উদ্যোক্তা কেন হবেন? সফল উদ্যোক্তার কয়েকটি বিশেষ গুণাবলী।

উদ্যোক্তার ধারনা :- বন্যায় এলাকার একটা বাঁধ ভেঙ্গে মানুষের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। সরকার কবে মেরামত করবে তা বলা যাচ্ছে না। সামনে বৃষ্টি শুরু হলে মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। মি. কামরুল এলাকার হৃদয়বান মানুষ। তিনি এ সমস্যা নিয়ে গণ্যমান্য অনেকের সাথে কথা বললেন। ছাত্র, যুবক ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে বাঁধটা নিজেরা সবাই মিলে মেরামত করা যায় কি না সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করলেন। এরই এক পর্যায়ে একদিন স্কুল মাঠে একটা সভা হলো। গণ্যমান্য অনেকেই কথা বললেন। ছাত্র ও যুবকদের পক্ষ থেকেও কেউ কেউ উৎসাহব্যঞ্জক বক্তব্য রাখলো। সিদ্ধান্ত হলো যারা পারবে টাকা দেবে এবং ছাত্র ও যুবকরা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে বাঁধ মেরামত করবে। একদিন সকালে নারী-পুরুষ শিশুসহ সবার উপস্থিতিতে কাজ শুরু হলো। সবার মধ্যে প্রচণ্ড উৎসাহ। শুধু বাঁধ মেরামত ছাড়াও গ্রামের মধ্যে রাস্তায় যেখানে যা সমস্যা ছিল সব সংস্কার হয়ে গেলো। এক্ষেত্রে মি. কামরুলের কর্মপ্রচেষ্টা উদ্যোগের একটা উদাহরণ। আর এই উদ্যোগ যে গ্রহন করে তাকেই উদ্যোক্তা বলা হয়ে থাকে।

আজকে আমরা আলোচনা করবো , উদ্যোক্তা কেন হবেন? সফল উদ্যোক্তার কয়েকটি বিশেষ গুণাবলী।

কেন একজন উদ্যোক্তা হবেন?

উদ্যোক্তা হবার জন্য অনেক কারন থাকতে পারে তা নি বর্ননা করা হলো :-

স্বাধীনতা এবং নিয়ন্ত্রণ :- উদ্যোক্তাদের তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করার এবং তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। তারা তাদের নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের নিজেদের ভবিষ্যত গঠন করার ক্ষমতা রাখে ।

আবেগ এবং আগ্রহ :- অনেক উদ্যোক্তা তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করে, কারণ তারা একটি নির্দিষ্ট পণ্য, সেবা বা শিল্প সম্পর্কে উৎসাহী। তাদের নিজস্ব কোম্পানি শুরু করে, তারা সেই আবেগ বা আগ্রহকে ক্যারিয়ারে পরিণত করতে পারে।

আর্থিক সম্ভাবনা :- একটি সফল ব্যবসা শুরু করা আর্থিকভাবে ফলপ্রসূ হতে পারে। উদ্যোক্তাদের একজন কর্মচারীর থেকে  তাদের চেয়ে বেশি উপার্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তারা তাদের কোম্পানি বড় করে তুলতে পারে।

উদ্যোক্তা কেন হবেন? সফল উদ্যোক্তার কয়েকটি বিশেষ গুণাবলী।

ব্যক্তিত্ব :- উদ্যোক্তা একটি চ্যালেঞ্জিং যাত্রা, যা ব্যক্তিদের ব্যক্তিত্ব  বৃদ্ধি করতে সহায়তা করতে পারে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় সৃজনশীলতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ও পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

পার্থক্য তৈরি করে :- উদ্যোক্তারা তাদের সম্প্রদায় বা সামগ্রিকভাবে সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করার ক্ষমতা রাখে এমন পণ্য বা সেবা তৈরি করে যা সমস্যার সমাধান করে অথবা প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে।

 নমনীয়তা বা কর্ম-জীবনের ভারসাম্য :- একজন উদ্যোক্তা হিসাবে, আপনার নিজের সময়সূচী সেট করার এবং যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি প্রথাগত সাকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ পর্যন্ত কাজের তুলনায় আরও নমনীয়তা এবং ভাল কর্ম-জীবনের ভারসাম্য প্রদান করতে পারে।

সৃজনশীল স্বাধীনতা :-  উদ্যোক্তাদের নতুন পণ্য, সেবা বা ব্যবসায়িক মডেল উদ্ভাবন এবং তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে যা শিল্পগুলিকে ব্যাহত করতে পারে এবং বিশ্বকে পরিবর্তন করতে পারে।

শেখার সুযোগ :- একটি ব্যবসা শুরু করার সাথে নতুন দক্ষতা শেখা এবং নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া যায়। অনেক উদ্যোক্তার জন্য, ক্রমাগত শেখার এবং ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধির এই প্রক্রিয়া একটি প্রধান প্রেরণাদায়ক কারণ।

কোম্পানির সংস্কৃতির উপর নিয়ন্ত্রণ :- উদ্যোক্তাদের একটি কোম্পানি সংস্কৃতি তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে যা তাদের মূল্যবোধ এবং দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি নিজেদের এবং তাদের কর্মীদের জন্য আরও পরিপূর্ণ এবং আনন্দদায়ক কাজের পরিবেশের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

একটি উত্তরাধিকার রেখে যাওয়া :- অনেক উদ্যোক্তা বিশ্বের উপর একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রেখে যাওয়ার ইচ্ছা দ্বারা চালিত হয়। একটি সফল ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে, তারা একটি উত্তরাধিকার তৈরি করতে পারে যা তাদের নিজের জীবনকালের বাইরেও প্রসারিত হয়।

সফল উদ্যোক্তার কয়েকটি বিশেষ গুণাবলী-

উদ্যোক্তার গুণাবলি :- ঝুঁকিপূর্ণ ও অনুমাননির্ভর পথযাত্রায় যে উদ্যোক্তা তার নতুন ব্যবসায় চিন্তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটিয়ে সাফল অর্জনে সক্ষম হন তাকেই সফল উদ্যোক্তা বলে । সফল উদ্যোক্তা নিঃসন্দেহে একজন সৃজনশীল উদ্ভাবক, উত্তম-সংগঠক, যোগ্য পরিচালক ও সফল নেতা । তিনি সাধারণ ব্যবসায়ী বা ব্যবস্থাপক থেকে ভিন্নতর । বিভিন্ন গুণ বা বৈশিষ্ট্যের সমাহারে তিনি বৈশিষ্ট্যমন্ডিত । নিম্নে একজন সফল উদ্যোক্তার বিভিন্ন গুণ বা বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো :-

১. সৃজনশীল মানসিকতা বা সৃজনশক্তি :- নতুন কিছু চিন্তা করার এবং তা দিয়ে একটা ধারণাকে দাঁড় করাতে পারার মতো ব্যক্তির মানসিক সামর্থ্যকে সৃজনশীল মানসিকতা বা সৃজনশক্তি বলে । একজন উদ্যোক্তা অন্যেরটা সম্পূর্ণ অনুকরণ করেন না। হতে পারে তিনি অন্যের কাজ দেখে তাতে নতুন কিছু সংযোজন করতে পারেন। নতুন কোনো ব্যবসায় দাঁড় করাতে পারেন। নতুন পদ্ধতি, প্রক্রিয়া ইত্যাদি সংযোজন করতে পারেন। নতুন বাজার সৃষ্টি করতে পারেন-যার সবকিছুর জন্য সৃজনশীল মনসিকতা বা সৃজনশক্তি অপরিহার্য বিবেচিত হয়। অর্থাৎ একজন ভালো উদ্যোক্তা নতুন কিছু সৃষ্টি করার মতো সৃষ্টিশীল ও গঠনমূলক মনের অধিকারী হয়ে থাকেন।

২. কৃতিত্বার্জ্জন চাহিদা :- একজন ব্যক্তির মধ্যে কৃতকার্যে সাফল্য লাভের প্রবল আকাঙ্ক্ষাকে কৃতিত্বার্জন বা সাফল্যার্জন চাহিদা বলে । কোনো ব্যক্তি যদি তার কাজ থেকে সাফল্য প্রত্যাশা না করেন, দৌড় দিয়ে যদি প্রথম হওয়ার স্বপ্ন না দেখেন তবে ঐ কাজে তার সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও আত্মত্যাগ থাকে না । তাই একজন সফল উদ্যোক্তা সাফল্য অর্জনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও আশাবাদী মন নিয়ে পথ চলেন। তিনি তার উদ্যোগ প্রচেষ্টাকে নিজের জীবনে সাফল্য লাভের উপায় বা ক্যারিয়ার হিসেবে গণ্য করেন এবং সকল প্রচেষ্টায় তার এ স্পৃহার প্রতিফলন ঘটে ।

৩. দূরদৃষ্টি :- জ্ঞানচক্ষু বা বিশেষ জ্ঞান (প্রজ্ঞা) দ্বারা ভবিষ্যৎকে উপলব্ধি বা বুঝতে পারার সামর্থ্যকে দূরদৃষ্টি বলে । একজন ব্যক্তি তার নতুন চিন্তার সাফল্য সম্ভাবনা যদি বুঝতে না পারেন, সমস্যা কী হতে পারে যদি ভাবতে না পারেন তবে তার পক্ষে কখনই ভালো উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব নয় । কবীর হোসেন অন্যের সাফল্য দেখে কোনো ব্যবসায়ে নেমে পড়লো । কিন্তু ঐ ব্যবসায়ের ভবিষ্যত সম্ভাবনা কী, কী ধরনের বাধাগুলো আগামী দিনে ঐ ব্যবসায়কে মোকাবেলা করতে হবে- এগুলো যদি বোঝার মতো ভাবার মতো সামর্থ্য তার না থাকে তবে তার পক্ষে ব্যবসায় করা সম্ভব নয়; ব্যবসায় উদ্যোক্তা হওয়াতো দূরের কথা ।

৪. সাহস ও বুদ্ধিমত্তা :- নির্ভিকভাবে পথ চলতে পারার গুণকেই সাহস বলে। অন্যদিকে, মানুষের বোধশক্তি ও বিচারশক্তিকে বুদ্ধিমত্তা বলা হয়ে থাকে। বোধশক্তিসম্পন্ন একজন মানুষ যদি করণীয় ঠিক করে সাহসীকতার সাথে তা অর্জনে পথ চলতে পারে তবে তার পক্ষে সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়। অন্যদিকে যদি দুই পা চলে আর এক পা পিছায়, সবসময় অজানা ভয় যদি কাউকে তাড়া করে ফেরে তবে তার পক্ষে ভালো উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব হয় না। ঝুঁকিপূর্ণ, অনুমাননির্ভর ও অচেনা পথে কার্যত জীবনকে বাজি রেখে একজন উদ্যোক্তা তার উদ্যোগ চিন্তাকে বাস্তবায়ন করেন। এ জন্য একজন উদ্যোক্তাকে যথেষ্ট সাহসী হতে হয়। তার এ সাহস অবশ্যই বুদ্ধিমত্তা দ্বারা সুষমামন্ডিত হয়ে থাকে ।

