শিক্ষক, কবি, লেখকদের জন্যে  বাংলা ভাষায় লেখালেখি করে আয় করার সুবর্ণ সুযোগ। 

ছাত্রছাত্রী, কর্মজীবী বা গৃহিণী, অনেকেই শখের বশে কমবেশি লেখালেখি করতে পছন্দ করে থাকে। আপনি কি জানেন, অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করা যায় ?

অনলাইনে লেখালেখি করে ইনকাম বা কন্টেন্ট রাইটিং করে বাংলাদেশে অনেকেই আয় করছেন। ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জন করার একটি জনপ্রিয় উপায় হল লেখালেখি করা।

এটি শুধু মিডিয়া জগতেই নয়, যারা লেখালেখি করে অর্থ উপার্জন করতে চান, তাদের জন্য একটা শুভ সংবাদ। লেখকেরা অনলাইনে লিখে লেখার প্রাপ্য টাকা তারা পাবে।

অনলাইনে আয় করার অন্যতম সহজ ও সম্ভাবনাময় উপায় হল লেখালেখি, যেটিকে আমরা আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং বলে থাকি।

কনটেন্ট রাইটার হতে হলে কী কী যোগ্যতা লাগে

যে কেউই কনটেন্ট রাইটার হতে পারেন। কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কোনো প্রতিষ্ঠানে পূর্ণকালীন চাকরি করতে চাইলে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হতে পারে। তবে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে বা অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে তেমন কোনো ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। লেখার ভালো হাত থাকলে যেকোনো ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেই ভালো কনটেন্ট রাইটার হওয়া সম্ভব। ভাষাগত দক্ষতা ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে যে কেউই স্বাধীন আয়ের উৎস হিসেবে বিভিন্ন কনটেন্ট লিখতে পারেন।

কনটেন্ট রাইটিং কী কী ধরনের হতে পারে

বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন কনটেন্ট রাইটিংয়ের কাজ দিয়ে থাকেন। কনটেন্ট রাইটিংয়ের কাজ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। তার মধ্যে কিছু ধরন হলো ওয়েবসাইট কনটেন্ট রাইটিং, ব্লগ রাইটিং, ই-বুক রাইটিং, নিউজ কনটেন্ট রাইটিং, এসইও কনটেন্ট রাইটিং, অ্যাফিলিয়েট কনটেন্ট রাইটিং, পণ্যের রিভিউ লেখা, পণ্যের বর্ণনা লেখা, একাডেমিক কনটেন্ট রাইটিং, সিভি রাইটিং, ট্রান্সক্রিপশন রাইটিং, গবেষণার কাজ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন ও ব্রশিউর রাইটিং ইত্যাদি। তা ছাড়া রি-রাইটিং, প্রুফরিডিং ও এডিটিংয়ের কাজও করা যায়।

পেশা হিসেবে কনটেন্ট রাইটিং

কনটেন্ট রাইটিং থেকে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব, তা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। দেশের পত্রিকা ও ম্যাগাজিনের জন্য আর্টিকেল লিখলে প্রতিটি লেখা ছাপা হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্মানী পাওয়া যায়। অন্যদিকে বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমের উল্লেখযোগ্য প্রসারের কারণে প্রয়োজন পড়ছে অধিক সংখ্যক অনলাইন কনটেন্টের। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একেকটি কাজ জমা দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার আয় করা সম্ভব। অনলাইনে কাজ করার ক্ষেত্রে শুরুর দিকে উচিত কম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ভালো মানের কাজ প্রদান করে সেবাগ্রহীতার থেকে ভালো মন্তব্য আদায় করে নেওয়া। তবে প্রথমেই পূর্ণ পেশা হিসেবে কনটেন্ট রাইটিংয়ের আয়ের ওপর নির্ভর না করে পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি লেখালেখির কাজটি চালিয়ে যাওয়া উচিত। অভিজ্ঞতা ও কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ভালো মানের কাজের বিপরীতে পারিশ্রমিকও বেশি পাওয়া যাবে। তখন কনটেন্ট রাইটিংকে পূর্ণ পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে।

ভালো কনটেন্ট তৈরির উপায়

কাজ পাওয়ার পর প্রথমেই বুঝে নিতে হবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কী উদ্দেশ্যে আপনি কনটেন্ট তৈরি করছেন। কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে আপনি আপনার মেধা দিয়ে ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন।

● বিভিন্ন ভালো কনটেন্ট পড়ে একটি সামগ্রিক ধারণা তৈরি করা

● অন্যের কনটেন্ট কপি-পেস্ট না করে স্বতন্ত্র কনটেন্ট তৈরি করা

● বানান, ব্যাকরণ ও বাক্যের গঠনের দিকে খেয়াল রাখা

● নিশ্চিত না হয়ে অনুমানের ভিত্তিতে কোনো তথ্য না দেওয়া

● নির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্যসূত্র উল্লেখ করা

● অনেক বড় প্যারাগ্রাফ না লিখে একেকটি বিষয়ের জন্য একেকটি ছোট প্যারাগ্রাফ তৈরি করা

● যথাযথ কি–ওয়ার্ড ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করা

● নিয়মিত চর্চা করা

আমার বিজনেস২৪ ডট কমসমাহার ডট নেট এ কন্টেন্ট রাইটার  হিসেবে কাজ করতে পারেন ।  এছাড়া মাইন্ডজার এ কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন।

