ডিজিটাল উদ্যোক্তা পরিচয়টাই মূল পরিচয় নয়।প্রয়োজন দক্ষতা,কোয়ালিটি,পরিচিতি,মার্কেটিং এবং সেল।

ডিজিটাল উদ্যোক্তা পরিচয়টাই মূল পরিচয় নয়।প্রয়োজন দক্ষতা,কোয়ালিটি,পরিচিতি,মার্কেটিং এবং সেল।

ডিজিটাল উদ্যোক্তা হবে খুব বেশি টাকা লাগেনা।লাগে ধৈর্য ধরে সময়কে সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর কৌশল।আমাদের ব্যবসা সম্পর্কে দক্ষতা নেই,ব্যবসা সম্পর্কে ধারনা নেই,কিন্তু মুখে বলে ফেলি টাকা হলেই ব্যবসা হয়।

Mark Zuckerberg’s personal information leaked in recent FB data breach

Mark Zuckerberg's personal information leaked in recent FB data breach

The recently leaked personal information of billions of Facebook users around the world includes information about Facebook co-founder and CEO Mark Zuckerberg, according to The Sun. According to a report in the UK tabloid, Zuckerberg’s name, place of residence, marital status, date of birth, Facebook user ID and phone number were exposed in the recent leak that affected more than 500 million Facebook users worldwide, including 3 million Facebook users from Bangladesh.

The information was leaked to a low-level cybersecurity forum. The leaked information includes users’ phone numbers, Facebook IDs, full names, locations, dates of birth and resumes. Many users e-mail IDs have also been allegedly leaked.

Meanwhile, Facebook also issued a statement on Monday where the company claims that this was an old issue and had already been fixed.

“This is old information, a report was made in 2019. We identified the problem in August 2019 and fixed it, ” said a Facebook spokesperson.

জেনে নিন মোবাইল দিয়ে আর কাজ করা যায়

আমরা অনেকেই মোবাইলের ব্যবহার বলতে ফেসবুক, গেম খেলা আর মোবাইলে কথা বলাকেই বুঝি। কিন্তু একটি ভালো মানের মোবাইল আপনার ব্যবসা বা অফিসের অনেক কাজকে সহজ করে দিতে পারে। এ জন্য আপনার দরকার  হবে কিছু প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার। মোবাইল ফোন দিয়ে আপনি যে কাজগুলো করতে পারবেন তা নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন।

অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ভালো মানের মোবাইল ফোন। অবশ্যই তা হতে হবে স্মার্ট ফোন। তবে আইফোন, উইন্ডোজ ও অ্যানড্রয়েড—সব ফোনেই সুবিধাগুলো পাওয়া যায়। উইন্ডোজ ফোনে স্থায়ীভাবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট ও এক্সেল দেওয়া হয়। সঙ্গে স্ক্যানিংয়ের জন্য অফিস লেন্স ও ভিডিও কলের জন্য স্কাইপও দেওয়া থাকে। ড্রপবক্স ও ওয়ানড্রাইভের মতো ফাইল শেয়ার করার সুবিধাও থাকে। চাইলে আপনি আরও ফিচার যুক্ত করে নিতে পারেন। আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েডের জন্য আলাদা আলাদ ভার্সনের সফটওয়্যার পাওয়া যায়। সবচেয়ে সহজে পাওয়া যায় অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন সফটওয়্যার।

স্মার্ট ফোন যেটাই হোক, সেক্ষেত্রে ব্যাটারি-লাইফ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথমেই দেখতে হবে ফোনটির ব্যাটারি যেন এমএএইচ বেশি থাকে। স্টোরেজ সাইজ, ক্যামেরা রেজ্যুলেশন, প্রসেসর যেন চাহিদা সম্পন্ন হয়। ইউএসবি ওটিজি সুবিধা থাকলে সরাসরি পেনড্রাইভ, কি-বোর্ড ও মাউস ব্যবহার করতে পারবেন।

