জমির ভুয়া মালিক সেজে প্রতারণা গ্রেফতার ৬

ভুয়া মালিক সেজে কাগজপত্র নকল করে অন্যের জায়গা বিক্রি করার চেষ্টাকারী ৬ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি উদ্ধার প্রতিরোধ টিম।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-মোঃ মোতালেব শিকদার (৬৫), মোঃ পিয়ার হোসেন (৪৯), মোঃ নাসির হোসেন (৬০), মোঃ আঃ মান্নান (৫৫), মোঃ আঃ রব নিরু (৪০) ও মোঃ গোলজার হোসেন (৪৫)।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে একটি ইসলামী ব্যাংকের চেক, তিনটি একশত টাকার স্ট্যাম্প, একটি পঞ্চশ টাকার স্ট্যাম্প, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, একশত টাকার স্ট্যাম্প চুক্তিনামা তিনটিসহ জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের ভুয়া কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।

গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার শিকদার মোঃ হাসান ইমাম ডিএমপি নিউজকে জানান, বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৭:৩৫ টায় মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি ডিএমপি নিউজকে আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতরা পরস্পর যোগসাজসে ভুয়া মালিক সেজে অন্যের জমির নকল কাগজপত্র তৈরি করে আরেকজনের কাছে বিক্রি করার পাঁয়তারা করছিল।

এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলা রুজু হয়েছে।

যে কোন শারীরিক সমস্যায় ডাক্তার দেখাতে পারবেন মাত্র দশ টাকায়!

👉 জ্বী। ঠিকই শুনেছেন। সমাহার ডট নেট ওয়েবে যে কোন শারীরিক সমস্যায় ডাক্তার দেখাতে পারবেন মাত্র দশ টাকা কনসালটেশন ফি দিয়ে (সকাল ৮ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত)।

—————————–

👉 কনসালটেশন ফি দশ টাকা হলেও সকল ডাক্তার অভিজ্ঞ, নূন্যতম এমবিবিএস ডিগ্রীধারী এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলে নিবন্ধিত।

—————————–

👉 একজন ডাক্তার তার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারিত কনসালটেশন ফীর পুরোটাই পাবেন। আপনি দশ টাকা দিলেও সমাহার কল্যাণ ফাউন্ডেশন মানবসেবায় বাকী টাকা প্রদান করবে।

একটা বিল্ডিং এর সকল আইটেম মিলে ১০০% কিভাবে ভাগ করা হয়। তার সম্ভাব্য নমুনা।

একটা বিল্ডিং এর সকল আইটেম মিলে ১০০% কিভাবে ভাগ করা হয়। তার সম্ভাব্য নমুনা।

1. Structure = 35%
2. Brick work = 6%
3. Wood work = 5%
4. Metal work = 2%
5. Plambing and Sanitary = 6%
6. Electrical work = 7%
7. Plaster work = 4%
8. General Floor Tiles work = 6%
9. Toilet & Kit wall Tiles work = 3%
10. Aluminium work = 4%
11. EME (Lift, Generator, Substation) = 10%
12. Paint work = 3%
13. Others civil work = 6%
14. Utility connection & Bill = 3%
Total = 100%

STRUCTURE 35%
– Footing & Column Padestal = 20%
– Grade Beam, UGWR top Slab = 5%
– GF Column, Stair etc = 4%
– 1st Floor Slab = 9%
– Typical Floor Column (5×3%) = 15%
– 2nd floor slab to roof slab (5×8) = 40%
– Roof top = 7%
TOTAL = 100% (৩৫% যেভাবে আসবে।)

BRICK WORK 6%
– GF Brick work = 6%
– 1st floor Brick work = 18%
– 2nd floor Brick work = 18%
– 3rd floor Brick work = 18%
– 4th floor Brick work = 18%
– 5th floor Brick work = 18%
-Roof Top Brick work = 4%
TOTAL = 100% (৬% যেভাবে হবে।)

WOOD WORK 5%
– Door frame = 40%
– Main Door Shutter = 15%
– Partex Door Shutter = 35%
– Cat Door & Accessories = 10%
TOTAL = 100% (৫% যেভাবে হবে।)

METAL WORK 2%
– Window grill = 55%
– Verandah Railling = 20%
– Stair Railling = 10%
– Main gate, Gen-Sub, safety grill = 15%
TOTAL = 100% (২% যেভাবে হবে।)

PLAMBING & SANITARY 6%
– uPVC vertical line thru duct = 25%
– GI line work = 30%
– Fixture & Fittings = 40%
– Ground Floor = 5%
TOTAL = 100% (৬% যেভাবে হবে।)

ELECTRICAL – 7%
– Conduiting inside slab = 10%
– Conduiting on wall i/c MK box=15%
– Cabling work = 55%
– Switch-Socket = 20%
TOTAL = 100% (৭% যেভাবে হবে।)

PLASTER 4%
– Ceiling plaster = 20%
– Internal wall plaster = 50%
– Outside plaster/facing bricks = 30%
TOTAL = 100% (৪% যেভাবে হবে।)

GENERAL FLOOR TILES 6%
– General floor & Verandah = 75%
– Stair, typical lobby & lift wall = 20%
– GF lift lobby, wall, reception = 5%
TOTAL = 100% (৬% যেভাবে হবে।)

TOILET & KIT WALL TILES = 3%
– Bath wall = 60%
– Kitchen wall = 20%
– Bath floor = 9%
– Bath counter top = 4%
– Kitchen floor = 3%
– Kitchen counter top =4%
TOTAL = 100% (৩% যেভাবে হবে।)

ALUMINIUM WORK 4%
– Outer framing-window sliding= 40%
– Glass shutter-window sliding = 30%
– Verandah sliding = 20%
– Toilet high window = 5%
– Comnon area = 5%
TOTAL = 100% (৪% যেভাবে হবে।)

EME 10%
– Lift = 50%
– Generator = 25%
– Substation = 20%
– PABX, Fire extinguisher etc = 5%
TOTAL = 100% (১০% যেভাবে হবে।)

PAINT WORK = 3%
– Upto putty = 40%
– Internal wall&ceiling 1st coat= 20%
– Internal wall&ceiling 2nd coat= 15%
– Outside paint/ceramic Tites = 25%
TOTAL = 100% (৩% যেভাবে হবে।)

OTHERS CIVIL WORK = 6%
– Boundary wall = 30%
– Line terracing/Roof top paver= 15%
– LOGO, Gardening & others = 4%
– GF BBC = 14%
– GF pavement & footpath dev = 10%
– Lintel, F/slab, drop wall, counter slab = 20%
– Cable tray = 1%
– Sanitary duct cover, ceiling etc= 4%
– Reception desk, letter box = 2%
TOTAL = 100% (৬% যেভাবে হবে।)

UTILITY CONNECTION & BILL = 3%
– DESA/DESCO = 35%
– TITAS = 20
– WASA = 15%
– Utility bills = 30%
TOTAL = 100%

নিহা কনস্ট্রাকশন

মোবাইলঃ 01767846409

টাইলস এর সাইজ, প্রকারভেদ ও ব্রান্ডসমূহ, টাইলসের কার্য পদ্ধতি,পূর্ব ও পরবর্তী করণীয়সমূহ।

ফ্লোর ফিনিশিং হিসেবে টাইলস আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় 👌, টাইলস ছাড়াও অন্যান্য ফ্লোর ফিনিশিংগুলো হচ্ছে;
▪️Cement Sand Plaster Flooring [Neat Finishing], ▪️Mosic Flooring▪️Vinyl Flooring▪️Quartzite▪️Slate▪️Terrazzo▪️Sandstone/ Kotta Stone Flooring।
এ ছাড়া বর্তমানে Epoxy Paint Flooring এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলছে, বিশেষ করে হাসপাতালগুলোতে।

আর টাইলস হিসেবে সবার প্রথম পছন্দ Homogeneous/ Porcelain Tiles, তবে Marble কিংবা Granite ও ব্যবহৃত হয়ে থাকে যা খুব ব্যয়বহুল। Ceramic Tiles সাধারনত ব্যবহৃত হয় Wall Tiles হিসেবে ব্যবহার হয়, এ ছাড়াও গ্রাউন্ড ফ্লোরে Parking Tiles ও রাস্তায় Paving Tiles ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

✅ Tiles size:-
বাজারে বিভিন্ন সাইজের টাইলস পাওয়া যায়, তন্মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড সাইজগুলো হলো;
Floor Tiles: ১২”x১২”, ১৬”x১৬”, ২০”x২০”, ২৪”x২৪”, ৩২”x৩২”, ২৪”x৪৮” ইত্যাদি।
Wall Tiles: ৮”x১২”, ১০”x১৩”, ১০”x১৬”, ১২”x১৮”, ১২”x২০”, ১২”x২৪”, ১২”x৪৮” ইত্যাদি।
তবে Marble/ Granite চাইলে আপনার পছন্দের মাপ অনুযায়ী নিতে পারবেন।

✅ Brand of Tiles:-
বাজারে চায়না, মালয়েশিয়া কিংবা স্পেনসহ বহু নামী দামী কোম্পানী ও ব্রান্ডের টাইলস পাওয়া যায়, তবে দেশী টাইলসের মধ্যে ▪️RAK ▪️DBL▪️AKIJ▪️MIR▪️Fu-Wang▪️China-Bangla (CBC)▪️Great Wall▪️Star Ceramic▪️Mirpur Ceramic▪️X Monica ইত্যাদি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
—————————————————————————–
Tiles কাজের পূর্বে করনীয়:-
✅ Checking:-
প্রথমেই চেক করে নিতে হবে Sanitary, Electric, Gas line Wearing, TV/ Internet Line, Door Frame ইত্যাদির কাজ শেষ হয়েছে কিনা কিংবা কোন সমস্যা রয়েছে কিনা?

