস্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরো বেশী সত্য। মানুষ সারাদিন কি করলো, কিভাবে করলো, কোথা থেকে করলো এই ধরনের ঘটনাগুলো সবচেয়ে বেশি শেয়ার করে। এই সুযোগটাই আপনাকে কাজে লাগাতে হবে। একটা উদাহরন দেই, পিজা হাটে এই রোযার মাসে ইফতারের সময় ৮০০ টাকায় একজনের জন্য আনলিমিটেড পিজা এর ব্যাবস্থা রয়েছে। এই খবরটি হয়ত অনেকেই জানতেন না। একটা স্ট্যাটাস দিন, “আজ পিজা হাটে ৮০০ টাকায় ৪ টা পিজা খেয়েছি, হুররে!” আর কিছু লাগবে না, আপনার ফ্রেন্ডলিষ্ট থেকে কম করে হলেও ৩০-৪০ জন নতুন মানুষ এই তথ্যটা পেয়ে যাবে, তার মানে কোন খরচ ছাড়াই প্রচারনা। আর এই ৩০-৪০ জন এর থেকে যদি একজনও যায় তাহলে এখানেও খরচ ছাড়াই কাষ্টমার। এখন পিজা হাটের পরিবর্তে আপনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানকে ভাবুন, আপনিও একই ভাবে সুবিধা পেয়ে যেতেন।

পণ্য অথবা সেবা বিক্রি করা

একজন ব্যাবসায়ী হিসেবে আপনার কাজ হচ্ছে আপনার ক্রেতার সব চাওয়া, সব সুবিধা তাদের হাতের কাছেই রাখা, আর তা করতে হলে আপনাকে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। আপনাকে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কৌশল গুলো জানতে হবে। তাহলেই আপনি এই চ্যানেল থেকে পর্যাপ্ত সুবিধা নিতে পারবেন, আপনার ব্যাবসার প্রসার ঘটাতে পারবেন।

আজ আর নয়, সামনে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কৌশলগুলো নিয়ে লিখব। আমার পরবর্তী লিখাগুলো আপনার ইনবক্স এ পেতে নিচের ফর্ম এ সাবস্কাইব করুন। আর আপনার মতামত কমেন্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরুন, আপনার মুল্যবান মতামত আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

লিংক শেয়ার করা মানেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং?

এখনি আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার লিংক শেয়ার করুন আর দেখুন কিভাবে আপনার পেজ ২ ঘন্টায় ভাইরাল হয়ে যায়। এর পর আপনার পেজের মেসেজ অপশনে গিয়ে দেখুন মেসেজে ভরপুর হয়ে রয়েছে। আপনি কোনটা রেখে কোনটার রিপ্লাই দিবেন ঠিক বুঝতে পারছেন না।

সিরিয়াসলি…!!??  আপনারও কি তাই মনে হয়….??

ঠান্ডা মাথায় একটু ভাবুন তো এতোটাই সহজ…!! শুধুমাত্র লিঙ্ক শেয়ারকেই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে…??

কখনোই না শুধু ফেইসবুকের লিঙ্ক শেয়ার করলেই সেটা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হয়ে যাবে না।

 তাহলে আসুন জানা যাক আমাদের ঠিক কি কি করনীয়ঃ

##সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

  •  যে বিষয়ের উপর আপনি মার্কেটিং করবেন প্রথমত সেই বিষয়ে আপনাকে প্রচুর রিসার্চ করতে হবে। উক্ত বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়তে আপনার নিজেকে প্রভাবশালী করে গড়ে তুলতে হবে।
  •   আপনি যখন মার্কেটিং করবেন আপনাকে অবশ্যই কোন একটি স্বতন্ত্র কৌশল অবলম্বন করেই মার্কেটিং করতে হবে। তা না হলে সাড়া পাবেন না।
  •   কোয়ালিটি সম্পন্ন কন্টেন্ট নাহলে সেটা আপনার গ্রাহক বা ক্লাইন্ট স্কিপ করে বা না পড়ে চলে যাবে। এমন ভাবে কন্টেন্ট বা ব্লগ গুলো লিখতে হবে যেন সেটা আপনার ক্লায়েন্টকে প্রথম দেখাতেই আকৃষ্ট করে।
  •   মার্কেটিং পরিকল্পনা করার আগে, আপনার টার্গেটিং ক্লাইন্ট খুজে বের করতে হবে।
  •   আপনার টার্গেন্টিং ক্লায়েন্টের চিন্তাভাবনা এবং চাহিদা গুলো রিসার্চ করে আপনার কোম্পানির গোল বা পরিকল্পনা সেট করতে হবে।
  •   দিনের শেষ দিকে অর্থাৎ বিকালের দিকে পোস্ট করুন, এতে পোস্টে এঙ্গেজমেন্ট বেশি পাবেন। কারন এই সময়টাতে সবাই কাজ শেষ করে অফিস থেকে বাসায় ফিরে। আর এটাই পার্ফেক্ট সময় পোস্ট করার জন্য, এই সময়টাতেই সবাই তার পার্সোনাল লাইফে প্রবেশ করে।
  •   পেজে এমন ভাবে পোস্ট করুন যেন গ্রাহকের আপনার উপর আস্থা বাড়ে। সেই ক্ষেত্রে নিজেকে রেফারেন্স দিয়ে পোস্ট করতে পারেন। যেমনঃ “ আমি বিশ্বাস করি সমাহার ডট নেট একটা সময় বাংলাদেশের সেরা কোম্পানি হবে।”
Cart
Your cart is currently empty.