এসডিএন আউটলেট নিতে হলে যা যা প্রয়োজন

এসডিএন আউটলেট নিতে হলে যা যা প্রয়োজন-
* ১৫০০ বর্গফুট থেকে ৩০০০ বর্গফুটের বাণিজ্যিক স্পেস/দোকান ঘর হতে হবে।
* এডভান্স টাকা এবং ডেকোরশন খরচ ইনভেস্ট করতে হবে
ডেকোরশন খরচের মধ্যে যা যা আছে –

1. ইলেক্ট্রিসিটি ওয়্যারিং
2. লাইট
3. সি সি টিভি
4. সাউন্ড সিস্টেম
5. এসি
6. ফার্নিচার
7. জেনারেটর
8. আইটি ইকুয়িপমেন্ট- সার্ভার পিসি, পজ সিস্টেম, ইনভেন্টরি স্ক্যানার, ম্যানেজার পি.সি, প্রিন্টার
9. ফ্রিজার

* প্রতি মাসের খরচ –
1. আউটলেট ভাড়া
2. বিদ্যুৎ বিল
3. আউটলেট রক্ষণাবেক্ষণ খরচ
এছাড়া আর কোনো প্রকার খরচ এসডিএন আউটলেট / সেল সেন্টারে নেই।

উদ্যোক্তা কেন হবেন? সফল উদ্যোক্তার কয়েকটি বিশেষ গুণাবলী।

উদ্যোক্তার ধারনা :- বন্যায় এলাকার একটা বাঁধ ভেঙ্গে মানুষের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। সরকার কবে মেরামত করবে তা বলা যাচ্ছে না। সামনে বৃষ্টি শুরু হলে মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। মি. কামরুল এলাকার হৃদয়বান মানুষ। তিনি এ সমস্যা নিয়ে গণ্যমান্য অনেকের সাথে কথা বললেন। ছাত্র, যুবক ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে বাঁধটা নিজেরা সবাই মিলে মেরামত করা যায় কি না সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করলেন। এরই এক পর্যায়ে একদিন স্কুল মাঠে একটা সভা হলো। গণ্যমান্য অনেকেই কথা বললেন। ছাত্র ও যুবকদের পক্ষ থেকেও কেউ কেউ উৎসাহব্যঞ্জক বক্তব্য রাখলো। সিদ্ধান্ত হলো যারা পারবে টাকা দেবে এবং ছাত্র ও যুবকরা স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে বাঁধ মেরামত করবে। একদিন সকালে নারী-পুরুষ শিশুসহ সবার উপস্থিতিতে কাজ শুরু হলো। সবার মধ্যে প্রচণ্ড উৎসাহ। শুধু বাঁধ মেরামত ছাড়াও গ্রামের মধ্যে রাস্তায় যেখানে যা সমস্যা ছিল সব সংস্কার হয়ে গেলো। এক্ষেত্রে মি. কামরুলের কর্মপ্রচেষ্টা উদ্যোগের একটা উদাহরণ। আর এই উদ্যোগ যে গ্রহন করে তাকেই উদ্যোক্তা বলা হয়ে থাকে।

আজকে আমরা আলোচনা করবো , উদ্যোক্তা কেন হবেন? সফল উদ্যোক্তার কয়েকটি বিশেষ গুণাবলী।

কেন একজন উদ্যোক্তা হবেন?

উদ্যোক্তা হবার জন্য অনেক কারন থাকতে পারে তা নি বর্ননা করা হলো :-

স্বাধীনতা এবং নিয়ন্ত্রণ :- উদ্যোক্তাদের তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করার এবং তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। তারা তাদের নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের নিজেদের ভবিষ্যত গঠন করার ক্ষমতা রাখে ।

আবেগ এবং আগ্রহ :- অনেক উদ্যোক্তা তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করে, কারণ তারা একটি নির্দিষ্ট পণ্য, সেবা বা শিল্প সম্পর্কে উৎসাহী। তাদের নিজস্ব কোম্পানি শুরু করে, তারা সেই আবেগ বা আগ্রহকে ক্যারিয়ারে পরিণত করতে পারে।

আর্থিক সম্ভাবনা :- একটি সফল ব্যবসা শুরু করা আর্থিকভাবে ফলপ্রসূ হতে পারে। উদ্যোক্তাদের একজন কর্মচারীর থেকে  তাদের চেয়ে বেশি উপার্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তারা তাদের কোম্পানি বড় করে তুলতে পারে।

উদ্যোক্তা কেন হবেন? সফল উদ্যোক্তার কয়েকটি বিশেষ গুণাবলী।

ব্যক্তিত্ব :- উদ্যোক্তা একটি চ্যালেঞ্জিং যাত্রা, যা ব্যক্তিদের ব্যক্তিত্ব  বৃদ্ধি করতে সহায়তা করতে পারে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় সৃজনশীলতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ও পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

পার্থক্য তৈরি করে :- উদ্যোক্তারা তাদের সম্প্রদায় বা সামগ্রিকভাবে সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করার ক্ষমতা রাখে এমন পণ্য বা সেবা তৈরি করে যা সমস্যার সমাধান করে অথবা প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে।

 নমনীয়তা বা কর্ম-জীবনের ভারসাম্য :- একজন উদ্যোক্তা হিসাবে, আপনার নিজের সময়সূচী সেট করার এবং যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি প্রথাগত সাকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ পর্যন্ত কাজের তুলনায় আরও নমনীয়তা এবং ভাল কর্ম-জীবনের ভারসাম্য প্রদান করতে পারে।

সৃজনশীল স্বাধীনতা :-  উদ্যোক্তাদের নতুন পণ্য, সেবা বা ব্যবসায়িক মডেল উদ্ভাবন এবং তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে যা শিল্পগুলিকে ব্যাহত করতে পারে এবং বিশ্বকে পরিবর্তন করতে পারে।

শেখার সুযোগ :- একটি ব্যবসা শুরু করার সাথে নতুন দক্ষতা শেখা এবং নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া যায়। অনেক উদ্যোক্তার জন্য, ক্রমাগত শেখার এবং ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধির এই প্রক্রিয়া একটি প্রধান প্রেরণাদায়ক কারণ।

কোম্পানির সংস্কৃতির উপর নিয়ন্ত্রণ :- উদ্যোক্তাদের একটি কোম্পানি সংস্কৃতি তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে যা তাদের মূল্যবোধ এবং দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি নিজেদের এবং তাদের কর্মীদের জন্য আরও পরিপূর্ণ এবং আনন্দদায়ক কাজের পরিবেশের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

একটি উত্তরাধিকার রেখে যাওয়া :- অনেক উদ্যোক্তা বিশ্বের উপর একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব রেখে যাওয়ার ইচ্ছা দ্বারা চালিত হয়। একটি সফল ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে, তারা একটি উত্তরাধিকার তৈরি করতে পারে যা তাদের নিজের জীবনকালের বাইরেও প্রসারিত হয়।

সফল উদ্যোক্তার কয়েকটি বিশেষ গুণাবলী-

উদ্যোক্তার গুণাবলি :- ঝুঁকিপূর্ণ ও অনুমাননির্ভর পথযাত্রায় যে উদ্যোক্তা তার নতুন ব্যবসায় চিন্তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটিয়ে সাফল অর্জনে সক্ষম হন তাকেই সফল উদ্যোক্তা বলে । সফল উদ্যোক্তা নিঃসন্দেহে একজন সৃজনশীল উদ্ভাবক, উত্তম-সংগঠক, যোগ্য পরিচালক ও সফল নেতা । তিনি সাধারণ ব্যবসায়ী বা ব্যবস্থাপক থেকে ভিন্নতর । বিভিন্ন গুণ বা বৈশিষ্ট্যের সমাহারে তিনি বৈশিষ্ট্যমন্ডিত । নিম্নে একজন সফল উদ্যোক্তার বিভিন্ন গুণ বা বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো :-

১. সৃজনশীল মানসিকতা বা সৃজনশক্তি :- নতুন কিছু চিন্তা করার এবং তা দিয়ে একটা ধারণাকে দাঁড় করাতে পারার মতো ব্যক্তির মানসিক সামর্থ্যকে সৃজনশীল মানসিকতা বা সৃজনশক্তি বলে । একজন উদ্যোক্তা অন্যেরটা সম্পূর্ণ অনুকরণ করেন না। হতে পারে তিনি অন্যের কাজ দেখে তাতে নতুন কিছু সংযোজন করতে পারেন। নতুন কোনো ব্যবসায় দাঁড় করাতে পারেন। নতুন পদ্ধতি, প্রক্রিয়া ইত্যাদি সংযোজন করতে পারেন। নতুন বাজার সৃষ্টি করতে পারেন-যার সবকিছুর জন্য সৃজনশীল মনসিকতা বা সৃজনশক্তি অপরিহার্য বিবেচিত হয়। অর্থাৎ একজন ভালো উদ্যোক্তা নতুন কিছু সৃষ্টি করার মতো সৃষ্টিশীল ও গঠনমূলক মনের অধিকারী হয়ে থাকেন।