✅ Cleaning:-
এরপর বাসুলা ⛏ [Axe] দিয়ে #চিপিং করে ফ্লোর থেকে সকল আগলা/ লুজ ময়লা তুলে ফেলে Wire Brush ও ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। বিশেষ করে স্কার্টিং/ ওয়াল টাইল লাগানোর পূর্বে দেওয়াল থেকে শ্যাওলা বা লুজ মর্টার ফেলে দিয়ে পানি সহকারে তারের ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

✅ Watering Spraying:-
টাইলের কাজ শুরুর একদিন পূর্বে ফ্লোর কিংবা ওয়ালকে পর্যাপ্ত #ভিজিয়ে নিতে হবে যেন তা মর্টারের পানিকে শুষে নিতে না পারে। তবে Wall কে হালকা কিছুটা শুষ্ক রাখতে হবে, না হলে লাগানোর সময় টাইলস ধরে রাখা কষ্টকর হবে।
—————————————————————————–
কার্যপদ্ধতি:-
✅ Leveling:-
√ Stair/ Lift এর ফ্লোর থেকে লেভেল পাইপ/ লেভেল মেশিনের সাহায্যে Unit/ Flat এর রুমগুলোতে লেভেল মার্ক করে নিতে হবে, তারপর কোন রুমে কতটুকু মর্টার লাগবে তা চেক করে নিয়ে সব রুমের জন্য একটা টপ লেভেল ফিক্সড করে নিতে হবে যেন ঐ নির্দিষ্ট লেভেল থেকে সব জায়গাতে টাইলসের টপ পর্যন্ত একই #মাপ পাওয়া যায়।
√ Wall Tiles এর ক্ষেত্রে ওয়াল এর টপ থেকে মেপে নিয়ে লেভেলিং এবং উলম্ব শল করে নিচ থেকে কাজ শুরু করতে হবে, শর্টপিচ লাগলে তা নিচেই দিতে হবে।
√ Door Seal দিয়ে থাকলে Individual Flat wise লেভেল নিতে পারেন, তবে Toilet এর লেভেল রুম থেকে আলাদা হবে, দরজার পাল্লার নিচে যেন কমপক্ষে ১/২” ফাঁকা থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

✅ Mortar:-
Tiles তিন ভাবে লাগানো যায়;
√ Tiles Adhesive: বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির রেডিমেইড এ্যাডহেসিভ পাওয়া যায়, বাহিরের কান্ট্রিগুলোতে সাধারনত এই এ্যাডহেসিভ দিয়েই টাইলস লাগানো হয়।
√ Cement Concrete: আমাদের দেশে সাধারনত এই পদ্ধতিতে টাইল লাগানো হয়না, এই পদ্ধতিতে বিদ্যমান ফ্লোরের উপর হালকা পূরুত্বের সিমেন্ট কংক্রিটের মসলার [ড্রাই টাইপের] উপর টাইলস বসানো হয়।
√ Cement Sand Mortar: যা আমরা সবচেয়ে বেশি করে থাকি, মসলা মূলত হওয়া দরকার প্লাস্টারের মত, তবে আমাদের দেশের মিস্ত্রিরা নরম মর্টার দিয় কাজ করতে অভ্যস্ত না বিধায় মসলাকে কিছুটা ড্রাই রাখে [#দোরসা টাইপ]। Wall Tiles এর জন্য অবশ্য মসলা পেষ্ট হওয়া বাধ্যতামূলক [প্লাস্টারের মত]।

✅ Mixing Ratio:-
√ Floor Tiles 1:4 থেকে 1:3
√ Wall Tiles 1:3/ থেকে 1:2

✅ Mortar Laying:-
√ মর্টার যেভাবেই বানানো হোকনা কেন, খেয়াল রাখতে হবে ড্রাই সিমেন্ট স্যান্ড মর্টারের সব জায়গাতে যেন #পানি পৌঁছাতে পারে। মসলা লেইং এর পূ্র্বে ফ্লোরের উপর এবং লেভেল অনুযায়ী মসলা ড্রেসিং এর পর মসলার উপর সিমেন্টের তরল গ্রাউটিং ঢেলে দিতে হবে [যতটুকু এরিয়াতে মর্টার ফেলা হবে], তার উপর টাইলস বসাতে হবে।

√ ওয়াল টাইলসের জন্য মসলাকে প্লাস্টারের প্রস্তুত করে টাইলসের পিছনে লেপে দিয়ে ওয়ালের সাথে আটকাতে হবে, বিশেষ বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে টাইলসের পিছনে যেন ফাঁকা না থাকে। ফাঁকা আছে কিনা বুঝার জন্য টাইলসের উপর হালকা #আঘাত করুন, ভয়েড থাকলে বুঝতে পারবেন।

√ মর্টারের থিকনেস সাধারণত ৩/৪” থেকে ১” হয়ে থাকে, তবে লেভেল/স্লোপ কিংবা বড় আকারের টাইলসের জন্য সেটা ১.৫” ও হতে পারে, তবে ফ্লোরে বেশি পুরুত্বের ক্ষেত্রে প্যাটেন্ট স্টোন কাস্টিং করে নেওয়াই উত্তম।

✅ Tiles Laying:-
√ প্রথমে রুমের চার কর্নারে চারটি পায়া [Temporary Pier] করে নিতে হবে, এবার পায়াগুলোর লেভেলের সাথে মিল রেখে যে কোন এক সাইড থেকে টাইস লাগিয়ে আসতে হবে, শর্টপিচ লাগলে সেটা প্রান্তের দিকে লাগাতে হবে। সবচেয়ে ভাল হবে যদি রুমের তিনদিকেই এক সারি টাইল বসিয়ে সে অনুযায়ী মাঝের টাইলগুলো বসানো যায়। খেয়াল রাখতে হবে প্রতি টাইলসের মাঝে যেন ২/৩ মিলির বেশি #গ্যাপ না থাকে এবং টাইলের কর্নারগুলো একই লেভেলে থাকে।

√ Wall Tiles এর বেলায় প্রথমে উলম্বভাবে শল ও লেভেলিং করে নিচে এক লাইন টাইলস বসিয়ে নিতে হবে, এবার পায়ার সাথে মিল রেখে ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে টাইসগুলো যেন Horizontal ভাবে লেভেলে থাকে, কর্নারের টাইলকে ভি-কাটিং [#চোস] করে লাগাতে হবে। কাজ শেষে টাইলসগুলোকে পরিষ্কার করে মুছে ফেলতে হবে।

√ সিরামিক টাইলসকে অবশ্যই কাজের পূর্বে পর্যাপ্ত ভিজিয়ে নিতে হবে।

✅ Curing:-
কিউরিং এর ক্ষেত্রে ভাল হবে যদি ফ্লোরকে পানিতে ডুবিয়ে কিউরিং করা যায়, কারণ টাইলস পানি অপ্রবেশ্য বিধায় সহজে শোষন করে না, সে ক্ষেত্রে জয়েন্টগুলোতে এমনভাবে পানি মারতে হবে যেন তা ভিতরে পৌঁছে।

✅ Pudding:-
কিউরিং পিরিয়ড শেষ হলে তা শুকানোর পর জয়েন্টগুলো ভালভাবে পরিষ্কার করে টাইলসের কালারের সাথে মিল রেখে পুডিং করে দিতে হবে এবং পুডিং করার পর তাও #কিউরিং করতে হবে। পুডিং কে ভালভাবে চেপে লাগাতে হবে যেন ভিতরে ঢুকতে পারে।

✅ Cleaning:-
সব শেষে রুমের রং এর কাজ শেষ হলে Flat এ উঠার দুই এক দিন পুর্বে Hessian Cloth, Vixol দিয়ে ফ্লোরকে ধুয়ে পরিষ্কার করে তালা মেরে দিতে হবে, এবার আপনার কাজ শেষ।
……………………………………………………………………………………
কিছু সতর্কতা:-
✅ গ্রাউটিং:-
যদি আপনি ড্রাই মর্টার ব্যবহার করেন তবে খেয়াল রাখবেন মসলাকে ড্রেসিং করার পর এর উপর যে তরল #গ্রাউটিং দেওয়া হয় তা যেন মর্টারের সর্বত্র প্রবেশ করতে পারে। মসলার উপরের গ্রাউটিং নিচে পৌঁছানোর জন্য ড্রাই মর্টারগুলোকে কিছুটা গর্ত/ কেটে দিন, তবে লক্ষ্য রাখবেন ভিতরে যেন #ভয়েড না থাকে।

✅ টাইলস সারফেস লেভেলিং:-
√ টাইলের উচুনিচু চেক করার জন্য চার টাইলসের জয়েন্টে হাত দিয়ে বুঝার চেষ্টা করুন কোন টাইলস উচু কিংবা নিচু রয়েছে কিনা?

√ জয়েন্টে Up/Down বুঝার জন্য একটি টাইলসকে যে কোন জয়েন্টে খাড়াভাবে ধরুন, দেখুন তা দুই পাশ্বের দুটো টাইলের সাথে মিলে যাচ্ছে কিনা, কিংবা একটির সাথে মিললে অন্যটি থেকে ফাঁকা থাকে কিনা?