নিরাপত্তা বিষয়ক কাজ

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি আপনার অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জনিত কাজগুলো তদারকি করতে পারবেন। আপনার প্রতিষ্ঠানে যদি সিসি ক্যামারা লাগানো থাকে  আর তাতে যদি ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তাহলে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় বিষয় আপনার আয়ত্বে রাখতে পারবেন। এজন্য আপনার মোবাইল ফোনের ফিচার হতে হবে  উন্নত।

ডকুমেন্ট তৈরি

ওয়ার্ডে কিছু লেখা, ষ্প্রেডশিটে হিসাব রাখা, প্রেজেন্টেশন স্লাইড তৈরি, ই-মেইল আদান-প্রদান কিংবা ফাইল সংরক্ষণে পিডিএফে রূপান্তর—কম্পিউটারে এসব কাজে সাধারণত ‘মাইক্রোসফট অফিস’ ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি মাইক্রোসফট স্মার্টফোনের জন্যও এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুবিধা দিচ্ছে। তাই ফোনেও ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট বা আউটলুক ব্যবহার করা যাবে। স্মার্টফোনে অফিসের কাজ সারার জন্য গুগলেরও রয়েছে অ্যাপ্লিকেশন ‘জি-স্যুট’। পিডিএফ করার ক্ষেত্রে ফোনে কম্পিউটারের চেয়েও সুবিধা বেশি। ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ডকুমেন্ট স্ক্যান করে পিডিএফ করা যায়। এ ক্ষেত্রে স্ক্যান করার জন্য ক্যামস্ক্যানার এবং পিডিএফ ফাইল পড়ার জন্য এডোবি রিডার অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে।

মেইল আদানপ্রদান

অফিশিয়াল কাজে ই-মেইল আদান-প্রদান খুবই জরুরি। এ কাজ আরো ভালোভাবে করা যায় আউটলুক ও গুগল ইনবক্স ব্যবহার করে। অনেক প্রতিষ্ঠানেই আজকাল নিজস্ব ই-মেইল সার্ভারের মাধ্যমে অফিশিয়াল মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এ কাজের জন্য আউটলুক আদর্শ। তবে স্মার্টফোনে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও অনেক সময় টাচ স্ক্রিনে টাইপ করতে সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে ব্লুটুথ কি-বোর্ড ব্যবহারে সুবিধা পাওয়া যাবে।

বাইরে থেকে অফিসে কাজ

অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের জন্য স্বতন্ত্র কম্পিউটার না দিয়ে একটি মূল সার্ভারে লগইন করে কাজ করার ব্যবস্থা  রাখে। এতে খরচ ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা কমে। এ ব্যবস্থায় অফিসের বাইরে থেকেও স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের মাধ্যমে কাজ করা যায়। এ জন্য সাধারণত টিম ভিউয়ার, মাইক্রোসফট রিমোট ডেস্কটপ ও ষ্প্ল্যাশটপ অ্যাপ ব্যবহার করা হয়।

ফাইল শেয়ার

অফিসের কাজ বাইরে থেকে করা গেলেও সেগুলো দ্রুত পৌঁছাতে না পারলে সমস্যা। এ ক্ষেত্রে ড্রপবক্স ও গুগল ড্রাইভ কাজের অ্যাপ্লিকেশন। ড্রপবক্স বা গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে অনলাইনে ফোল্ডার তৈরি করে সেখানে ফাইল রেখে লিংকটি ই-মেইল করে কাঙ্কি্ষত ব্যক্তিকে পাঠিয়ে দিলেই হলো। এ ক্ষেত্রে ডেস্কস্টপ ও স্মার্টফোনের নির্দিষ্ট কোনো ফোল্ডার নির্বাচন করে রাখলে সুবিধা পাওয়া যাবে বেশি। এতে ফাইল সহজে হারাবে না।