সবশেষে একটি কথাই বলব, কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ শুরু করার আগে এখানে যেসব কনটেন্ট/আর্টিকেল পাবলিশ হচ্ছে, সেগুলো ভালমতো পড়ুন, দেখুন, এবং বুঝুন যে কেমন এসব আর্টিকেলের স্টাইল, কী ফরম্যাটে অন্যরা এখানে কী লিখছে, কোন বিষয়ের আর্টিকেল বেশি সোশ্যাল শেয়ারিং হচ্ছে, কোন কন্টেন্টের পেজে ভিজিটরেরা বেশি কমেন্ট করছেন ইত্যাদি বিষয়। আর যেহেতু একটি ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন পোস্ট আপডেট হচ্ছে, তাই এ কাজের চাহিদা কখনই কমবে না, বরং বাড়বে।

স্মার্টফোন উৎপাদনে শীর্ষে স্যামসাং

চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোনের উৎপাদন আগের প্রান্তিকের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়ে ৩৩ কোটি ৬০ লাখ ইউনিটে পৌঁছেছে। মহামারীর মাঝে বাজারে মোবাইল ডিভাইসের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে উৎপাদনে এমন প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বরের এ সময়কালে শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক ছিল স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স। খবর ইটি টেলিকম।

বাজার বিশ্লেষক সংস্থা ট্রেন্ডফোর্সের মতে, তৃতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোন উৎপাদনে ৭ কোটি ৮০ লাখ ইউনিট নিয়ে শীর্ষে ছিল স্যামসাং। এটি আগের প্রান্তিকের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি এবং এটি বিশ্বজুড়ে মোট স্মার্টফোন উৎপাদনের ২৩ দশমিক ২ শতাংশ।

ট্রেন্ডফোর্স জানিয়েছে, এ ফলাফল উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের মতো নির্দিষ্ট আঞ্চলিক বাজারগুলোতে স্যামসাংয়ের অব্যাহত লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থনৈতিক প্রণোদনা ও ভর্তুকির কারণে স্মার্টফোন বিক্রি কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়েছে।

স্যামসাংয়ের পরই রয়েছে চীনা সংস্থা অপো ও শাওমি। মোট উৎপাদনের তুলনায় তাদের উৎপাদন যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ১৩ দশমিক ২ শতাংশ।

ওয়ানপ্লাস ও রিয়েলমি ডিভাইসসহ অপো তৃতীয় প্রান্তিকে ৪ কোটি ৫০ লাখ স্মার্টফোন উৎপাদন করেছে, যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় ৬৪ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে শাওমি ৪ কোটি ৪৫ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন উৎপাদন করেছে, যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। ফোন উৎপাদনে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে অ্যাপল ও হুয়াওয়ে। মার্কিন টেক টাইটানের আইফোন উৎপাদন তৃতীয় প্রান্তিকে মাত্র ২ শতাংশ বেড়ে ৪ কোটি ২ লাখ ইউনিট ছিল। সুত্র: বনিক বার্তা

মিষ্টি কুমড়া শাকের যত পুষ্টিগুণ

মিষ্টি কুমড়া সবজি হিসেবে খুবই পরিচিত। এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্য উপকারিতা। মিষ্টি কুমড়ার গুণের কথা কমবেশি সকলেরই জানা। আবার অনেকের প্রিয় সবজিও এটি। প্রত্যেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের উচিত সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন এই সবজিটা খাওয়া। এমনকি চিকিৎসকরা অনেক সময় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার কথা বলে থাকেন।

মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, লোহা, সোডিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ফলিক এ্যাসিড, আঁশ, জল, এনার্জী, কার্বহাইড্রেড ম্যাগনেশিয়াম। তবে শুধু কুমড়াতেই নয়, এর লতা-পাতা,ফুল সবগুলোতেই অনেক উপকারিতা রয়েছে। কুমড়া শাক খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, চোখের সমস্যাসহ অনেক বিষয়ে উপকারিতা পাওয়া যায়।

আসুন জেনে নেই কুমড়া শাকের বিভিন্ন উপকারিতার দিকগুলো-

আয়রনের ঘাটতি পূরণ: কুমড়ার পাতায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। যা দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে দেহের রক্তের অভাব হতে দেয় না। নারী ও শিশুদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। তাই এক্ষেত্রে কুমড়া শাক ভালো অস্ত্র হতে পারে।

ভিটামিন সি: কুমড়ার পাতায় প্রচুর ভিটামিন সি বিদ্যমান। তাই এটি ক্ষত সারাতে বেশ কার্যকর। তাই যে কোনো আঘাত বা অভ্যন্তরীণ সমস্যা দূর করতে কুমড়া শাক খাওয়া যেতে পারে।
হাড় মজবুত ও দৃষ্টিশক্তি: কুমড়া শাক দাঁত ও হাড় মজবুত করতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার কুমড়া শাকের তরকারি, স্যুপ বা কুমড়া পাতার রস খেতে পারেন। এছাড়াও চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখে এই শাক।

ত্বক: মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে থাকে। একই সঙ্গে চুলের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে মিষ্টি কুমড়া।

মাতৃস্বাস্থ্য: শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্যও কুমড়া শাক খুবই উপকারী। কারণ এটি শরীরের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি সরবরাহ করে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: কুমড়ার শাকে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া এই শাক খেলে রক্তের কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