২. কৃতিত্বার্জ্জন চাহিদা :- একজন ব্যক্তির মধ্যে কৃতকার্যে সাফল্য লাভের প্রবল আকাঙ্ক্ষাকে কৃতিত্বার্জন বা সাফল্যার্জন চাহিদা বলে । কোনো ব্যক্তি যদি তার কাজ থেকে সাফল্য প্রত্যাশা না করেন, দৌড় দিয়ে যদি প্রথম হওয়ার স্বপ্ন না দেখেন তবে ঐ কাজে তার সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও আত্মত্যাগ থাকে না । তাই একজন সফল উদ্যোক্তা সাফল্য অর্জনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও আশাবাদী মন নিয়ে পথ চলেন। তিনি তার উদ্যোগ প্রচেষ্টাকে নিজের জীবনে সাফল্য লাভের উপায় বা ক্যারিয়ার হিসেবে গণ্য করেন এবং সকল প্রচেষ্টায় তার এ স্পৃহার প্রতিফলন ঘটে ।

৩. দূরদৃষ্টি :- জ্ঞানচক্ষু বা বিশেষ জ্ঞান (প্রজ্ঞা) দ্বারা ভবিষ্যৎকে উপলব্ধি বা বুঝতে পারার সামর্থ্যকে দূরদৃষ্টি বলে । একজন ব্যক্তি তার নতুন চিন্তার সাফল্য সম্ভাবনা যদি বুঝতে না পারেন, সমস্যা কী হতে পারে যদি ভাবতে না পারেন তবে তার পক্ষে কখনই ভালো উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব নয় । কবীর হোসেন অন্যের সাফল্য দেখে কোনো ব্যবসায়ে নেমে পড়লো । কিন্তু ঐ ব্যবসায়ের ভবিষ্যত সম্ভাবনা কী, কী ধরনের বাধাগুলো আগামী দিনে ঐ ব্যবসায়কে মোকাবেলা করতে হবে- এগুলো যদি বোঝার মতো ভাবার মতো সামর্থ্য তার না থাকে তবে তার পক্ষে ব্যবসায় করা সম্ভব নয়; ব্যবসায় উদ্যোক্তা হওয়াতো দূরের কথা ।

৪. সাহস ও বুদ্ধিমত্তা :- নির্ভিকভাবে পথ চলতে পারার গুণকেই সাহস বলে। অন্যদিকে, মানুষের বোধশক্তি ও বিচারশক্তিকে বুদ্ধিমত্তা বলা হয়ে থাকে। বোধশক্তিসম্পন্ন একজন মানুষ যদি করণীয় ঠিক করে সাহসীকতার সাথে তা অর্জনে পথ চলতে পারে তবে তার পক্ষে সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়। অন্যদিকে যদি দুই পা চলে আর এক পা পিছায়, সবসময় অজানা ভয় যদি কাউকে তাড়া করে ফেরে তবে তার পক্ষে ভালো উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব হয় না। ঝুঁকিপূর্ণ, অনুমাননির্ভর ও অচেনা পথে কার্যত জীবনকে বাজি রেখে একজন উদ্যোক্তা তার উদ্যোগ চিন্তাকে বাস্তবায়ন করেন। এ জন্য একজন উদ্যোক্তাকে যথেষ্ট সাহসী হতে হয়। তার এ সাহস অবশ্যই বুদ্ধিমত্তা দ্বারা সুষমামন্ডিত হয়ে থাকে ।

৫. ধৈর্য ও কষ্টসহিষ্ণু  :- যে গুণের প্রভাবে একজন মানুষ বিরূপ পরিস্থিতিতে প্রতিকূলতা সহ্য করে নিজ লক্ষ্যপানে এগিয়ে যেতে পারে তাকে ধৈর্য্য বলে। অন্যদিকে দুঃখ ক্লেশ, বেদনা ইত্যাদি সইতে পারার গুণকে কষ্টসহিষ্ণুতা বলা হয়ে থাকে। একজন উদ্যোক্তা নতুন ব্যবসায়, পণ্য, পদ্ধতি, বাজার ইত্যাদি নিয়ে যখন কাজ করে তখন প্রত্যাশিত অবস্থার বাইরে বিরূপ অবস্থা তাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। হতাশাব্যঞ্জক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। সে অবস্থাতেও যদি ভেঙ্গে না পড়ে, অবিচল থেকে, ধৈর্য ধরে এবং দুঃখ ও বেদনাকে সহ্য করেও একজন উদ্যেক্তা করণীয় নির্ধারণপূর্বক এগিয়ে যেতে পারে তবে তার পক্ষে সাফল্যলাভ সম্ভব হয় । তাই ধৈর্য এবং সেই সাথে কষ্টসহিষ্ণুতা উদ্যোক্তার বড় গুণ । তাই সহজেই ধৈর্য হারান বা ভেঙ্গে পড়েন এমন মানুষ কখনই ভাল উদ্যোক্তা হতে পারে না ।

৬. ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা :- আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনাকে ঝুঁকি বলে । এই ক্ষতি মেনে নেয়ার মতো মনকেই উদ্যোক্তার ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা বলে। যে কোনো নতুন উদ্যোক্তার ঝুঁকির বা ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সাফল্য আসবেই এবং কখনই ক্ষতি স্বীকার করতে হবে না এমন চিন্তা উদ্যোক্তাকে বাস্তবতার গুণ বর্জিত করে তোলে । তাই একজন উদ্যোক্তার ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা একটি বড় গুণ । চাকরিজীবী ও গতানুগতিক ব্যবসায়ীদের সাধারণত এ ধরনের মানসিকতা থাকে না। একজন উদ্যোক্তা তার সময়, শ্রম ও পুঁজিকে সমন্বিত করে এবং বিভিন্ন দায়ের বোঝা মাথায় নিয়ে উদ্যোগকে এগিয়ে নেন। এরূপ মানসিকতাই তাকে এক্ষেত্রে সাহস জোগায়।

৭. সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামর্থ্য :- বিভিন্ন বিকল্প করণীয় থেকে বাস্তবতার আলোকে উত্তম করণীয় নির্বাচন করতে পারার গুণকেই সিদ্ধান্তে গ্রহণের সামর্থ্য বলে। যথাসময়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামর্থ্য একজন সফল উদ্যোক্তার বড় গুণ। কোনো উদ্যোগ গ্রহণ থেকে শুরু করে বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে হাজারো সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। সম্ভাব্য সমস্যা, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদির যথাযথ মূল্যায়ন করেই এ সকল সিদ্ধান্ত নিতে হয় । এক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিলম্ব বা দুর্বলতা পুরো উদ্যোগকেই ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

৮. নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা :- কর্তব্য-কর্মে দৃঢ় অনুরাগ, আস্থা, বিশ্বাস, মনোযোগ ইত্যাদিকে নিষ্ঠা বলে । অন্যদিকে অকৃত্রিমতা, কপটতামুক্ততা, লোক দেখানো ভাব পরিহার করে কাজ করাকে আন্তরিকতা বলা হয়ে থাকে । একজন সফল উদ্যোক্তাকে অবশ্যই তার কাজে নিষ্ঠাবান ও আন্তরিক হতে হয় । নিষ্ঠা তাকে নিজস্ব কাজে আস্থাবান, মনোযোগী ও দায়িত্বশীল করে তোলে। এটি তার আচরণে যে প্রভাব ফেলে তা অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণে যেমনি সমর্থ হয় তেমনি ক্যারিয়ার গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অন্যদিকে মানষ যখন দেখে কোনো ব্যক্তি তার কাজে প্রকৃতই নিষ্ঠাবান এবং কোনো ধরনের কপটতা বা কৃত্রিমতা তার মধ্যে নেই। তখন অন্যরা তাকে সহযোগিতা করতে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে থাকে ।

৯. যোগাযোগ দক্ষতা :- অন্যের বা অন্যদের নিকট সঠিক সময়ে সঠিক উপায় বা পদ্ধতিতে নিজের বক্তব্য বা প্রয়োজন কার্যকরভাবে তুলে ধরে উদ্দেশ্য অর্জনের সামর্থ্যকে যোগাযোগ দক্ষতা বলে। সফলতা অর্জনে একজন উদ্যোক্তাকে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন পক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে। এ কারণেই যোগাযোগ দক্ষতা একজন সফল উদ্যোক্তার অপরিহার্য গুণ বা বৈশিষ্ট্য। স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের এ যুগে বিভিন্নমুখী যোগাযোগ দক্ষতা ছাড়া কারও পক্ষেই অন্যদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় ।

