ইউটিউব-ফেসবুক ভিডিও থেকে যেভাবে টাকা আয় করা যায়

বাংলাদেশে এখন ইউটিউব এবং ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোর জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে, তেমনি অনেকের কাছে এগুলো অর্থ আয়ের জন্য একটি মাধ্যম হিসাবে গড়ে উঠছে। বাংলাদেশের কোন কোন কনটেন্ট নির্মাতা ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করছেন।
বাংলাদেশের তরুণদের অনেকেই এখন পেশাদারিভাবে ইউটিউব এবং ফেসবুকের জন্য কনটেন্ট তৈরি করছেন। এসব ভিডিও দেখা হচ্ছে অসংখ্যবার।
বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার রাশেদুজ্জামান রাকিব। ইউটিউবে তিন বছরে তার আরএনএআর চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা প্রায় সাত লাখ। তিনি মূলত চলচ্চিত্রের নানা বিষয় নিয়ে মজাদার ভিডিও তৈরি করেন। আর কিটো ভাই নামে পরিচিত মাশরুর ইনান এক বছরেই সাবস্ক্রাইবার পেয়েছেন প্রায় আড়াই লাখ।
ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে টাকা আয়ের উপায়:
একটি চ্যানেল তৈরি: ইউটিউবের ক্ষেত্রে প্রথমেই একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। জিমেইল ব্যবহার করে ইউটিউবে লগইন করে চ্যানেল তৈরি করা যায়। ফেসবুকে নিজস্ব একটি পেজ তৈরি করতে হবে, যেখানে আপনার কনটেন্টগুলো প্রদর্শিত হবে। এসব করার জন্য আপনার বয়স অন্তত ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
কনটেন্ট বাছাই ও তৈরি: ইউটিউবার রাশেদুজ্জামান রাকিব বলছেন, কনটেন্ট বাছাই করার ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখতে হবে যেন সেটা ব্যতিক্রমী, আলাদা ধরণের কিছু হয়। কারণ এখন অসংখ্য মানুষ ইউটিউব এবং ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরি করছেন, প্রতিযোগিতা অনেক। সেখানে ব্যতিক্রমী কিছু না হলে মানুষ আগ্রহী নাও হতে পারে। ”নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করতে হবে, ধারাবাহিক থাকতে হবে। টার্গেট থাকা উচিত প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটি ভিডিও আপলোড করা।”
এজন্য যেমন শিক্ষামূলক পাতা, প্রযুক্তি সম্পর্কে নানা তথ্য, মজাদার ভিডিও, গেম নিয়ে ভিডিও, বাচ্চাদের খেলনা, খাওয়া-দাওয়া, বই বা চলচ্চিত্রের রিভিউ ইত্যাদি তৈরি করা যায়। ভিডিওগুলো হতে হবে পরিষ্কার, শব্দ ভালোভাবে শোনা যাবে, সম্পাদনার কাজটি ভালো হতে হবে। সেই সঙ্গে টাইটেল, নানা ধরণের শব্দের ব্যবহার ঠিক থাকতে হবে। তবে ইউটিউব বা ফেসবুক, যে মাধ্যমের জন্যই কনটেন্ট তৈরি করা হোক না কেন, সেগুলোর যেগুলোয় অন্য কারো কপিরাইট থাকতে পারবে না।
মনিটাইজেশন: ইউটিউব বা ফেসবুকে কোন ভিডিও আপলোড করলেই সেটা থেকে টাকা আসবে না। সেজন্য আপনার একাউন্টটি মনিটাইজেশন করতে হবে। এটা হচ্ছে ইউটিউব বা ফেসবুক থেকে অর্থ আয়ের জন্য তালিকাভুক্ত হওয়া। তবে চাইলেই এই মনিটাইজেশন করা যায় না। যেমন ইউটিউবের ক্ষেত্রে আপনাকে ইউটিউব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিতে হবে।