√ টাইলেস লেভেল আপনি স্প্রিরিট লেভেল দিয়েও চেক করতে পারেন, বড় স্পিরিট লেভেল হলে একাধিক টাইলের লেভেল এক সাথে চেক করতে পারেন।

√ যদি আপনি বৃহৎ এরিয়ার লেভেল চেক করতে চান তবে #গজ [থাই এ্যালুমিনিয়াম সেকশন] বা সূতা দিয়ে চেক করতে পারেন। ৭ ফিটের একটি স্ট্রেট গজ নিন, তাকে ফ্লোরের সাথে চেপে ধরুন, ফ্লোর যদি লেভেলে থাকে তবে গজের নিচে কোথাও ফাঁকা থাকবেনা, যদি ফাঁকা থাকে তবে বুঝবেন টাইল ঠিকভাবে বসানো হয় নি।

√ সূতা দিয়ে চেক করতে চাইলে ১০ ফুট দূরুত্বের দুটো টাইলস নির্ধারন করুন, এবার সেই দুই টাইলস থেকে সূতাটিকে ৫ মিলি উপরে তুলে টেনে ধরে রাখুন, নিজেই দেখতে পাবেন কোনটা উচু আর কোনটা উচু।

✅ স্লোপ:-
রুমের ভিতরে স্লোপের প্রয়োজন নেই, তবে বারান্দা এবং টয়লেটে কমপক্ষে ১/২” স্লোপ রাখুন যাতে খুব সহজেই পানি চলে যেতে পারে, সর্বপরি এগুলো যেন সবসময় #শুষ্ক থাকে।

✅ অপচয়:- টাইলের কাজে ওয়েস্টেজ একটু বেশিই হয়, তবে সেটাকে ৮% এর মধ্যে রাখতে চেষ্টা করবেন।

✅ কাজ চলাকালীন সময়ে টাইলসের উপর দিয়ে হাটা যাবে না, টাইলসকে #রাবারের হ্যামার ছাড়া আঘাত করতে দিবেন না। ওয়াল টাইসের ক্ষেত্রে লেভেল চেক করুন যেন, চারদিকের টাইলস একই লেভেলে থাকে, সর্বপরি টপে ১/২” বেশি গ্যাপ এভয়েড করুন।

✅ কালারে ভিন্নতা থাকলে তা আলাদা করুন, কাটিং এর জন্য Tiles Cutter মেশিন ব্যবহার করুন।

সাইট ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য দরকারি সব প্রশ্ন

সাইট ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য দরকারি সব প্রশ্নের উত্তর:

১.এক গ্যালন পানির ওজন কত?
উ: ১০ পাউন্ড বা ৪.৫ কেজি।

২.এক পাউন্ড সমান কত কেজি?
উ: ০.৪৫ কেজি।

৩.১ ঘনমিটার কত ঘনফুট?
উ: ৩৫.২৮ ঘনফুট।

৪.গাছ কাটার সময় কখন?
উ: শীতকালে।

৫.সকেট ও নিপল এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উ: সকেট ভিতরে দুই দিকে ও নিপলের বাহিরের দুই দিকে প্যাঁচ কাঁটা থাকে।

৬. জি আই পাইপে কতটি প্যাঁচ থাকা প্রয়োজন?
উ: জি আই পাইপে ৭.৫ টি প্যাঁচ থাকা প্রয়োজন।

৭.পিপি আর পাইপ কিভাবে জয়েন্ট দিতে হয়?
উ: হিট মেশিনের সাহায্যে তাপ দিয়ে জয়েন্ট দিতে হয়।

৮.UPVC এবং PVC মধ্যে পার্থক্য কি?
উ: UPVC – ইহা আনপ্লাষ্টিসাইড অর্থাৎ আগুনে তাপ দিলে এবরোথেবরো হয়ে যায়। কোন অবস্থাতেই আর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় না।
PVC- ইহা প্লাষ্টিসাইড, আগুনে তাপ দিয়ে ছোট বড় করা যায়। ইচ্ছে করলে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়।

৯.হার্ড বোর্ড কি?
উ: এই বোর্ডের প্রধান উপাদান কাঠ। নরম জাতের কাঠকে মেশিনের সাহায্যে গুড়া করে প্রয়োজনমত রজন, আঠা ইত্যাদি মিশিয়ে প্রেসার দিয়ে হার্ড বোর্ড তৈরি করা হয়।

১০.বাজারে কি কি সাইজের flash door shutter পাওয়া যায়?
উ: 39″,36″, 33″,30″ অর্থাৎ 3″ interval এ শাটার গুলো পাওয়া যায়।

• DPC-Damp proof course.
• RCC-Reinforced cement concrete.
• R.B.W- Reinforced brick work.
• C.I.Sheet-Corrugated Iron sheet.
• C.I.Pipe -Cast iron pipe.
• NCF-Neat cement finishing.
• SWG-Standard wire gauge.
• MB-Measurement book.
• GP-Ground plane.
• VP-Vertical plane.
• HP-Horizontal plane.
• CP-Cement plaster.
• LC-Lime concrete.
• CC-Cement concrete.
• AC-Asbests cement.
• CS-Comparative statement.
• PERT-Programme Evaluation and Review Technique.
• CPM-Critical path method .
• USD-Ultimate strength design.
• W.S.D-Working stress design.
• BNBC-Bangladesh national building code.
• PL-Plinth level.
• GL-Ground level.
• EGL-Existing ground level.
• OGL-Original ground level .
• FGL-Formation ground level.
• HFL-Highest flood level.
• RL- Reduced level.
• A.C.I-American concrete institute.
• A.A.S.H.O- American Association of state highway official.
• A.R.E.A-American Railway engineering association.
• A.S.T.M-American society for testing materials .
• B.S.I-Bangladesh standard institute.
• B.S.T.I-Bangladesh standard testing institute.
• ISI-Indian standard institute.
• W.C-Water closet.
• B.M-Bending moment.
• L.L-Live load.
• D.L-Dead load.
• E.L-Environmental load.
• U.S.C-Ultimate stress of concrete.
• A.S.C-Allowable Stress of concrete.
• F.M-Findness modulas.
. B.M-Bench mark .
. PVC- Poly vinyl choloride .
. UPVC- Unplasticized Poly vinyl choloride.
. PPR – Poly Propylene Random

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রাথমিক হিসাব নিকাস

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রাথমিক হিসাব নিকাস জানুনঃ

1. এক ঘনমিটার ইটের গাঁথুনীর কাজে প্রচলিত ইটের প্রয়োজন= ৪১০ টি।
2. এক ঘনফুট ইটের গাঁথুনীর কাজে প্রচলিত ইটের প্রয়োজন=১১.৭৬=১২ টি
3. এক ঘনমিটার ইটের গাঁথুনীর কাজে মেট্রিক ইটের প্রয়োজন= ৫০০ টি।
4. এক ঘনফুট ইটের গাঁথুনীর কাজে মেট্রিক ইটের প্রয়োজন= ১৪.২৮ টি।
5. এক বর্গমিটার জায়গায় একস্তর ইটের ফ্লাট সোলিং এর জন্য ইটের প্রয়োজন=৩১ টি।
6. এক বর্গমিটার সোলিং এ চিকন বালির প্রয়োজন=০.০১৫ ঘনমিটার
7. এক বর্গমিটার জায়গায় একস্তর ইটের হেরিং বোন বন্ডের জন্য ইটের প্রয়োজন=৫২ টি।
8. এক বর্গমিটার হেরিং বোন বন্ডের জন্য চিকন বালির প্রয়োজন=০.০৩ ঘনমিটার
9. ইটের গাঁথুনীর কাজে শুকনা মসল্লা এর পরিমাণ=৩৫%
10. এক ঘনমিটার সিমেন্ট=৩০ ব্যাগ….
11. এক বর্গমিটার নীট সিমেন্ট ফিনিশিং এর জন্য(NCF) সিমেন্টের প্রয়োজন=২.৭-৩ কেজি
12. ডিপিসি এ পাডলোর পরিমাণ সিমেন্টের ওজনের ৫% অর্থাৎ প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের জন্য ২.৫ কেজি।
13. এক ঘনমিটার এম,এস রডের ওজন =৭৮৫০ কেজি বা ৭৮.৫০ কুইন্টাল
14. এক ব্যাগ সিমেন্টের ওজন=৫০ কেজি এবং আয়তন=০.০৩৪৭ ঘনমিটার
15. এক ব্যাগ হোয়াইট সিমেন্টের ওজন=৪০ কেজি
16. আবাসিক দালানের জন্য বাসযোগ্য ক্ষেত্রফল প্লিন্থ ক্ষেত্রফলের ৫০%-৫৬% হওয়া উচিত।
17. ১ রানিং মিটার দৈর্ঘে এন্ড এজিং এ ইটের পরিমাণ=১/.১২৭=৮ টি।
18. আর.সি.সি কাজে ব্যবহৃত প্রতি মিটার এম.এস.রড এর ওজন নির্ণয়ের সুত্র =d2/১৬২.২ কেজি।
19. এক ঘনমিটার ছোট সাইজের খোয়ার জন্য ইটের প্রয়োজন ৩২০ টি এবং বড় সাইজের খোয়ার জন্য ৩০০ টি।
20. আর.সি.সি কাজে ব্যবহৃত প্রতি কেজি এম.এস.রড এর র্দৈঘ্য নির্ণয়ের সুত্র =১৬২.২/d2 মিটার
21. নির্মাণ সামগ্রী বহনের জন্য চালনা দুরুত্ব ৩০ মিটার এবং উত্তোলন দুরুত্ব ১.৫ মিটার।
22. কম্প্রেশন বারে হুক ছাড়া ল্যাপিং ২৪D এবং হুকসহ ৪৪D আবার, টেনশনে হুক ছাড়া ল্যাপিং ৩০D এবং হুকসহ ৬০D.
23. জলছাদের কাজে খোয়া,চুন,সুরকির অনুপাত=৭:২:২
24. সেপটিক ট্যাংক এর নুন্যতম প্রস্থ ৬০সেমি এবং তরলের নুন্যতম গভীরতা ১ মিটার।
25. সোক ওয়েলের নুন্যতম ব্যাস ৯০ সেমি এবং গভীরতা ইনভার্ট সমতল হতে ১.৫ মিটার।
26. কালভার্ট এর স্প্যান ৬ মিটারের কম এবং ব্রিজের স্প্যান ৬ মিটারের বেশি
27. ব্রিজ এর স্ল্যাবকে ডেকস স্ল্যাব বলে।
28. ঢেউটিনের প্রমাণ দৈর্ঘ্য: (১.৮০,২.২০,২.৫০,২.৮০,৩.২০)মিটার এবং প্রস্থ ০.৮০মিটার এবং ঢেউয়ের গভীরতা ১৮ মি.মি
29. এক মিটার এম.এস অ্যাঙ্গেলের ওজন=০.০০৭৮৫A কেজি
30. একটি এক টনি ট্রাক পাকা রাস্তায় সিমেন্ট বহন করে ২০ ব্যাগ
31. একটি এক টনি ট্রাক পাকা রাস্তায় ইট বহন করে 333 টি
32. একটি এক টনি ট্রাক কাঁচা রাস্তায় সিমেন্ট বহন করে ১৩.৩৩ ব্যাগ।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কে জানুন। নিজের এবং প্রিয়জনের জীবন বাঁচান!