১০. সামাজিক দায়িত্ববোধ :- সমাজের প্রতি করণীয় রয়েছে উদ্যোক্তার এই বোধ বা চিন্তাকে উদ্যোক্তার সামাজিক দায়িত্ববোধ বলে । একজন উদ্যোক্তাকে সফলতা লাভে সমাজের বিভিন্ন পক্ষের সাথে কাজ করতে হয় । সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের প্রতি দায়িত্ব পালনের স্বাভাবিক অনুভূতি যদি তার মধ্যে না থাকে তবে তার পক্ষে সংশ্লিষ্টদের সহানুভূতি অর্জন সম্ভব হয় না। আর এরূপ সহানুভূতি ও সহযোগিতা ছাড়া একজন উদ্যোক্তা সফল হতে পারে না।

১১. মূল্যবোধ ও নৈতিকতা :- কোনটা ভালো এবং কোনটা মন্দ এ সংক্রান্ত উদ্যোক্তার বোধকে মূল্যবোধ এবং ভালোকে গ্রহণ ও মন্দ এড়িয়ে চলাকে নৈতিকতা বলে । একজন উদ্যোক্তাকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার গুণসম্পন্ন হওয়ার প্রয়োজন পড়ে। অন্যায় ও অসৎ চিন্তা ও আচরণ দিয়ে কারও পক্ষেই বেশিদূর এগুনো সম্ভব নয়-এ ভাবনা উদ্যোক্তার মধ্যে থাকার প্রয়োজন পড়ে ।

১২. সাংগঠনিক জ্ঞান ও দক্ষতা :- মানবীয় ও বস্তুগত উপকরণাদিকে কার্যকরভাবে সংহত করে সংগঠন প্রতিষ্ঠা এবং যোগ্যতার সাথে তা পরিচালনা করার সামর্থ্যকেই সাংগঠনিক জ্ঞান ও দক্ষতা বলে । নতুন উদ্যোগ সফল করার জন্য একজন উদ্যোক্তাকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে মানবীয় ও বস্তুগত উপকরণাদি সংগ্রহ ও সমন্বিত করতে হয়। এক্ষেত্রে বাস্তবায়ন পর্যায়ের কোনো ভুল নানান বিপত্তির সৃষ্টি করে। এজন্য একজন সফল উদ্যোক্তাকে অবশ্যই উপযুক্ত সাংগঠনিক জ্ঞান ও দক্ষতার অধিকারী

হতে হয়।

পরিশেষে, একজন উদ্যোক্তা হওয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই তার ব্যক্তিগত লক্ষ্য যা  মূল্যবোধ এবং অগ্রাধিকারের উপর নির্ভর করে।

Your Online Business Partner.

ডোমেইন রেজিঃ করুন মাত্র ৪৯ টাকায়…

.com, .net, .org, .me, .media, domains, .computer, .digital, .ltd, .school, .university, .clinic, .tv, xyz, .help সহ আরো প্রায় ১৫০০ নতুন ডোমেইন পাওয়া যাচ্ছে । স্বল্প মূল্যে আপনার পছন্দের ডোমেইনটি রেজিঃ করার এখনই সুবর্ণ সুযোগ। ৳ ৪৯ টাকার অফারটি শুধুমাত্র ১ম বছরের জন্য ও  বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত কোম্পানি , এনজিও , ফাউন্ডেশন, সংস্থা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

আমরা যে সকল ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার তৈরি করে থাকিঃ

✪ কোম্পানীর ওয়েবসাইট                                                            ✪ মুদির দোকান ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪ নিউজ পেপার ওয়েবসাইট                                                        ✪ ট্র্যাভেল এজেন্সি উইথ প্যাকেজ বুকিং সফটওয়্যার

✪  ফ্যাশন হাউসের ওয়েবসাইট                                                    ✪ পয়েন্ট অফ সেল, টিকেট বুকিং সফটওয়্যার

✪  ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট                                                  ✪ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজ্ম ওয়েবসাইট                                         ✪ ব্লাড ডোনেসন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  বিউটি পার্লার এবং জিমের ওয়েবসাইট                                      ✪ ইনভেন্টরী এন্ড স্টক ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  ফাইনেন্সিয়াল এসোসিয়েশন ওয়েবসাইট                                    ✪  গার্মেন্টস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোম্পানী ওয়েবসাইট

আরো জানতে ও সেবা পেতে এখুনি রিসেলার, অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

আকর্ষণীয় কমিশনে রিসেলার দেয়া হচ্ছে…

ন্যানো সুপার টেক পয়েন্ট লিমিটেড

⌂ প্রধান কার্যালয়ঃ উত্তর খামের, কাপাসিয়া, গাজীপুর – ১৭৩০

মোবাইলঃ ০১৭১১১১৩৮৫২ , ই-মেইলঃ nanosupport@lukiye.com

আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছি। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন…

পিন্টারেস্ট কি? কিভাবে Pinterest মার্কেটিং করবেন?

আপনি বিজনেসে লিডস সংগ্রহের কথা ভাবছেন?

স্বল্প সময়ে বিজনেস সম্প্রসারণে পিন্টারেস্ট মার্কেটিং নিয়ে পরিকল্পনা করছেন?

হাবস্পটের রিসার্চ অনুযায়ী পিন্টারেস্টে প্রায় ৪৩৩ মিলিয়ন অ্যাকটিভ ইউজার রয়েছে। এমনটি প্রায় ৮৩% গ্রাহক পিন্টারেস্ট থেকে উপযুক্ত পণ্যের কন্টেন্টে আগ্রহী হয়ে কেনাকাটা করছে। তাই মার্কেটারগণ বিজনেস গ্রোথের ক্ষেত্রে ইফেকটিভ কন্টেন্ট শেয়ারিং মাধ্যমে কাস্টমারকে রিচ করার ক্ষেত্রে পিন্টারেস্টকে বেছে নিচ্ছে। বর্তমানে বিজনেসমূহ ডিজিটালাইজড হয়ে উঠেছে। তাই এই ডিজিটাল যুগে বিজনেসে ওয়েবসাইট অধিক ট্র্যাফিক পেতে,বিজনেসকে গ্রো করতে,লিডস সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমের নাম হল পিন্টারেস্ট মার্কেটিং। তাই বিজনেস ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে পিন্টারেস্ট কী? কীভাবে Pinterest মার্কেটিং করবেন এই নিয়ে থাকছে আজকের আলোচনা।

  • পিন্টারেস্ট কি?

অনেকের কাছে নতুন মনে হলেও জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হল পিন্টারেস্ট। এটি এমন একটি মাধ্যম যে মাধ্যমে ইউজারগন এন্টারটেইনমেন্ট, হবি, লাইক বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট শেয়ার করে।

পিন্টারেস্ট ইউজার নিজেদের কন্টেন্টগুলোকে এড করে কিংবা পিন হিসেবে অর্গানাইজ করে রাখে। যা একটি কমন থিম ব্যবহার করে বোর্ড অনুযায়ী ভিজিটরদের সামনে প্রেজেন্ট করে। ফলে অন্যান্য ইউজার নিজেদের আগ্রহ এবং পছন্দের ক্যাটাগরি অনুযায়ী পিন,কিংবা বোর্ডের মাধ্যমে সংরক্ষণ করার মাধ্যমে অন্যান্য ইউজার কনটেন্টসমূহ দেখার পরিপূর্ণ সুযোগ পায়।

আপনি যদি এক্ষেত্রে পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে অবশ্যই একটি অ্যাকাউন্ট ওপেন করে নিবেন। আপনি সাইন আপ সম্পন্ন করার পর আপনি নিজের কন্টেন্ট যেভাবে আপলোড করতে পারবেন এবং সে সাথে বাকিদের কন্টেন্ট আপনি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। আপনি এই মাধ্যমটির সর্বাধিক ব্যবহার করতে চাইলে আপনার বিজনেস সম্পর্কিত কন্টেন্টগুলো এই প্ল্যাটফর্মে পিন করে রাখুন। আপনি যে পণ্যটি খুঁজছেন তা আপনি পিন্টারেস্ট ব্রাউজারে সেট করে রাখুন।

বিজনেসের প্রচার এবং প্রসারের ক্ষেত্রে এঙ্গেজমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাই বিজনেস সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আপনার কম্পিটিটরদের পোস্টে লাইক,কমেন্ট করুন এবং আপনার পিনগুলো রি-পিন করে আপনার ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটে শেয়ার করুন।

তবে জেনে রাখা দরকার যে, পিন্টারেস্ট এ পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট এবং বিজনেস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাই আপনি যদি পিন্টারেস্ট বিজনেস অ্যাকাউন্ট চালু করেন তাহলে আপনি বেশ কিছু ফিচার যেমন পিন্টারেস্ট অ্যানালাইটিক্স, ভিজুয়্যাল সার্চ টুল, ভিডিও প্লেয়ার এবং পিন্টারেস্ট এড নামক ফিচার ব্যবহার করার পরিপূর্ণ সুযোগ পাবেন। যা এই প্লাটফর্মের মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিবে।

  • কীভাবে পিন্টারেস্টে বিজনেস অ্যাকাউন্ট খুলবেন?