সেক্ষেত্রে: চ্যানেলের অন্তত ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকবে হবে। সর্বশেষ ১২ মাসে চ্যানেলের ভিডিও মিলে অন্তত ৪০০০ ঘণ্টা দেখার রেকর্ড থাকতে হবে।  ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে একটি গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকতে হবে। এসব শর্ত পূরণ করা হলে আবেদন করার পর আপনি ইউটিউব থেকে বিজ্ঞাপন পেতে শুরু করবেন।
ইউটিউব সিপিএম বা কস্ট পার মাইলস/থাউজ্যান্ডের হার এবং সিপিসি বা কস্ট পার ক্লিকের ভিত্তিতে টাকা দেয়। কনটেন্ট, ভিউ ইত্যাদির ভিত্তিতে সিপিএম রেটও ওঠানামা করে।
ফেসবুকের জন্য: মনিটাইজেশন পেতে হলে ফেসবুকের পাতায় আগে থেকেই বেশ কিছু ভিডিও আপলোড করতে হবে। সব ভিডিও অন্তত তিন মিনিটের লম্বা হতে হবে এবং ভিডিও-র অন্তত একমিনিট ধরে দেখার রেকর্ড থাকতে হবে। গত ৬০ দিনের ভিডিওগুলো মিলে অন্তত ৩০ হাজার ভিউ থাকতে হবে। ফেসবুক পাতার অন্তত ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট দেশ ও ভাষা ফেসবুকের জন্য গ্রহণযোগ্য হতে হবে। বাংলাদেশ ও ভাষা ফেসবুকে সমর্থন করে।

পেজে এমন কোন ছবি বা ভিডিও, কনটেন্ট থাকতে পারবে না, যেগুলো ফেসবুকের নীতিমালা ভঙ্গ করে। বিশেষ করে কনটেন্ট এমন হতে হবে যেন সবাই দেখতে পারে।
এগুলো করা হলে আপনার ফেসবুক পাতাটি অ্যাড ব্রেকের জন্য উপযুক্ত হবে। তখন কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন সংযুক্ত করে আবেদন করলে ফেসবুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আপনার কনটেন্ট যাচাই বাছাই করে দেখবে। বিশেষ করে দেখা হবে এগুলো আসল নাকি কোথাও থেকে নকল করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে ফেসবুক মনিটাইজেশন খুলে দেবে, আপনি বিজ্ঞাপন পাবেন এবং সেটা পছন্দমতো স্থানে বসাতে পারবেন।
আরএনএআর ইউটিউব চ্যানেলের রাশেদুজ্জামান রাকিব বলছেন, ফেসবুকে অনেক পাতা আছে লাখ লাখ লাইক, কিন্তু তারা মনিটাইজেশন পায়নি। আবার কোন পাতা হয়তো ত্রিশ হাজার লাইক নিয়ে মনিটাইজেশন পেয়েছে। এটা আসলে নির্ভর করে তারা ফেসবুকের শর্তগুলো কতোটা ভালোভাবে পূরণ করতে পারছে।