৫. ধৈর্য ও কষ্টসহিষ্ণু  :- যে গুণের প্রভাবে একজন মানুষ বিরূপ পরিস্থিতিতে প্রতিকূলতা সহ্য করে নিজ লক্ষ্যপানে এগিয়ে যেতে পারে তাকে ধৈর্য্য বলে। অন্যদিকে দুঃখ ক্লেশ, বেদনা ইত্যাদি সইতে পারার গুণকে কষ্টসহিষ্ণুতা বলা হয়ে থাকে। একজন উদ্যোক্তা নতুন ব্যবসায়, পণ্য, পদ্ধতি, বাজার ইত্যাদি নিয়ে যখন কাজ করে তখন প্রত্যাশিত অবস্থার বাইরে বিরূপ অবস্থা তাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। হতাশাব্যঞ্জক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সে অবস্থাতেও যদি ভেঙ্গে না পড়ে, অবিচল থেকে, ধৈর্য ধরে এবং দুঃখ ও বেদনাকে সহ্য করেও একজন উদ্যেক্তা করণীয় নির্ধারণপূর্বক এগিয়ে যেতে পারে তবে তার পক্ষে সাফল্যলাভ সম্ভব হয় । তাই ধৈর্য এবং সেই সাথে কষ্টসহিষ্ণুতা উদ্যোক্তার বড় গুণ । তাই সহজেই ধৈর্য হারান বা ভেঙ্গে পড়েন এমন মানুষ কখনই ভাল উদ্যোক্তা হতে পারে না ।

৬. ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা :- আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনাকে ঝুঁকি বলে । এই ক্ষতি মেনে নেয়ার মতো মনকেই উদ্যোক্তার ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা বলে। যে কোনো নতুন উদ্যোক্তার ঝুঁকির বা ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সাফল্য আসবেই এবং কখনই ক্ষতি স্বীকার করতে হবে না এমন চিন্তা উদ্যোক্তাকে বাস্তবতার গুণ বর্জিত করে তোলে । তাই একজন উদ্যোক্তার ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা একটি বড় গুণ । চাকরিজীবী ও গতানুগতিক ব্যবসায়ীদের সাধারণত এ ধরনের মানসিকতা থাকে না। একজন উদ্যোক্তা তার সময়, শ্রম ও পুঁজিকে সমন্বিত করে এবং বিভিন্ন দায়ের বোঝা মাথায় নিয়ে উদ্যোগকে এগিয়ে নেন। এরূপ মানসিকতাই তাকে এক্ষেত্রে সাহস জোগায়।

৭. সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামর্থ্য :- বিভিন্ন বিকল্প করণীয় থেকে বাস্তবতার আলোকে উত্তম করণীয় নির্বাচন করতে পারার গুণকেই সিদ্ধান্তে গ্রহণের সামর্থ্য বলে। যথাসময়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামর্থ্য একজন সফল উদ্যোক্তার বড় গুণ। কোনো উদ্যোগ গ্রহণ থেকে শুরু করে বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে হাজারো সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। সম্ভাব্য সমস্যা, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদির যথাযথ মূল্যায়ন করেই এ সকল সিদ্ধান্ত নিতে হয় । এক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিলম্ব বা দুর্বলতা পুরো উদ্যোগকেই ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

৮. নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা :- কর্তব্য-কর্মে দৃঢ় অনুরাগ, আস্থা, বিশ্বাস, মনোযোগ ইত্যাদিকে নিষ্ঠা বলে । অন্যদিকে অকৃত্রিমতা, কপটতামুক্ততা, লোক দেখানো ভাব পরিহার করে কাজ করাকে আন্তরিকতা বলা হয়ে থাকে । একজন সফল উদ্যোক্তাকে অবশ্যই তার কাজে নিষ্ঠাবান ও আন্তরিক হতে হয় । নিষ্ঠা তাকে নিজস্ব কাজে আস্থাবান, মনোযোগী ও দায়িত্বশীল করে তোলে। এটি তার আচরণে যে প্রভাব ফেলে তা অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণে যেমনি সমর্থ হয় তেমনি ক্যারিয়ার গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অন্যদিকে মানষ যখন দেখে কোনো ব্যক্তি তার কাজে প্রকৃতই নিষ্ঠাবান এবং কোনো ধরনের কপটতা বা কৃত্রিমতা তার মধ্যে নেই। তখন অন্যরা তাকে সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে থাকে ।

৯. যোগাযোগ দক্ষতা :- অন্যের বা অন্যদের নিকট সঠিক সময়ে সঠিক উপায় বা পদ্ধতিতে নিজের বক্তব্য বা প্রয়োজন কার্যকরভাবে তুলে ধরে উদ্দেশ্য অর্জনের সামর্থ্যকে যোগাযোগ দক্ষতা বলে। সফলতা অর্জনে একজন উদ্যোক্তাকে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন পক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে। এ কারণেই যোগাযোগ দক্ষতা একজন সফল উদ্যোক্তার অপরিহার্য গুণ বা বৈশিষ্ট্য। স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের এ যুগে বিভিন্নমুখী যোগাযোগ দক্ষতা ছাড়া কারও পক্ষেই অন্যদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় ।

১০. সামাজিক দায়িত্ববোধ :- সমাজের প্রতি করণীয় রয়েছে উদ্যোক্তার এই বোধ বা চিন্তাকে উদ্যোক্তার সামাজিক দায়িত্ববোধ বলে । একজন উদ্যোক্তাকে সফলতা লাভে সমাজের বিভিন্ন পক্ষের সাথে কাজ করতে হয় । সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের প্রতি দায়িত্ব পালনের স্বাভাবিক অনুভূতি যদি তার মধ্যে না থাকে তবে তার পক্ষে সংশ্লিষ্টদের সহানুভূতি অর্জন সম্ভব হয় না। আর এরূপ সহানুভূতি ও সহযোগিতা ছাড়া একজন উদ্যোক্তা সফল হতে পারে না।

১১. মূল্যবোধ ও নৈতিকতা :- কোনটা ভালো এবং কোনটা মন্দ এ সংক্রান্ত উদ্যোক্তার বোধকে মূল্যবোধ এবং ভালোকে গ্রহণ ও মন্দ এড়িয়ে চলাকে নৈতিকতা বলে । একজন উদ্যোক্তাকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার গুণসম্পন্ন হওয়ার প্রয়োজন পড়ে। অন্যায় ও অসৎ চিন্তা ও আচরণ দিয়ে কারও পক্ষেই বেশিদূর এগুনো সম্ভব নয়-এ ভাবনা উদ্যোক্তার মধ্যে থাকার প্রয়োজন পড়ে ।

১২. সাংগঠনিক জ্ঞান ও দক্ষতা :- মানবীয় ও বস্তুগত উপকরণাদিকে কার্যকরভাবে সংহত করে সংগঠন প্রতিষ্ঠা এবং যোগ্যতার সাথে তা পরিচালনা করার সামর্থ্যকেই সাংগঠনিক জ্ঞান ও দক্ষতা বলে । নতুন উদ্যোগ সফল করার জন্য একজন উদ্যোক্তাকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে মানবীয় ও বস্তুগত উপকরণাদি সংগ্রহ ও সমন্বিত করতে হয়। এক্ষেত্রে বাস্তবায়ন পর্যায়ের কোনো ভুল নানান বিপত্তির সৃষ্টি করে। এজন্য একজন সফল উদ্যোক্তাকে অবশ্যই উপযুক্ত সাংগঠনিক জ্ঞান ও দক্ষতার অধিকারী

হতে হয়।

পরিশেষে, একজন উদ্যোক্তা হওয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই তার ব্যক্তিগত লক্ষ্য যা  মূল্যবোধ এবং অগ্রাধিকারের উপর নির্ভর করে।

Your Online Business Partner.

ডোমেইন রেজিঃ করুন মাত্র ৪৯ টাকায়…

.com, .net, .org, .me, .media, domains, .computer, .digital, .ltd, .school, .university, .clinic, .tv, xyz, .help সহ আরো প্রায় ১৫০০ নতুন ডোমেইন পাওয়া যাচ্ছে । স্বল্প মূল্যে আপনার পছন্দের ডোমেইনটি রেজিঃ করার এখনই সুবর্ণ সুযোগ। ৳ ৪৯ টাকার অফারটি শুধুমাত্র ১ম বছরের জন্য ও  বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত কোম্পানি , এনজিও , ফাউন্ডেশন, সংস্থা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

আমরা যে সকল ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার তৈরি করে থাকিঃ

✪ কোম্পানীর ওয়েবসাইট                                                            ✪ মুদির দোকান ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪ নিউজ পেপার ওয়েবসাইট                                                        ✪ ট্র্যাভেল এজেন্সি উইথ প্যাকেজ বুকিং সফটওয়্যার

✪  ফ্যাশন হাউসের ওয়েবসাইট                                                    ✪ পয়েন্ট অফ সেল, টিকেট বুকিং সফটওয়্যার

✪  ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট                                                  ✪ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজ্ম ওয়েবসাইট                                         ✪ ব্লাড ডোনেসন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  বিউটি পার্লার এবং জিমের ওয়েবসাইট                                      ✪ ইনভেন্টরী এন্ড স্টক ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  ফাইনেন্সিয়াল এসোসিয়েশন ওয়েবসাইট                                    ✪  গার্মেন্টস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোম্পানী ওয়েবসাইট

আরো জানতে ও সেবা পেতে এখুনি রিসেলার, অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

আকর্ষণীয় কমিশনে রিসেলার দেয়া হচ্ছে…

ন্যানো সুপার টেক পয়েন্ট লিমিটেড

⌂ প্রধান কার্যালয়ঃ উত্তর খামের, কাপাসিয়া, গাজীপুর – ১৭৩০

মোবাইলঃ ০১৭১১১১৩৮৫২ , ই-মেইলঃ nanosupport@lukiye.com

আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছি। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন…

পিন্টারেস্ট কি? কিভাবে Pinterest মার্কেটিং করবেন?

আপনি বিজনেসে লিডস সংগ্রহের কথা ভাবছেন?

স্বল্প সময়ে বিজনেস সম্প্রসারণে পিন্টারেস্ট মার্কেটিং নিয়ে পরিকল্পনা করছেন?

হাবস্পটের রিসার্চ অনুযায়ী পিন্টারেস্টে প্রায় ৪৩৩ মিলিয়ন অ্যাকটিভ ইউজার রয়েছে। এমনটি প্রায় ৮৩% গ্রাহক পিন্টারেস্ট থেকে উপযুক্ত পণ্যের কন্টেন্টে আগ্রহী হয়ে কেনাকাটা করছে। তাই মার্কেটারগণ বিজনেস গ্রোথের ক্ষেত্রে ইফেকটিভ কন্টেন্ট শেয়ারিং মাধ্যমে কাস্টমারকে রিচ করার ক্ষেত্রে পিন্টারেস্টকে বেছে নিচ্ছে। বর্তমানে বিজনেসমূহ ডিজিটালাইজড হয়ে উঠেছে। তাই এই ডিজিটাল যুগে বিজনেসে ওয়েবসাইট অধিক ট্র্যাফিক পেতে,বিজনেসকে গ্রো করতে,লিডস সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমের নাম হল পিন্টারেস্ট মার্কেটিং। তাই বিজনেস ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে পিন্টারেস্ট কী? কীভাবে Pinterest মার্কেটিং করবেন এই নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা।

  • পিন্টারেস্ট কি?