আপনি যদি পিন্টারেস্টের মাধ্যমে আপনার বিজনেসের পরিধি বৃদ্ধি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে বিজনেস অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। বিজনেস অ্যাকাউন্ট ওপেন করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার বিজনেস অ্যাকাউন্টে পিন্টারেস্ট অ্যানালাইটিক্স থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং ফিচারগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। তবে আপনি যদি আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টটিকে বিজনেস অ্যাকাউন্ট এ পরিবর্তন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আপনার পূর্ববর্তী অ্যাকাউন্ট এর কোন কন্টেন্ট না হারিয়ে তা সরাসরি করতে পারবেন।

পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে আপনাকে নিম্নোক্ত লিংকে ক্লিক করতে হবে

www.pinterest.com

সেখানে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ইনফরমেশন শেয়ারের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে নিতে পারবেন। বিনামূল্যে আপনি পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্ট খুললেও আপনি যদি বিজনেস অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে চান এবং সে অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আপনি যদি আপনার বিজনেস এড রান করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি নির্দিষ্ট পেমেন্ট ম্যাথড সিলেক্ট করে আপনি আপনার পেমেন্ট সম্পন্ন করে পিন্টারেস্টে বিজনেস এড রান করতে পারবেন।

  • কীভাবে পিন্টারেস্টকে মার্কেটিং টুলস হিসেবে ব্যবহার করবেন?

সামান্য কিছু উপায়ে আপনি চাইলে পিন্টারেস্টকে ব্যবহারের মাধ্যমে বিজনেস ডেভেলপমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। পিন্টারেস্টকে মার্কেটিং টুলস হিসেবে ব্যবহারের ফলে বিজনেস প্রতিষ্ঠানসমূহ কীভাবে বেনিফিটেড হতে পারে চলুন জেনে নেওয়া যাক –

১.কন্টেন্ট পোস্ট-

প্রায় ৮৫% পিন্টারেস্ট ব্যবহারকারী প্রতিদিন নতুন ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট তৈরি করে। কারণে মাধ্যমে ব্লগ থেকে শুরু করে ভিজ্যুয়াল কন্টেন্টসমূহকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই আপনি পিন্টারেস্ট এর মাধ্যমে মার্কেটিং করতে চাইলে একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট ওপেন করে আপনি আপনার পিন, বোর্ড ক্রিয়েট করে কাস্টমার ডিমান্ড অনুযায়ী প্রোডাক্ট এর ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট আপনি পোস্ট করতে পারেন।

থিম, ক্যাটাগরি অনুযায়ী কাস্টমারদের টার্গেট করে আপনি প্রোডাক্ট সম্পর্কিত কন্টেন্ট পোস্ট করতে পারেন। খুব সহজে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত টার্গেটি কাস্টমারদের রিচ করার ক্ষেত্রে পিন্টারেস্ট হয়ে উঠতে পারে বেশ কার্যকর একটি মাধ্যম। আপনার প্রোডাক্টের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভিন্ন বোর্ড ক্রিয়েট করতে পারেন। যা কাস্টমারদের খুব সহজে কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্ট খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।

২.কমিউনিটি বিল্ড আপ করা-

বিজনেস ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে কমিউনিটি গঠন করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আর পিন্টারেস্ট এই প্ল্যাটফর্মে আপনাকে কমিউনিটি বিল্ড আপ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ প্রদান করে।

আপনি আপনার পিন্টারেস্ট অ্যাকাউন্ট কন্টেন্ট পোস্টের মাধ্যমে খুব সহজে কাস্টমারদের সাথে ইন্টারাক্ট করার সুযোগ পাবেন। যা আপনার কন্টেন্ট রিচ করতে, আপনার ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক বৃদ্ধি করতে এবং আপনার বিজনেসে লিডস সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

৩.কাস্টমারদেরকে নতুন বিষয় শেখানোর মাধ্যমে-

শুনতে বেশ অবাক হলেও সত্য যে পিন্টারেস্ট বর্তমানে কোন অজানা বিষয় শেখার ক্ষেত্রে এবং জানার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এই প্ল্যাটফর্মে টিউটোরিয়াল, ইনফোগ্রাফিক,বিভিন্ন এডুকেশনাল সাইট লিংক আপ করে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আপনি তাদের নানান বিষয়ে সেখানে পারেন।

কাস্টমারদের অজানা বিষয়ে শেখানোর মাধ্যমে পার্সোনাল এবং বিজনেস ব্র্যান্ডিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠতে পারে এই প্ল্যাটফর্মটি। পরস্পর কন্টেন্ট শেয়ারিং এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার কাস্টমারদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেন।

ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক এবং অনলাইন সেলস বৃদ্ধি-

পিন্টারেস্ট ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট পোস্ট করার মাধ্যমে খুব সহজে বিজনেস প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রো করার সুবিধা প্রদান করে। যেখানে টেক্সট কিংবা কিংবা ভিজুয়্যাল কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট লিংক যুক্ত করে দিতে পারেন। যা আপনার কাস্টমারদের কাছে এঙ্গেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

এই প্ল্যাটফর্মটি আপনার মার্কেটিং এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এর পাশাপাশি আপনার বিজনেস সেলস বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই আজকাল বেশিরভাগ ব্র্যান্ডসমূহ পিন্টারেস্টের মাধ্যমে প্রোডাক্ট পাশাপাশি পাশাপাশি ভিজুয়্যাল কন্টেন্ট শেয়ারিং এর মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।

  • কীভাবে Pinterest মার্কেটিং করবেন?

বিজনেসের সমৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে সাধ্যের মধ্যে কার্যকরী একটি মার্কেটিং টুলস হল পিন্টারেস্ট। যা একই সাথে আপনার বিজনেসকে প্রচারের মাধ্যমে অধিক লিডস সংগ্রহ করার লক্ষ্যে এবং আপনার বিজনেসকে শীর্ষস্থানে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অন্যান্য যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়ার তুলনায় বিজনেসকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পিন্টারেস্ট বেশ দ্রুতগতিতে পণ্যের প্রচারণা চালাতে সক্ষম।

আপনার যদি একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা দিয়ে বিজনেস ওয়ার্ল্ডে পদার্পণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে সবার প্রথমে পিন্টারেস্ট মার্কেটিং দিয়ে আপনার বিজনেস ওয়ার্ল্ডে পদার্পণ করা উচিত।

কীভাবে পিন্টারেস্ট আপনার বিজনেসের প্রচারণা ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আপনার বিজনেসের সেলস বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে চলুন তাহলে জেনে আসা যক –

১.একটি কাল্পনিক গল্প দিয়ে শুরু করুন-

পিন্টারেস্ট আপনার ব্র্যান্ডকে একটি ভিজুয়্যাল স্টোরির মাধ্যমে আপনার কাস্টমারদের কাছে বর্ণনা দিতে সাহায্য করবে। আজকাল বেশিরভাগ বিজনেস ছবি কিংবা ভিডিও এর মাধ্যমে পণ্যের প্রচারণা করলেও পিন্টারেস্ট এমন একটি মাধ্যমে যা আপনার ব্র্যান্ডের উত্থান, আপনার প্রোডাক্ট আপনার সফলতাকে একটি গল্প আকারে আপনার টার্গেট কাস্টমারদের কাছে বিবরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।

ক্ষুদ্র বিজনেস সমূহ পিন্টারেস্ট বেশ ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে শেখায় যা গ্রাহকদের কাছে পপুলারিটি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করে।

২.সহযোগিতা পরায়ণ মনোভাব গড়ে তুলুন-

সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি প্লাটফর্ম যা আপনার ব্যান্ডকে অন্যান্য ব্যান্ডের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শনের পরিপূর্ণ সুযোগ প্রদান করে। পিন্টারেস্ট তার ব্যতিক্রম নয়। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার টার্গেট অর্ডিয়েন্সকে রিচ করতে পারবেন। বিভিন্ন গ্রুপের সাথে চ্যাটের মাধ্যমে ,পরস্পর সাথে সাহায্য সহযোগিতা করার মাধ্যমে তাদের সমস্যাসমূহ আলোচনা করতে পারবেন এবং তা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করতে পারেন।

বিভিন্ন ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট, বিহাইন্ড দা সিন ভিডিও এর মাধ্যমে আপনি তাদের কাছে প্রদর্শন করতে পারেন যে আপনি তাদের কি পরিমাণ সাপোর্ট দিচ্ছেন, কি পরিমাণ সহযোগিতা প্রদর্শন করতে পারছেন। ফলে আপনার এই মনোভাব তাদেরকে আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি আকৃষ্ট করতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করবে।

৩.আপনার ব্লগ পোস্ট ফিচার করুন-

আপনি পিন্টারেস্টের মধ্যে মার্কেটিং কৌশল হিসেবে আপনার ব্লগ পোস্ট এবং কন্টেন্টে নানানধর্মী অফার যুক্ত করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি পিন এ কোনো ভিডিও কিংবা ছবি দিয়ে নিচে “বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন” পোস্ট করার মাধ্যমে আপনার ব্লগের লিংক দিলে খুব সহজে কাস্টমার আপনার ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট দেখতে পারবে।