ইউটিউব-ফেসবুকের বিজ্ঞাপন বেশি পাওয়ার উপায়: বিজ্ঞাপন পাওয়া না পাওয়ার ক্ষেত্রে চ্যানেল বা পেইজের নিজেদের করার কিছু নেই। কনটেন্টের ধরণ, সেটা দেখার প্রবণতা, দেশ ইত্যাদি বিচার ইউটিউব বা ফেসবুক স্বয়ংক্রিয় ভাবে বিজ্ঞাপনগুলো দেবে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিজ্ঞাপন ইউটিউবকে দেয়। ইউটিউব আবার সেসব পণ্যের সম্ভাব্য বাজার বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট ভিডিওতে বিজ্ঞাপন সরবরাহ করে।
চ্যানেলের মোট কতজন সাবস্ক্রাইবার রয়েছেন, সেটা ততোটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, যদি তারা চ্যানেলটি নিয়মিত না দেখেন। কারণের চ্যানেলের আয় নির্ভর করে বিজ্ঞাপনের ওপর। চ্যানেলের ভিউ যতো বাড়বে, চ্যানেলটি ইউটিউব থেকে ততো বেশি বিজ্ঞাপন পেতে শুরু করবেন আর আয় ততো বাড়বে।
রাশেদুজ্জামান রাকিব বলছেন, ইউটিউব বিডি আসার পর এ ধরণের কনটেন্ট থেকে আয়ের হার প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আগে দেখা যেতো বাংলাদেশের কনটেন্টের এক লাখ ভিউ-র জন্য ২৫ ডলারের মতো পাওয়া যেতো, এখন সেটা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
তিনি বলছেন, ইউটিউবের নিয়ম অনুযায়ী, আট মিনিটের কম ভিডিওতে যে পরিমাণ অর্থ আসে, আট মিনিটের বড় ভিডিওতে তার প্রায় দ্বিগুণ অর্থ পাওয়া যায়। ফেসবুকেও তিন মিনিটের বড় ভিডিওগুলোয় বেশি অর্থ আয় হয়। একমিনিটের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন পাওয়া যায়, তবে তার অর্থমূল্য কম।
একই ভিডিও একই সঙ্গে ফেসবুক ও ইউটিউবে শেয়ার করা যায়, সাধারণত সব ইউটিউবার এটা করে থাকেন। সেখানে মানুষ কতটা দেখছে, কতক্ষণ ধরে দেখছে, এর ওপর বিজ্ঞাপন বাড়ে বা কমে।
ইউটিউব থেকে আয়ের ব্যাপারে রাশেদুজ্জামান রাকিব একটি ধারণা দিয়ে বলছেন, ১০ মিনিটের একটা ভিডিও যদি গড়ে ৫/৬ মিনিট করে দেখা হয়, তাহলে একলক্ষ ভিউ হলে ১৩/১৪ হাজার টাকা আয় হতে পারে। তবে আট মিনিটের নীচে হলে আয় অর্ধেক হয়ে যাবে।
কিটো ভাই নামে পরিচিত মাশরুর ইনান বলছেন, ইউটিউব-ফেসবুকে যে ভিডিও মানুষ যতো বেশি দেখবে, সেটা দিয়ে ততো আয় হবে। ফলে এখন দেখা যায় অনেকেই নানা ধরণের ভ্লগিং (ভিডিও ব্লগিং) করছেন, নানা বিষয় নিয়ে রিভিউ বানাচ্ছেন।
ফেসবুকে নিজের পাতার বিজ্ঞাপন বা বুস্টিং করা যায়, বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ারের মাধ্যমে লাইক বা জনপ্রিয়তা বাড়ানো যায়। এভাবে যতো বেশি মানুষ ভিডিও দেখবে, আপনার আয়ও ততো বাড়বে।
বাংলাদেশের একজন ভ্লগার রাবা খান বলেছেন, “আপনার যেটা থাকা দরকার সেটা হল ক্রিয়েটিভিটি, মোবাইলটা ইউজ করতে জানা, ভিডিও এডিট করতে জানা, কোনটা ভাইরাল হবে, কোনটা হবে না সেটা বোঝা, মানে মার্কেটটাকে বোঝা। ব্যাস এতোটুকু থাকাটাই যথেষ্ট।”
“ক্রিয়েটিভ যারা আছেন তাদের জন্য এটা খুব ইজি। এবং চাইলেই তারা ফেসবুকে কন্টেন্ট আপলোড করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারে। আর এর জন্য সব সময় বড় ধরণের ইনভেস্টমেন্টেরও প্রয়োজন হয় না। এই আমার কথাই ধরেন। আমি শুধুমাত্র আমার স্মার্ট ফোন আর একটা লাইট ব্যবহার করি। এটাই আমার লাইফটাইম ইনভেস্টমেন্ট।”
দেশি স্পন্সর নেয়া: কিটো ভাই নামে পরিচিত মাশরুর ইনান বলছেন, আমাদের আয়টা এখন দুইভাবে আসে। একটা ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে সরাসরি টাকা পাই। আরেকটা হচ্ছে স্পন্সরশিপ।
তিনি বলছেন, ”করোনাভাইরাস পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর অনেক প্রতিষ্ঠান আর প্রচলিত ফর্মে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন না। এখন যাদের অনেক বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে, তখন তারা তাদের স্পন্সর করেন। তখন আমরা হয়তো তাদের কোন পণ্য আমাদের ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরি। এভাবে সরাসরি স্পন্সরদের কাছ থেকে অর্থ আয় করা যাচ্ছে।”
তিনি জানাচ্ছেন, বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান এখন এভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