একবার চিন্তা করুন তো, আপনি বা আপনার কোন প্রিয়জন হাসপাতালে ভর্তি। অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিফাঙ্গাল ঔষধ সেবন করা প্রয়োজন এবং তা দেয়াও হচ্ছে। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়ছেন। ভয়াবহ একটা অবস্থা। তাই নয় কি? নিশ্চয় ভাবছেন কেন এটা হবে বা হলে প্রতিকারই বা কি? সত্যি কথা বলতে এটা হলে কোন প্রতিকার নেই, নিশ্চিত মৃত্যু। এটাই হল অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স।

ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস সহ অন্যান্য পরজীবি (মাইক্রোবিয়াল) সময়ের সাথে সাথে অভিযোজিত হয়ে এক পর্যায়ে কোন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধে সাড়া দেয় না – এই ধরনের অবস্থাকেই আসলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বলে। সাধারণ কোন ইনফেকশনও তখন চিকিৎসায় ভাল হয় না, ধীরে ধীরে সমগ্র শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

নীরব ঘাতকের মত আমাদের অজান্তেই আমাদের শরীরে এই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্স মহামারী আকারে বেড়ে চলেছে। আমরা অনেক রোগ নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু এই নীরব ঘাতক নিয়ে একেবারেই সচেতন নয়। এই ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতেই এই বছর (২০২০) ১৮ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা “World Antimicrobial Awareness Week” ঘোষণা করেছে, যার প্রতিপাদ্য বিষয় রাখা হয়েছে “Unite to Prevent Drug Resistance”।

 

কেন পৃথিবী ব্যাপী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বাড়ছে?

মানুষ ও গবাদি পশুর শরীরে, কৃষিকাজে যথেচ্ছ এবং অতিরিক্ত ডোজে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধ ব্যাবহার, পরিস্কার পানি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবসহ আরো অনেকগুলো কারণ রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের জন্য।

১। মানুষ, গবাদী পশু এবং গাছে যথেচ্ছ এবং অতিরিক্ত ডোজে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধ ব্যাবহার – এটিই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধির মূল কারণ। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহে এই অবস্থা প্রকট। অনেক সময় সঠিক এবং নিয়মিত তদারকির অভাবে ডাক্তারেরা (সবাই নন) অপ্রয়োজনে, রোগীর দ্রুত সুস্থতার আশায় অথবা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নীরিক্ষা না করেই অনুমানের ভিত্তিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধ প্রেসক্রাইব করেন। আবার সঠিক ঔষধ প্রেসক্রাইব করলেও দেখা যায় অতিরিক্ত বা প্রয়োজনের থেকে কম ডোজ দেয়া হয় রোগীকে।

অন্যদিকে রোগীরা অনেক সময় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই যেকোন সমস্যায় ইচ্ছামত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধ কিনে সেবন করেন। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধের এই সকল যথেচ্ছ ব্যাবহারের কারণেই দিন দিন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বাড়ছে।

উদাহরণ হিসাবে অ্যান্টিবায়োটিকের কথা বলা যায়। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করতে পারে, কিন্তু ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারে না। সিজনাল জ্বর, ঠান্ডা ও কফ ভাইরাসের জন্য হয়ে থাকে। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই মানুষ এই সমস্ত অসুখে ডাক্তারের পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ খেয়ে থাকে। সিজনাল জ্বর, ঠান্ডা, কফ তাতে ভাল তো হয়ই না, উল্টা তার শরীর অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট হয়ে ওঠে। অনেক সময় অনেক প্রেসক্রিপশনে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ছাড়াই অপ্রয়োজনীয়ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করা হয়েছে দেখা যায়।

সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি এবং গবাদি পশুর খামারেও প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাবহার করা হচ্ছে যা বিভিন্নভাবে আবার মানুষের শরীরে ফিরে আসছে এবং অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরী করছে।

২। মানুষ এবং গবাদি পশুর জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্কার পানি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব – মনুষ্য সমাজে এবং গবাদি পশুর খামারে পরিস্কার পানি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের অভাব ইনফেকশন ছড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখে আর এই ইনফেকশনের চিকিৎসা করতে গিয়ে প্রচুর পরিমানে মানুষ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের শিকার হয়।

৩। কোভিড  ১৯ – “কোভিড – ১৯” এর সময় অনেক মানুষ আতংকিত হয়ে অতিরিক্ত ডোজে  অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহন করে থাকতে যা অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের হার বাড়িয়ে দিতে পারে। সবার মনে রাখতে হবে কোভিড – ১৯ একটি ভাইরাস জনিত অসুখ। অ্যান্টিবায়োটিক কোভিড – ১৯ প্রতিরোধ করতে পারে না।

 

কিভাবে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্স কমানো জেতে পারে?

১। একবারে প্রয়োজন না হলে বা স্বল্প লক্ষণে বা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধের প্রেসক্রিপশন করা বন্ধ করতে হবে।

২। ফার্মেসী থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধের বিক্রয় বন্ধে সরকারে ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি বাড়াতে হবে।

৩। জনগনের মাঝে এর কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রম কমাতে হবে।

৪। গবাদি পশু ও কৃষি খামারে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধের ব্যাবহার কমাতে হবে।

৫। জনসাধারণের জন্য পরিস্কার পানির প্রাপ্যতা, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের সুবিধা বাড়াতে হবে।

৬। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাবহার করা পানি পরিবেশে উন্মুক্ত করার আগে সঠিকভাবে ফিল্টার করতে হবে যাতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ঔষধের অবশিষ্টাংশ পরিবেশ ও পানিতে না মিশতে পারে।

সূত্রঃঃ ডকটাইম

কনস্ট্রাকশন সার্টিফিকেট পাবেন যেভাবে!

কনস্ট্র্রাকশন সার্টিফিকেট নিতে হলে প্রথমে ল্যান্ড ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। প্রথম ধাপে যার কাছ থেকে জমি খরিদ করা হয়েছে সেখান থেকে ল্যান্ড ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। এরপর কনস্ট্রাকশনের জন্য ড্রইং তৈরী করতে হবে। কনস্ট্রাকশন সার্টিফিকেট নিতে হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ফরম সংগ্রহ করতে হবে। ঢাকা অঞ্চলে রাজউক থেকে কনস্ট্রাকশন সার্টিফিকেট নিতে হলে আপনাকে নিম্নলিখিত কাজ করতে হবেঃ

রাজউক সংলগ্ন অগ্রণী ব্যাংক থেকে ফরম সংগ্রহ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ড্রইং সাইজ অনুযায়ী প্রদত্ত শিডিউল অনুযায়ী অগ্রণী ব্যাংকে ফি জমা দিতে হবে। পূরণকৃত ফরমের সাথে ব্যাংক ড্রাফটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১. ড্রইং ২. জমির চুক্তিনামা ৩. মিউটেশন ৪. পরচা ৫. ডিসিআর ৬. ট্যাক্স রিসিপ্ট ৭. ল্যান্ড ক্লিয়ারেন্সের কপি
ফরম এর মূল্য ২০০.০০ টাকা এবং ফি এর পরিমান ড্রয়িং এর উপর নির্ভর করে। এ কাজে ৩০-৪৫ দিন সময় লাগতে পারে।

বিস্তারিত তথ্যের জন্যঃ
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ডিআইটি ভবন, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা ফোনঃ ৯৫৫৬১৬১-৫, ফ্যাক্সঃ ৯৫৬৩৫৯১ ওয়েবঃ www.rajukdhaka.gov.bd

দেশের বাজারে বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ওএলইডি ল্যাপটপ

বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ওএলইডি ল্যাপটপ জেনবুক ফ্লিপ এস (ইউএক্স৩৭১) দেশের বাজারে  আনার ঘোষণা দিয়েছে আসুস। প্রিমিয়াম ডিজাইনের ল্যাপটপটিতে ব্যবহৃত হয়েছে সর্বশেষ ১১ প্রজন্মের ইন্টেল কোর আই সেভেন প্রসেসর।

এতে ১৬ জিবি র্যামের পাশাপাশি রয়েছে ইন্টেলের আইরিশ এক্স গ্রাফিক্স।

জেনবুক ফ্লিপ এস ল্যাপটপটিতে রয়েছে স্বল্প ব্যাজেলের ১৩ দশমিক ৩ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে। ল্যাপটপটির ওজন মাত্র ১ দশমিক ২ কেজি এবং এটি ১৩ দশমিক ৯ মিলিমিটার পাতলা। ফলে এটি এখন পর্যন্ত বাজারের সবচেয়ে পাতলা (থিনেস্ট) ওএলইডি কনভার্টিবল ল্যাপটপ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। এর ডিসপ্লে ফোর কে সমর্থিত, রয়েছে ১০০০০০০:১ কনট্রাস রেশিও। ডিসপ্লেটি ১৭৮ ডিগ্রি ভিউ অ্যাঙ্গেল সাপোর্ট করে। তাছাড়া এর ডিসপ্লে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিকর ব্লু লাইট কমিয়ে আনতে পারে।