অনেকের কাছে নতুন মনে হলেও জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হল পিন্টারেস্ট। এটি এমন একটি মাধ্যম যে মাধ্যমে ইউজারগন এন্টারটেইনমেন্ট, হবি, লাইক বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট শেয়ার করে।

পিন্টারেস্ট ইউজার নিজেদের কন্টেন্টগুলোকে এড করে কিংবা পিন হিসেবে অর্গানাইজ করে রাখে। যা একটি কমন থিম ব্যবহার করে বোর্ড অনুযায়ী ভিজিটরদের সামনে প্রেজেন্ট করে। ফলে অন্যান্য ইউজার নিজেদের আগ্রহ এবং পছন্দের ক্যাটাগরি অনুযায়ী পিন,কিংবা বোর্ডের মাধ্যমে সংরক্ষণ করার মাধ্যমে অন্যান্য ইউজার কনটেন্টসমূহ দেখার পরিপূর্ণ সুযোগ পায়।

আপনি যদি এক্ষেত্রে পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে অবশ্যই একটি অ্যাকাউন্ট ওপেন করে নিবেন। আপনি সাইন আপ সম্পন্ন করার পর আপনি নিজের কন্টেন্ট যেভাবে আপলোড করতে পারবেন এবং সে সাথে বাকিদের কন্টেন্ট আপনি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। আপনি এই মাধ্যমটির সর্বাধিক ব্যবহার করতে চাইলে আপনার বিজনেস সম্পর্কিত কন্টেন্টগুলো এই প্ল্যাটফর্মে পিন করে রাখুন। আপনি যে পণ্যটি খুঁজছেন তা আপনি পিন্টারেস্ট ব্রাউজারে সেট করে রাখুন।

বিজনেসের প্রচার এবং প্রসারের ক্ষেত্রে এঙ্গেজমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাই বিজনেস সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আপনার কম্পিটিটরদের পোস্টে লাইক,কমেন্ট করুন এবং আপনার পিনগুলো রি-পিন করে আপনার ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটে শেয়ার করুন।

তবে জেনে রাখা দরকার যে, পিন্টারেস্ট এ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট এবং বিজনেস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাই আপনি যদি পিন্টারেস্ট বিজনেস অ্যাকাউন্ট চালু করেন তাহলে আপনি বেশ কিছু ফিচার যেমন পিন্টারেস্ট অ্যানালাইটিক্স, ভিজুয়্যাল সার্চ টুল, ভিডিও প্লেয়ার এবং পিন্টারেস্ট এড নামক ফিচার ব্যবহার করার পরিপূর্ণ সুযোগ পাবেন। যা এই প্লাটফর্মের মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিবে।

  • কীভাবে পিন্টারেস্টে বিজনেস অ্যাকাউন্ট খুলবেন?

আপনি যদি পিন্টারেস্টের মাধ্যমে আপনার বিজনেসের পরিধি বৃদ্ধি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে বিজনেস অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। বিজনেস অ্যাকাউন্ট ওপেন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার বিজনেস অ্যাকাউন্টে পিন্টারেস্ট অ্যানালাইটিক্স থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং ফিচারগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। তবে আপনি যদি আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টটিকে বিজনেস অ্যাকাউন্ট এ পরিবর্তন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আপনার পূর্ববর্তী অ্যাকাউন্ট এর কোন কন্টেন্ট না হারিয়ে তা সরাসরি করতে পারবেন।

পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে আপনাকে নিম্নোক্ত লিংকে ক্লিক করতে হবে

www.pinterest.com

সেখানে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ইনফরমেশন শেয়ারের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে নিতে পারবেন। বিনামূল্যে আপনি পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্ট খুললেও আপনি যদি বিজনেস অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে চান এবং সে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আপনি যদি আপনার বিজনেস এড রান করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি নির্দিষ্ট পেমেন্ট ম্যাথড সিলেক্ট করে আপনি আপনার পেমেন্ট সম্পন্ন করে পিন্টারেস্টে বিজনেস এড রান করতে পারবেন।

  • কীভাবে পিন্টারেস্টকে মার্কেটিং টুলস হিসেবে ব্যবহার করবেন?

সামান্য কিছু উপায়ে আপনি চাইলে পিন্টারেস্টকে ব্যবহারের মাধ্যমে বিজনেস ডেভেলপমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। পিন্টারেস্টকে মার্কেটিং টুলস হিসেবে ব্যবহারের ফলে বিজনেস প্রতিষ্ঠানসমূহ কীভাবে বেনিফিটেড হতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক –

১.কন্টেন্ট পোস্ট-

প্রায় ৮৫% পিন্টারেস্ট ব্যবহারকারী প্রতিদিন নতুন ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট তৈরি করে। কারণে মাধ্যমে ব্লগ থেকে শুরু করে ভিজ্যুয়াল কন্টেন্টসমূহকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই আপনি পিন্টারেস্ট এর মাধ্যমে মার্কেটিং করতে চাইলে একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট ওপেন করে আপনি আপনার পিন, বোর্ড ক্রিয়েট করে কাস্টমার ডিমান্ড অনুযায়ী প্রোডাক্ট এর ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট আপনি পোস্ট করতে পারেন।

থিম, ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাস্টমারদের টার্গেট করে আপনি প্রোডাক্ট সম্পর্কিত কন্টেন্ট পোস্ট করতে পারেন। খুব সহজে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত টার্গেটি কাস্টমারদের রিচ করার ক্ষেত্রে পিন্টারেস্ট হয়ে উঠতে পারে বেশ কার্যকর একটি মাধ্যম। আপনার প্রোডাক্টের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভিন্ন বোর্ড ক্রিয়েট করতে পারেন। যা কাস্টমারদের খুব সহজে কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্ট খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।

২.কমিউনিটি বিল্ড আপ করা-

বিজনেস ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে কমিউনিটি গঠন করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর পিন্টারেস্ট এই প্ল্যাটফর্মে আপনাকে কমিউনিটি বিল্ড আপ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ প্রদান করে।

আপনি আপনার পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্ট কন্টেন্ট পোস্টের মাধ্যমে খুব সহজে কাস্টমারদের সাথে ইন্টারাক্ট করার সুযোগ পাবেন। যা আপনার কন্টেন্ট রিচ করতে, আপনার ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক বৃদ্ধি করতে এবং আপনার বিজনেসে লিডস সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

৩.কাস্টমারদেরকে নতুন বিষয় শেখানোর মাধ্যমে-

শুনতে বেশ অবাক হলেও সত্য যে পিন্টারেস্ট বর্তমানে কোন অজানা বিষয় শেখার ক্ষেত্রে এবং জানার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এই প্ল্যাটফর্মে টিউটোরিয়াল, ইনফোগ্রাফিক,বিভিন্ন এডুকেশনাল সাইট লিংক আপ করে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আপনি তাদের নানান বিষয়ে সেখানে পারেন।

কাস্টমারদের অজানা বিষয়ে শেখানোর মাধ্যমে পার্সোনাল এবং বিজনেস ব্র্যান্ডিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠতে পারে এই প্ল্যাটফর্মটি। পরস্পর কন্টেন্ট শেয়ারিং এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার কাস্টমারদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেন।

ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক এবং অনলাইন সেলস বৃদ্ধি-

পিন্টারেস্ট ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট পোস্ট করার মাধ্যমে খুব সহজে বিজনেস প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রো করার সুবিধা প্রদান করে। যেখানে টেক্সট কিংবা কিংবা ভিজুয়্যাল কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট লিংক যুক্ত করে দিতে পারেন। যা আপনার কাস্টমারদের কাছে এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

এই প্ল্যাটফর্মটি আপনার মার্কেটিং এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এর পাশাপাশি আপনার বিজনেস সেলস বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই আজকাল বেশিরভাগ ব্র্যান্ডসমূহ পিন্টারেস্টের মাধ্যমে প্রোডাক্ট পাশাপাশি পাশাপাশি ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট শেয়ারিং এর মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।

  • কীভাবে Pinterest মার্কেটিং করবেন?

বিজনেসের সমৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে সাধ্যের মধ্যে কার্যকরী একটি মার্কেটিং টুলস হল পিন্টারেস্ট। যা একই সাথে আপনার বিজনেসকে প্রচারের মাধ্যমে অধিক লিডস সংগ্রহ করার লক্ষ্যে এবং আপনার বিজনেসকে শীর্ষস্থানে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অন্যান্য যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়ার তুলনায় বিজনেসকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পিন্টারেস্ট বেশ দ্রুতগতিতে পণ্যের প্রচারণা চালাতে সক্ষম।

আপনার যদি একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা দিয়ে বিজনেস ওয়ার্ল্ডে পদার্পণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে সবার প্রথমে পিন্টারেস্ট মার্কেটিং দিয়ে আপনার বিজনেস ওয়ার্ল্ডে পদার্পণ করা উচিত।

কীভাবে পিন্টারেস্ট আপনার বিজনেসের প্রচারণা ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আপনার বিজনেসের সেলস বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে চলুন তাহলে জেনে আসা যক –

১.একটি কাল্পনিক গল্প দিয়ে শুরু করুন-

পিন্টারেস্ট আপনার ব্র্যান্ডকে একটি ভিজুয়্যাল স্টোরির মাধ্যমে আপনার কাস্টমারদের কাছে বর্ণনা দিতে সাহায্য করবে। আজকাল বেশিরভাগ বিজনেস ছবি কিংবা ভিডিও এর মাধ্যমে পণ্যের প্রচারণা করলেও পিন্টারেস্ট এমন একটি মাধ্যমে যা আপনার ব্র্যান্ডের উত্থান, আপনার প্রোডাক্ট আপনার সফলতাকে একটি গল্প আকারে আপনার টার্গেট কাস্টমারদের কাছে বিবরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।

ক্ষুদ্র বিজনেস সমূহ পিন্টারেস্ট বেশ ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে শেখায় যা গ্রাহকদের কাছে পপুলারিটি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করে।

২.সহযোগিতা পরায়ণ মনোভাব গড়ে তুলুন-

সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি প্লাটফর্ম যা আপনার ব্যান্ডকে অন্যান্য ব্যান্ডের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শনের পরিপূর্ণ সুযোগ প্রদান করে। পিন্টারেস্ট তার ব্যতিক্রম নয়। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার টার্গেট অর্ডিয়েন্সকে রিচ করতে পারবেন। বিভিন্ন গ্রুপের সাথে চ্যাটের মাধ্যমে ,পরস্পর সাথে সাহায্য সহযোগিতা করার মাধ্যমে তাদের সমস্যাসমূহ আলোচনা করতে পারবেন এবং তা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করতে পারেন।

বিভিন্ন ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট, বিহাইন্ড দা সিন ভিডিও এর মাধ্যমে আপনি তাদের কাছে প্রদর্শন করতে পারেন যে আপনি তাদের কি পরিমাণ সাপোর্ট দিচ্ছেন, কি পরিমাণ সহযোগিতা প্রদর্শন করতে পারছেন। ফলে আপনার এই মনোভাব তাদেরকে আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি আকৃষ্ট করতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করবে।

৩.আপনার ব্লগ পোস্ট ফিচার করুন-

আপনি পিন্টারেস্টের মধ্যে মার্কেটিং কৌশল হিসেবে আপনার ব্লগ পোস্ট এবং কন্টেন্টে নানানধর্মী অফার যুক্ত করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি পিন এ কোনো ভিডিও কিংবা ছবি দিয়ে নিচে “বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন” পোস্ট করার মাধ্যমে আপনার ব্লগের লিংক দিলে খুব সহজে কাস্টমার আপনার ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট দেখতে পারবে।