ভিডিও কনফারেন্স

ভিডিও কলের মাধ্যমে এখন জরুরি মিটিংও সেরে নেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কাজের অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে স্কাইপ। অ্যাপটির মাধ্যমে টিম মিটিং ও সরাসরি আউটলুকে ইভেন্ট তৈরির সুযোগ আছে।

রিমাইন্ডার হিসেবে ব্যবহার

আপনার মোবাইল ফোনটিকে নোটবুক ও রিমাইন্ডার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। প্রত্যেকটি স্মার্ট ফোনে রিমাইন্ডার ফিচারটি যুক্ত থাকে। এছাড়াও গুগল ক্যালেন্ডার, মাইক্রোসফট মেইল অ্যান্ড ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে একটি সম্মিলিত ক্যালেন্ডার ও শিডিউল তৈরি করা সম্ভব। এর মাধ্যমে কার, কোথায়, কখন কোন কাজ রয়েছে, তা প্রতিষ্ঠানের সবাই জানতে পারে। নোটবুক হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে গুগল প্লেস্টোর থেকে বিভিন্ন অ্যাপস ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এই ধরনের অ্যাপের মধ্যে কালার নোট অনেক জনপ্রিয়।

আপনি জেনে খুশি হবেন যে, সমাহার ডট নেট ( Samahar.Net ) ২০১৫ থেকে সফল ভাবে ডিজিটাল ও ট্রেডিশনাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে আসছে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। তাই আপনার ব্যবসার ডিজিটাল ও ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর জন্য আমরা আপনাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসার আমন্ত্রণ রইলো। বিস্তারিত – ০১৭১১১১৩৮৫২

নিজের বিজনেস সম্পর্কে কাস্টমারদের জানানোর জন্যে ওয়েবসাইট তৈরি করুন।

নিজের বিজনেস সম্পর্কে কাস্টমারদের জানানোর জন্যে ওয়েবসাইট তৈরি করুন।আপনি যদি আপনার ব্র্যান্ডের প্রসার চান প্রথমত ওয়েবসাইট তৈরি করুন, যেখানে আপনার বিজনেস তথ্য পাওয়া যাবে।

এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কৌশল-আপনার বিজনেস পরিচিতির জন্যে ওয়েবসাইট তৈরি করুন।এমনভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করুন যাতে আপনার ওয়েবসাইট প্রফেশনাল লুক থাকে।

১.ভিজিটরদের জন্যে ব্যবহারউপযোগী ওয়েবসাইট তৈরি করুন।

২.নিয়মিত সঠিক তথ্য দিয়ে ওয়েবসাইট আপডেট রাখুন।

৩.কোম্পানির কাজের ম্যান অনুযায়ী ডিজাইন সুন্দর করুন।

৪.এমন ভাবে কন্টেন্ট তৈরি করুন যাতে ক্লায়েন্ট আপনার পণ্যের ব্যাপারে আকর্ষণবোধ করে।

৫.প্রতিটি পেজে “কল টু অ্যাকশান” বাটন যুক্ত ভিজিটরকে কিনতে বা কেনার ব্যাপারে যোগাযোগ করতে উৎসাহবোধ করে।

৬.ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের ট্র্যাকিং করার টুল গুগল আনালাইটিকস ব্যবহার করুন।

৭.ওয়েবসাইট এমন টেকনোলজি ব্যবহার করুন যাতে ভিজিটর এবং সার্চইঞ্জিন উভয়ের জন্যে ব্যবহারযোগ্য হয়।

৮. একটি অ্যাক্টিভ কমিউনিটি তৈরি করুন।ফেসবুক,টুইটার,লিঙ্কডিন সহ বাবি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি অ্যাক্টিভ কমিউনিটি থাকা ভালো।

৯.সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয়ভাবে নিয়মিত অংশগ্রহণের জন্যে ম্যানেজমেন্ট টুলস ব্যবহার করুন।