জেনে নেই সকালে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

সকালে শরীরের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে অনেকেই খালি পেটে কাঁচা ছোলা খেয়ে থাকি। উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ছোলা। ছোলা কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। ঝাল, তেল, মসলা দিয়ে রান্না করা ছোলার চেয়ে কাঁচা ছোলার পুষ্টি বেশি। পানিতে ভেজানো ছোলায় ভিটামিন- বি এর পরিমাণ বেশি থাকে। ভিটামিন-বি বেরিবেরি রোগ, মস্তিষ্কের গোলযোগ, হৃৎপিণ্ডের দুর্বলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ছোলায় ভিটামিন- সিও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় আমিষ প্রায় ১৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট প্রায় ৬৫ গ্রাম, ফ্যাট মাত্র ৫ গ্রাম, ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’ প্রায় ১৯২ মাইক্রোগ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১ ও বি-২ আছে। এছাড়াও ছোলায় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এছাড়াও ছোলায় রয়েছে আরও অনেক উপকার।

আসুন জেনে নেই কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা –

– ছোলায় শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম থাকায় শরীরে প্রবেশ করার পর অস্থির ভাব দূর হয়।

– ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ আছে। এই খাদ্য আঁশ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

– ছোলা খাদ্যনালীতে ক্ষতিকর জীবাণু দূর করে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমায়।

– ছোলার শর্করা গ্লুকোজ হয়ে দ্রুত রক্তে যায় না। তাই ডায়াবেটিকস রোগীর জন্য ছোলা খুবই উপকারী খাবার।

– ছোলার ফ্যাটের বেশিরভাগই পলি আনস্যাচুয়েটেড। এই ফ্যাট শরীরের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়, বরং রক্তের চর্বি কমায়।

– কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা পূরণ হয়।

– আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায় এবং অ্যান্টিবায়োটিক যে কোনো অসুখের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ছোলা খাওয়ার পর বেশ অল্প সময়েই হজম হয়।

– ছোলার আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

– ছোলায় বেশ ভাল পরিমাণ ফলিক এসিড থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।

– ছোলায় থাকা প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি দীর্ঘক্ষণ ধরে শরীরে শক্তির যোগান দেয়।

কেমন করে ব্যবহার করবেন ৯৯৯ জরুরি সেবা?

দেশের নাগরিকদের জরুরি সেবা প্রদানের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে চালু হয়েছে ৯৯৯ জরুরি সেবা। যে কোন মোবাইল নম্বর থেকে সম্পূর্ণ টোল ফ্রি কল করে বাংলাদেশের নাগরিকরা জরুরি মুহুর্তে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ বা এ্যাম্বুলেন্স সেবা পাবেন। ৯৯৯ সার্ভিসের প্রশিক্ষিত এজেন্টরা জরুরি মুহুর্তে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ বা এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেবেন। কিভাবে এই সেবাটি ব্যবহার করতে হবে, নিচে তার বিস্তারিত জানানো হল।

বিভিন্ন ধরণের কল ও জরুরি সেবা প্রদানের জন্য ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ এর অপারেটরদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সঠিক ও মান সম্মত সেবা প্রদানের জন্য এই সকল এজেন্টরা কিছু প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়ে থাকেন। তবুও যখন কোন নাগরিক ৯৯৯ এ কল করবেন তখন নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।

১. ঠিকানা প্রদান: জরুরি সেবা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য হল সাহায্য প্রার্থীর লোকেশন বা ঠিকানা জানা। অপারেটকে (এজেন্ট) যতটা সম্ভব আপনার সঠিক অবস্থান বলুন, এক্ষেত্রে জেলা বা উপজেলার নামও বলতে হবে । আপনার সঠিক অবস্থান জানা না থাকলে পার্শ্ববর্তী বড় রাস্তা, বাজার বা হাইওয়ের নাম উল্লেখ করতে পারেন।

২. প্রশ্নের সঠিক উত্তর প্রদান: আপনাকে সঠিক সেবা প্রদানের জন্য অপারেটর বা জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান (এক্ষেত্রে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ) আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবেন যাতে তারা যথাযথ কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষের কাছে আপনার প্রয়োজন জানাতে পারেন। অথবা আপনাকে জীবন রক্ষাকারী কিছু পরামর্শ বা করণীয় যেমন সম্পর্কে জানাতে পারেন। এ ধরণের প্রশ্নের সঠিক উত্তর প্রদান করে অপারেটরকে সহায়তা করুন। অবশ্য আপনার প্রয়োজনের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনাকে হয়তো একই প্রশ্নের উত্তর একাধিকবার দেয়া লাগতে পারে; বিশেষ করে ৯৯৯ থেকে কল ট্রান্সফার হয়ে পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিস বা হাসপাতালে পাঠানো হলে এমনটা হতে পারে।

৩. ধৈর্য্যশীল থাকা: কলের সময় শান্ত থাকুন এবং আপনার সমস্যা বিস্তারিত তুলে ধরুন। অনেক সময় দেখা যায়, নাগরিক তার সমস্যার কথা জানাতে গিয়ে ভাবাবেগে আক্রান্ত হয়ে অপ্রয়োজনীয় কথা বলে থাকেন। এমনটা করা উচিত নয়। এর ফলে অপারেটরের মূল সমস্যাটা ধরতে ও প্রকৃত সাহায্য করতে অসুবিধা হয়। মনে রাখবেন, আপনি যত শান্ত থাকবেন, আপনি তত বিশদভাবে আপনার ঘটনার বর্ণনা দিতে পারবেন এবং অপারেটরও আপনাকে তত ভালভাবে সেবা প্রদান করতে পারবেন।