৩৬০ ডিগ্রি ঘুরানো যাবে ল্যাপটপটি, ফলে প্রয়োজন অনুসারে ট্যাবলেটের মতো করে ব্যবহার করা যাবে নোটবুকটি।

আসুস জেনবুক ফ্লিপ এস ডিভাইসটিতে সাপোর্ট করে ৪০৯৬ প্রেশার লেবেল, ব্যবহার করা যাবে স্টাইলাস পেন ও উইন্ডো ইঙ্ক। যেকোনো ধরনের কাজের ক্ষেত্রে উচ্চগতি নিশ্চিত করতে ফ্লিপ এস জেনবুকটিতে রয়েছে ১১ জেনারেশনের ইন্টেল কোর আই সেভেন প্রসেসর। ইন্টেলের আইরিশ এক্স গ্রাফিক এবং ১৬ জিবি পর্যন্ত উচ্চগতির র্যাম। আরও রয়েছে দ্রুতগতির পিসিআইই ৩ দশমিক শূন্য এসেএসডি স্টোরেজ। ফলে আপনি চাইলে সেকেন্ডের মধ্যেই যেকোনো অ্যাপ ওপেন করতে পারবেন।

জেনবুক ফ্লিপ এসে থাকা ব্যাটারি আপনাকে দীর্ঘ সময় ব্যাকআপ দেওয়ার নিশ্চয়তা দেবে। এর ব্যাটারি ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দেবে। এতে রয়েছে ফাস্ট চার্জিং, ফলে ৬০ শতাংশ চার্জ করতে পারবেন মাত্র ৪৯ মিনিটে। এতে আরও থাকছে ইউএসবি টাইপ সি চার্জিং। ইউএসবি পাওয়ার ডেলিভারি চার্জিং সাপোর্ট করায় এয়ারলাইন, পাওয়ার ব্যাংক কিংবা পোর্টেবল চার্জারে চার্জ করতে পারবেন ডিভাইসটি।

জেনবুকটিতে রয়েছে ফুল সেট আই/ও পোর্ট, এইচডিএমআই পোর্ট, দুটি আল্ট্রা ফাস্ট থান্ডারবোল্ট, ৪টি ইউএসবি-সি পোর্ট এবং একটি ইউএসবি ৩ দশমিক ২ জেনারেশনের টাইপ এ পোর্ট।

ল্যাপটপটিতে ওয়াইফাই ৬ প্রযুক্তি থাকায় ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই ফোরকে আল্ট্রা হাই ডেফিনেশন অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং ও ডেটা ট্রান্সফার করতে পারবেন। যা ওয়্যার যেকোনো ডিভাইসের চেয়ে বেশি, এর স্পিড প্রতি সেকেন্ডে ২ দশমিক ৪ গিগাবাইট।

ফেসবুক পাসওয়ার্ড নির্বাচনে যে ৫টি ভুল করবেন না

সাইবার দুর্নীতিবাজদের মধ্যে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। সামান্যতম সুযোগ পেলেই তারা আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে ফেসবুক গ্রাহকদেরই। এবং এই সতর্কতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হল, এমন পাসওয়ার্ড নির্বাচন করা, যার নাগাল হ্যাকাররা চট করে পাবে না। এবং সে ক্ষেত্রে শুধু স্পেশাল ক্যারেকটার ও ডিজিটের ব্যবহার, কিংবা বড় পাসওয়ার্ড নির্বাচন করলেই বিপদ এড়ানো যাবে, তা নয়। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পাসওয়ার্ড তৈরির ক্ষেত্রে কয়েকটি সাধারণ ভুল কমবেশি সকলেই করে থাকেন। কী রকম? আসুন, জেনে নেওয়া যাক—

১. পর পর সংখ্যা ব্যবহার করা: ১,২,৩,৪,৫ কিংবা ০,৯,৮,৭,৬ এই ধরনের কোনও সংখ্যাক্রম কোনও পাসওয়ার্ডের কোনও অংশে রাখবেন না।
২. নিজের নাম বা পদবীর ব্যবহার: আর যাই করুন না কেন, নিজের নাম বা পদবী কোনও রকম ভাবেই পাসওয়ার্ডে ব্যবহার করবেন না। নতুবা অবধারিত ভাবে হ্যাকারদের শিকার হতে হবে।
৩. ব্যক্তিগত নম্বর ব্যবহার: আপনার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত যে সমস্ত নম্বর, যেমন আপনার জন্মদিন কিংবা ফোন নম্বর পাসওয়ার্ডে রাখবেন না।
৪. পরিচিত কারোর নাম ব্যবহার: আপনার বান্ধবী, স্ত্রী, ভাই-বোন প্রমুখের নামও ফেসবুকে পাসওয়ার্ডে ব্যবহার না করাই ভাল। রাস্তার নাম, পাড়ার নামও এড়িয়ে চলুন।
৫. অদ্ভুত শব্দ ব্যবহার করুন: mdihKocI কিংবা hfJHifu-এরম মতো কোনও শব্দ পাসওয়ার্ডে রাখুন, যার কোনও অর্থই নেই। তার সঙ্গে অবশ্যই জুড়বেন নম্বর (ডিজিট), স্পেশাল ক্যারেকটার (স্টার কিংবা হ্যাশ)। অন্তত ১৪টি ক্যারেক্টার রাখবেন পাসওয়ার্ডে।

অনলাইনে টাকা আয় এবং যেভাবে হাতে পাওয়া যাবে…

তথ্যপ্রযুক্তি জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে। ইন্টারনেটের কল্যাণকর সহজলভ্যতায় মানুষ এখন ঘরে বসে বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ব্যবসা বাণিজ্য চিকিৎসা চাকরি পড়ালেখা সব কিছুই এখন এই ইন্টারনেটকেন্দ্রিক।

অনলাইনের এ সময়ে অনেক বেকার লোকের কর্মসংস্থানও হয়েছে। তৈরি হয়েছে ঘরে বসে উপার্জনের নানা পথ। অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন মাধ্যম তথা সহজেই কীভাবে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করা যায় এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন-সাইফুল আহমাদ

অনলাইনে আয়ের জন্য দক্ষতা থাকা অত্যন্ত জরুরি। আর অনলাইন কাজের ব্যাপ্তি যেভাবে বিস্তৃত হয়ে উঠছে তাতে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে তৈরি করে নিতে না পারলে অভিজ্ঞ ও দক্ষদের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভবনাটাই বেশি।

তাই সময়োপযোগী কাজের দক্ষতা অর্জন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে নিতে পারলেই লাভবান হওয়া যাবে। ভুলে গেলে চলবে না, ইন্টারনেটে একদিকে যেমন কাজের কোনো অভাব নেই, অপরদিকে কাজ করার যোগ্য ব্যক্তিরও চাহিদার শেষ নেই।

আবার অনলাইনে আয় করার নানা সুযোগ থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণার মুখে পড়তে হতে পারে, তাই সতর্ক থাকতে হবে সর্বত্র। কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট ও রিসোর্স আছে, যা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

জেনে নিন এসব সম্পর্কে এফিলিয়েট মার্কেটিং এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে কোন পণ্যের প্রচার করবেন আর যখনই সেই পণ্য বিক্রি হবে, তখন এর থেকে কমিশন পাবেন। এখানে অনেক আধুনিক আর ভালো পণ্য আছে যেগুলো বিক্রি করা যায় আর মানুষ কিনতেও আগ্রহী; আপনি একজন এফাইলিয়েট হয়েও কাজ করতে পারেন। আপনি ‘ক্লিক ব্যাংক’-এর মাধ্যমে একজন এফাইলিয়েট হয়ে পণ্য বিক্রি করতে পারেন।

প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে আয়

আপনি যদি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, যেমন aizb- Math, English, Physics, Biology, Humanities ইত্যাদি। তাহলে আপনি প্রশ্নোত্তর প্রদানের মাধ্যমে ইন্টারনেটে অন্যের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে দিতে পারেন। যদি আপনি তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেন, তাহলে ইন্টারনেটে অনেক সাইট আছে যেগুলো আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে তাদের সাইটে জয়েন করার জন্য। ফলে সাইটে জয়েন করার মাধ্যমে ওই কোম্পানি থেকে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং

অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং খুবই জনপ্রিয় কেননা এ ক্ষেত্রে কোনো চাপ নিতে হয় না, বাধাধরা নিয়ম থাকে না। ইচ্ছামতো কাজ করার সুযোগ থাকে। খণ্ডকালীন কাজ হিসেবে এখন অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত।

এ ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট কাজ জানতে হয় না। আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী যে কাজটি পারেন তা দিয়েই অন্যকে সেবা দেয়াই হল ফ্রিল্যান্স। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজ যেমন ফটোগ্রাফি, ওয়েব ডিজাইনিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সাইট রিভিউং ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

মজার বিষয় হল ফ্রিল্যান্সংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনি পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সেবা দিতে পারবেন অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কিং সৃষ্টি হয়। ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে এসব ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দেয় কিছু কিছু ওয়েবসাইট। অ্যাকাউন্ট খুলে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করতে হয়।

কাজদাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দেয়। এসব সাইটের মধ্যে ফাইভার ডটকম, আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ও ওয়ার্কএনহায়ার ডটকমে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়। ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা যায় এসব সাইট থেকে। বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ আনা যায়।

নিজস্ব ওয়েবসাইট

নিজের ওয়েবসাইট তৈরি খুবই সহজ আর অনলাইনেই সব উপাদান রয়েছে কীভাবে নিজের পছন্দমতো ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। ডোমেইন নির্বাচন, টেমপ্লেট ও ওয়েবসাইট ডিজাইনিং সবই রয়েছ। ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে গেলে এবার গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। গুগলের বিজ্ঞাপন সাইটে দেখানো শুরু হলেই তাতে ক্লিক পড়বে, আর আয় আসতে শুরু করবে। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক যত বেশি হবে, আয়ের পরিমাণ তত বাড়বে।