১০.আপনার টার্গেটকৃত ক্রেতাদের সাথে সোশ্যালমিডিয়াতে বিভিন্ন আলোচনাতে অংশগ্রহণ করুন।

১১.কাউকে মেইল করার সময় আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পেজ কিংবা গ্রুপের লিঙ্ক গুলো সিগনেচার হিসাবে ব্যবহার করুন।

১২.আপনার ওয়েবসাইটের সাথে ব্লগ পেজ যুক্ত রাখুন।

এই কাজ গুলো করার আপনাকে অবশ্যই ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।আপনার বিজনেসকে ব্র্যান্ড হিসাবে গড়তে আজ থেকেই শুরু হোক আপনার প্রথম ধাপ।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ে ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং কৌশল

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বিনিয়ােগ যেমন সীমিত তেমনি তাদের মাকেটিং বাজেটও বেশি নয়। একটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের বিপণনের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো একটি উত্তম বৃত্তাকার কর্মসূচি তৈরি করা, যা বিক্রয় কার্যক্রমকে বিপণনেয় সাথে সংযুক্ত করে। পুরাে সার্কেলটি বা চক্রটি সম্পন্ন হতে লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হবে। ক্রিয়েটিভ মাকেটিং যে শুধু আমাদের বিপণনের ব্যয় কমাবে তা নয়, এটা সম্ভাব্য গ্রাহক এবং ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কোনাে কোম্পানির ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরিতে সাহায্য করে। সৃজনশীলতা একদিনের বিষয় নয়, এটা ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে। যে কোনাে চিন্তার মানুষ তার সৃজনশীলতাকে উন্নত করে নিতে পারেন। হয়তাে প্রতিটি মানুষ চাইলে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সৃজনশীলতা লাভ করতে পারে না। কিন্তু যে যেখানে রয়েছেন সে অবস্থা থেকে প্রভূত উন্নয়ন করা যায়। আর

তার জন্য যেসব নিয়ামক কাজ করে সেগুলাে নিম্নরূপ :

তথ্য সংগ্রহ Data Collection

তথ্য সংগ্রহ সৃজনশীলতা উন্নয়নের প্রথম ধাপ। আধুনিক যুগে তথ্য পাওয়া সহজ আবার কঠিন। তথ্য কোথাও রয়েছে, আবার কোথাও নেই। চ্যালেঞ্জটা হলাে বাছাই করে তথ্য গ্রহণ করা। তথ্য সাজানাে এবং প্রয়ােজনীয় তথ্য সংরক্ষণ আর তথ্যের গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী মার্কেটিং প্লান ঠিক করা কিংবা নতুন কোনাে আইডিয়ার কথা চিন্তা করা।

সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা আয়/Supplemental Security Income (SSI)

ভালাে বিপণন ও বিক্রয় কৌশল ছাড়া বাজারজাতকরণে সফল হওয়া সম্ভব নয়। প্রথমত আমাদের গ্রাহক এবং তাদের চাহিদা ও আকাক্ষা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। প্রতিটি পণ্য বা সেবার যে উপযােগ আছে, সেটা গ্রাহকের সাথে কোথায় সংযুক্ত করছে বা কোন জায়গায় গ্রাহকের অভাব আর ঠিক
কোন অভাবটি পূরণের যােগ্যতা রয়েছে প্রাক্কলিত পণ্যের, সেটা যথাযথভাবে নিশ্চিত করে সে বার্তাটি প্রমােশনের মাধ্যমে ভােক্তার কাছে পৌছে দিতে হয়।
এজন্য প্রয়ােজন :

১. বাজার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ/ Market Analysis

বাজারে আমাদের ব্যবসায়ের অবস্থান মূল্যায়ন করার জন্য কেবল আমাদের পণ্য সম্পর্কে জানলে হবে না, প্রতিযােগিতামূলক পরিবেশ, বিকল্প পণ্য, প্রতিযােগীর অবস্থান এবং আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রবণতা সম্পর্কে জানতে হবে। বাজার গবেষণা শুধু বড়াে কোম্পানিগুলাে করবে তা নয়। ছােটো কোম্পানির জন্য ছােটো পরিসর বাজারের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা যায়।