৪. আপনার জরুরি পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করুন: জরুরি পরিস্থিতি ব্যাখ্যার সময় কয়েকটি বিষয়ে সতর্কতার সাথে তথ্য দিন। আপনি নিজে নাকি আপনার কাছের কেউ সমস্যায় পড়েছেন? কিভাবে হল? আপনার কোন ধরণের জরুরি সেবা প্রয়োজন – এ্যাম্বুলেন্স? পুলিশ? নাকি অন্য জরুরি সেবা? কেউ আহত হলে তার পরিস্থিতি পরিষ্কারভাবে বলার চেষ্টা করুন – আহত ব্যক্তির অবস্থা কি খুবই আশঙ্কাজনক? তার জ্ঞান আছে কি? তিনি কি শ্বাস নিতে পারছেন? তার শরীর থেকে কি রক্ত বের হচ্ছে? আপনার সাধ্যমত রোগীর অবস্থা বলার চেষ্টা করুন, আপনার কথা বলতে অসুবিধা হলে পাশের কাউকে দিয়ে বলাতে পারেন, কল না কেটে লাইনে থাকুন।

৫. এ্যাম্বুলেন্স সেবা চাইতে এই বিষয়টি মনে রাখুন: ৯৯৯ সার্ভিসের মাধ্যমে যে এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান করা হয়, তা কিন্তু বিনামূল্যে নয়। বস্তুত বাংলাদেশের কোন কর্তৃপক্ষই বিনামূল্যে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদান করে না। আর ৯৯৯ যেভাবে কাজ করে, নাগরিকের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। ফলে এ্যাম্বুলেন্সের ধরণ, গন্তব্যস্থল ইত্যাদি অনুযায়ী ভাড়ার পরিমাণ নির্ধারিত হয়। তাই এ্যাম্বুলেন্স সেবা চাইতে এই সকল তথ্য অপারেটরকে সঠিক ভাবে প্রদান করুন। অপারেটর আপনাকে আপনার নিকটস্থ এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিবে।

৬. ফায়ার সার্ভিসের সেবা চাইতে এই বিষয়টি মনে রাখুন: শুধু মাত্র অগ্নিকান্ড নয়, ফায়ার সার্ভিস আরো নানা ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে। যেমন সড়ক দুর্ঘটনা, নৌ দুর্ঘটনা, আটকে পড়া মানুষ বা পশু, পাখি উদ্ধার ইত্যাদি। ফলে এই ধরনের সেবার প্রয়োজন হলে ৯৯৯ এ ফোন করুন। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সাহায্য পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অপারেটরকে সহায়তা করুন। চলন্ত অবস্থায় এমন ঘটনা দেখলে নিশ্চিত হবার চেষ্টা করুন, আপনার ফোন করার পূর্বেই ফায়ার সার্ভিস বা পুলিশের কোন ইউনিট সেখানে পৌঁছেছে কি’না।

৭. পুলিশের সেবা চাইতে এই বিষয়টি মনে রাখুন: জরুরি পুলিশী সেবার ক্ষেত্রে ৯৯৯ অপারেটর আপনাকে নিকটস্থ থানার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেবে। আপনি সেখানে আপনার অভিযোগটি জানাতে পারবেন। যেহেতু রেফারেন্সের জন্য ৯৯৯ এ কল রেকর্ড করা হয়ে থাকে, তাই পুলিশের সাথে কথা বলার জন্য সঠিক তথ্য প্রদান করুন। শত্রুতাবশত কাউকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে ৯৯৯ এ ফোন করলে আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে । পুলিশী সাহায্যের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই নিকটস্থ থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে হয়। কারণ লিখিত অভিযোগ ছাড়া অনেকেক্ষেত্রে পুলিশ তদন্ত শুরু করতে পারে না। ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে আপনার করনীয় সম্পর্কে জেনে নিন।

৮. অপরাধীর বর্ণনা দিন: আপনি যদি কোন অপরাধ ঘটতে দেখেন তাহলে দ্রুত নিরাপদ স্থানে পৌঁছান। যত দ্রুত সম্ভব ৯৯৯ এ কল করুন। আপনি অপরাধীকে চিনে থাকলে তা জানান কিংবা কাউকে সন্দেহ করেন কিনা তাও জানান। অপরাধীর হাতে অস্ত্র ছিল কিনা জানান। অপরাধী দেখতে কেমন? তার ধর্ম? আনুমানিক বয়স, উচ্চতা, ওজন, কাপড়ের রঙ প্রভৃতি তথ্য দিন। অপরাধী এখন কোথায়? তারা কি পালিয়েছে? কোন দিকে গেছে? তাদের সাথে কোন গাড়ি ছিল কিনা? কি গাড়ি? গাড়ির মডেল, রঙ এবং গাড়ির সাইজ কতটুকু? এমনকি গাড়ির নাম্বারের অংশবিশেষ প্রভৃতি তথ্য দিন।

৯. ফোন খোলা রাখুন: আপনি যদি কোন মোবাইল ফোন থেকে কল করে থাকেন তাহলে আপনার নাম্বারটি খোলা রাখুন, যাতে অপারেটর যেকোন মুহুর্তে আপনার সাথে পুনরায় যোগাযোগ করতে পারে। এর বাইরে আপনার চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস বা এ্যাম্বুলেন্স কর্তৃপক্ষও আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