যা শুধু আপনার কন্টেন্ট কিংবা আপনার ব্লগ পোস্টকে প্রমোট করছে তা নয়। যা আপনার ওয়েবসাইটের ভিজ্যুয়াল কন্টেন্টকে ডিরেক্টলি প্রমোট করছে।

৪.আপনার কাজ সহজ করুন এবং আপনার দক্ষতা তুলে ধরুন-

ক্ষুদ্র বিজনেসসমূহকে নিজের কাজকে একটি প্লাটফর্মের আলোকে তুলে ধরার একটি সর্বোত্তম মাধ্যম হল পিন্টারেস্ট। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যে প্ল্যাটফর্মের আলোকে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজেদের কাজকে এবং দক্ষতাকে সকলের সামনে প্রেজেন্ট করার এক পরিপূর্ণ সুযোগ পায়।

ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠাসমূহ যদি নিজের কাজ,ইনফোগ্রাফিক,ডাটা ভিজুয়্যালেশন এবং ব্লগ পোস্টার আকারে সকলের সামনে প্রেজেন্ট করে তাহলে কাস্টমারদের কাছে ব্র্যান্ড ভ্যালু যেমন বৃদ্ধি পায় ঠিক তেমনিভাবে কাজের পরিপূর্ণ স্বীকৃত পাওয়া যায়। এতে কাস্টমার যেমন আপনার অর্জন সম্পর্কে জানবে তেমনিভাবে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানবে। যা আপনাকে বিজনেস ওয়ার্ল্ডে নিজের আসন পাকাপোক্ত করতে এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্টে সাহায্য করবে।

৫.বিজনেসে ট্র্যাফিক বৃদ্ধি-

আপনার বিজনেস ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পিন্টারেস্ট প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে সাহায্য করে। যা বিজনেসে ডেটা সংগ্রহ করতে এবং বিজনেস ওয়েবসাইটের URL আপনার প্রোফাইলে পিন বা বোর্ড হিসেবে শেয়ার করতে পারেন। যা আপনার বিজনেসের ব্র্যান্ডিং এর পাশাপাশি বিজনেসকে রিচ করতে সাহায্য করে।

৬.মার্কেট রিসার্চ-

একটি বিজনেস ঠিক কোন ধরনের প্রোডাক্ট স্টক করা উচিত তা জানার একটি উপযুক্ত মাধ্যম হল পিন্টারেস্ট। এত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জানাতে সাহায্য করে যে তাদের টার্গেট অর্ডিয়েন্স কারা ?তারা কি চাচ্ছে?কি ধরনের প্রোডাক্টের দিকে ঝুঁকছে সে সম্পর্কে জানতে এবং সে সকল প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেস শুরু করার ধারণা প্রদান করে।

পিন্টারেস্টের মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার কম্পিটিটর এর অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী ভিন্নভাবে নিজের প্রোডাক্ট নিয়ে বিজনেসে ভিন্নভাবে প্রচারণা চালাতে পারবেন। আপনার কম্পিটিটররা ঠিক কি ধরনের ট্যাকটিকস ব্যবহার করছে এবং কীভাবে তারা তাদের তাদের টার্গেট অর্ডিয়েন্সকে রিচ করতে পারছে সে সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে এবং বোঝার ক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনি তাদের সাথে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমেও তাদের কন্টেন্ট সম্পর্কে জানতে এবং সে সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারেন।

  • উপসংহার:

বর্তমান সময়ে একটি শক্তিশালী মার্কেটিং টুল হিসেবে পরিচিতি এক নাম হল পিন্টারেস্ট। এটি একটি ব্র্যান্ডকে অর্গানিকভাবে সচেতন করতে,বিজনেস বুস্ট করতে ,সেলস বৃদ্ধি করতে এবং টার্গেট অর্ডিয়েন্স এর সাথে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক প্রতিস্থাপনের সাহায্য করে। তাই যেকোনো বিজনেসকে বুস্ট আপ করার ক্ষেত্রে আলোচিত পদ্ধতিগুলো গ্রহণের মাধ্যমে আপনি আপনার বিজনেসের সফলতা অর্জন করতে পারেন। তাই বিজনেসকে সফলতার চূড়ান্ত শিখরে আরোহণের ক্ষেত্রে আজই শুরু করুন Pinterest মার্কেটিং।

 

Your Online Business Partner.

ডোমেইন রেজিঃ করুন মাত্র ৪৯ টাকায়…

.com, .net, .org, .me, .media, domains, .computer, .digital, .ltd, .school, .university, .clinic, .tv, xyz, .help সহ আরো প্রায় ১৫০০ নতুন ডোমেইন পাওয়া যাচ্ছে । স্বল্প মূল্যে আপনার পছন্দের ডোমেইনটি রেজিঃ করার এখনই সুবর্ণ সুযোগ। ৳ ৪৯ টাকার অফারটি শুধুমাত্র ১ম বছরের জন্য ও  বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত কোম্পানি , এনজিও , ফাউন্ডেশন, সংস্থা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

আমরা যে সকল ওয়েবসাইট ও সফটওয়্যার তৈরি করে থাকিঃ

✪ কোম্পানীর ওয়েবসাইট                                                            ✪ মুদির দোকান ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪ নিউজ পেপার ওয়েবসাইট                                                        ✪ ট্র্যাভেল এজেন্সি উইথ প্যাকেজ বুকিং সফটওয়্যার

✪  ফ্যাশন হাউসের ওয়েবসাইট                                                    ✪ পয়েন্ট অফ সেল, টিকেট বুকিং সফটওয়্যার

✪  ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট                                                  ✪ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজ্ম ওয়েবসাইট                                         ✪ ব্লাড ডোনেসন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  বিউটি পার্লার এবং জিমের ওয়েবসাইট                                      ✪ ইনভেন্টরী এন্ড স্টক ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  ফাইনেন্সিয়াল এসোসিয়েশন ওয়েবসাইট                                    ✪  গার্মেন্টস ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

✪  ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোম্পানী ওয়েবসাইট

আরো জানতে ও সেবা পেতে এখুনি রিসেলার, অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

আকর্ষণীয় কমিশনে রিসেলার দেয়া হচ্ছে…

ন্যানো সুপার টেক পয়েন্ট লিমিটেড

⌂ প্রধান কার্যালয়ঃ উত্তর খামের, কাপাসিয়া, গাজীপুর – ১৭৩০

মোবাইলঃ ০১৭১১১১৩৮৫২ , ই-মেইলঃ nanosupport@lukiye.com

আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছি। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন…

দোকানের সুন্দর নামের তালিকা ও নতুন ব্যবসার নাম নির্বাচন

দোকানের সুন্দর নামের তালিকা কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুন্দর নামের তালিকা খুঁজাটা বেশ ঝামেলার। অনেক সময় দেখা যায় পছন্দের নাম খুঁজে পেলেও, সেই নামে ইতোমধ্যে অন্য কোন দোকান বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান আছে।

অনেক সময় কিভাবে নতুন ব্যবসার নাম নির্বাচন করতে হবে সেটা না জানার কারণে, ভুল নাম নির্বাচন করে খুব বড় একটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। যেমন, লোগো কিংবা ট্রেড-লাইসেন্স করার পর জানতে পারলেন, এই নামে কোন ডোমেইন খালি নাই। আবার দেখা গেল, এই নামে ইতোমধ্যে দোকান বা প্রতিষ্ঠান আছে। ফলে ইউনিক নাম হলো না।

দোকানের সুন্দর নামের তালিকা

আর তাই, আজকের এই লেখায় নতুন ব্যবসার নাম নির্বাচন করার বিস্তারিত কৌশল এবং দোকানের সুন্দর নামের তালিকা দিব। আর, নতুন ব্যবসা শুরু করার আগে মাথায় রাখুন ১২টি বিষয়

নতুন ব্যবসার নাম নির্বাচন করার পূর্বে করণীয়

  • সহজ নাম নির্বাচন। যাতে সহজে মানুষ উচ্চারণ করতে পারে। এছাড়া, ট্রেন্ডিং এবং ইউনিক রাখার চেষ্টা করুন।
  • এমন নাম নির্বাচন করুন, যেটা আপনার পণ্য বা সেবার সাথে যায়। আপনার সেলুনের দোকানের নাম যদি রাখে ফুড হাট তাহলে, কাস্টমার নিজেও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব পরে যাবে।
  • লম্বা নাম পরিহার করুন এবং কাস্টমার মনে রাখতে পারে এমন নাম নির্বাচন করুন। এই যেমন ধরুন, অ্যাপেল কোম্পানির কথা। তারা খুব সহজ এবং কাস্টমার মনে রাখতে পারে এমন নাম নির্বাচন করেছে। আপনিও চাইলে, এমন কিছু নির্বাচন করতে পারেন।
  • কপি বা অন্য ব্রান্ডের সাথে মিলে যায় এমন নাম নির্বাচন করবেন না। অনেকে Apex এর জনপ্রিয়তা দেখে, Apox রাখে। এই ধরণের নাম নির্বাচন করলে, আপনি কোন দিনও নিজের প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ড ভ্যালু তৈরি করতে পারবেন না।
  • নাম নেওয়ার পর্বে দেখবেন আপনার নামে ওয়েবসাইটের ডোমেইন ফাঁকা আছে কিনা। এই মুহূর্তে হয়তো ওয়েবসাইট প্রয়োজন নেই, কিন্তু ভবিষ্যতে প্রয়োজন হতে পারে।
দোকানের সুন্দর নামের তালিকা