২. পণ্য উন্নয়ন/ Product Development

আমাদের ব্যবসায় অবশ্যই এমন পণ্য বা পরিষেবাগুলাে সবসময় আরাে উন্নত এবং সংশােধনের পর নতুন ফিচার যুক্ত করে বাজারজাত করতে পারি। যদি এমন হয় যে, সেগুলাে বর্তমান ফিচারেও দারুণ তবু সেগুলাে উন্নত করতে হবে। এটাও সৃজনশীলতা। অনেক সময় আমরা মনে করি, প্রথমবার বিক্রি হওয়ার পর কাস্টমারের সাড়া দেখে তারপর পণ্যগুলােকে আরাে
উন্নত করা যাবে। কিন্তু সত্যি কথা হলাে, সৃজনশীলতার দাবি অনুসারে প্রথমবার বিক্রির আগেও আমরা চাইলে পণ্যটিকে উন্নত করার সুযােগ থাকলে তা প্রয়ােগ করতে পারি। নােকিয়ার বাজার ভালাে ছিল বলে পণ্য উন্নয়নে ততটা গতিশীল ছিল না। যার ফলে আজ নােকিয়া কতটা পিছিয়ে গেছে!

৩. মূল্য নির্ধারণ/ Pricing & Packaging

পণ্য সংগ্রহ ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে বাজার পরিস্থিতি ও ক্রেতার দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ভিত্তি করে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। পণ্য বাজারজাতকরণে কীভাবে অফারগুলাে তৈরি হবে এবং তা কীভাবে উপস্থাপন করা হবে ভােক্তার কাছে, সেগুলাের গ্রহণযােগ্যতার ব্যাপারে আগেই হােমওয়ার্ক করা ভালাে। যখন কোনাে প্যাকেজ
করি তা ভােক্তার কথা মাথায় রেখে করতে হয়। কারণ তার ওপর নির্ভর করছে সাফল্য। ভাবছেন লাভ-ক্ষতি হিসাব করে পণ্যের দাম ঠিক করব। এখানে আবার সৃজনশীলতা কিসের? আছে গাে, আছে। কখনাে যদি ২০% ক্যাশব্যাক অফার দিতে হয় বা বিশেষ কোনাে অফার? সেটাও মাথায় রাখতে হবে।

কার্যকর বিতরণ প্রক্রিয়া নির্বাচন/ Choosing effective distribution methods

যখন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুব চ্যালেঞ্জিং থাকে, তখনাে পণ্য বা সেবা গ্রাহকের কাছে অন্য সময়ের মতাে সঠিক সময় ও মানদণ্ড অনুসারে পৌছে যাবে। বাইরের আর্থিক মন্দা কিংবা কোম্পানির দুর্বলতা সার্ভিস বা প্রােডাক্টের
মধ্যে পরিলক্ষিত হবে না। এই চ্যালেঞ্জটা বেশিরভাগ সময় সৃজনশীলতা দিয়ে মােকাবিলা করতে হয়। সৃজনশীল উপায় বের করে সংকটের সমাধান একজন
সৃজনশীল মার্কেটারকে তার কোম্পানির জন্য সফল করে তােলে। এই প্রক্রিয়া কী হবে সেটা অনেক কিছুর ওপর নির্ভরশীল।

ক্রেতামুখী প্রমােশন উন্নয়ন Customer base promotion buildup

বাজারে প্রবেশ এবং বাজার দখলের জন্য প্রয়ােজন হয় পণ্যের প্রােফাইল তৈরি আর সেটাকে গ্রাহকের কাছে তুলে ধরতে প্রয়ােজন প্রমােশন। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে তার সম্ভাব্য গ্রাহকের কাছে পণ্য বা সেবা পৌছানাের জন্য জনসংযােগ ব্যবহারে সৃজনশীলতা বড়াে বেশি দরকার। তা না হলে গতানুগতিক ব্যবস্থায় তার পক্ষে প্রতিযােগিতা চালানাে সবসময় সহজ হয় না।