১০. সচেতনতা তৈরি করুন: ৯৯৯ ইমাজেন্সি সার্ভিসে বিনা কারণে প্রতিদিন প্রচুর শিশু ফোন করে থাকে। এর ফলে প্রকৃত বিপদগ্রস্থরা ক্ষতিগ্রস্থ হন। সময় ও সুযোগ করে আপনার সন্তানদের শেখান কিভাবে এবং কখন ৯৯৯ এ ফোন করতে হবে। কখন ফোন করবে না সেটিও শোখান।

১১. প্রতিটি কলই গুরুত্বপুর্ণ: প্রতিটি কলই গুরুত্বপূর্ণ সেটা ফলস কলই হোল আর প্রাঙ্ক কল হোক। যদিও এসব কল প্রকৃত জরুরি সেবা প্রদানে বাধা সৃষ্টি করে। ভুয়া কলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে এবং আপনার নম্বরটি ব্লক করে দেওয়া হবে। আপনার অসতর্কতার কারণে যাতে ৯৯৯ কল না যায় সেজন্য আপনার মোবাইলটি লক করে রাখুন।

আপনার জরুরি সেবার প্রয়োজনে অপারেটররা অপেক্ষা করছে। ভাল থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

নিরাপদ মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায় ডিএমপি’র পরামর্শ

মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট কতিপয় এজেন্ট/ডিস্ট্রিবিউটরগণ টাকা লেনদেনের নীতিমালা ও নির্দেশনাসমূহ যথাযথ পালন না করার কারণে এ কার্যক্রমকে ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধী চক্র দেশের ভিতরে ও বাইরে থেকে চাঁদাবাজির ঘটনা সংঘটিত করছে। শুধু তাই নয় অনেক সময় অপরাধীচক্র প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং পদ্ধতি ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটছে মর্মে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় ভাবা এখন সময়ের দাবী। নিঃসন্দেহে অপিরিচিত কারো সাথে এই মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্কতা গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে এ ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন তাদেরও উচিত এ ব্যবস্থাতে যেন কোন দুর্বলতা বা নিরাপত্তার ঘাটতি না থাকে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কিছু পরামর্শ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

পরামর্শঃ

১। এজেন্ট/ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে এজেন্টদের নাম ও ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা,

২। ঢাকা মহানগরী এলাকায় যে সকল বিকাশ/ইউ ক্যাশ/মোবি ক্যাশসহ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর আছে সে সকল প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার (রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন) ব্যবস্থা করা,

৩। স্থায়ী কোন দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকলে এজেন্ট নিয়োগ না করা এবং ব্যাঙের ছাতার মতো রাস্তাঘাটে, ফুটপাতে, গাছের নীচে অস্থায়ীভাবে চেয়ার টেবিল বসিয়ে যত্রতত্র মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা না করা,

৪। এজেন্ট/ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে এজেন্টদের নাম ও ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা এবং আবেদনকারীদের নাম, ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি সংক্রান্তে তথ্যসমূহ স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক ভেটিং করানো,

৫। মোবাইল ব্যাংকিং-এ গ্রাহকের হিসাব খোলার আবেদনের ক্ষেত্রে Know your Customers (KYC) Form যথাযথভাবে পূরণ বাধ্যতামূলক করা এবং সরবরাহকৃত তথ্যসমূহ ব্যাংক কর্তৃক সঠিকভাবে যাচাই বাছাই সম্পন্ন না করে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অনুমোদন প্রদান না করা,

৬। ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেন্টার থেকে যারা ক্যাশ আউট করবে (টাকা উঠাবে) তাদের ছবি, নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ফোন নম্বর গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে সকল এজেন্টদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান ও সচেতনতমূলক নির্দেশনা প্রদান করা।

এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ/ইউ ক্যাশ/মোবি ক্যাশ/ডিবিবিএল ক্যাশ ইত্যাদি) এর মাধ্যমে লেনদেনকৃত নগদ টাকা পরিবহনকারীরা সন্ত্রাসীদের সফট টার্গেটে পরিণত হয়েছে এবং টাকা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করাটা ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ ধরণের দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি এড়াতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে বেসরকারী নিরাপত্তা সংস্থার আর্মড ভেহিকেল ও নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রহরায় টাকা পরিবহনের (মোবাইল ব্যাংকিং) ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। প্রয়োজনে ডিএমপি’র ‘মানি এস্কর্ট’ সার্ভিসও নেয়া যেতে পারে।

ঔষধ ছাড়াই সর্দি-জ্বরের উপশম

ঋতু পরিবর্তনের এই সময়টা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খুসখুসে কাশি, সর্দি,বুকে কফ জমা লেগেই থাকে। ডাক্তারের কাছে গেলেই কড়া অ্যান্টিবায়োটিক। তবে জ্বর সর্দি থেকে সুস্থ হতে প্রথমেই অ্যান্টিবায়োটিক না খেয়ে ঘরোয়া উপায়ে জ্বার সর্দির মোকাবেলা করুন।

গরম পানির ভাপ: গরম পানির ভাপ অনেক উপকারী। মাথার উপর তোয়ালে চাপা দিয়ে বড় দম নিয়ে গরম পানির ভাপ নিন। দিনে ২ বার অন্তত ১০ মিনিট করে এরকম করুন। এতে করে বুকে জমে থাকা কফ খুব সহজেই বেরিয়ে আসবে। লবণ পানি বুকে জমা কফ দূর করতে সাহায্য করে। দিনে দু-তিনবার উষ্ণ গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল করুন। এতে করে কফ দূর হবে।