যা শুধু আপনার কন্টেন্ট কিংবা আপনার ব্লগ পোস্টকে প্রমোট করছে তা নয়। যা আপনার ওয়েবসাইটের ভিজ্যুয়াল কন্টেন্টকে ডিরেক্টলি প্রমোট করছে।

৪.আপনার কাজ সহজ করুন এবং আপনার দক্ষতা তুলে ধরুন-

ক্ষুদ্র বিজনেসসমূহকে নিজের কাজকে একটি প্লাটফর্মের আলোকে তুলে ধরার একটি সর্বোত্তম মাধ্যম হল পিন্টারেস্ট। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যে প্ল্যাটফর্মের আলোকে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজেদের কাজকে এবং দক্ষতাকে সকলের সামনে প্রেজেন্ট করার এক পরিপূর্ণ সুযোগ পায়।

ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠাসমূহ যদি নিজের কাজ,ইনফোগ্রাফিক,ডাটা ভিজুয়্যালেশন এবং ব্লগ পোস্টার আকারে সকলের সামনে প্রেজেন্ট করে তাহলে কাস্টমারদের কাছে ব্র্যান্ড ভ্যালু যেমন বৃদ্ধি পায় ঠিক তেমনিভাবে কাজের পরিপূর্ণ স্বীকৃত পাওয়া যায়। এতে কাস্টমার যেমন আপনার অর্জন সম্পর্কে জানবে তেমনিভাবে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানবে। যা আপনাকে বিজনেস ওয়ার্ল্ডে নিজের আসন পাকাপোক্ত করতে এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্টে সাহায্য করবে।

৫.বিজনেসে ট্র্যাফিক বৃদ্ধি-

আপনার বিজনেস ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পিন্টারেস্ট প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করে। যা বিজনেসে ডেটা সংগ্রহ করতে এবং বিজনেস ওয়েবসাইটের URL আপনার প্রোফাইলে পিন বা বোর্ড হিসেবে শেয়ার করতে পারেন। যা আপনার বিজনেসের ব্র্যান্ডিং এর পাশাপাশি বিজনেসকে রিচ করতে সাহায্য করে।

৬.মার্কেট রিসার্চ-

একটি বিজনেস ঠিক কোন ধরনের প্রোডাক্ট স্টক করা উচিত তা জানার একটি উপযুক্ত মাধ্যম হল পিন্টারেস্ট। এত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জানাতে সাহায্য করে যে তাদের টার্গেট অর্ডিয়েন্স কারা ?তারা কি চাচ্ছে?কি ধরনের প্রোডাক্টের দিকে ঝুঁকছে সে সম্পর্কে জানতে এবং সে সকল প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস শুরু করার ধারণা প্রদান করে।

পিন্টারেস্টের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার কম্পিটিটর এর অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী ভিন্নভাবে নিজের প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেসে ভিন্নভাবে প্রচারণা চালাতে পারবেন। আপনার কম্পিটিটররা ঠিক কি ধরনের ট্যাকটিকস ব্যবহার করছে এবং কীভাবে তারা তাদের তাদের টার্গেট অর্ডিয়েন্সকে রিচ করতে পারছে সে সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে এবং বোঝার ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনি তাদের সাথে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমেও তাদের কন্টেন্ট সম্পর্কে জানতে এবং সে সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারেন।

  • উপসংহার:

বর্তমান সময়ে একটি শক্তিশালী মার্কেটিং টুল হিসেবে পরিচিতি এক নাম হল পিন্টারেস্ট। এটি একটি ব্র্যান্ডকে অর্গানিকভাবে সচেতন করতে,বিজনেস বুস্ট করতে ,সেলস বৃদ্ধি করতে এবং টার্গেট অর্ডিয়েন্স এর সাথে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক প্রতিস্থাপনের সাহায্য করে। তাই যেকোনো বিজনেসকে বুস্ট আপ করার ক্ষেত্রে আলোচিত পদ্ধতিগুলো গ্রহণের মাধ্যমে আপনি আপনার বিজনেসের সফলতা অর্জন করতে পারেন। তাই বিজনেসকে সফলতার চূড়ান্ত শিখরে আরোহণের ক্ষেত্রে আজই শুরু করুন Pinterest মার্কেটিং।

 

Your Online Business Partner.

ডোমেইন রেজিঃ করুন মাত্র ৪৯ টাকায়…

.com, .net, .org, .me, .media, domains, .computer, .digital, .ltd, .school, .university, .clinic, .tv, xyz, .help সহ আরো প্রায় ১৫০০ নতুন ডোমেইন পাওয়া যাচ্ছে । স্বল্প মূল্যে আপনার পছন্দের ডোমেইনটি রেজিঃ করার এখনই সুবর্ণ সুযোগ। ৳ ৪৯ টাকার অফারটি শুধুমাত্র ১ম বছরের জন্য ও  বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত কোম্পানি , এনজিও , ফাউন্ডেশন, সংস্থা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

আমরা যে সকল ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার তৈরি করে থাকিঃ

✪ কোম্পানীর ওয়েবসাইট                                                            ✪ মুদির দোকান ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪ নিউজ পেপার ওয়েবসাইট                                                        ✪ ট্র্যাভেল এজেন্সি উইথ প্যাকেজ বুকিং সফটওয়্যার

✪  ফ্যাশন হাউসের ওয়েবসাইট                                                    ✪ পয়েন্ট অফ সেল, টিকেট বুকিং সফটওয়্যার

✪  ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট                                                  ✪ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজ্ম ওয়েবসাইট                                         ✪ ব্লাড ডোনেসন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  বিউটি পার্লার এবং জিমের ওয়েবসাইট                                      ✪ ইনভেন্টরী এন্ড স্টক ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  ফাইনেন্সিয়াল এসোসিয়েশন ওয়েবসাইট                                    ✪  গার্মেন্টস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোম্পানী ওয়েবসাইট

আরো জানতে ও সেবা পেতে এখুনি রিসেলার, অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

আকর্ষণীয় কমিশনে রিসেলার দেয়া হচ্ছে…

ন্যানো সুপার টেক পয়েন্ট লিমিটেড

⌂ প্রধান কার্যালয়ঃ উত্তর খামের, কাপাসিয়া, গাজীপুর – ১৭৩০

মোবাইলঃ ০১৭১১১১৩৮৫২ , ই-মেইলঃ nanosupport@lukiye.com

আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছি। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন…

মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়

মার্কেটিং নিয়ে তো অনেকেই পড়া লেখা করে কিন্তু, মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় কত জন জানে। মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় জানা থাকলে যেকোন ব্যবসায় সফলতা লাভ করা সম্ভব। আজকাল অনেকেই চাকরি থেকে ব্যবসা করার প্রতি বেশি আগ্রহী। নিজের একটি সুন্দর গুছানো ও পরিপাটি ব্যবসা থাকবে আর সেই ব্যবসার সুনাম দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়বে সেই স্বপ্ন সবাই দেখে।

একটি ব্যবসা শুরু করার পর থেকে তা চালিয়ে নেয়া বেশ কষ্টকর  হয়ে থাকে। কোন একটি পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করার পর সেটার প্রচার নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়। নিজের ব্যবসার পণ্যটি অন্যের কাছে যত সুন্দর ভাবে প্রচার করা যাবে, ব্যবসার জন্য সেটা তত ভালো হবে। পণ্যের এই প্রচারণাকে বলা হয় মার্কেটিং। মার্কেটিং হলো ব্যবসার ধরন বা বিবরণ প্রচার করা। নিজের পণ্যকে সবার সামনে ‍তুলে ধরা।

এই মার্কেটিং যত ভালো হবে ব্যবসা তত প্রসার হবে। সেল তত বৃদ্ধি পাবে তাই মার্কেটিং সফল করার পেছনে ব্যবসায়িক সফলতা অনেকাংশে নির্ভরশীল। মার্কেটিং এ সফল হওয়ার জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করতে হয়। আজ আমরা জানব মার্কেটিং এ সফল হওয়ার কিছু উপায়। এর আগের লেখায় আমরা মার্কেটিং করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।

মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়

মার্কেটিং কাকে বলে?

ল্যাটিন শব্দ marketus থেকে market শব্দটি এসেছে। আর মার্কেট থেকেই মার্কেটিংয়ের উৎপত্তি। বাংলাতে মার্কেটিংয়ের অর্থ বাজারজাতকরণ। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকের নিকট পণ্য এবং সেবাসমূহের পরিচিত পৌঁছায় তাকে মার্কেটিং বলে। তবে, অনেকে অবশ্য মার্কেটিং মানে শুধু প্রচারকে বোঝায়ে। যাদিও এই ধারণা ঠিক নয়। মার্কেটিং এর জনপ্রিয় একটি টার্ম হল 4 Ps। মানে:

  • Product – পণ্য
  • Price – মূল্য
  • Place – স্থান
  • Promotion – প্রচার

আজকে আমরা মার্কেটিং নিয়ে নয় বরং How to be successful in marketing তথা মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।

১. সঠিক প্রচার

মার্কেটিং এ সফল হওয়ার অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে নিজের পণ্যের সঠিক প্রচারণা। অনেক সময় দেখা যায় অনেক কোম্পানি বা অনেক মার্কেটার নিজের পণ্যটি ঠিক মতো অপরের কাছে প্রচার করতে পারছে না। পণ্যের গুনাগুন, পণ্য ব্যবহারে সুবিধা এসব বিষয়গুলো পরিষ্কার ভাবে গ্রাহকের কাছে তুলে ধরতে হবে।

গ্রাহক যদি ঠিকমত বুঝতেই না পারে ঠিক কি ধরনের পণ্য নিয়ে  আপনি কাজ করছেন, পণ্যের গুনগত মান কেমন হবে তাহলে গ্রাহক কখনোই তা ক্রয় করতে আগ্রহী হবে না। তাই সঠিক প্রচারণা খুব জরুরি।

২. কথা কম বলা, বেশি শোনার অভ্যাস করা

মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে নিজে কথা কম বলে অন্যদের থেকে কথা শোনার অভ্যাস করা জরুরি। এক্ষেত্রে দেখা যায় , গ্রাহকের কথা শোনার মাধ্যমে আমরা তার সুযোগ সুবিধা ও অসুবিধার কথা জানতে পারব। তার চাহিদা বুঝতে পারব। তার বাজেট সম্পর্কে ধারনা করতে পারব। ঠিক কি ধরনের সেবা সে চাচ্ছে বা কি ধরনের পণ্য তার প্রয়োজন সে সম্পর্কে জানতে পারব।

অযথা বেশি কথা বলে গ্রাহককে বিরক্ত করা যাবে না। এর পরিবর্তে তাকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। তার মতামত প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। আমরা সাধারনত যেখানে আমাদের কথার গুরুত্ব  পাই সেদিকে বেশি আগ্রহী হই। তাই গ্রাহক যদি দেখে যে তাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তাহলে সে কোম্পানির প্রতি আস্থা রাখবে খুব সহজেই।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা

এখন অনেকেই অনলাইন থেকে কেনাকাটায় বেশি আগ্রহী। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে সবাই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছে। সেদিক থেকে মার্কেটিং অনলাইন ভিত্তিক ও করা যেতে পারে। মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় হিসাবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়েকে অবশ্যই রাখতে হবে।

Related: ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব?

ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট বা ইউটিউব এসবে বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করা যায় বা সুন্দর  আকর্ষণীয় ছবি দেয়া যায় যাতে করে গ্রাহক আগ্রহী হয়। পেজ বা ওয়েবসাইটে পণ্যটি সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ও স্বচ্ছ বিবরণী দেয়া যায় যাতে করে পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকের খুব সুন্দর  একটি ধারনা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রকারভেদ:

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রকারভেদ
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রকারভেদ
  • স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEO)
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ইমেল মার্কেটিং
  • পে পার ক্লিক অ্যাডভারটাইজ
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • মোবাইল মার্কেটিং
  • রেফারেল মার্কেটিং
  • ফোরাম মার্কেটিং

৪. মার্কেটিং নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করা

একজন সফল মার্কেটার এর চারদিকে নজর রাখতে হয়। প্রতিযোগীতামূলক এই বাজারে আরো অনেকেই একই পণ্য নিয়ে কাজ করবে। তারা কিভাবে কাজ করছে তাদের কাজের ধরন সেসব বিষয়ে নজর রাখতে হবে। এই সব বিষয় নিয়ে গবেষণা করে নিজের পণ্যটি কিভাবে আরো আকর্ষণীয় ভাবে সবার কাছে তুলে ধরা যায় সেদিক নিয়ে ভাবতে হবে। অন্য কোম্পানি থেকে নিজের পণ্যটি ঠিক কোন কোন দিক থেকে সেরা সেটি সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করতে হবে।

মার্কেটিং নিয়ে সেরা কিছু বই

  • Principle of Marketing – Philip Kotler
  • Ogilvy on Advertising – David Ogilvy
  • E-commerce Get It Right! – Ian Daniel
  • Hacking Growth – Sean Ellis
  • Building a StoryBrand – Donald Miller
  • Launch – Jeff Walker
  • The 22 Immutable Laws of Marketing – Al Ries
  • Guerilla Marketing – Jay Conrad Levinson
  • Blue Ocean Strategy – W. Chan Kim and Renée Mauborgne
  • ইমোশনাল মার্কেটিং – মুনির হাসান
  • ১০০ গ্রেট মার্কেটিং আইডিয়া – জিম ব্লাইথ

এইগুলোর বাহিরে অসংখ্য ভাল বই আছে মার্কেটিংয়ের উপরে, প্রতিদিন একটি টাইম রাখুন বই পড়ার জন্য। ইউটিউবে ভিডিও এবং অনলাইনে প্রচুর ব্লগ আছে মার্কেটিংয়ের উপরে সেইগুলো পড়ুন নিয়মিত।

৫. নতুন জিনিস উদ্ভাবনের চেষ্টা করা

মার্কেটিং এ সফল হতে গেলে নিজের মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি থাকতে হবে। গতানুগতিক চিন্তা থেকে বের হয়ে একটু আলাদাভাবে চিন্তা করতে হবে। কিভাবে কি করলে নিজের পণ্যটি বেশি সময় মার্কেট ধরে রাখতে পারবে, সবার কাছে খুব সহজেই পৌঁছাবে সেদিকে নিয়ে সবসময় ভাবতে হবে।

গ্রাহক সব সময়ই সব কিছুতে নতুনত্ব খোঁজে। সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই পরিবর্তন হয়। তাই নিজের পণ্যটিও সময়ের সাথে সাথে নতুনত্ব আনতে হবে। নতুন নতুন জিনিস দিয়ে বাজার ব্যবস্থা, গ্রাহকের পছন্দ ও চাহিদার বিষয়টি খেয়াল করতে হবে। মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় হিসাবে উদ্ভাবনের চেষ্টা বা ক্ষমতা থাকা জরুরি।

৬. গ্রাহকের চাহিদা সম্পর্কে জানা

মার্কেটিং এ কাজ করতে গেলে এবং এ কাজে সফল হতে গেলে অবশ্যই পণ্যের গ্রাহকদের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। কোন ধরনের গ্রাহক কোন পণ্যটি সম্পর্কে বেশি আগ্রহী হতে পারে সে ধরনের গ্রাহকদের নিয়ে আগে গবেষনা করতে হবে।

মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়
মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়

একটি বিশেষ বয়সের গ্রাহকদের পছন্দ, অপছন্দ, তাদের চিন্তা ভাবনা, তাদের আবেগ, অনুভুতি, তাদের ইচ্ছা  এসব দিকে যদি ঠিকমতো খেয়াল রাখা যায় তাহলে নিজের পণ্যটিকে সেই ভাবেই তাদের সামনে উপস্থাপন করা যাবে। পণ্যটিতে সেই ধরনের সুযোগ সুবিধা যদি গ্রাহক পেয়ে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে সেই গ্রাহকের কাছ থেকে অন্যরা পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। এতে করে সেল বৃদ্ধি পাবে।

৭. টিমের সাথে কাজ করার মানসিকতা

মার্কেটিং করতে গেলে অবশ্যই টিমভিত্তিক কাজ করতে হতে পারে। কারন একার পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে একসাথে একটি দলে অনেককেই কাজ করতে হতে পারে।

সেই মানসিকতা থাকতে হবে। দলের সবার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা, সহযোগিতা করা, প্রোজেক্ট তৈরি করা এসব ক্ষেত্রে সবাই মিলে কাজ করার মানসিকতা রাখতে হবে।

৮. আত্নবিশ্বাসী হতে হবে

মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় এর মধ্যে একটি হলো, নিজেকে আত্নবিশ্বাসী হতে হবে। নিজের প্রতি ও নিজের কাজের প্রতি আত্নবিশ্বাস থাকতে হবে। যখন কারো সামনে কথা বলা হবে তখন পুরো আত্নবিশ্বাসের সাথে কথা বলতে হবে। নিজের বসের সামনে বা কোন প্রেস মিটিং এ বা কোন ধরনের সেমিনার বা গ্রাহকের সামনে , যার সাথেই কথা বলা হোক না কেন এমন ভাবে বুঝাতে হবে যে আপনার পণ্যটিই সেরা।

কথায় আত্নবিশ্বাস প্রকাশ পেলেই সামনের মানুষটির উপর তা প্রভাব ফেলবে এবং সে বুঝতে চাইবে যে আপনার পণ্যটিই সেরা এবং সে সেটি ক্রয় করতে আগ্রহী হবে।

পরিশেষে

এই ছিল আজকে মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়। আসলে মার্কেটিং এর উপর ব্যবসার সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে। মার্কেটিং যত বেশি সু্ন্দর হবে পণ্যটি গ্রাহকের কাছে তত দ্রুত পৌঁছাবে। তাই মার্কেটিং এ সফল হতে গেলে উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে এগুলে সফলতা অর্জন সম্ভব।

পৃথিবীর প্রায় সকল সফল মানুষই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে মনযোগ দিয়েছেন, যা তাদের সফলতার অন্যতম মূল চাবিকাঠি।

কিছু সুন্দর অভ্যাস আপনার জীবন কে আমূল পরিবর্তন করে দিতে পারে। পৃথিবীর প্রায় সকল সফল মানুষই গুরুত্বপূর্ণ কিছু  বিষয়ে মনযোগ দিয়েছেন, যা তাদের সফলতার অন্যতম মূল চাবিকাঠি।

নাকের পলিপাস বিনা অপারেশনে কোন রকম কাটা-ছেঁড়া ছাড়া ও এসিডমুক্ত চিকিৎসায় সম্পূর্ণ ভালো হয়।

সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতিতে বিনা অপারেশনে ১০০% এসিডমুক্ত ও কোন রকম কাটা-ছেঁড়া ছাড়াই ১০০%  নিরাপদ চিকিৎসার মাধ্যমে পলিপাস রোগ স্থায়ীভাবে সমাধান হবে। 

অনলাইনে হালাল উপার্জনের বিভিন্ন পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব

সত্যিকার অর্থে আমাদের চারপাশেই লক্ষ-লক্ষ কোটি-কোটি টাকা ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় আছে। কিন্তু আমাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা না থাকার কারণে সে টাকাগুলো আমরা উপার্জন করতে পারছি না। বলতে পারেন যে এটা কিভাবে সম্ভব? 

গ্রাম থেকে বিশ্বজুড়ে SDN এর মাধ্যমে আপনিও হতে পারবেন Global Entrepreneur

সমাহার ডট নেট (SDN) ডিজিটাল ও ট্রেডিশনাল পদ্ধতির সমন্বয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ২০১৫ সাল থেকে। সবার জন্যে যেমন রয়েছে কাজ করার সুযোগ তেমনি রয়েছে কাজের স্বাধীনতাও।

ডিজিটাল উদ্যোক্তা পরিচয়টাই মূল পরিচয় নয়।প্রয়োজন দক্ষতা,কোয়ালিটি,পরিচিতি,মার্কেটিং এবং সেল।

ডিজিটাল উদ্যোক্তা পরিচয়টাই মূল পরিচয় নয়।প্রয়োজন দক্ষতা,কোয়ালিটি,পরিচিতি,মার্কেটিং এবং সেল।

ডিজিটাল উদ্যোক্তা হবে খুব বেশি টাকা লাগেনা।লাগে ধৈর্য ধরে সময়কে সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর কৌশল।আমাদের ব্যবসা সম্পর্কে দক্ষতা নেই,ব্যবসা সম্পর্কে ধারনা নেই,কিন্তু মুখে বলে ফেলি টাকা হলেই ব্যবসা হয়।

ফ্রি মার্চেন্ট রেজিষ্ট্রেশন চলছে…

ফ্রি মার্চেন্ট রেজিষ্ট্রেশন চলছে… (সময় সিমিত)
? পণ্য/সেবা আপনার, বিক্রয় ও প্রমোশনের দায়িত্ব আমাদের
 
আপনি কি একজন উদ্যোক্তা? আপনি কি পণ্য উৎপাদন/ আমদানি/ রপ্তানি/ সরবরাহের সাথে জড়িত? আপনার পণ্য/ সেবা সমূহ দ্রুত প্রসার ও প্রচারে আগ্রহী? তাহলে আজই ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে হয়ে যান Samahar Dot Net এর একজন গর্বিত মার্চেন্ট হিসেবে।
 
? বিজনেস ক্যাটাগরি, প্রোডাক্ট ক্যাটাগরিঃ কনজুমার, ফুডস এন্ড বেভারেজ, অর্গানিক ফুডস এন্ড প্রোডাক্টস, ইলেকট্রনিক্স, মেডিসিন, আমদানিকৃত চাইনিজ, থাই ও ইন্ডিয়ান কসমেটিক্স এন্ড স্টেশনারি, গার্মেন্টস, ফেব্রিক্স/ ফ্যাশন-বায়িং হাউজ, লেদার, ই-কমার্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফার্নিচার, বেবি টয়েস, এগ্রো, গ্রোসারি ইত্যাদি।
 
? মার্চেন্ট হওয়ার যোগ্যতাঃ
নিজস্বভাবে উৎপাদন/ আমদানি/ সরবরাহ ও রপ্তানিতে নিয়োজিত উদ্যোক্তা ও নতুন বিজনেস স্টার্টআপ, নিবন্ধিত কোম্পানি, ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্ত বিজনেস প্রোপাইটরগণ মার্চেন্ট হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।
 