দোকানের সুন্দর নামের তালিকা বের করার কৌশল

দোকানের নাম খুঁজার ধাপগুলো থেকে আপনি পছন্দ অনুযায়ী নাম খুঁজতে পারবেন। আমি আপাতত উদাহরণ সহ কিছু আইডিয়া দিলাম। পরে আরও বিস্তারিত কিছু নাম দিব।

  • পণ্য সম্পর্কিত নাম: আপনার পণ্যের সাথে সম্পর্কিত নাম যেমন: রানার অটোমোবাইল, দর্জি-বাড়ি, আড়ং, ইজি ফ্যাশন, ফুড হাট ইত্যাদি।
  • সমার্থক শব্দ: বিপণি, বিপণি-বিতান, আপণ জুয়েলার্স ইত্যাদি।
  • বাংলা বাগধারা ভিত্তিক নাম: চাঁদের হাট,ইলাহি কাণ্ড, জমজমাট, ডুমুরের ফুল ইত্যাদি।
  • ইংরেজি নাম: স্কয়ার, এপেক্স, ওয়ালটন, সিঙ্গার ইত্যাদি।
  • সংক্ষিপ্ত নাম: আরএফএল, পিএচপি, এসিআই, টিকে গ্রুপ ইত্যাদি।
  • সাহিত্যিক নাম: ধানসিঁড়ি,গোলাপ, বনলতা, ঘাষফড়িং, কাশফুল, নক্ষত্র, সুরঞ্জন, চিত্রা ইত্যাদি।
  • ধর্মীয় আরবি নাম: হা-মীম গ্রুপ, মদিনা ট্যাংক, বিসমিল্লাহ জেনারেল স্টোর, আল ফাতাহ ইত্যাদি
  • নিজের নাম: এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানি, মেসার্স ওমর স্টোর, ওমর এন্ড ব্রাদারস, ফারুক জেনারেল স্টোর, সাইফুর’স, হাজী বিরিয়ানি ইত্যাদি।

এইভাবে আপনি নামের জন্য আইডিয়া নিতে পারেন।

বন্ধু-বান্ধব, ফেসবুক গ্রুপ এবং প্রশ্ন উত্তর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নাম খুঁজা

আপনি চাইলে আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয় স্বজনের নিকট থেকে নামের আইডিয়া নিতে পারেন। এছাড়া, ফেসবুক গ্রুপে বা স্ট্যাটাসের মাধ্যমে আপনার ব্যবসায়ের ধরণ বলে মানুষের নিকট থেকে নামের আইডিয়া নিতে পারেন। আবার বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর ওয়েবসাইট যেমন:

এইসব সাইটেও প্রশ্ন করে নতুন ব্যবসার নাম নির্বাচনের আইডিয়া পেতে পারেন।

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নতুন ব্যবসার নাম নির্বাচন

নিচের ওয়েবসাইটগুলো থেকে আপনি ফ্রিতে সুন্দর নামের আইডিয়া পাবেন। আপনি যত বেশি আইডিয়া পাবেন, তত সুন্দর নাম নির্বাচন করতে পারবেন। নিচের ওয়েবসাইটগুলোতে শুধু আপনার পছন্দের কি-ওয়ার্ডটি সার্চ দিবেন। এই যেমন ধরুন আমাদের ওয়েবসাইটের নাম PriyoCareer। তো আমি চাচ্ছি নামের প্রথমে Priyo থাকুক আর এখানে Priyo হচ্ছে আমার কি-ওয়ার্ড। যদিও কষ্টের বিষয় হচ্ছে, এখানে বাংলা নাম খুঁজার সুযোগ নেই।

ডোমেইন নেম খালি আছে কিনা তা যাচাই করার উপায়

পছন্দের নাম নির্বাচনের পর, ডোমেইন নেম যাচাই করার প্রয়োজন হয়। নিচের ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে আপনি যাচাই করতে পারবেন, আপনার কাঙ্ক্ষিত নামে ডোমেইন তথা ওয়েবসাইট তৈরি করার সুযোগ আছে কিনা। সার্চ বক্সে দোকান বা প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে সার্চ করুন।

সবসময় দেখবেন com ডোমেইনে খালি আছে কিনা। .biz .xyz .org এরকম অনেক ডোমেইন এক্সটেনশন থাকতে পারে। যদিও সবগুলো টপ লেভেল ডোমেইন এক্সটেনশন তবে, .com ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং কাস্টমারদের মনে রাখতে সাহায্যে করে।

ডোমেইন নেম সার্চ করার ওয়েবসাইট:

দোকানের সুন্দর নামের তালিকা

অনেকে হয়তো এখনো আইডিয়া পাননি তাদের জন্য ক্যাটেগরি ভিত্তিক কিছু ইউনিক নামের তালিকা।

অনলাইন শপ এর নাম

ই কমার্স নাম আইডিয়া বা অনলাইন ব্যবসার জন্য নাম খুঁজে থাকলে নিচের নামগুলো দেখতে পারেন। যথা:

  • বিপণি
  • চলো কিনি
  • হিড়িক
  • হাটবাজার
  • হাটখোলা
  • পণ্যমালা
  • পসার
  • আপণ
  • পণ্যবিচিত্রা
  • পণ্যগৃহ
  • হালখাতা
  • বাজারব্যাগ
  • সদাইপাতি
  • আমাদের শপ
  • দেশের বাজার
  • গ্রামের হাট
  • গ্রাম্য মার্ট
  • কেনাকাটা
  • দরদাম
  • থই থই

অনলাইনে ব্যবসা করার নিয়ম

খাবার দোকানের সুন্দর নামের তালিকা

  • শাহীমহল
  • রাজদরবার
  • খাদ্য গৃহ
  • স্বাদ বিচিত্রা
  • খাদ্যবিতান
  • ফুড কোর্ট
  • ফুডশপ
  • গ্রিন ক্যাফে
  • ক্যাফে ৯০
  • Dine Fine
  • Dinner Club

ঔষধের দোকানের সুন্দর নাম

  • মেসার্স ওমর ফার্মেসী
  • মেসার্স নূরজাহান ফার্মেসী
  • আস্থা ফার্মেসী
  • দাওয়া ফার্মেসী
  • দাওয়াই ফার্মেসী
  • দাবাই ফার্মেসী

ঔষধের পাইকারী ব্যবসা করার কৌশল

মুদি দোকানের সুন্দর নামের তালিকা

  • নিত্যসমাহার
  • সদাইপাতি
  • নিত্যপণ্য
  • দোকানদার
  • পণ্যগৃহ
  • সদাইঘর
  • পণ্য কুটির

মুদি পাইকারি বাজার কোথায় আছে?

পোশাকের দোকানের নাম

  • চাঁদনিচক
  • কামিনী ফ্যাশন হাউজ
  • নওরীন ফ্যাশন হাউজ
  • ফ্যাশন কর্ণার
  • Sedation
  • Hendrix
  • Dressify
  • Clothing Place
  • OrderlyFashion
  • Faction Fashion
  • Goodly
  • Fashionista
  • Frosty Fashion
  • Vintage Corner

মোবাইল দোকানের সুন্দর নামের তালিকা

  • মোবাইল গুরু
  • মোবাইল ডাক্তার
  • রেডিয়েন্ট  মোবাইল সার্ভিসিং
  • বিসমিল্লাহ  মোবাইল সার্ভিসিং
  • মোবাইল গ্যারেজ
  • Fast Track Repair
  • Fast Fix
  • Gadget repair services

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুন্দর নামের তালিকা

  • সাঁঝের বাতি
  • Agro Inc
  • White-Lilly Inc
  • Exotic Inc
  • Hydra Inc
  • Rev Up
  • Touch base
  • Orchid

শেষ কথা 

নতুন ব্যবসার নাম নির্বাচন করার উপায় দেয়ার পাশাপাশি দোকানের সুন্দর নামের তালিকা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আরেকটা কথা, অনেক দোকানের নামের সাথে মেসার্স ও ট্রেডার্স লেখা থাকে। মেসার্স ব্যবহারের নিয়ম হলো, কোন দোকান বা প্রতিষ্ঠানের নাম মানুষের নাম হলে মেসার্স যুক্ত হবে। আর, অন্যের উৎপাদিত পণ্য যখন কোন প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে তখন তাকে ট্রেডার্স বলে।