ইভেন্টের প্রচারণা

অনলাইন বা অফলাইনে বিভিন্ন ইভেন্টের শুধু প্রচারণা চালিয়ে টাকা আয় করা যায়। অবাক হওয়ার মতো হলেও এটাই বাস্তবতা বর্তমান অনালাইন জগতের। এ ক্ষেত্রে কোনো ইভেন্ট কর্তৃপক্ষদয়ের হয়ে আপনি অনলাইনে নিবন্ধন এবং অন্যান্য তথ্য সরবরাহের কাজ করবেন যার বিনিময়ে আপনাকে কিছু সম্মানী দেয়া হবে।

আর্টিকেল লিখে আয়

আপনি যদি সৃজনশীল মনের মানুষ হয়ে থাকেন বা আপনি যদি লেখার প্রতি আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে আপনার এ শখটি হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য আদর্শ একটি পেশা। বর্তমানে অনলাইনে কয়েক হাজার এমন ওয়েবসাইট রয়েছে যারা আপনাকে আপনার লেখার বিনিময়ে পারিশ্রমিক প্রদান করবে। ইন্টারনেটে যে কোনো কাজের চেয়ে আর্টিকেল লেখা অনেক বেশি লাভজনক।

অনেকে আবার ভাবতে পারেন যে আমি নতুন বা আমি ইংরেজি পড়ে বুঝতে পারলেও সাজিয়ে লিখতে পারি না, তাহলে আমি কী করতে পারি? বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স বাংলা ভাষার ওয়েবসাইটে প্রুভড করার ফলে বাংলা ভাষায় যারা আর্টিকেল লিখতে আগ্রহী তাদের জন্য বড় একটি সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম

ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট শুধু বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাটিং বা ফটো শেয়ারিংয়ের জন্য নয় বরং এগুলো কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া মেন্টরদের প্রচুর অর্থ দিয়ে থাকে ব্র্যান্ডের প্রচারণার জন্য। অনলাইনে গ্রাহকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অবশ্য সৃজনশীলতা দরকার।

বিভিন্ন পোস্ট তৈরি, ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশ করে তা ভাইরাল করতে পারলে ভালো অর্থ পাওয়া যায়। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরি করা এবং এই ফ্যান ফলোয়ার ধরে রাখা প্রচুর ধৈর্য রাখা দরকার।

ওয়েব ডিজাইন

বর্তমানে অনলাইনে কাজের ক্ষেত্রে ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কোনো ওয়েবসাইট ডিজাইন করে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। নিজেদের ওয়েবসাইট তৈরিতে সবাই ওয়েব ডিজাইনারের শরণাপন্ন হন।

যারা ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান নিজেদের ওয়েবসাইট খুলে সেখান থেকেই ছোট ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরিতে এখন কোডিং আর ওয়েব ডিজাইন দুটিই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট ও আপডেটের জন্যও ওয়েব ডিজাইনার দরকার। ওয়েব ডিজাইনারের কাজের কোনো কমতি হয় না। কাজ অনুযায়ী ওয়েব ডিজাইনারের আয়ও বাড়তে থাকে।

ইন্টারনেট সার্ভে করে আয়

একটি কোম্পানির অগ্রগতির জন্য তাদের সম্পর্কে ক্রেতা ও সাধারণ মানুষ কী ভাবছে এটা জানা অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। এর ফলে একদিকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ ত্রুটিগুলো শুধরে নেয়া যায়, অন্যদিকে পণ্য বা সেবার বিক্রি বেড়ে যায় বহুগুণে। এ জন্য এসব কোম্পানিগুলো গ্রাহক পর্যায় থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মতামত পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের সার্ভে করিয়ে থাকে।

ইউটিউব

অনলাইনে ইউটিউব এখন অন্যতম আয়ের মাধ্যম। বিভিন্ন রকম ভিডিও কমেন্ট তৈরি করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোডের মাধ্যমে খুব সহজেই আয় করা যায় ইউটিউব থেকে। অনেকে ভাবেন, ইউটিউবার হওয়ার জন্য অনেক অর্থ খরচ করতে হয়, এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। অথচ বর্তমানে যারা সফল ইউটিউবার তাদের অধিকাংশই কোনো খরচ না করেই প্রথম পর্যায়ে ইউটিউবিং শুরু করেছে।

তাই একবারে স্টুডিও দিয়ে শুরু করার চিন্তা না করে আপনার স্মার্টফোনটি দিয়ে ভিডিও শুট করে আপলোড করুন এবং প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করতে থাকুন। অবশ্য এ ক্ষেত্রে সৃজনশীল আর ভালো এডিটিং জানা থাকলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে। যে বিষয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি, সেই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে হবে। কতজন ভিউয়ার আপনার ভিডিও কতবার দেখেছে সেই হিসাবে গুগল থেকে অর্থ পাবেন।

বিজ্ঞাপন দেখে আয়

অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে যে কত টাকা আয় করা সম্ভব তা সম্পর্কে অনেকেরই বিশদ কোনো ধারণা নেই। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপনদাতার সংখ্যা এতই বেশি যা অবাক করার মতো। বর্তমানে ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দেয় না এমন কোম্পানির সংখ্যা নেই বললেই চলে।

এ কোম্পানিগুলো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় তাদের ও কার্যক্রমের তথ্য পৌঁছে দিতে চায়, আর তার জন্য কোম্পানিগুলো অর্থ ব্যয় করে প্রচুর।

ইন্টারনেটে এমন বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যারা এসব কোম্পানির কাছ থেকে তাদের বিজ্ঞাপন জনসাধারণকে দেখানোর চুক্তিবদ্ধ হয় এবং পরে তারা ওইসব বিজ্ঞাপন দেখার জন্য তাদের লভ্যাংশ থেকে বিজ্ঞাপনটি যে দেখছে তাকেও কিছু অর্থ প্রদান করে থাকে। তবে কাজের আগে নিশ্চিত হতে হবে সেটি প্রকৃত সাইট কিনা।

অনেক সময় বন্ধুতে রেফারেন্স দিয়ে আয় করতে পারেন। ClixSense, NeoBxu, PrizeRebel, Paidverts এই ওয়েবসাইটগুলো থেকে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

ডেটা এন্ট্রি

অনলাইনের সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর একটি হচ্ছে ডেটা এন্ট্রি। ডেটা এন্ট্রি থেকে ইনকাম অবশ্য খুব কম। তবে অটোমেশন ব্যবহারের কারণে এখন খুব কম পাওয়া যায় এই ধরনের কাজ। যাদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও দ্রুতগতির টাইপিং দক্ষতা আছে, তারাই মূলত ডেটা এন্ট্রির কাজ করতে পারবেন। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের কাজ রয়েছে।

অনলাইন থেকে উপার্জিত টাকা যেভাবে হাতে পাবেন

চেক

চেকে টাকা পাওয়া : এটা একটা ব্যাংকের চেক যেটি আপনি যে কোনো ব্যাংক থেকেই উত্তোলন করতে পারবেন। এডসেন্স ও অন্যান্য সাইট এরকম চেকে টাকা পাঠিয়ে থাকে। এটা বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সাধারণ ও জনপ্রিয় মাধ্যম।

পেপ্যাল

পেপ্যাল টাকা পাওয়ার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম, যেটি আপনাকে অনলাইনে টাকা পেতে সাহায্য করবে। অবশ্য এখনও পেপ্যাল বাংলাদেশে আসেনি।

পেওনিয়ার

পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট মাস্টারকার্ড : এটা বাংলাদেশে অনলাইনের টাকা পাওয়ার জন্য পরিচিত উপায়। আপনি আপওয়ার্ক থেকে মাস্টার কার্ড পেয়ে সেই কার্ড থেকে টাকা উঠাতে পারেন।

মানিবুকারস্?

মানিবুকারস্ থেকে টাকা প্রাপ্তি : মানিবুকারস অনেকটা পেপ্যালের মতোই। আর এটা একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মতোই। বাংলাদেশে এটা প্রচলিত আছে।

এলার্টপে

এলার্টপের মাধ্যমে টাকা পাওয়া : এটিও পেপ্যালের মতোই আর বাংলাদেশে প্রচলিত আছে। আপনি এর টাকা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন থেকে উঠাতে পারেন।

SaMaHaR.Net  এ কাজ করে ও আপনি টাকা আয় করতে পারেন অনেক সহজেই…

আরো পড়ুনঃ

অভিজ্ঞতা ছাড়াই মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে বাংলাদেশী সাইট থেকে আয় করুন!

অভিজ্ঞতা ছাড়াই মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে বাংলাদেশী সাইট থেকে আয় করুন!