কীভাবে অর্থ হাতে পাওয়া যাবে: ইউটিউব বা ফেসবুক থেকে পাওয়া অর্থ বের করাকে বলে পেআউট। ফেসবুকের মনিটাইজেশন চালু করার সময় ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিতে হয়। একটি নির্দিষ্ট ভিউ হওয়ার পর প্রতিমাসে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই একাউন্টে অর্থ জমা হয়। এটা পেপ্যালের মাধ্যমেও তোলা যায়। তবে ইউটিউবের ক্ষেত্রে অন্তত ১০০ ডলার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। একশো ডলারের বেশি হলে সেটা গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে নিজের ব্যাংক হিসাবে হস্তান্তর করা যায়।

বাংলাদেশে এখনো ইউটিউবে বা ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা বা নিয়মকানুন নেই। তবে আইনবিরোধী কিছু করা হলে সেটা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতায় পড়তে পারে।

ইউটিউব-ফেসবুক চ্যানেলের জন্য যা যা দরকার: রাশেদুজ্জামান রাকিব বলছেন, এসব ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য আসলে তেমন কিছুই লাগে না। দরকার পরিকল্পনা, ভালো একটা মোবাইল ফোন আর কনটেন্ট। ”একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যেন ভিডিও কোয়ালিটি ভালো হয়। মানুষ সব কিছুই দেখতে পছন্দ করে। আমার তো মনে হয় কিছুদিন পরে সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেট প্লেস হয়ে উঠবে ইউটিউব। মানুষ যা দরকার হবে সব ইউটিউবেই খুঁজতে যাবে। ইউটিউবাররা বলছেন, ভিডিও ও ফটো এডিটিং সফটওয়্যারে দক্ষতা এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা এনে দেয়।

যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে: রাশেদুজ্জামান রাকিব বলছেন, ”যে চ্যানেলই তৈরি করা হোক না কেন, সেখানে স্বকীয়তা থাকতে হবে, অন্যরা যেন সেই চ্যানেলটিকে আলাদা করতে পারে। যেসব কনটেন্ট আপলোড করা হচ্ছে, সেটা নিয়ে যেন কপিরাইটের কোন ঝামেলা না থাকে। কারণ কপিরাইট নিয়ে প্রশ্ন উঠলে পুরো চ্যানেলটি বাতিল হয়ে যেতে পারে।” সূত্র: বিবিসি

যে কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আপনার GMail অ্যাকাউন্ট

আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চমকাবেন না। এমনই নিয়ম নিয়ে এসেছে গুগল। এর মধ্যে যেমন রয়েছে গুগল ফটোজে বিনামূল্যে ছবি রাখার সুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়া, তেমনই জিমেল অ্যাকাউন্টও বিশেষ কারণে বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে টেক জায়েন্ট গুগল।

জানা গিয়েছে এমন অনেক জিমেল অ্যাকাউন্ট রয়েছে যা দু বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা হয় না। সেইসব অ্যাকাউন্টকে বাতিল ঘোষণা করবে গুগল বলে খবর। গুগল জানিয়েছে ২০২১ সালের ১লা জুন থেকে এই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

শুধু ইনঅ্যাক্টিভ গুগল অ্যাকাউন্টই নয়, যে সব অ্যাকাউন্টে নির্ধারিত স্টোরেজের বেশি ডেটা রয়েছে, সেই অ্যাকাউন্টগুলিকেও ইনঅ্যাক্টিভ ঘোষণা করা হবে। যদিও গুগল জানিয়েছে এই অ্যাকাউন্টগুলি হঠাত বন্ধ করে দেওয়া হবে না। এজন্য অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে আগে থেকে সতর্ক করা হবে।

তথ্য অনুযায়ী যে সব অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা জিমেল, গুগল ড্রাইভ, ডকুমেন্টস, শিটস, স্লাইডস, ড্রইংস, ফর্মস, জ্যামবোর্ড ফাইলস ২ বছরের ওপর পড়ে রয়েছে, সেগুলিকে ডিলিট করে দেওয়া হবে। ২০২১ সালের পয়লা জুনের পর থেকে এই সব ফাইলস আর পাওয়া যাবে না।

এরকম ভাবেই যদি নির্ধারিত স্টোরেজের বেশি পরিমাণ ডেটা কোনও অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ব্যবহার করেন, তবে সেটিও ডিলিট করে দেবে গুগল বলে জানানো হয়েছে।

