নারী উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। ব্যবসার মোট মালিকদের মধ্যে নারীর সংখ্যা হিসেবে ৫৪টি দেশের মধ্যে ৬ নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ।

‘মাস্টারকার্ড ইনডেক্স অব উইমেন আন্ত্রেপ্রেনিউরস (এমআইডব্লিউই)’ শীর্ষক এ জরিপে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে যত উদ্যোক্তা আছেন, তার ৩১.৬ শতাংশই নারী। বাংলাদেশে নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার মতো এখনো যথেষ্ট উপযুক্ত পরিবেশ নেই। কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেই কাজ করে এ দেশের নারীরা নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছেন।

জরিপের ফলাফলে উল্লেখ করা হয়েছে, উগান্ডা (নারী উদ্যোক্তা ৩৪.৮%), বাংলাদেশ (৩১.৬%) এবং ভিয়েতনামের (৩১.৪%) মতো স্বল্প আয়ের অর্থনীতির দেশগুলোতে নারীরা ব্যবসার সুযোগ পেয়ে নয়, মূলত প্রয়োজনের তাগিদেই উদ্যোক্তা হন। তাই ব্যবসার যে কোনো ধরণের সুযোগ পেলেই বাংলাদেশসহ এসব নারীরা সেটা কাজে লাগান।

জরিপে বলা হয়েছে, উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে একজন নারীর জন্য যেসব সুবিধা অত্যাবশ্যক, তার মধ্যে সবচেয়ে জরুরি হলো আর্থিক সহায়তা ও ব্যবসা করার সহজ পরিবেশ। অন্যদিকে নারীদের ব্যবসা করার পথে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে আর্থিক সহায়তার অভাব, আত্মবিশ্বাস ও উদ্যোক্তা প্রবণতার অভাবকে।

এছাড়া ওই জরিপ অনুসারে, নারী উদ্যোক্তাদের গড়ে ওঠার মতো উপযুক্ত পরিবেশ ও সুযোগ তৈরিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড (নারী উদ্যোক্তা ৭৪.৪%)।

সেরা ১০টি দেশের মধ্যে বাকিগুলো যথাক্রমে কানাডা (নারী উদ্যোক্তা ৭২.৪%), যুক্তরাষ্ট্র (নারী উদ্যোক্তা ৬৯.৯%), সুইডেন (নারী উদ্যোক্তা ৬৯.৬%), সিঙ্গাপুর (নারী উদ্যোক্তা ৬৯.৫%), বেলজিয়াম (নারী উদ্যোক্তা ৬৯.০%), অস্ট্রেলিয়া (নারী উদ্যোক্তা ৬৮.৫%), ফিলিপিন্স (নারী উদ্যোক্তা ৬৮.৪%), যুক্তরাজ্য (নারী উদ্যোক্তা ৬৭.৯%) এবং থাইল্যান্ড (নারী উদ্যোক্তা ৬৭.৫%)।