ঘরে বসে কে না আয় করতে চায়, কিন্তু সেই উপায় কয়জনের বা মাথায় আসে।

কেউ হয়তো চিন্তা করে করেই সময় নষ্ট করে ফেলছেন যে কিভাবে ঘরে বসে আয় করা যায়। আর দেশে বাড়ছে বেকার সমস্যা। চাকরি নেই বলে হা হুতাশ করছে চাকরি প্রত্যাশী অনেকে। কিন্তু আজকাল ঘরে বসে আয় করা আর নতুন কিছু নয়। আমরা অনেকেই এই ধারণার সাথে পরিচিত। কেউ নিজের হাতে তৈরি কিছু বিক্রি করে, কেউ রান্না খাবার বা ক্যাটারিং ব্যবসা করে, কেউবা বুটিক কাজ করে অর্থ উর্পাজন করেন। এসব ছাড়াও অর্থ উপার্জনের আরো মাধ্যম আছে যার জন্য ঘরের বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

এখনকার অন্যতম জনপ্রিয় আয়ের মাধ্যম হল অনলাইন। এই মাধ্যমটি  বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিশেষ করে গৃহিণী এবং তরুন-তরুণীদের মাঝে যারা ঘরের কাজ বা পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি অর্থ উর্পাজন করতে আগ্রহী।

অনলাইনে অর্থ উর্পাজন করা তেমন কঠিন কাজ নয়। যদি আপনি হন একজন পরিশ্রমী এবং বুদ্ধিমান মানুষ যার কম্পিউটার, ল্যাপটব বা স্মার্টফোন সম্পর্কে মৌলিক ধারণা আছে আর সাথে ইন্টারনেট সংযোগ তবে আপনিও পারবেন সহজেই অনলাইনে  প্রতিমাসে বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ  উর্পাজন করতে।

আমার আজকের আলোচনায় থাকছে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার  সহজ উপায় এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ। এখান থেকেই শুরু করে হয়ত আপনি মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আসুন দেখে নেওয়া যাক, এই আর্টিকেলে আমি যেসব বিষয়ে আলোচনা করব-

  • রেফারেলস মার্কেটিং নিয়ে প্রাথমিক ধারণা
  • SaMaHar.Net রেফারেলস প্রোগ্রামের পরিচিতি এবং সুবিধাসমূহ
  • ৩টি সহজ ধাপে SaMaHaR.Net রেফারেলস প্রোগ্রাম থেকে আয় করার বিস্তারিত
  • কিভাবে আগাবেন – রেফারেলস মার্কেটিং এর গাইডলাইন ও টিপস
  • রেফারেলস প্রোগ্রাম নিয়ে কিছু কমন জিজ্ঞাসা ও সেগুলোর উত্তর

Referrals Marketing আসলে কী?

কোনো প্রোডাক্ট/সার্ভিস যদি আপনি আপনার পরিচিতদের কাছে প্রোমোট করেন, আর তারা আপনার কথা শুনে যদি সেই প্রোডাক্ট/সার্ভিস ক্রয় করে; তাহলে আপনি সেই প্রোডাক্ট/সার্ভিসের ক্রয়মূল্যের একটা নির্ধারিত অংশ কমিশন পাবেন। এটিই সহজ ভাষায় রেফারেলস মার্কেটিং! যত বেশি মানুষ আপনার কথা শুনে সেই প্রোডাক্ট/সার্ভিস ক্রয় করবে, আপনি তত বেশি কমিশন লাভ করবেন!

রেফারেলস মার্কেটিং এ তিনটি পক্ষ কাজ করে-

  • মার্চেন্ট –মার্চেন্ট মূলত পণ্য/সেবা তৈরি ও বিক্রি করে থাকে
  • কাস্টমার –তারা মার্চেন্টের সেই পণ্য/সেবা ক্রয় করে থাকে
  • রেফারেলস – তারা মার্চেন্টের তৈরিকৃত পণ্য/সেবা কাস্টমারের কাছে প্রোমোট করে এবং কাস্টমার সেই পণ্য/সেবা কিনলে রেফারেলসরা মার্চেন্টদের থেকে কিছু কমিশন লাভ করে

SaMaHaR.Net এ আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পণ্য বা সেবা সমূহ  সেল করি। আমাদের পাশাপাশি আমাদের সদস্যরা পণ্য বা সেবা সমূহ সেল  করে থাকেন এবং সেগুলো পরিচালনার দায়িত্বে থাকি আমরা Team samahar.net . কাজেই টীম- সমাহার ডট নেট এখানে মার্চেন্ট, আর পণ্য বা সেবা সমূহ  ক্রয় করে যেসব সদস্যরা তারা কাস্টোমার। আর আমাদের রেফারেলসরা এই পণ্য বা সেবা সমূহ মানুষের কাছে পৌঁছে দেন যাতে বেশি বেশি মানুষ আমাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে পারেন। আর রেফারেলসদের প্রোমোট করা পণ্য বা সেবা সমূহ  যখন কেউ ক্রয় করেন, তখন প্রতিটি পণ্য বা সেবা বিক্রয়মূল্য থেকে ০-১২% পর্যন্ত কমিশন আমরা রেফারেলসদের দিয়ে থাকি! অর্থাৎ একজন কাস্টমার কোনো রেফারেলসের মাধ্যমে ১০০০ টাকার একটি পণ্য বা সেবা কিনলে সেই রেফারেলস পাবেন ০-১২০ টাকা! আর রেফারেলসকৃত লিংক ভিজিটর থেকেও পাবে ইনকাম পণ্য বা সেবা ক্রয় করুক বা না করুক।

 

এবার জানাবো SaMaHaR.Net এর রেফারেলস মার্কেটিং প্রোগ্রাম কেনো এতো স্পেশাল..!

  • ১২% রেফারেলস কমিশনঃবাংলাদেশে সবচেয়ে পপুলার রেফারেলস প্রোগ্রামের অন্যতম হচ্ছে অ্যামাজনের রেফারেলস প্রোগ্রাম। অ্যামাজনের প্রোগ্রামে রেফারেলসরা 0% থেকে শুরু করে ১০% পর্যন্ত কমিশন পায়। দেশি বিভিন্ন ই-কমার্স ব্যবসায়ীরাও প্রতিটি প্রোডাক্টের 0-৮% কমিশন দিয়ে থাকে রেফারেলসদের। সেখানে SaMaHaR.Net তে রেফারেলসরা পাচ্ছেন ০-১২% কমিশন!
  • ৩০ দিনের কুকিপলিসিঃবুঝিয়ে বলছি- কোনো ভিজিটর আপনার দেয়া রেফারেল লিঙ্কে ক্লিক করে SaMaHaR.Net তে প্রবেশ করলে আমরা তার ব্রাউজারে একটি Cookie সেভ করে রাখি ৩০ দিনের জন্য। ৩০ দিনের মধ্যে সে কোনো পণ্য বা সেবা  কিনলে আমরা বুঝবো সেটি আপনার রেফারেন্সেই কেনা হয়েছে। অর্থাৎ আপনার লিঙ্কে ক্লিক করে SaMaHaR.Net তে আসার ৩০ দিন পরেও যদি কেউ কোনো পণ্য বা সেবা কিনে, তাহলে আপনি কমিশন পাবেন। যেখানে অ্যামাজনের ক্ষেত্রে এই সময়কাল মাত্র ১ দিন (২৪ ঘণ্টা!)।
  • সাপ্তাহিক কমিশনঃঅর্থাৎ প্রতি মাসে ৪ বার আমরা কমিশন প্রদান করে থাকি!
  • সবচেয়ে বড় কথা– কোয়ালিটি অনুযায়ী আমাদের পণ্য বা সেবা সমূহ  বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা (এটা তো সবাই বলে :p )! আমাদের নিজস্ব পণ্য নেই কিন্তু সেবা নিজস্ব তবে আমরা প্রচন্ড কোয়ালিটি মেইনটেইন করেই পণ্য বা সেবা সমূহ সেল করি এবং করছি!

এছাড়া অন্যান্য আরও অনেক সুবিধা রয়েছে, সেগুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন!

তো আসলে কিভাবে এটি কাজ করে? কিভাবে বুঝবো কোন রেফারেলসের রেফারেন্সে Sale হলো? রেফারেলস হিসেবে আমার করণীয় কি আসলে ??

ধাপ  –  আমাদের রেফারেলস প্রোগ্রামে রেফারেলস হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। করার পর আপনার একটি রেফারেন্স নম্বর থাকবে এবং সেই নম্বর দিয়ে বিভিন্ন রকম রেফারেল লিঙ্ক তৈরি করে দেয়া হবে। উদাহরন- https://samahar.net/?ref=3 এখানে রেফারেন্স নম্বর হচ্ছে ৩। কাজেই কেউ এই লিঙ্কে ক্লিক করে আমাদের ওয়েবসাইটে গেলে আমরা বুঝে যাবো ৩ নম্বর রেফারেলস মার্কেটারের রেফারেন্সেই ভিজিটর ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন। এই রেফারেল লিঙ্ক তথা CREATIVES গুলো টেক্সট, লিঙ্ক, ইমেজ ইত্যাদি বিভিন্ন ফরম্যাটের হতে পারে।

রেফারেলস হিসেবে রেজিস্টার করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

ধাপ  –  রেফারেল লিংক তো পাওয়া গেল; এবার তা মানুষের কাছে প্রচার করতে হবে। সাধারণত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠিত রেফারেলস মার্কেটারদের নিজস্ব অডিয়েন্স/ফ্যানবেইজ/ফলোয়ার থাকে। কোনো কোনো মার্কেটার হয়ত ব্লগিং করেন, কেউ হয়ত ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও পাবলিশ করেন, কেউ কেউ ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখালিখি করেন। প্রতিটি রেফারেলস মার্কেটারকেই কোনো না কোনো ভাবে এই অডিয়েন্স তৈরি করে নিতে হবে আস্তে আস্তে; বা মানুষের কাছে পৌঁছানোর কোনো না কোনো উপায় বের করতে হবে। এরপর সেই অডিয়েন্সের কাছে মার্চেন্টের প্রোডাক্ট (সমাহার ডট নেট এর পণ্য ও সেবা) প্রচার করতে হবে রেফারেল লিঙ্কের মাধ্যমে।

অলরেডি নিজের ফলোয়ার বা অডিয়েন্স না থাকলে যে রেফারেলস মার্কেটিং করা যাবে না- এমনটি ভাববেন না। কোনো মার্কেটারই এই অডিয়েন্স রাতারাতি তৈরি করে ফেলতে পারেন না। সময়, শ্রম ও পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে। কাজেই অডিয়েন্স না থাকলে, বা নিজের ব্লগ বানানোর সাধ্য না থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন গ্রুপে, পেইজে, টাইমলাইনে, ইউটিউব চ্যানেলে বা অন্য কারো ব্লগেও মার্কেটিং শুরু করতে পারেন।

ধাপ  – এবার ঘুমিয়ে পড়ুন! Passive Income বলতে যা বুঝায় আরকি- ঘুমের মধ্যেও ইনকাম করা! অডিয়েন্স তৈরি করা আর তাদের মাঝে সমাহার ডট নেট এর পণ্য ও সেবা সমূহ প্রোমোট করার পর আপনার প্রগ্রেস এবং ইনকাম পর্যবেক্ষণ করুন। সমাহার ডট নেটের Referrals থেকে দেখা যাবে ঠিক কতজন মানুষ আপনার রেফারেন্সে ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে, কতজন মানুষ কত টাকার পণ্য বা সেবা কিনেছে, তা থেকে কত টাকা আপনি কমিশন পেলেন!