? মার্চেন্ট হিসেবে কি কি সুবিধা পাবেন?
✅ আপনার পণ্য/ সেবার দ্রুত প্রচার, প্রসার ও নিশ্চিত সেলস বাড়াতে পারবেন।
✅ পরিবহণ, স্টোর/ ওয়্যার হাউজ খরচ সাশ্রয় করতে পারবেন।
✅ ডিপো/ ডিলার/ ডিস্ট্রিবিউটর সহ এসআর/ আরএসএম খরচ সাশ্রয় করতে পারবেন সাথে ৬৪ জেলায় পণ্য বিক্রয় নিশ্চিত করতে পারবেন।
✅ বিজনেস নেটওয়ার্কে যুক্ত থেকে সহজে প্রোডাক্ট সোর্সিং সহ সেল্ফ প্রমোশনের সুযোগ।
✅ ভার্চুয়াল অফিস অ্যাড্রেস/ শেয়ার অফিস স্পেস ব্যবহার এর সুযোগ সহ যৌথ ভাবে স্টোর/ ওয়্যার হাউজ ব্যবহারের সুযোগ।
✅ যথাযথ নিরাপত্তার সহিত পরিবহন ও সারাদেশে পণ্য দ্রুত ডেলিভারির সু-ব্যবস্থা।
✅ একাউন্টস, স্টক-আউট সহ ইনভেটরি ম্যানেজমেন্ট সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা ও নিয়মিত আপডেট প্রাপ্তি।
✅ সাশ্রয়ী খরচে দ্রুত পণ্য আমদানি, রপ্তানিতে এলসি, ই-আরসি, আই-আরসি সহ সকল পেপারস সাপোর্ট।
✅ ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট কর্তৃক অনলাইন মার্কেটিং, ফেসবুক বুস্টিং, সহ টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অধিক পণ্য বিক্রয়ে নিশ্চয়তা।
✅ নিজস্ব গ্রাফিক্স ডিজাইনার কর্তৃক প্রোডাক্ট ইমেজ, প্যাকেজিং, অ্যাড ব্যানার ডিজাইন সহ ভিডিও এডিটর কর্তৃক এনিমেশন অ্যাড তৈরি করে এডভার্টাইজিং করা হয়।
✅ নিজস্ব ওয়েব ডেভেলপার কর্তৃক ওয়েব সাইটে প্রোডাক্ট পোস্টিং সহ দক্ষ ও অ্যাকটিভ সাপোর্ট টিমের মাধ্যমে ২৪/৭ কল এবং অনলাইন চ্যাটিং সাপোর্ট।
 
 
আরও বিস্তারিত জানতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা অনলাইনে

৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা অনলাইনে

মহামারিতে ফেসবুকের মাধ্যমে নারীদের পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে লকডাউনে ঘর থেকে বের না হওয়ার কারণে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারীই এ সময় অনলাইনে পণ্য কেনেন, যা ই-কমার্সের সঙ্গে জড়িত নারীদের জন্য ছিল আশীর্বাদের মতো। নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন ওমেন এন্টারপ্রেনার অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, করোনায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য প্রায় ৬০ শতাংশ নারী অনলাইনে পণ্য বিক্রিতে এসেছেন।

করোনাকালীন সংকটে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে অনেক নারী উদ্যোক্তা অনলাইনে পণ্য বিক্রিতে আগ্রহী হয়েছেন। বিশেষভাবে শিক্ষিত নারীরা এই পথে বেশি এসেছেন। নারী উদ্যোক্তারা ফেসবুক, ওয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ভাইভারে পণ্যের প্রচার-প্রসার করেছেন। অনেকে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট খুলেও ব্যবসা করেছেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অনলাইনে সহজে পণ্যের প্রচার ও প্রসার করা সম্ভব। অনলাইনে পণ্য কেনাবেচা করতে পারলে ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় কমে আসে। অনলাইনে পণ্য বিক্রিতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়লে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। তখন ঘরের বাইরে বের না হতে সরকারি নির্দেশ দেওয়া হয়। আমদানি-রপ্তানি প্রায় বন্ধ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে দোকান, শপিং মল বন্ধ ছিল। এমনকি এলাকার খুচরা বাজার পর্যন্ত নিয়মিত খোলা হতো না। ফলে নারী উদ্যোক্তারা পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামাল সংগ্রহ করতে হিমশিম খেয়েছেন।

রাজধানীর মিরপুর-১০ এলাকায় নোলক ব্র্যান্ডের পোশাকের দোকানের মালিক রাহেমা আক্তার জলি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে প্রায় ছয় মাস দোকান বন্ধ থাকায় আমার ব্যবসা লোকসানে পড়ে শেষ হতে চলেছিল। এমন সময় আমি ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে আমার ব্র্যান্ডের নিজস্ব ফেসবুক পেজে পণ্যের প্রচার শুরু করি। আমি অনেক ক্রেতা পেয়েছি।’

ওয়েবের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী নাসরিন ফাতেমা আউয়াল মিন্টু কালের কণ্ঠকে বলেন, চাকরির বাজার ভালো না। তাই উপার্জন করতে অনেক শিক্ষিত নারী এখন ব্যবসায় আসছেন। তাঁদের আধুনিক পদ্ধতিতে ব্যবসা করার আগ্রহ বেশি। আধুনিক পদ্ধতির অংশ হিসেবে তাঁরা অনলাইনে পণ্য বিক্রি করছেন। তবে এ সংখ্যা এখনো আশানুরূপ নয়। করোনায় দোকানে বিক্রি প্রায় বন্ধ ছিল। এতে নারী উদ্যোক্তারা ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েই অনলাইনে পণ্য বিক্রি করেছেন।

একই মত জানিয়ে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউন দেওয়া হয়। এ সময় দোকানপাট স্বাভাবিক সময়ের মতো খোলা ছিল না। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গণপরিবহনসহ সব ধরনের চলাচল বন্ধ ছিল। এমন পরিবেশে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে অনেকে অনলাইনে পণ্য বিক্রি শুরু করেন।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অনলাইনই পণ্য বিক্রির সবচেয়ে ভালো প্ল্যাটফর্ম। শহরের নারী উদ্যোক্তারা অনলাইন সম্পর্কে ভালো জানলেও শহরের বাইরের নারী উদ্যোক্তারা এ বিষয়ে কম জানেন। এ জন্য তাঁরা অনলাইনের সুযোগও কম নেন। নারী উদ্যোক্তাদের অনলাইনে পণ্য বিক্রিতে উৎসাহিত করতে সরকারকে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতেরও দায় আছে।’

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, সারা পৃথিবীর ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিদিনই প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছে। দেশের অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে পণ্য উৎপাদন করে বিক্রির জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়ায়ও অনেক সমস্যা রয়েছে। বিশেষভাবে নারীদের নিরাপত্তা জড়িত, যদিও আগের চেয়ে এসব বিষয়ে অবস্থা অনেক ভালো। তার পরও এসব সমস্যা এড়াতে ব্যবসা-বাণিজ্য অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালনা করা সম্ভব হলে এ দেশের নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে চলা অনেক সহজ হবে।

 

For You, With You, For Ever…. 

সমাহার ডট নেট-এর  পণ্য সামগ্রী ও সেবা পেতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

  • অ্যাপ, সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট, ডিজিটাল মার্কেটিং ও ডোমেইন হোস্টিং রেজিস্টেশন করা হয়।
  • নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ফ্যাশন, পারফিউম, মেডিসিন, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, টিভি, ক্যামেরা, মোটরবাইক, আসবাবপত্র, এপার্টমেন্ট, বাণিজ্যিক এবং আবাসিক প্রপাটির পাশাপাশি জমি ও প্লট সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ ভোক্তাদের জন্য নিবেদিত বিভিন্ন রকমের সার্ভিসগুলো দেয়া হয়।
  • আমাদের রিসেলার হয়ে অবসর সময়ে বিনিয়োগ ছাড়া, দৈনিক শুধু ৩-৪ ঘন্টা সময় দিয়ে নিশ্চিত পেসিভ ইনকাম করুন। ৬/৭ মাস নিয়মিত সময় দিলে অবশ্যই মাসিক ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকামের নিশ্চয়তা রয়েছে।
  • আকর্ষণীয় কমিশনে ডিলার, এজেন্ট ও সেলার সেন্টার দেয়া হচ্ছে…

এছাড়াও আপনি আপনার ব্যবসার জন্য ট্রেডিশনাল মার্কেটিং অথাৎ সরাসরি আপনার ব্যবসার প্রচার করাতে চাইলে। সমাহার ডট নেট এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যেখান থেকে আপনি আপনার ব্যবসার জন্য খুবই কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা ট্রেডিশনাল মার্কেটিং করাতে পারবেন। এছাড়া ও সমস্ত প্রকার ডিজিটাল অথবা ট্রেডিশনাল সুবিধা নিতে পারবেন।

আপনি যদি আপনার ব্যবসাকে কি ভাবে অনলাইনে নিয়ে যাবেন বা ব্যবসাকে বড় করবেন অথাৎ ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন তা জানতে চান তবে , সময় নষ্ট না করে এখুনি  রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।  তার জন্য আপনাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। সম্পূর্ণ ফ্রীতে আপনি পরামর্শ পাবেন।

আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছে। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন

নারী উদ্যোক্তা হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা দূর হবে কবে?

নারী উদ্যোক্তা হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা দূর হবে কবে?

শুরুটা করি নারী উদ্যোক্তাদের একটি সাফল্যের কাহিনি দিয়ে। দেশের নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য বিক্রির জন্য বিশেষায়িত ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস গৃহবধূ ডটকম যাত্রা শুরু করেছে। সাইটটিতে শুধু নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য ও সেবা বিক্রি করা হবে। তবে নারী কিংবা পুরুষ যে কেউ সেখান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের এগিয়ে নিতে প্ল্যাটফর্মটি দারুণ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে। কারণ প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে অনলাইনে কেনাকাটা ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। সেখানে এ মার্কেটপ্লেসটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলা চলে। বলে রাখা ভালো, গৃহবধূ ডটকমের কর্ণধারও একজন নারী। সাহেদা তাজনিয়া নামের ওই নারী নিজেও একজন উদ্যোক্তা হিসেবে এ ধরনের একটি প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু করলেন।

বিশ্বজুড়ে বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে পণ্যের বেচাকেনা ক্রমেই নি¤œমুখী। আর জনপ্রিয়তা বাড়ছে, অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচা। সে পালে হাওয়া দিতে আমাদের দেশে বেশ কিছু অনলাইন মার্কেটপ্লেস গড়ে উঠেছে। এর বাজারও ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে প্রায় এক হাজার অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ৩০ থেকে ৪৫ হাজার পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিদিনই এ মাধ্যমে পণ্য বিক্রির পরিমাণ বাড়ছে। এতগুলো মার্কেটপ্লেস থাকলেও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষায়িত কোনো মার্কেটপ্লেস এতদিন ছিল না বা গড়ে ওঠেনি। সে ক্ষেত্রে গৃহবধূ ডটকম অবশ্যই দারুণ একটি উদ্যোগ। এর মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে নারী মার্চেন্টরা নিজেদের পণ্য নিজেরাই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রির সুযোগ পাবেন। অনেকে উদ্যোক্তা হতেও উৎসাহিত হবেন।