একটি ব্লগে গুগল জানিয়েছে এই ধরণের পদক্ষেপ নেওয়ার আগে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের একাধিক বার সতর্ক করা হবে। এই ফাইলসগুলি প্রয়োজনীয় হলে তা অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার অপশনও দেওয়া হতে পারে। অ্যাকাইন্ট ইনঅ্যাক্টিভ হওয়া থেকে বাঁচাতে জিমেলে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে গুগল।

তাই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ডিলিট হওয়ার আগে, প্রয়োজনীয় নথি ও ডেটা সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করলেই সমস্যা থাকবে না। এতে সুবিধা হবে ব্যবহারকারীদেরই। অ্যাকাউন্ট হালকা হবে। কাজও দ্রুত হবে। নিয়মিত সক্রিয় রাখলে অ্যাকাউন্ট ডিলিট হবে না।

আইফোন ১২-এর চার্জিংয়ে সমস্যা

ইতিমধ্যে অ্যাপল ফোরামে এ বিষয়ে ৭০০ জনের বেশি ব্যবহারকারী চার্জিং সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করেছেন। সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে অ্যাপলের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা জ্ঞাত।

৪৭ বছর সময় লাগবে ফোনের লক খুলতে

অফিসে যাওয়ার আগে লু নামের এক মহিলা তাঁর দুই বছরের সন্তানের হাতে দিয়েছিলেন আইফোন। খেলার ছলেই আইফোনের লক সিস্টেমে বার বার হাত দেয় শিশুটি। ফলে ২ কোটি ৫০ লক্ষ মিনিট পর্যন্ত লক হয়ে যায় ফোনটি।

বাড়ি ফিরে এ অবস্থা দেখে লু তো অবাক। সঙ্গে সঙ্গে আইফোন কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিলেন।

আইফোনের কাস্টমার কেয়ার থেকে জানানো হলো, লক হয়ে যাওয়া আইফোন স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে ৪৭ বছর! অপেক্ষা করুন! নাহলে ফোনের সব ডেটা ফরম্যাট করে নতুন করে ব্যবহার করুন।

শেষ পর্যন্ত ফোনটি ফরম্যাট করে ব্যবহার শুরু করেছেন লু।

DMP NEWS 

List Of Best Android Mobile

Wafer cake sweet roll cheesecake ice cream gingerbread sweet. Wafer gingerbread apple pie cotton candy jelly. Toffee oat cake oat cake toffee tootsie roll muffin sugar plum.

ব্লগিং কি? কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন? জেনে নিন ব্লগিং থেকে আয় করার ৫ টি ধাপ!

ইন্টারনেটে মত প্রকাশ, বিভিন্ন ধরনের তথ্য শেয়ার ও ডেইলি লাইফের নানান দিক নিয়ে আলোচনা করার অন্যতম একটি জনপ্রিয় স্থান হলো ব্লগিং (Blogging)। বর্তমানে ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায় বলে এর চাহিদা ক্রমশই বেড়েই চলেছে। যে কোন শ্রেনী পেশার মানুষ যে কোন জায়গা থেকেই ব্লগিং শুরু করতে পারে। আজ আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।

ব্লগিং কি (What is Blogging):

মূলত ব্লগ (Blog) একটি ইংরেজী শব্দ। যার আভিধানিক অর্থ হলো ভার্চুয়াল ডায়েরী অথবা ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত দিনলিপি। পক্ষান্তরে এই ইংরেজি ”Blog” শব্দটি আবার ”Weblog” এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ১৯৯৭ সালে জোম বার্গার নামে একজন মার্কিন নাগরিক সর্বপ্রথম ”Weblog” শব্দটি উদ্ভাবন করেন। পরবর্তীতে, ১৯৯৯ এর এপ্রিল বা মার্চের দিকে ‘পিটার মেরহোলজ’ তার নিজস্ব ব্লগ পিটার্ম ডট কমে কৌতুক করে ‘weblog’ শব্দটিকে ভাগ করে ‘blog’ বলে সম্বোধন করেন। তারপর থেকে ‘blog’ শব্দটির ব্যাবহার প্রসার ঘটতে থাকে।