দীর্ঘমেয়াদি বাজারজাতকরণ পরিকল্পনা/long-term marketing plan

সফল হওয়ার জন্য জানতে হবে চলার পথ কোনদিকে? তাই বাজারজাতকরণ পরিকল্পনা তৈরির জন্য যতগুলাে ধাপ ও উপাদান রয়েছে,সে সব কার্যাবলির সমন্বয় সাধন প্রয়ােজন হয় যাতে প্রয়ােজন ও গুরুত্ব অনুসারে প্রয়ােগের সময় ঠিকভাবে পাওয়া যায়, যা সফলতার পথকে ত্বরান্বিত করে।

বাজারজাতকরণে নতুনত্ব আনা/Apply New Strategy

বাজারে এত এত পণ্যের কত কত বিজ্ঞাপন। এসব শত শত অফারের ভিড়ে আপনার অফারটি পাবলিককে গেলাতে হলে সেটা কতটা নতুন, আলাদা আর চমকপ্রদ হতে হবে। ভাবতে থাকুন—ভাবতে থাকুন।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের বাজারজাতকরণ পরিকল্পনার ধাপগুলাে নিম্নরূপ :
১. বাজার গবেষণা (Market Research)
২. বাজারজাতকরণ মিশ্রণ (Marketing Research)
৩. পণ্যের সজীব জীবনচক্রকে কাজে লাগানাে (Using Product Life Cycle)
৪. কার্যকর প্রচার কৌশল (Effective Promotion Techniques)
৫. সঠিক ও মিতব্যয়ী উপায়ে বিতরণ (Low Costing Channels of Distribution)

Steps of Service Development
Step 1: Idea about what service you are going to provide
Step 2: Choosing the Ideal Idea
Step 3: Understanding the Customer Demand of the Idea
Step 4: Analyzing the idea from business point-of-view
Step 5: Developing a Prototype of the service
Step 6: Testing the Idea
Step 7: Marketing Plan
Step 8: Introducing the Service to the Market

সৃজনশীল বাজারজাতকরণ বা ক্রিয়েটিভ মার্কেটিংকে ফলদায়ী করতে প্রতিটি ব্যবসায়ের জন্য পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দেয়া জরুরি—
১. কোনদিক থেকে আপনার ব্যবসায়িক ধারণা অনন্য বা অন্যদের চেয়ে আলাদা?
২. আপনার কাঙ্ক্ষিত ভােক্তা কারা? বর্তমানে আপনার পণ্য কারা কিনছে? সত্যিকার অর্থে কাদের কাছে পণ্যটি নিয়ে যেতে চান?
৩. আপনার পণ্য বা পরিষেবার ক্ষেত্রে কারা আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী? তাদের সাথে কি আপনি প্রতিযােগিতায় টিকে থাকতে পারবেন?
৪. আপনি কি আপনার কাঙ্ক্ষিত ক্রেতাদের সাথে কোনাে ধরনের বার্তা দিয়ে যােগাযােগ করতে চান?
৫, আপনার বিতরণ কৌশল কী? আপনি কীভাবে আপনার গ্রাহকদের হাতে আপনার পণ্য বা পরিষেবা পৌঁছে দেবেন?
#সস্তায়_নয়_আস্থায়_বিশ্বাসী