এখন আসি মূল কথায়। সম্প্রতি ‘স্টাডি অন এমপ্লয়মেন্ট, প্রডাকটিভিটি অ্যান্ড সেক্টরাল ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে দেশে বেকারত্বের চিত্র তুলে ধরেছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে এখন ছদ¥ বেকারের সংখ্যা এক কোটি ২৫ লাখ। তবে এখনও ১২ লাখ পুরুষ আর ৯ লাখ নারী পুরোপুরি বেকার রয়েছেন। এই ২১ লাখ বেকার সপ্তাহে এক ঘণ্টাও মজুরির বিনিময়ে কাজ পাননি। অবশ্য এ ধরনের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রায়ই। তবে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে পুরুষের তুলনায় নারীর কর্মসংস্থান বেশি হয়েছে। আর এক বছরের ব্যবধানে নারী বেকার কমেছে সাড়ে চার লাখ। অন্যদিকে পুরুষ বেকার কমেছে দেড় লাখ। এখানে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অগ্রগতির বিষয়টি স্পষ্ট। তবে এখনও বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ বেকার রয়েছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

দেশে বেকারত্ব নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। নানা ধরনের পন্থার কথাও বাতলে দেওয়া হয়। বেকারত্ব দূরীকরণ, নতুন কর্মসংস্থান, অর্থনীতির উন্নতিসহ নানা দিক বিবেচনায় উদ্যোক্তা গড়ে তোলার কথা বলা হয় প্রায়ই। দেশে বিপুলসংখ্যক বেকার জনগোষ্ঠী থাকায় তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা বা উৎসাহিত করার ধারণাটা বেশ জোরালো হয়েছে। নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে অনেকে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হচ্ছেনও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ আবার নারী। এখানে বলে রাখা ভালো, দেশে উদ্যোক্তা হতে গিয়ে মূলধন প্রাপ্তি, সহযোগিতা, কর্মী, জায়গাপ্রাপ্তিসহ নানা ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে অনেক। পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও এগুলো মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে তার সঙ্গে নারীদের সামনে আরও কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যা তাদের সামনে বাধার পাহাড় তৈরি করে রেখেছে।

এটা সত্য, অনেক নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করায় তাদের ক্ষমতায়নের ধারণায় অগ্রগতি হয়েছে অনেক। সীমাহীন বাধা অতিক্রম করে অনেকেই সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছেন। তবে তাদের সার্বিক অগ্রগতি এখনও আশাব্যঞ্জক পর্যায়ে পৌঁছেনি। রফতানি বাণিজ্যে নারী উদ্যোক্তাদের ভূমিকা এখনও সীমিত। এছাড়া আরও অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা কাক্সিক্ষত সফলতা পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি দেশে অনেক আগে থেকে চলে আসা সামাজিক গোঁড়ামিও কাজ করছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর কারণ খুঁজে বের করে তা দ্রুত সমাধান করা জরুরি। কারণ দেশের সমৃদ্ধির স্বার্থে নারীদের এগিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই। আর এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা না গেলে নারীরাও সামনে এগোতে পারবেন না ভালোভাবে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে নারী উদ্যোক্তাদের ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা (বিআইডিএস) গবেষণায় এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত উঠে এসেছে। গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মাত্র দুই শতাংশ নারী উদ্যোক্তার পণ্য রফতানি হচ্ছে। পণ্য বাজারজাতকরণে যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকা, ঋণপ্রাপ্তিতে বিশেষ সুবিধা না থাকা এবং সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিবন্ধকতায় অবিবাহিত নারীরা এখনও উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি হতে পারছে না। এছাড়া দেশের ৮৬ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাই বিবাহিত। তাদের ৬৫ শতাংশেরই আবার পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। এখানে যে বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে সেটি হলো, অবিবাহিত নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার সংখ্যা সীমিত। এছাড়া যাদের আগে থেকেই পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে বা আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ বেশি। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও আগে থেকে মূলধনের সংস্থান না থাকা নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ সীমিত।

একটা সময় ছিল, যখন এদেশে নারীরা ছিলেন অবহেলিত। উদ্যোক্তা হওয়া দূরে থাক, শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত, বাল্যবিয়ে, নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হতে হতো তাদের। বাড়ির কাজ ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ কল্পনাও করা যেত না। ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা চাকরির বাজারে তাদের প্রবেশের সুযোগ ছিল সীমিত। তবে বর্তমানে সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে অনেক। নানা ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে আসছেন। গত কয়েক বছরে দেশের পাবলিক পরীক্ষাগুলোয় নারীদের জয়জয়কার। চাকরিসহ নানা ক্ষেত্রে পুরুষদের সঙ্গে সমানতালে লড়ছে তারা। দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির স্বার্থে এটি ভালো খবর নিঃসন্দেহে। তারপরও উদ্যোক্তা হওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা এখনও প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন, যা তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথকে বাধাগ্রস্ত করছে।

বিআইডিএস ও এসএমই ফাউন্ডেশনের গবেষণা অনুযায়ী, দেশে ৭৫ শতাংশ নারী উদ্যোক্তার বয়স ৩১ থেকে ৫০ বছর। আর তরুণ নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা মাত্র ১৩ শতাংশ। শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর। অথচ আজকের পৃথিবীতে এই তরুণদেরই অর্থনীতির চালিকাশক্তি মনে করা হয়। তরুণ জনশক্তিকে মূল পরিকল্পনায় রেখে দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের দেশে যদি এই বয়সের নারীরা উদ্যোক্তা হতে এগিয়ে না আসেন, তাহলে নারী উদ্যোক্তাদের সফলতার হারও কম থাকবে বলেই মনে হয়। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, অপেক্ষাকৃত তরুণরা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অনেক বেশি অগ্রসর।  সে জন্য তরুণ নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। কিন্তু এটিই আমাদের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ নয় কি?

গবেষণা বলছে, উদ্যোক্তা হতে গিয়ে নারীরা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন পরিবার কিংবা সমাজ থেকে। পরিবার থেকে আর্থিক কোনো সহযোগিতাও তারা পাচ্ছেন না। আবার তরুণদের উৎসাহ না থাকায় তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার হারও মাত্র দুই শতাংশ। সার্বিকভাবে বাধা পাচ্ছেন সব বয়সের নারীরাই। এমনকি অনেক নারীর স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়ির লোকজনও চান না, তারা উদ্যোক্তা কিংবা ব্যবসায়ী হয়ে উঠুক। অতীতে নারীদের বিরুদ্ধে সমাজে যেসব ধ্যান-ধারণা প্রচলিত ছিল, এটি তারই বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হয়। এর থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। এসব বাধা দূর করতে হলে সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। অবশ্য আশাব্যঞ্জক ব্যাপার হলো, এ ধরনের পারিবারিক ও সামাজিক বাধা ক্রমেই শিথিল হচ্ছে।

এরপরও দেশে অনেক নারী উদ্যোক্তা ট্রেড লাইসেন্স পেতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। অনেকের বাড়তি অর্থ দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স পেতে হয়েছে, প্রয়োজন হয়েছে দীর্ঘ সময়ের। এভাবে অহেতুক জটিলতায় পড়লে নারীরা উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন সেটাই স্বাভাবিক। এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সবার আগে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে নারীবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। আর্থিক সংস্থানের জন্য মূলধনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে ঋণপ্রাপ্তিতে বাধার মুখে পড়ছেন তারা। সেক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যাংকের নিয়মনীতিতে শিথিলতা আনতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ জন্য বিশেষ নির্দেশনা জারি করতে পারে। এছাড়া ভূমি, কাঁচামাল, বাজারজাত, রফতানিসহ যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলোও সমাধান করা জরুরি।

লেখার শেষ পর্যায়ে এসে আরও একজন অদম্য নারীর কথা বলতে চাই। কয়েক মাস আগে সাবেক একজন সহকর্মী হঠাৎ করেই চাকরি হারান। তখন তার তেমন কোনো অর্থ সঞ্চয় না থাকায় দিশাহীন হয়ে পড়েন তিনি। তবে সে সময় ত্রাতা হয়ে এগিয়ে আসেন তার স্ত্রী। আগে থেকেই তিনি বাসা থেকে শখের বশে নারীদের পোশাক তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করতেন। তবে স্বামী চাকরি হারানোর পর সেই উদ্যোগটি তিনি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নিয়ে যান, সফলও হয়েছেন। স্বামীর দুঃসময়ে তাকে যোগ্য সমর্থনটা দিতে পেরেছেন তিনি। পরে অবশ্য সাবেক সেই সহকর্মী ভালো চাকরি পেয়েছেন। দুজনের যৌথ আয়ে এখন সুখে-শান্তিতে বসবাস করছেন তারা।

বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্যে উদ্যোক্তা হিসেবে শিক্ষিত নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়েও অনেক নারী শিল্পায়ন ও ব্যবসায় সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানেও তারা ক্রমেই সমৃদ্ধ হচ্ছেন। এখন তাদের জন্য দরকার যোগ্য পৃষ্ঠপোষকতা। এজন্য তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, প্রযুক্তি জ্ঞান বাড়াতে হবে, মূলধনের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে নারী উদ্যোক্তাদের বিষয়ে অনেক তথ্যই এখনও অজানা রয়েছে। রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে উদ্যোগ নিয়ে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান করা জরুরি। নারীদের এগিয়ে নিতে হলে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। পাশাপাশি তরুণ বয়সী নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের মনে রাখা দরকার, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কর্মসংস্থানের বড় উৎসও বটে। এ খাতে নারীদের ব্যাপকহারে যুক্ত করতে পারলে উন্নয়নের গতি আরও বাড়বে। সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি।

For You, With You, For Ever…. 

সমাহার ডট নেট-এর  পণ্য সামগ্রী ও সেবা পেতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

  • অ্যাপ, সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট, ডিজিটাল মার্কেটিং ও ডোমেইন হোস্টিং রেজিস্টেশন করা হয়।
  • নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ফ্যাশন, পারফিউম, মেডিসিন, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, টিভি, ক্যামেরা, মোটরবাইক, আসবাবপত্র, এপার্টমেন্ট, বাণিজ্যিক এবং আবাসিক প্রপাটির পাশাপাশি জমি ও প্লট সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ ভোক্তাদের জন্য নিবেদিত বিভিন্ন রকমের সার্ভিসগুলো দেয়া হয়।
  • আমাদের রিসেলার হয়ে অবসর সময়ে বিনিয়োগ ছাড়া, দৈনিক শুধু ৩-৪ ঘন্টা সময় দিয়ে নিশ্চিত পেসিভ ইনকাম করুন। ৬/৭ মাস নিয়মিত সময় দিলে অবশ্যই মাসিক ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকামের নিশ্চয়তা রয়েছে।
  • আকর্ষণীয় কমিশনে ডিলার, এজেন্ট ও সেলার সেন্টার দেয়া হচ্ছে…

এছাড়াও আপনি আপনার ব্যবসার জন্য ট্রেডিশনাল মার্কেটিং অথাৎ সরাসরি আপনার ব্যবসার প্রচার করাতে চাইলে। সমাহার ডট নেট এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যেখান থেকে আপনি আপনার ব্যবসার জন্য খুবই কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা ট্রেডিশনাল মার্কেটিং করাতে পারবেন। এছাড়া ও সমস্ত প্রকার ডিজিটাল অথবা ট্রেডিশনাল সুবিধা নিতে পারবেন।

আপনি যদি আপনার ব্যবসাকে কি ভাবে অনলাইনে নিয়ে যাবেন বা ব্যবসাকে বড় করবেন অথাৎ ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন তা জানতে চান তবে , সময় নষ্ট না করে এখুনি  রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।  তার জন্য আপনাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। সম্পূর্ণ ফ্রীতে আপনি পরামর্শ পাবেন।

আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছে। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন

নারী উদ্যোক্তা: আছে সুযোগ, সম্ভাবনাও

নারী উদ্যোক্তা: আছে সুযোগ, সম্ভাবনাও

সাঈদা আক্তার : বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে একজন নারী শুধু চাকরির বাজারে নয়, বরং নিজে উদ্যোক্তা হয়ে অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগে বস্ত্র, গয়না, সাংসারিক পণ্য, শিশুখাদ্য, প্রসাধনীর আধিক্য দেখা গেলেও সীমিতসংখ্যক সেবা ও প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগ চোখে পড়ার মতো। এই মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের তুলনামূলক বেশি উপস্থিতি লক্ষণীয়। একটু গভীরে গেলেই বোঝা যায় যে সামাজিক, পারিবারিক দায়বদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা বিশেষ বাধা হয়ে দাঁড়ায় না বলে অনলাইন উদ্যোগে নারীদের এই স্বচ্ছন্দ পদচারণা।

কোন ধরনের ব্যবসায় উদ্যোগী হবেন এই সিদ্ধান্ত নিতে যে বিষয়গুলো বিবেচ্য হওয়া উচিত তা হলো:

● জ্ঞান আহরণ এবং দক্ষতা

● নিজস্ব আগ্রহ

● অভিজ্ঞতা

● পুঁজির পরিমাণ

● প্রশিক্ষণ (অনলাইন, অফলাইন)

● বাজার চাহিদা

● সামাজিক, ব্যক্তিগত, সামষ্টিক সমস্যা সমাধানে পারদর্শিতা বা উদ্ভাবনী পন্থা

● ব্যক্তিগত যোগাযোগ

বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রধান বাধা হিসেবে যেটি বিবেচনা করা হয় তা হলো আমাদের সংস্কৃতি। যেখানে আমরা নারীকে একটি নির্দিষ্ট ভূমিকায় দেখতে অভ্যস্ত ছিলাম। কিন্তু সময় পাল্টেছে, বাস্তবতা এখন ভিন্ন। ৩০ বছর আগের বাংলাদেশের অর্থনীতি আর ২০১৮–এর অর্থনীতির হিসাব ভিন্ন। এখন পারিবারিক দায়িত্ববোধের সঙ্গে সঙ্গে একজন নারী তাঁর সত্তাকে এই সমাজে সফলভাবে পরিচিত করে তুলতে সক্ষম।

দীর্ঘ ২০ বছর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকার পর নানা হিসাব–নিকাশ সেরে ভালো লাগার কাজটিতেই মনোযোগী হয়েছেন নাঈমা মিতা। নিজস্ব আগ্রহ ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে একটু একটু করে গড়ে তুলেছেন ক্রেতাবলয়, অর্জন করেছেন আস্থা। শুরুটা স্বাভাবিকভাবেই মসৃণ না হলেও তিন বছরে তাঁর পোশাকভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘বুবুর বায়না’ পেরিয়েছে অনেক বন্ধুর পথ।

নাঈমা মনে করেন, অনলাইনভিত্তিক উদ্যোগগুলোকে এখনো অনেকেই সংসার সামলে অবসরে করা শখের কাজ ভাবে। শুরুতে তাঁর এমনও অভিজ্ঞতা হয়েছে, অনেকে তাঁর ব্যবসাটি ঘরকেন্দ্রিক ভেবে তেমন খরচের ব্যাপার নেই বলে ন্যায্য স্বীকৃতিটিও দেয়নি। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন, যেকোনো সনাতনী পেশাজীবীর চেয়ে একজন উদ্যোক্তাকে তাঁর ব্যবসায় ভাবনা, শ্রম ও সময় কোনো অংশেই কম দিতে হয় না।

গয়নাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘আরটোপলিস’–এর কর্ণধার সুমাইয়া সায়েদ নিজের অভিজ্ঞতা মিলিয়েছেন অধিকাংশ নারী ও মা উদ্যোক্তাদের সঙ্গে, যাঁরা একাধারে উদ্যোক্তা ও তাঁদের সন্তানদের প্রাথমিক অভিভাবক। নিজস্ব চেষ্টায় গড়ে তোলা ভালোবাসার কাজটিতে পারিবারিক দায়বদ্ধতার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পূর্ণ সময় আর শ্রম দিতে পারেন না বলে তিনি মনে করেন।

তবে, অনলাইন ব্যবসার সুবিধাজনক দিক হলো ক্রেতার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ যা ব্যবহার করে তাঁদের আস্থার জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব। আর তাঁদের নমনীয়তাও প্রশংসাসূচক বলেই উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।

উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এই দুই সফল ব্যবসায়ী সহায়ক হিসেবে পাশে পেয়েছেন ‘মেয়ে নেটওয়ার্ক’কে, যুক্ত হয়েছেন নারী উদ্যোক্তাদের প্ল্যাটফর্ম ‘রাঙতা’র ‘হুটহাট’-এ। এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের দিকে সম্মান, সহযোগিতার হাত যেমন বাড়িয়ে দিয়েছে, তেমনি প্রশিক্ষণ, উত্তরোত্তর উন্নয়ন ইত্যাদির এক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের স্বকীয়তা আর পণ্যের মান।

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করার আগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কমিশনে ইকোনমিক ক্যাডারে ৬ বছর কাজ করেছি। উন্নয়ন খাত এবং দেশসেরা আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাজসহ কর্মজীবনের দীর্ঘ ১২ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে খুব কাছ থেকে নারীদের চেষ্টা, বন্ধুর পথকে মসৃণ করার এক মনস্তাত্ত্বিক লড়াই দেখে এসেছি।

নবীন উদ্যোক্তারা কাজের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে পারেন:

* প্রাথমিকভাবে ব্যবসা শুরু করার পর একপর্যায়ে নিজস্ব পুঁজির ওপর নির্ভর না করে ব্যবসালব্ধ আয়ের ওপর ভিত্তি করে ব্যবসা চালিয়ে নিতে হবে।

* ব্যবসা–সংক্রান্ত সব দায়িত্ব একা পালন না করে বিশেষ বিশেষ জায়গায় লোক নিয়োগ করা প্রয়োজন; আপনি নিজে যে একটি বা দুটি বিষয়ে পারদর্শী শুধু সেই কাজগুলোরই দায়িত্ব নেবেন।

* বাজারে প্রচলিত পণ্যের ব্যবসায় যাওয়া যাবে না এবং পণ্য নতুনই হতে হবে—এ ধারণাও যথার্থ নয়। বরং পণ্য বা সেবার স্বকীয়তার বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি।

* শুধু পণ্যভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ না করে সামাজিক প্রয়োজন, সামষ্টিক উন্নয়নে সহায়ক সেবার প্রতিও দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

* কর্ণধার ও কর্মচারীদের মধ্যে আয়ের সুষম বণ্টন হওয়া চাই।

একজন সফল নারী উদ্যোক্তার উপলব্ধি দিয়ে শেষ করি। অনেকে হয়তো এই কথা থেকে প্রেরণা পাবেন—‘ব্যবসার সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হলো সম্পর্ক তৈরিতে বিনিয়োগ, কেননা মানুষ শুধু পণ্যই কেনে না, একই সঙ্গে তাঁর সঙ্গে জুড়ে থাকা ব্যক্তি সত্তার নির্যাস আর মূল্যবোধ গ্রহণ করে; গুরুত্ব দেয় পণ্যের আড়ালে থাকা অভিপ্রায়কে।’

নারী উদ্যোক্তাদের বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশ

নারী উদ্যোক্তাদের বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশ মাস্টারকার্ড ইন্ডেক্স অব উইমেন এন্ট্রাপ্রেনারস ২০১৮—তে বাংলাদেশের অবস্থান:

২০১৭ ২০১৮ স্কোর পরিবর্তন ২০১৭ ২০১৮ র​্যাঙ্কিং পরিবর্তন

নারী ব্যবসা মালিকানা ২৫.৮ ২৫.৯ ০% ১৯ ১৮ ১

নারীদের অগ্রগতি ফলাফল ২৪.৩ ২৪.৩ ০% ৫৫ ৫৫ ০

জ্ঞান সম্পদ এবং অর্থায়ন অবস্থা ৪৭.৪ ৪৮.৮ ৩% ৫৭ ৫৭ ০

নারী উদ্যোক্তা সহযোগী শর্ত ৪০.৬ ৪১.৩ ২% ৫৬ ৫৬ ০

এই সূচকটি মোট ৫৭টি দেশের ওপর পরিচালিত যেখানে বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থান ৫৭; যা ২০১৭ সাল থেকে আরও এক ধাপ পিছিয়েছে। অবাক করার বিষয় হলো, বাংলাদেশে নারী ব্যবসায় মালিকানা অন্য অনেক উন্নত রাষ্ট্রের তুলনায় বেশি। সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সরকারি, বেসরকারি সহায়তা এবং নারী উদ্যোক্তাবান্ধব নীতি প্রণয়ন আর তার যথাযথ বাস্তবায়ন এই সূচকে বাংলাদেশকে একটি সম্মানজনক অবস্থান তৈরিতে সহায়তা করবে।

লেখক: প্রভাষক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

For You, With You, For Ever…. 

সমাহার ডট নেট-এর  পণ্য সামগ্রী ও সেবা পেতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

  • অ্যাপ, সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট, ডিজিটাল মার্কেটিং ও ডোমেইন হোস্টিং রেজিস্টেশন করা হয়।
  • নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ফ্যাশন, পারফিউম, মেডিসিন, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, টিভি, ক্যামেরা, মোটরবাইক, আসবাবপত্র, এপার্টমেন্ট, বাণিজ্যিক এবং আবাসিক প্রপাটির পাশাপাশি জমি ও প্লট সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ ভোক্তাদের জন্য নিবেদিত বিভিন্ন রকমের সার্ভিসগুলো দেয়া হয়।
  • আমাদের রিসেলার হয়ে অবসর সময়ে বিনিয়োগ ছাড়া, দৈনিক শুধু ৩-৪ ঘন্টা সময় দিয়ে নিশ্চিত পেসিভ ইনকাম করুন। ৬/৭ মাস নিয়মিত সময় দিলে অবশ্যই মাসিক ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকামের নিশ্চয়তা রয়েছে।
  • আকর্ষণীয় কমিশনে ডিলার, এজেন্ট ও সেলার সেন্টার দেয়া হচ্ছে…

এছাড়াও আপনি আপনার ব্যবসার জন্য ট্রেডিশনাল মার্কেটিং অথাৎ সরাসরি আপনার ব্যবসার প্রচার করাতে চাইলে। সমাহার ডট নেট এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যেখান থেকে আপনি আপনার ব্যবসার জন্য খুবই কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা ট্রেডিশনাল মার্কেটিং করাতে পারবেন। এছাড়া ও সমস্ত প্রকার ডিজিটাল অথবা ট্রেডিশনাল সুবিধা নিতে পারবেন।

আপনি যদি আপনার ব্যবসাকে কি ভাবে অনলাইনে নিয়ে যাবেন বা ব্যবসাকে বড় করবেন অথাৎ ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন তা জানতে চান তবে , সময় নষ্ট না করে এখুনি  রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।  তার জন্য আপনাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। সম্পূর্ণ ফ্রীতে আপনি পরামর্শ পাবেন।

আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছে। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন

Cart
Your cart is currently empty.