আরও বেশি অডিয়েন্স বাড়ানোর দিকে মনযোগ দিন। আর তার জন্য আপনার চ্যানেল বা মিডিয়াগুলোয় আরও বেশি বেশি কনটেন্ট শেয়ার করুন এবং সেই কনটেন্টের মাঝেই সমাহার ডট নেট এর পণ্য বা সেবা সমূহ প্রোমোট করুন। কনটেন্ট অনেক রকমের হতে পারে, নিচে এ নিয়ে কিছু আইডিয়া দেয়া হয়েছে।

রেফারেলস মার্কেটিং টিপস- কোথায় এবং কিভাবে প্রোমোট করবেন!

১। ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় – একটি পেইজ খুলে ফেলতে পারেন। সেখানে নিয়মিতভাবে লিখালিখি করতে পারেন। পেইড এডভার্টাইজমেন্টও করতে পারেন সম্ভব হলে। নিজের টাইমলাইনেও লিখতে পারেন। বিভিন্ন পাবলিক গ্রুপেও লিখতে পারেন, প্রোমোট করতে পারেন। লিখতে পারেন বা ভিডিও আপলোড করতে পারেন, বা ছবি আপলোড করতে পারেন!

২। ইউটিউব – একটি চ্যানেল খুলে সেখানে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন। একটা নির্দিষ্ট ইনডাস্ট্রিতে থেকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করুন, এমন ভিডিও তৈরি করুন যাতে মানুষের উপকারে আসে। ভিডিওতে বা ভিডিওর ডেসক্রিপশনে সমাহার ডট নেটের পণ্য বা সেবা  প্রোমোট করতে পারেন।

৩। পার্সোনাল ব্লগ/ওয়েবসাইট – সম্ভব হলে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি নিজের একটা ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানেও লিখালিখি করতে পারেন। বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল পাবলিশ করুন এবং সেখানে আমার বিজনেস ২৪ এর পণ্য বা সেবা প্রোমোট করুন। দরকারি বিভিন্ন বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখুন, যেগুলো পড়ে মানুষের কাজে লাগে।

৪। ইমেইল মার্কেটিং – ব্লগ বা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে মানুষের ইমেইল এড্রেস এবং সম্ভব হলে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করুন। এরপর বিভিন্ন সময়ে তাদের কাছে আমার বিজনেস ২৪ এর পণ্য বা সেবা ইমেইল, এসএমএস এর মাধ্যমে প্রোমোট করুন। ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য Mailchimp নামের এই অসাধারণ Free Tool টি ব্যবহার করতে পারেন।

কি ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ করবেন?

খুব জোর দিয়ে বলে রাখি- অনেক অনেক ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ করা যায়। গুগলে একটু ঘাটাঘাটি করে অনেক আইডিয়া পেয়ে যাবেন কনটেন্ট মার্কেটিং এর। এখানে জাস্ট কয়েকটা আইডিয়া উদাহরণ হিসেবে দেখাচ্ছি-

  • ছোট ছোট দরকারি বিষয়ের উপর How-to ধরনের টিউটোরিয়াল (ভিডিও বা আর্টিকেল) বানাতে পারেন
  • বিভিন্ন বিষয়ের Review লিখতে পারেন। আমাদের পণ্য বা সেবাগুলোর রিভিউ লিখতে পারেন
  • কোনো পণ্য বা সার্ভিস, যেমন আমাদের পণ্য বা সেবা সমূহের বা প্লাটফর্ম নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন
  • আমরা বিভিন্ন পণ্য বা সেবা  অফার করে থাকি। প্রতিটি পণ্য বা সেবার সাথে সম্পর্কিত বিষয়াবলি নিয়ে কনটেন্ট বানাতে পারেন। কোন পণ্য বা সেবা কেন প্রয়োজন,  কিভাবে লাভবান হবে, পণ্য বা সেবাগুলো কাদের জন্য- এসব নিয়ে কথাবার্তা বলতে পারেন।
  • অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের সাথে আমাদের মার্কেটপ্লেসের সরাসরি তুলনা করে দেখাতে পারেন কেন আমরা ভাল
  • আমরা আমাদের মার্কেটিং এর জন্য যেসব কনটেন্ট শেয়ার করি, সেগুলো নিজেরাও পাবলিশ করতে পারেন
  • আমরা প্রায়শই বিভিন্ন ডিসকাউন্ট বা বান্ডেল অফার দিয়ে থাকি, সেগুলো প্রোমোট করতে পারেন । ইত্যাদি

আশা করি বুঝতে পারছেন- পূর্ব অভিজ্ঞতা, বড় বাজেট, খুব বেশি সময় ও শ্রম দেয়ার সুযোগ না থাকলেও ছোট পরিসরে আশেপাশের মানুষের কাছে আমাদের পণ্য বা সেবা সমূহ প্রোমোট করেও মাসে বেশ কিছু টাকা আয় করা সম্ভব। যদি ফুল-টাইম রেফারেলস মার্কেটার হওয়ার ইচ্ছা বা পরিকল্পনা নাও থাকে, তবুও সম্ভব বাড়তি কিছু উপার্জন করা! কারণ আমাদের সমাহার ডট নেট রেফারেলস প্রোগ্রামের পুরো প্রসেসটাই সহজ এবং ঝামেলামুক্ত। ব্যাংক একাউন্ট, পেপাল, মাস্টারকার্ড, পেওনিয়ার এর ঝামেলা নেই। অনেক বেশি ফ্যানবেইজ বা অডিয়েন্স থাকাও জরুরী না শুরুতেই। ব্লগ, ওয়েবসাইট না থাকলে, ইউটিউবে ভিডিও বানানোর মত সামর্থ্য না থাকলে কেবল একটা ফেইসবুক আইডি দিয়ে বা আশেপাশের মানুষের কাছে প্রোমোট করেও উপার্জন করা সম্ভব!

রেফারেলস মার্কেটিং নিয়ে কিছু কমন প্রশ্ন ও উত্তর

 রেফারেলস হতে কত খরচ হবে?

আমাদের রেফারেলস হওয়ার জন্য কোন টাকা লাগবে না; সম্পূর্ণ ফ্রি-তে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন রেফারেলস হিসেবে। এছাড়া এখানে কোন ন্যুনতম সেলস এর লিমিট নেই, যতটুক সেল করবেন ততটুকুর উপরই কমিশন পাবেন।

 আমি কত টাকা উপার্জনের আশা করতে পারি?

এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর। আপনার উপার্জন নির্ভর করছে আপনার সুপারিশকৃত সেলস এর উপর। আমরা প্রতি সেল এর জন্য ৫-২০% পর্যন্ত কমিশন দিয়ে থাকি। যত বেশি লিংক ছড়াবেন , আর যত সেলস হবে, ততই আপনার উপার্জন বাড়বে।

 কত সময় দেয়া লাগবে এর পিছে?

এটাও সম্পূর্ণ আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করবে। যদি কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে দিনে কমপক্ষে ১-২ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে দেখতে পারেন। কেমন ফলাফল আসছে তার উপর ভিত্তি করে কম বা বেশি সময় দিতে পারেন।

 আমার ওয়েবসাইট বা ব্লগ কি আপনাদের রেফারেলস প্রোগ্রামের যোগ্য?

প্রায় সকম ওয়েবসাইট বা ব্লগ ই আমাদের রেফারেলস প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য। তবে আপনার ব্লগ/পেইজ/ওয়েবসাইট/চ্যানেলে কোন ধরনের বিতর্কিত বা বেআইনি কন্টেন্ট থাকলে, আমরা মেম্বারশিপ বাতিল করে দিতে পারি।

 আমি আসলে কি শেয়ার করবো?

এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভরশীল। আপনি আমাদের যেকোন পণ্য বা সেবার লিংক শেয়ার করতে পারেন। কিংবা সমাহার ডট নেটের হোমপেইজের লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন।

 পেমেন্ট এর নিয়মকানুন গুলো কিপেমেন্ট কীভাবে দেয়া হয়?

আমরা রেফারেলসদের প্রতি মাসে ৪ বার পেমেন্ট দেই। প্রতি মাসের ৭,১৪, ২১ এবং ২৮ তারিখ। আপনার উপার্জন ৫০০০ টাকা অতিক্রম করলেই আপনি পেমেন্ট নিতে পারবেন। পেমেন্ট মেথড হিসেবে রয়েছে বিকাশ এবং রকেট

 আমি সমাহার ডট নেট রেফারেলস মার্কেটিং প্রোগ্রামে কীভাবে যোগ দিবো?

নিচের লিংকে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন পেইজে যান এবং রেজিস্ট্রেশন ফর্ম টি পূরণ করে আমাদের ইমেইলের জন্য অপেক্ষা করুন। আপনার এপ্লিকেশন যাচাই করে আমরা ২-৩ দিনের মধ্যে আপনাকে ইমেইলে জানিয়ে দিব।

কোনো প্রশ্ন থাকলেবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে ইমেইল করুন  support@lukiye.com  এই ঠিকানায়

 

 

CLICK HERE TO REGISTER AS AN REFERRALS MARKETER

Cart
Your cart is currently empty.