নিশ (niche) বলতে কি বোঝায়?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে যারা যুক্ত বা যাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টার্মটা সম্পর্কে ধারণা আছে, তাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি শব্দ হচ্ছে “নিশ”।
মার্কেটিং এর ভাষায়, আপনি যখন শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট নিয়ে, একটি নির্দিষ্ট কোনো জনগোষ্ঠীর, নির্দিষ্ট একটি চাহিদা পূরণ করার উদ্দেশ্যে ঐ প্রোডাক্টের বানিজ্যিকভাবে প্রোমোশন করবেন তখন সেটাকে বলা হয় “নিশ মার্কেটিং”।
আর যে প্রোডাক্ট টি নিয়ে বা ঐ নির্দিষ্ট প্রোডাক্টের বিশেষ যে ধরণটি নিয়ে আপনি কাজ করবেন তাই আপনার নিশ।
অন্যভাবে বলতে পারি,
নিশ বলতে আমরা বুঝি কোনো একটি টপিক বা ক্যাটাগরি। আপনি মূলত কি নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেটাই হচ্ছে নিশ। যেমন ধরুন আপনি হেলথ্ অ্যান্ড ফিটনেস সম্পর্কে খুব ভালো জানেন এবং এটা নিয়ে ব্লগ তৈরি করতে চাচ্ছেন এবং অবশ্যই টাকা ইনকাম বা মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন তাহলে এই হেলথ অ্যান্ড ফিটনেসই হবে আপনার নিশ।
এখন প্রতিটি নিশ এর ভেতর আবার সাব-নিশ আছে।
সেটা কেমন ?
আপনি যখন হেলথ্ অ্যান্ড ফিটনেস নিয়ে কাজ করবেন তখন এই নিশটি অনেক বিশাল একটি টপিক। এই হেলথ্ অ্যান্ড ফিটনেস এর ভেতর অনেক সাব ক্যাটাগরি আছে যেমন হতে পারে স্কিন কেয়ার, ওয়েট লস, বডি বিল্ডিং ইত্যাদি। এগুলোকে বলা হয় সাব-নিশ।
চলুন একটি উদাহরণের মাধ্যেম বিষয়টিকে আরো সহজভাবে দেখি।
ধরুণ আপনি বাংলাদেশে ‘X’ নামের সাবানের মার্কেটিং প্রমোশন করবেন। আপনি ডাটা এনালাইসিস করে দেখলেন ৯০% মানুষ সাবান ব্যবহার করে (ধরি বাকি ১০% করে না, তাদের হয়তো সাবান কেনার সামর্থ্যই নেই)।
তো এই ৯০% মানে ধরে নেই ১৭ কোটি মানুষ।
এখন এই ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে আবার ৭০% লোক সাবান ব্যবহার করে শুধুমাত্র শরীরের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য, ১৫% লোক ব্যবহার করে শুধুমাত্র শরীরের দূর্গন্ধ দূর করার জন্য, ১০% ব্যবহার করে শুধুমাত্র সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আর বাকি ৫% ব্যবহার করে বিলাসিতার জন্য বা শৌখিনতার জন্য (অনেক হাই রেটেড ফরেইন প্রোডাক্ট)।
এখন আপনি ঠিক করলেন আপনি ওইসব মানুষদের টার্গেট করবেন যারা সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সাবান ব্যবহার করে। মানে বিউটি সোপ।
তার মানে আপনি ওই ১০% মানুষের কাছেই শুধু মার্কেটিং করবেন। আর এই ১০% ই হলো আপনার “নিশ টার্গেট মার্কেট”।
আর এই ১০% এর জন্য যদি আপনি একটা প্রোডাক্ট অফার করেন, যেমন ‘X’ বিউটি সোপ, তাহলে এই প্রোডাক্টটাই হলো আপনার “নিশ”।

সময় থাকতেই সঠিক ডিসিশন নিন!

কাস্টমার তো ইনবক্সে একটা স্ক্রিনশট দিয়েই অর্ডার করে – এটাই সহজ- ওয়েবসাইটে কে অর্ডার করবে? কি দরকার এতো টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট তৈরি করার?