ভিটামিন সি: আমরা সবাই জানি যে ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লেবু, কমলা, সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল ইত্যাদি ভিটামিন সি এর সহজলভ্য কযেকটি উৎস। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে তা সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন সি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং অন্যান্য অসুস্থতা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

তুলসী পাতা: ছেলেবেলা থেকেই জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, ব্রঙ্কাইটিস, ম্যালেরিয়া এবং আরও অনেক রোগের উপশমকারী উপাদান হিসেবে তুলসী পাতার রসের কথা আমরা জেনে এসেছি। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং আরও অনেক উপাদান রয়েছে। ৮ থেকে ১০টি তুলসী পাতা ভালো করে জলে ধুয়ে নিন। তারপর গরম জলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে পাতাগুলি ফোটান। সেই ফোটানো জল ১ কাপ করে রোজ খান।

লেবু ও মধু: লেবু পানিতে ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে খান। মধু শ্বাসযন্ত্রের ব্যাকটিরিয়া ধ্বংস করে, বুক থেকে কফ দূর করে গলা পরিষ্কার রাখে।

পেঁয়াজ: সমপরিমাণে পেঁয়াজের রস, লেবুর রস, মধু এবং পানি একসঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এই মিশ্রণটা হালকা ঠাণ্ডা করে দিনে ৩-৪বার খান। এছাড়া কাঁচা পেঁয়াজও চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে করে সর্দি-কাশি পালাবে।

হলুদ: হলুদে রয়েছে কারকুমিন যা বুক থেকে কফ, শ্লেষ্মা দূর করে বুকের ব্যথা কমায়। এর অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান গলা ব্যথা, বুকের ব্যথা দূর করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন কুলকুচি করুন। আরাম পাবেন। এছাড়া এক গ্লাস দুধে অর্ধেক চা চামচ হলুদগুঁড়ো মিশিয়ে ফোটান । ২ চা চামচ মধু ও সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে মিশ্রণটি দিনে ২-৩বার খান। উপকার পাবেন।

রসুন: বলা হয় রসুনের থেকে ভালো ওষুধ আর হয় না। রসুনের গুণাগুণ অনেক। ভাইরাল ফিভার, ঠান্ডা লাগার মতো অসুখের প্রতিরোধ করতে রসুন খুব উপকারী। শুধু ঠান্ডা লাগাই নয়, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রন কোলেস্টেরল, হার্ট অ্যাটাক এবং স্টোক প্রতিরোধেও রসুন খুব কাজে দেয়। ৫ থেকে ৬ কোয়া রসুন থেঁতো করে নিন। তারপর সেটা শুধু খেতে পারেন কিংবা স্যুপের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন।

আদা: রসুনের মতোই আদাও খুবই উপকারী একটি ঘরোয়া উপাদান। অনেকরকমের রোগ প্রতিরোধ করতে আদা খুব উপকারী। জ্বর কমাতে এক কাপ আদা সেদ্ধর রসে মধু মিশিয়ে খান। তত্‌ক্ষণাত্‌ ফল পাবেন।

দারুচিনি: গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগা, কফ সারাতে দারুচিনি খুবই উপকারী। এতে অ্যান্টি ফাংগাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান রয়েছে। ১ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ৩ দিন ২ থেকে ৩ বার খান।

ধনে বীজ: বিভিন্ন রান্নায় আমরা ধনে বীজ হামেশাই ব্যবহার করে থাকি। যে কোনও রান্নায় আলাদা স্বাদ যোগ করে এটি। শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ানোই নয়, ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে এটি খুবই উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এটি সাহায্য করে।

মশলা চা: নাক বন্ধ থাকলে সেটি যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আদা, গোল মরিচ, লবণ এবং তুলসী পাতা চায়ের সাথে মিশিয়ে জ্বাল করে পান করলে তা সর্দি এবং কাশির জন্য দুর্দান্ত ঘরোয়া উপায় তৈরি করে।

সুস্থ থাকতে শীতে কতটুকু পানি পান করা উচিত

শীতের কারণে অনেকেই পানি পানের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। অনেকেই এখন ১২–১৪ গ্লাসের বদলে ৫–৬ গ্লাস পানি পান করে দিন কাটাচ্ছেন। আমাদের শরীরে প্রায় ৩ ভাগের ২ ভাগই পানি। গরমের দাপট কমতে না কমতেই আমাদের পানির তেষ্টা কমে গেছে। যার ফলে দেখা দিচ্ছে নানা শারীরিক সমস্যা। আর তাই সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে চাইলে পানি পানের কোন বিকল্প নেই।

শরীরে পানি শূন্যতা, শুষ্কতা, ত্বক শুষ্ক হয়ে ব্রণ বা র‌্যাশ হওয়া, চামড়া ওঠা, এ থেকে আবার ঘা হওয়া। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সঙ্গে শরীরের ন্যূনতম পানির চাহিদার কমে যাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে এটাও ঠিক, গরম কালের মতো শীতকালে বাড়তি পানির চাহিদা কিছুটা স্বাভাবিক নিয়মেই কমে যায়। বেশি বয়সে অনেককেই প্রেশার, সুগার, কোলেস্টেরল সহ নানান ধরনের ওষুধ খেতে হয়। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পান না করলে শরীরে নানান ক্ষতিকর পদার্থ জমা হতে শুরু করে।