বেশিরভাগ ব্লগই যে কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে যাবতীয় খবরাখবর প্রকাশ করে থাকে। বাকীগুলো ব্যক্তিগত অনলাইন দিনলীপি। একটি ব্লগ হলো লেখা, ছবি, অন্য ব্লগ, ওয়েব পৃষ্ঠা, এ বিষয়ের অন্য ওয়েব সাইটের লিংক ইত্যাদির সমাহার। পাঠকদের মন্তব্য করার সুযোগ দেয়া ব্লগের অন্যতম একটি দিক। প্রায় ব্লগই মূলত টেক্সট-বেসড বা লেখাভিত্তিক। কিন্তু কিছু ব্লগ আবার শিল্প (আর্ট ব্লগ), ছবি (ফটোব্লগ), ভিডিও (ভিডিও ব্লগিং), সঙ্গীত (এমপিথ্রিব্লগ) আর অডিও (পোডকাস্টিং) ইত্যাদির উপর গড়ে উঠে। মাইক্রোব্লগিং-ও আরেক ধরনের ব্লগিং, যেখানে পোস্টের আকার তূলনামূলক ছোট থাকে। জুন, ২০১৭-এর হিসেবে, ব্লগ খোঁজারু ইঞ্জিন টেকনোরাট্টি প্রায় বাইশ মিলিওনেরও বেশি ব্লগের হদিশ পেয়েছে

how-to-start-blogging
Blogging Ideas

ব্লগার (Blogger) কাকে বলে:

সাধারনত, যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলার হয়। ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য নেন এবং সেখানে তাদের মন্তব্য বা অভিবাক্তি প্রকাশ করতে পারেন। এছাড়াও সাম্প্রতিক কালে ব্লগিং, ফ্রিলান্স সাংবাদিকতার একটি অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ নিয়ে এক বা একাধিক ব্লগার রা এটি নিয়মিত আপডেট করেন।

অনেকেই ওয়েবসাইট এবং ব্লগ এর পার্থক্য বোঝেন না। ওয়েব সাইট থেকে ব্লগের মূল পার্থক্য হল ওয়েব সাইট আপডেট করা হয় অনিয়মিত ভাবে অপর দিকে ব্লগ আপডেট করা হয় নিয়মিত ভাবে। এমনকি কিছু কিছু ব্লগ আছে যেগুলো কিনা প্রতিনিয়ত আপডেট করা হয় যাতে করে পাঠকগন সক্রিয় থাকার মাধ্যমে অনেক বিষয় সহজেই জানতে পারে।

সূত্র: উইকিপিডিয়া

যেভাবে ব্লগিং শুরু করবেন :

জানা-অজানা বিভিন্ন বিষয়গুলো, অথবা সাম্প্রতিক কোন বিষয়সমূহ  নতুন করে সহজ ও বোধগম্য ভাবে জানানো, কিংবা নিজের অভিব্যক্তি ও চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার একটি মাধ্যম হলো ব্লগিং। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা, বিভিন্ন স্পনসরসিপ, অ্যাফিলিয়েশন ও অ্যাডভারটাইসমেন্ট থেকে ইনকাম সোর্স সৃষ্টি হওয়ার ফলে সারা বিশ্বে তথা বাংলাদেশেও ব্লগিং এর চাহিদা ক্রমশই বেড়েই চলেছে।

আপনি যদি ব্লগিং শুরু করতে চান তাহলে প্রাথমিকভাবে অবশ্যই আপনার নিচের জিনিসগুলো প্রয়োজন হবে।

  • একটি ডিজিটাল ডিভাইস যেমন:- স্মার্ট ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার।
  • একটি ইন্টারনেট কানেকশন।
  •  একটি ইমেইল অ্যাকাউন্ট।
  • বাংলায় লেখার জন্য বিজয় অথবা অভ্র সফ্টওয়্যার ।
  • ব্লগিং সাইট গুলোতে লেখার জন্য একটি অ্যাকাউন্ট।

জেনে নিন ব্লগিং থেকে আয় করার ৫ টি ধাপ:

কিভাবে ব্লগিং শুরু করার পর সেখান থেকে আয় করবেন সেটা নিয়ে অনেকেরই মনে নানার ধরনের প্রশ্ন আছে। আশাকরি নিচের লেখাগুলো পড়লে এই বিষয়ে অনেকটা ধারনা পাবেন।