এই যাত্রায় প্রায় ৫ দিন ফেইসবুক বন্ধ থাকায় হাজার হাজার ফেইসবুক পেইজ থেকে লাইভ বন্ধ ছিল, ইনবক্সে অর্ডার নেয়া বন্ধ ছিল। অ্যাড যাদের রানিং ছিল রেজাল্টের কোন আউটপুট প্রায় ছিলই না বলা যায়। এটি নিয়ে গতকাল রাতে একটি পোস্ট করেছলাম।  যেখানে বলেছিলাম সামনের দিনগুলিতে বিভিন্ন কারণেই ফেইসবুক বা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলি বন্ধ হতে পারে। এবার হয়ত ৫ দিন হয়েছিলো এর পর হয়ত তা ১০ বা ১৫ বা ৩০ দিনের জন্যও বন্ধ হতে পারে।

বিকল্প বা অল্টারনেট প্ল্যান হিসাবে বলেছিলাম নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে কিন্তু অনেকের কমেন্ট পরে যে ভয়াবহ তথ্য সামনে আসলো তা হল- অনেকেরই ওয়েবসাইট ঠিকই আছে কিন্তু তারা কাস্টমারদের ওয়েবসাইটে অর্ডার করতে উৎসাহিত করেন না বা মার্কেটিং করেনা না। এখন কথা হচ্ছে- যখন ফেইসবুক অফ থাকবে তখন যদি আপনি মনে করেন যে আপানর ওয়েবসাইট তো রানিং তাহলে ওয়েবসাইট এ অর্ডার ক্যানও আসে না? এখন এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু আপনার কাছেই থাকতে হবে- যখন সময় ছিল নিজের ওয়েবসাইট এর মার্কেটিং করে আপনার কাস্টমার এর কাছে পরিচিতি করানোর তখন নিশ্চয়ই আপনি এটিকে অবহেলা করেছেন অথবা মোটেও জোর দেননি- যেহেতু ইনবক্সেই অর্ডার আসে কি দরকার আছে কাস্টমার কে আবার এক্সট্রা ঝামেলা করে ওয়েবসাইট এ অর্ডার এর কথা বলার। অনেকে তো এটাও মনে করেন যে ওয়েবসাইট এ অর্ডার করতে বললে যদি কাস্টমার আর অর্ডারই না করে?

এভাবেই আপনার কাস্টমারকে আপনি নিজেই অভ্যস্ত করেছেন ইনবক্সে মোবাইল নাম্বার দিয়ে আর স্ক্রিনশট দিয়ে কত সহজে অর্ডার করা যায়!

এভাবেই চলতে থাকলে তো ভালোই ছিল- কিন্তু সময়ের প্রয়োজনে নিজের বিজনেস এর প্রয়োজনেই আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট রেডি শুধু রেডি না তাতে যাতে অর্ডার করে কাস্টমার তার জন্য বিভিন্ন মার্কেটিং স্ট্রাটেজি সেট করতে হবে। নাহলে সামনে আপনি ও আপনার বিজনেস এবং ফুল স্টাফদের নিয়ে লম্বা ছুটির প্ল্যান যেকোনো সময় হয়ে যেতে পারে।

যাদের কাছে মনে হবে এগুলি দরকার নেই- দয়া করে এই পোস্টটি ইগ্নর করুন তবে একটা স্ক্রিনশট রেখে দিতে পারেন- যেদিন এমন কিছু একটা হবে সেদিন হয়ত এই পোস্ট দেখার সুযোগও নাও থাকতে পারে, কারণ ফেইসবুকই হয়ত এক্সেস করা যাবে না 😀

ভালো থাকুন- আর বিকল্প ব্যাবস্থা রেডি করতে থাকুন- প্রতি মাসে মার্কেটিং বাজেট থেকে কিছু কিছু জমিয়ে ডোমেইন কিনুন এবং ধীরে ধীরে ওয়েবসাইট বানাতে থাকুন আর অবশ্যই আপনার কাস্টমারদের সবাইকে ওয়েবসাইটে অর্ডার করতে উৎসাহিত করুন। সবাইকে ধন্যবাদ!

Cart
Your cart is currently empty.