আবার উচ্চরক্তচাপ, কিডনির অসুখ, লিভারের অসুখ, হার্ট ফেলিওর ইত্যাদি কারণে অনেকের হাত, পা বা পেটে তরল জমে গিয়ে ফুলে যায় বা অল্প পরিশ্রমে শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। তাই তাদের শরীরের বাড়তি জলীয় অংশ বের করে দেওয়ার জন্য ল্যাসিক্স জাতীয় ওষুধ খেতে হতে পারে। যারা এই ওষুধ খান, তাদের শরীরে পানির চাহিদা তুলনামূলক বেশি থাকে।

পানিকে অনেকে ওষুধের সঙ্গেও তুলনা করেন, কেন না শরীরে জমে থাকা নানান টক্সিক প্রস্রাব ও ঘামের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বেরিয়ে গিয়ে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। তাই শীতের দিনেও ন্যূনতম ১.২–১.৫ লিটার পানি পান করা দরকার। যদিও শীতকালে এয়ারকন্ডিশনে থাকার ঘটনা কম, তবু যাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকার অভ্যাস, তাদের শরীরে পানির চাহিদা বেশি। তাদের অবশ্যই দৈনিক ১.৫ লিটার জল পান করা উচিত।

প্রতিদিনের শরীরে প্রয়োজনীয় পানির কুড়ি শতাংশ পূরণ হয় খাবারের জলীয় অংশ থেকে আর বাকিটা চা, কফি, দুধ, বোতলজাত ঠান্ডা পানীয়, ফল বা ফলের রস বা হার্ড ড্রিংকসের মতো জলীয় খাবার থেকে আসে। এছাড়া তরমুজ বা পালং শাকের মতো খাবারে নব্বই শতাংশের বেশি পানি থাকে, এরা পুষ্টির সঙ্গে শরীরের পানির চাহিদাও মেটায়।

এই ঠান্ডায় পানি বেশি খেতে না পারলে ফলের রস, ডাবের পানি খেতে পারেন। এমনকি যেসব খাবার এবং ফলে পানির পরিমাণ অনেক বেশি, সেগুলো রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়। এতে পানির চাহিদা যেমন পূরণ হবে, তেমনি বারবার ঠান্ডা পানিও খেতে হবে না।

স্বাগতম জানাই আমাদের অনলাইন ফার্মেসী সেবায়

আমরা একদল নবীন উদ্যোক্তা আপনাকে স্বাগত জানাই, অনলাইন ভিত্তিক ফার্মেসী সেবায়। ক্রমবর্তমান আধুনিকতার ছোয়ায় বাংলাদেশের চিকিৎসা পদ্ধতি ও চিকিৎসা সামগ্রী আধুনিক ও ডিজিটাল হচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় ফার্মেসী সেবাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে অত্বাধুনিক ও ডিজিটালাইজ করে অতি সহজে ও স্বল্প সময়ে রোগীদের দোড় গোরায় ফার্মেসী সেবা পৌছে দেওয়ার লক্ষে আমরা চেষ্টা করছি অনলাইনের মাধ্যমে ফার্মেসী সেবা দিতে। আপনি এখন ঘরে বসেই আমাদের ওয়েবসাইটের  মাধ্যমে অতি সহজে পেয়ে যাবেন আপনার প্রয়োজনীয় সবধরনের ঔষধ। আপনার ঘরে বসেই ঔষধ ক্রয়ের ঝামেলাহীন, নিরাপদ ও দ্রুততম সহজ মাধ্যম হচ্ছে সমাহার.নেট । তাই এখনই আমাদের অর্ডার করুন। আপনার প্রেসক্রিপশনটির একটি সচ্ছ ছবি  ওয়েবসাইটে আপলোড করলেই, এক নিমিষে ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন আপনার প্রয়োজনীয় সব ধরনের ঔষধ সামগ্রী।তাই আর খোঁজা-খোঁজি না করে আজই আমাদের অর্ডার করুন। আপনার কাছে থাকা অনলাইন ডিজিটাল ডিভাইজটি এখন একটি বিশাল ফার্মেসী। যেখান থেকে সমাহার ডট নেটের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন আপনার অতি প্রয়োজনীয় দেশি-বিদেশি সব ধরনের ঔষধ সামগ্রী। আপনার প্রয়োজনীয় পন্যের মূল্য পরিশোধ করতে আমাদের রয়েছে একাধিক পেমেন্ট মেথোড। আপনি চাইলে ঘরে বসে অতি সহজে বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন অথবা পন্য বুঝে ডেলিভারি ম্যানের নিকট মূল্য পরিশোধ করতে পারেন। তাই নিরাপদ পন্য ও ঝামেলাহীন পেমেন্ট এর জন্য আমাদেরকে অনলাইনে অর্ডার করুন। নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা ও যানজটের ঝামেলার মাঝে আপনার প্রয়োজনীয় ঔষধ খোঁজে পাচ্ছেন না? তাই আমাদেরকে অনলাইনে অর্ডার করুন আর নিরর্ভাবনায় আপনার প্রয়োজনীয় ঔষধটি ডেলিভারি বুঝেনিন আপনার বাসায়।

বেকারত্ব দূর করুন, ঘরে বসে আয় করে

আশাকরি সবাই ভাল আছেন। আমার বাংলাই ব্লগ লেখার অবিজ্ঞতা খুব কম। তবে আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের ভাল লাগবে। বেশি কথা না বলে আসুন শুরু করা যাক।

অনলাইনে আয় করার জন্য অনেক গুলা পদ্ধতি আছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ

  1. ব্লগার সাইট ব্যবহার করে এডসেন্স এর মধ্যমে।
  2. Youtube এর মধ্যমে।
  3. এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যমে।

আমার মতে এই ৩ টি পদ্ধতি সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি অনলাইনে আয় করার জন্য। এই ৩ পদ্ধতিতে আয় করলে দিন দিন আয় বাড়বে। আশাকরিঃ

১. ব্লগার সাইট ব্যবহার করে এডসেন্স এর মধ্যমেঃ

এই পদ্ধতি আয় করতে হলে আপনার যে বিষয় গুলা যানা জরুরী তাহলঃ

  • Domain কি?
  • হোস্টিং কি?
  • SEO কি?
  • WordPress কি?
  • WordPress Theme কি?
  • এডসেন্স কি?