 প্রথমত, সঠিক ডোমেইন নাম নির্বাচন করা

একটি ব্লগ সাইট তৈরি করার শুরুতে প্রথম কাজটি হলো, একটি ব্রান্ডেবল, উচ্চারনে সহজ ও শ্রুতিমধুর এবং সবার মনে থাকবে, এমন একটি ডোমেইন নাম নির্বাচন করতে হবে। এতে করে ব্লগ সাইটটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এবং ভিজিটর বা পাঠক তত বৃদ্ধি পাবে।

দ্বিতীয়ত, ভালো মানের হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করা

ডোমেইন নাম নির্বাচন করার পর একটি ভালো মানের হোস্টিং সার্ভিস ক্রয় করতে হবে। হোস্টিং সার্ভিস ক্রয় করার আগে অবশ্যই তাদের কাস্টমার রিভিউ এবং কেনার পরবর্তী সাপোর্ট সার্ভিস কেমন সেটা জেনে তারপর কিনবেন। কিভাবে ভালো মানের হোস্টিং কিনবেন জানতে ভিজিট করুন এখানে

তৃতীয়ত, ব্লগ ডিজাইন করা

ডোমেইন ও হোস্টিং নেওয়ার পর এখন ব্লগটি ডিজাইন করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রথমে হোস্টিং সিপ্যানেলে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করে নিতে হবে। তারপর একটি থিম ইনস্টল করে প্রয়োজনীয় কাস্টমাইজ করে পছন্দমতো ডিজাইন করতে হবে। কিভাবে থিম কাস্টমাইজ করবেন সে বিষয়ে ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন। সেগুলো দেখে আপনি নিজেই ব্লগটি ডিজাইন করতে পারবেন। আর আপনি যদি নিজে না করতে পারের তাহলে যে কোন ওয়েব ডিজাইনার অথবা ওয়েব ডেভেলপার এজেন্সি কে দিয়ে আপনার ব্লগ সাইটি ডিজাইন করে নিতে পারেন।

চতুর্থ, কন্টেন্ট লেখা, পাবলিশিং এবং মার্কেটিং করা

ব্লগটি ডিজাইন করার পর একটি নির্দিষ্ট বিষয় এর উপর কন্টেন্ট লিখে সেগুলো উক্ত ব্লগে পাবলিশ করতে হবে। কন্টেন্ট লিখার ক্ষেত্রে অবশ্যই তথ্যবহুল এবং সার্বিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে। ব্লগে কন্টেন্ট পাবলিশ করার পর সেগুলো বিভিন্ন সোসাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে হবে। এজন্য আগে থেকেই সেই ব্লগের নামে সকল পপুলার সোসাল মিডিয়া সাইট (Facebook, Twitter, Instagram, Pinterest, Quora ইত্যাদি) গুলোতে বিজনেস পেজ ও অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

ফাইনালি, ব্লগে অ্যাডসেন্স বা স্পনসরসিপ যুক্ত করা

উপরের  ৪ টি ধাপ সম্পন্ন করার পর যখন আপনার ব্লগে অধিক সংখ্যাক ভিজিটর বা পাঠক আসা শুরু হবে। তখন আপনি গুগল ও অন্যান্য কোম্পানি থেকে অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করবেন। তারপর সেটা আপনার ব্লগ সাইটের সাথে কানেক্ট করে সেখান থেকে নিদির্ষ্ট পরিমাণ রিভিনিউ প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন।

পাশাপাশি, যখন এটি আরও পপুলার হবে তখন অনেক কোম্পানি আপনার ব্লগ সাইটে স্পনসর করার জন্য যোগাযোগ করবে। উদাহরনস্বরুপ বলা যায় বাংলাদেশের প্রথম ব্লগ সাইট সামহোয়্যারইনব্লগ এর কথা।

পরিশেষে

উপরের পোস্টি পরার পর, আশাকরি ব্লগিং কি ? কিভাবে ব্লগিং শুরু করার পর সেখান থেকে আয় করবেন সে সম্পর্কে একটু হলেও জানতে পেরেছেন। এছাড়া এ সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আমরা গুরুত্ব সহকারে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। আপনার ব্লগিং এর জন্য অগ্রিম শুভ কামনা রইলো।

Cart
Your cart is currently empty.