উদাহরণ হিসেবে একটি WordPress সাইট উল্লেখ করলামঃ Radio Online Live
এইটি একটি Compleat WordPress সাইট। পরবর্তী টিউন এ প্রতিটা পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইন-শাহ আল্লাহ্‌।

২. Youtube এর মধ্যমেঃ 

এই পদ্ধতি আয় করতে হলে আপনার যে বিষয় গুলা যানা জরুরী তাহলঃ

  • Youtube Chenel কি ভাবে তৈরি করতে হয়?
  • ভিডিও এডিটিং
  • Youtube SEO
  • এডসেন্স

পরবর্তী টিউন এ প্রতিটা পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইন-শাহ আল্লাহ্‌।

৩. এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যমে।

এই পদ্ধতি আয় করতে হলে আপনার যে বিষয় গুলা যানা জরুরী তাহলঃ

  • এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
  • Domain or Free Domain কি?
  • হোস্টিং কি?
  • SEO কি?
  • এফিলিয়েট সাইট কি এবং কি ভাবে এফিলিয়েট সাইট এ অ্যাকাউন্ট করতে হয়?

পরবর্তী টিউন এ প্রতিটা পয়েন্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইন-শাহ আল্লাহ্‌।

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন এবং ঘরের বাহিরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন।

সহজেই ঘরে বসে মোবাইল ফোন ও ট্যাবলেট অনলাইনে কিনুন Samahar.Net এর মাধ্যমে

মোবাইল ফোন বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে গিয়েছে। মোবাইল ফোনে এখন শুধুমাত্র কল করা বা কল রিসিভ করার কাজেই ব্যবহৃত হচ্ছে না এখন মোবাইলের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল ক্যামেরার কোয়ালিটির ছবি তুলতে পারছি, ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিনোদন এবং সামাজিক যোগাযোগের সাইটে সর্বক্ষণ কানেক্টেড থাকতে পারছি। ডিজিটাল বাংলাদেশে এখন মোবাইল ছাড়া আপনি ভাবতে পারবেন না কিছুই। আর সময়ের সাথে তাল মেলাতে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকদের জন্য দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস Samahar Dot Net নিয়ে এসেছে নানা ব্র্যান্ডের ও বৈচিত্র্যের বিভিন্ন রকম মোবাইল ফোন এবং ফোন এক্সসেসসরিসের বিপুল সমাহার।

এই লিংকে গিয়ে আপনি Samahar Dot Net এর সকল মোবাইল ফোন এবং ফোন এক্সসেসসরিসের সকল পণ্যগুলো দেখতে পাবেন।

খেজুরের কিছু ঔষধি গুণাগুণ

মরু অঞ্চলের ফল খেজুর। পুষ্টিমানে যেমন এটি সমৃদ্ধ, তেমনি এর রয়েছে অসাধারণ কিছু ঔষধিগুণ। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয়েছে, সারা বছর খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া, এই ফলটিতে রয়েছে প্রাণঘাতী রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা।

চলুন জেনে নেই খেজুরের কিছু ঔষধি গুণাগুণ।

১. রুচি বাড়াতে খেজুরের কোন তুলনা হয় না। অনেক শিশুরা তেমন একটা খেতে চায় না, তাদেরকে নিয়মিত খেজুর খেতে দিলে রুচি ফিরে আসবে।

২. তুলনামূলকভাবে শক্ত খেজুরকে পানিতে ভিজিয়ে (সারা রাত) সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

তাজা খেজুর নরম এবং মাংসল যা সহজেই হজম হয়।৩. হৃদপিণ্ডের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। গবেষণায় দেখা যায়, পুরোরাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সকালে পিষে খাওয়ার অভ্যাস হার্টের রোগীর সুস্থতায় কাজ করে।

৪. ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই ফল দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল বিদ্যমান থাকায় অনেক রোগ নিরাময় করা সম্ভব। সাথে সাথে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।৫. খুব দুর্বল লাগছে অথবা দেহে এনার্জির অভাব হচ্ছে? তাহলে ঝটপট খেয়ে নিন খেজুর। তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহের ক্ষেত্রে খেজুরের তুলনা নেই।

৬. খেজুর বিভিন্ন ক্যান্সার থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে।
যেমন খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।৭. খেজুরের মধ্যে রয়েছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার ও বিভিন্ন ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড যা সহজে খাবার হজমে সহায়তা করে। এতে করে খাবার হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

৮. খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়। ফলে ওজন বেশি বাড়ে না, সঠিক ওজনে দেহকে সুন্দর রাখা যায়।

৯. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।

১০. খেজুরের চূর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হয়।

Cart
Your cart is currently empty.