আপনার মাথায় যদি আরও কোন নাম বা প্রশ্ন থাকে তাহলে, কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়

মার্কেটিং নিয়ে তো অনেকেই পড়া লেখা করে কিন্তু, মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় কত জন জানে। মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় জানা থাকলে যেকোন ব্যবসায় সফলতা লাভ করা সম্ভব। আজকাল অনেকেই চাকরি থেকে ব্যবসা করার প্রতি বেশি আগ্রহী। নিজের একটি সুন্দর গুছানো ও পরিপাটি ব্যবসা থাকবে আর সেই ব্যবসার সুনাম দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়বে সেই স্বপ্ন সবাই দেখে।

একটি ব্যবসা শুরু করার পর থেকে তা চালিয়ে নেয়া বেশ কষ্টকর  হয়ে থাকে। কোন একটি পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করার পর সেটার প্রচার নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়। নিজের ব্যবসার পণ্যটি অন্যের কাছে যত সুন্দর ভাবে প্রচার করা যাবে, ব্যবসার জন্য সেটা তত ভালো হবে। পণ্যের এই প্রচারণাকে বলা হয় মার্কেটিং। মার্কেটিং হলো ব্যবসার ধরন বা বিবরণ প্রচার করা। নিজের পণ্যকে সবার সামনে ‍তুলে ধরা।

এই মার্কেটিং যত ভালো হবে ব্যবসা তত প্রসার হবে। সেল তত বৃদ্ধি পাবে তাই মার্কেটিং সফল করার পেছনে ব্যবসায়িক সফলতা অনেকাংশে নির্ভরশীল। মার্কেটিং এ সফল হওয়ার জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করতে হয়। আজ আমরা জানব মার্কেটিং এ সফল হওয়ার কিছু উপায়। এর আগের লেখায় আমরা মার্কেটিং করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।

মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়

মার্কেটিং কাকে বলে?

ল্যাটিন শব্দ marketus থেকে market শব্দটি এসেছে। আর মার্কেট থেকেই মার্কেটিংয়ের উৎপত্তি। বাংলাতে মার্কেটিংয়ের অর্থ বাজারজাতকরণ। যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকের নিকট পণ্য এবং সেবাসমূহের পরিচিত পৌঁছায় তাকে মার্কেটিং বলে। তবে, অনেকে অবশ্য মার্কেটিং মানে শুধু প্রচারকে বোঝায়ে। যাদিও এই ধারণা ঠিক নয়। মার্কেটিং এর জনপ্রিয় একটি টার্ম হল 4 Ps। মানে:

  • Product – পণ্য
  • Price – মূল্য
  • Place – স্থান
  • Promotion – প্রচার

আজকে আমরা মার্কেটিং নিয়ে নয় বরং How to be successful in marketing তথা মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করবো।

১. সঠিক প্রচার

মার্কেটিং এ সফল হওয়ার অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে নিজের পণ্যের সঠিক প্রচারণা। অনেক সময় দেখা যায় অনেক কোম্পানি বা অনেক মার্কেটার নিজের পণ্যটি ঠিক মতো অপরের কাছে প্রচার করতে পারছে না। পণ্যের গুনাগুন, পণ্য ব্যবহারে সুবিধা এসব বিষয়গুলো পরিষ্কার ভাবে গ্রাহকের কাছে তুলে ধরতে হবে।

গ্রাহক যদি ঠিকমত বুঝতেই না পারে ঠিক কি ধরনের পণ্য নিয়ে  আপনি কাজ করছেন, পণ্যের গুনগত মান কেমন হবে তাহলে গ্রাহক কখনোই তা ক্রয় করতে আগ্রহী হবে না। তাই সঠিক প্রচারণা খুব জরুরি।

২. কথা কম বলা, বেশি শোনার অভ্যাস করা

মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে নিজে কথা কম বলে অন্যদের থেকে কথা শোনার অভ্যাস করা জরুরি। এক্ষেত্রে দেখা যায় , গ্রাহকের কথা শোনার মাধ্যমে আমরা তার সুযোগ সুবিধা ও অসুবিধার কথা জানতে পারব। তার চাহিদা বুঝতে পারব। তার বাজেট সম্পর্কে ধারনা করতে পারব। ঠিক কি ধরনের সেবা সে চাচ্ছে বা কি ধরনের পণ্য তার প্রয়োজন সে সম্পর্কে জানতে পারব।

অযথা বেশি কথা বলে গ্রাহককে বিরক্ত করা যাবে না। এর পরিবর্তে তাকে কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। তার মতামত প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। আমরা সাধারনত যেখানে আমাদের কথার গুরুত্ব  পাই সেদিকে বেশি আগ্রহী হই। তাই গ্রাহক যদি দেখে যে তাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তাহলে সে কোম্পানির প্রতি আস্থা রাখবে খুব সহজেই।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা

এখন অনেকেই অনলাইন থেকে কেনাকাটায় বেশি আগ্রহী। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে সবাই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছে। সেদিক থেকে মার্কেটিং অনলাইন ভিত্তিক ও করা যেতে পারে। মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় হিসাবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়েকে অবশ্যই রাখতে হবে।

Related: ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব?

ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট বা ইউটিউব এসবে বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করা যায় বা সুন্দর  আকর্ষণীয় ছবি দেয়া যায় যাতে করে গ্রাহক আগ্রহী হয়। পেজ বা ওয়েবসাইটে পণ্যটি সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ও স্বচ্ছ বিবরণী দেয়া যায় যাতে করে পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকের খুব সুন্দর  একটি ধারনা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রকারভেদ:

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রকারভেদ
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রকারভেদ
  • স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEO)
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ইমেল মার্কেটিং
  • পে পার ক্লিক অ্যাডভারটাইজ
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • মোবাইল মার্কেটিং
  • রেফারেল মার্কেটিং
  • ফোরাম মার্কেটিং

৪. মার্কেটিং নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করা

একজন সফল মার্কেটার এর চারদিকে নজর রাখতে হয়। প্রতিযোগীতামূলক এই বাজারে আরো অনেকেই একই পণ্য নিয়ে কাজ করবে। তারা কিভাবে কাজ করছে তাদের কাজের ধরন সেসব বিষয়ে নজর রাখতে হবে। এই সব বিষয় নিয়ে গবেষণা করে নিজের পণ্যটি কিভাবে আরো আকর্ষণীয় ভাবে সবার কাছে তুলে ধরা যায় সেদিক নিয়ে ভাবতে হবে। অন্য কোম্পানি থেকে নিজের পণ্যটি ঠিক কোন কোন দিক থেকে সেরা সেটি সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করতে হবে।

মার্কেটিং নিয়ে সেরা কিছু বই

  • Principle of Marketing – Philip Kotler
  • Ogilvy on Advertising – David Ogilvy
  • E-commerce Get It Right! – Ian Daniel
  • Hacking Growth – Sean Ellis
  • Building a StoryBrand – Donald Miller
  • Launch – Jeff Walker
  • The 22 Immutable Laws of Marketing – Al Ries
  • Guerilla Marketing – Jay Conrad Levinson
  • Blue Ocean Strategy – W. Chan Kim and Renée Mauborgne
  • ইমোশনাল মার্কেটিং – মুনির হাসান
  • ১০০ গ্রেট মার্কেটিং আইডিয়া – জিম ব্লাইথ

এইগুলোর বাহিরে অসংখ্য ভাল বই আছে মার্কেটিংয়ের উপরে, প্রতিদিন একটি টাইম রাখুন বই পড়ার জন্য। ইউটিউবে ভিডিও এবং অনলাইনে প্রচুর ব্লগ আছে মার্কেটিংয়ের উপরে সেইগুলো পড়ুন নিয়মিত।

৫. নতুন জিনিস উদ্ভাবনের চেষ্টা করা

মার্কেটিং এ সফল হতে গেলে নিজের মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি থাকতে হবে। গতানুগতিক চিন্তা থেকে বের হয়ে একটু আলাদাভাবে চিন্তা করতে হবে। কিভাবে কি করলে নিজের পণ্যটি বেশি সময় মার্কেট ধরে রাখতে পারবে, সবার কাছে খুব সহজেই পৌঁছাবে সেদিকে নিয়ে সবসময় ভাবতে হবে।

গ্রাহক সব সময়ই সব কিছুতে নতুনত্ব খোঁজে। সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই পরিবর্তন হয়। তাই নিজের পণ্যটিও সময়ের সাথে সাথে নতুনত্ব আনতে হবে। নতুন নতুন জিনিস দিয়ে বাজার ব্যবস্থা, গ্রাহকের পছন্দ ও চাহিদার বিষয়টি খেয়াল করতে হবে। মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় হিসাবে উদ্ভাবনের চেষ্টা বা ক্ষমতা থাকা জরুরি।

৬. গ্রাহকের চাহিদা সম্পর্কে জানা

মার্কেটিং এ কাজ করতে গেলে এবং এ কাজে সফল হতে গেলে অবশ্যই পণ্যের গ্রাহকদের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। কোন ধরনের গ্রাহক কোন পণ্যটি সম্পর্কে বেশি আগ্রহী হতে পারে সে ধরনের গ্রাহকদের নিয়ে আগে গবেষনা করতে হবে।

মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়
মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়

একটি বিশেষ বয়সের গ্রাহকদের পছন্দ, অপছন্দ, তাদের চিন্তা ভাবনা, তাদের আবেগ, অনুভুতি, তাদের ইচ্ছা  এসব দিকে যদি ঠিকমতো খেয়াল রাখা যায় তাহলে নিজের পণ্যটিকে সেই ভাবেই তাদের সামনে উপস্থাপন করা যাবে। পণ্যটিতে সেই ধরনের সুযোগ সুবিধা যদি গ্রাহক পেয়ে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে সেই গ্রাহকের কাছ থেকে অন্যরা পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। এতে করে সেল বৃদ্ধি পাবে।

৭. টিমের সাথে কাজ করার মানসিকতা

মার্কেটিং করতে গেলে অবশ্যই টিমভিত্তিক কাজ করতে হতে পারে। কারন একার পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে একসাথে একটি দলে অনেককেই কাজ করতে হতে পারে।

সেই মানসিকতা থাকতে হবে। দলের সবার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা, সহযোগিতা করা, প্রোজেক্ট তৈরি করা এসব ক্ষেত্রে সবাই মিলে কাজ করার মানসিকতা রাখতে হবে।

৮. আত্নবিশ্বাসী হতে হবে

মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় এর মধ্যে একটি হলো, নিজেকে আত্নবিশ্বাসী হতে হবে। নিজের প্রতি ও নিজের কাজের প্রতি আত্নবিশ্বাস থাকতে হবে। যখন কারো সামনে কথা বলা হবে তখন পুরো আত্নবিশ্বাসের সাথে কথা বলতে হবে। নিজের বসের সামনে বা কোন প্রেস মিটিং এ বা কোন ধরনের সেমিনার বা গ্রাহকের সামনে , যার সাথেই কথা বলা হোক না কেন এমন ভাবে বুঝাতে হবে যে আপনার পণ্যটিই সেরা।

কথায় আত্নবিশ্বাস প্রকাশ পেলেই সামনের মানুষটির উপর তা প্রভাব ফেলবে এবং সে বুঝতে চাইবে যে আপনার পণ্যটিই সেরা এবং সে সেটি ক্রয় করতে আগ্রহী হবে।

পরিশেষে

এই ছিল আজকে মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায়। আসলে মার্কেটিং এর উপর ব্যবসার সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে। মার্কেটিং যত বেশি সু্ন্দর হবে পণ্যটি গ্রাহকের কাছে তত দ্রুত পৌঁছাবে। তাই মার্কেটিং এ সফল হতে গেলে উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে এগুলে সফলতা অর্জন সম্ভব।

মার্কেটিং করার কৌশল

মার্কেটিং করার কৌশল জানা থাকলে, আপনি খুব সহজে কাস্টমারের নিকট পৌছাতে পারবেন। মার্কেটিং আপনার ব্যবসায়ের ব্রান্ড ভ্যালু যেমন বৃদ্ধি করবে, সেই সাথে বৃদ্ধি করবে আপনার বিক্রি। ব্যবসায় সফল হতে গেলে আমাদের নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে জরুরি যে জিনিস সেটা হলো মার্কেটিং।

ব্যবসা করতে গেলে পণ্যের মার্কেটিং অতি প্রয়োজনীয়। মার্কেটিং ছাড়া কোন ব্যবসাই টিকে থাকবে না। প্রতিযোগীতামূলক এ বাজারে টিকে থাকতে হলে পণ্যের সঠিক মার্কেটিং খুব জরুরি। এই মার্কেটিং যত বেশি ভালো হবে ব্যবসার সমৃদ্ধি তত বেশি হবে।

গতানুগতিক ভাবে পণ্যের প্রচার না করে একটু আলাদা ভাবে নিজের পণ্য কে সবার সামনে তুলে ধরতে পারলে ব্যবসার প্রসার ভালো হবে। তাই এই মার্কেটিং এর জন্য দরকার কিছু কৌশল। আজ আমরা আলোচনা করব মার্কেটিং এর কিছু কৌশল এর ব্যাপারে। চলুন জেনে নিই মার্কেটিং এর কিছু কৌশল। চাইলে মার্কেটিং এ সফল হওয়ার উপায় জেনে রাখতে পারেন।

মার্কেটিং করার কৌশল

মার্কেটিং কি?

মার্কেটিং এর কৌশল জানতে হলে আগে আমাদের জানতে হবে মার্কেটিং জিনিসটা কি! মার্কেটিং হলো কোন একটা ব্র্যান্ড বা কোন প্রোডাক্ট বা কোন ব্যবসাকে সকলের সামনে সুন্দরভাবে ও আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করা। বাজারে এর চাহিদা বৃদ্ধি করা। এর জন্য অবশ্যই কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। যাতে কাস্টমার পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

ব্যবসা শুরু করলে পণ্যের মার্কেটিং এর বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। এই সব দিকে সময় দেয়া ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

১. কাস্টমার টার্গেট করা

মার্কেটিং করার কৌশল এর একটি অন্যতম কৌশল হলো সঠিক কাস্টমার টার্গেট করা। সঠিক কাস্টমার টার্গেট না করতে পারলে, মার্কেটিং করেও কোন লাভ হবে না। যেমন আপনি যদি কোন মেক আপ প্রোডাক্টের মার্কেটিং করেন তাহলে, আপনাকে অবশ্যই কোন যুবতী নারী কাস্টমার খুজঁতে হবে। এক্ষেত্রে কোন বৃদ্ধ বা শিশুর কাছে মার্কেটিং করে কোন লাভ হবে না।

২. সঠিক স্থান নির্ধারণ

মার্কেটিং অবশ্যই সঠিক স্থানে হতে হবে। এলোমেলো স্থানে গিয়ে মার্কেটিং করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে না। যেমন আমি যদি কোন ইমপোর্টেড ড্রেস বা জুতা বিক্রয় করার জন্য মাছের বাজারে যাই তাহলে, সেটার কোন ভালো ফল পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে আমাকে অবশ্যই কোন সুপার শপ বা শপিংমলে যেতে হবে।

৩. বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন করা

পণ্যের সঠিক মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন করা যায়। এক্ষেত্রে এই প্রোগ্রাম টি অনলাইন বা অফলাইন দুই ভাবেই করা যেতে পারে। প্রোগ্রাম আয়োজন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের একটি ভালো ধারনা দেওয়া।

ক্রেতা যাতে আপনার পণ্যটি কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠে তার জন্য সমস্ত আয়োজন করা। পণ্যের ভালো দিক গুলো ক্রেতার সামনে তুলে ধরা। অন্য একটি পণ্য থেকে আপনার পণ্যের গুনগত মান ভালো এবং সেটি দামেও সাশ্রয়ী সেটা ক্রেতাদের বুঝিয়ে বলা।

৪. ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে গুরুত্ব দেয়া

ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট বা অনলাইন মার্কেটিং। যখন আপনি আপনার পণ্যের প্রচার বা বিজ্ঞাপন অনলাইনে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে করবেন তখন সেটা ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমানে অনেক ব্যবসা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর ভিত্তি করে চলেছে। কেননা, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে খরচ কম এবং টার্গেট কাস্টমারের নিকট পৌছানো যায়।

Related: ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন কিভাবে?

বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যম:

  • স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং (সেরা ৫টি ফেসবুক মার্কেটিং ফ্রি কোর্স)
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEO)
  • ইমেল মার্কেটিং
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • পে পার ক্লিক অ্যাডভারটাইজ
  • মোবাইল মার্কেটিং
  • ফোরাম মার্কেটিং
  • রেফারেল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সুবিধা:

  • ট্রেডিশনাল মার্কেটিংয়ের থেকে খরচ অনেক কম।
  • টার্গেটেড কাস্টমারের নিকট পৌছানো যায়।
  • কম সময়ে অনেক বেশি কাস্টমারের নিকট পৌছানো যায়।
  • সরাসরি অনলাইনে বিক্রি করা যায়।
  • ব্রান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পায়

এখন সবাই অনলাইনে পণ্য কেনার ব্যাপারে বেশি উৎসাহী। সেক্ষেত্রে অনলাইন সাইটগুলো আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। ওয়েবসাইট, ফেসবুজ পেজ, ইউটিউব ইত্যাদি সাইটে নিজের পণ্যের একটি সুন্দর কাঠামো তৈরি করা যায়। এর মাধ্যমে সবার কাছে নিজের কাজটি পৌঁছে দেওয়া যায়। জেনে নিন, কিভাবে ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়

৫. গ্রাহক বাজেটে পণ্যের দাম নির্ধারণ

পণ্যের মান এবং গ্রাহক বাজেট দুইটা জিনিসই খুব গুরুত্বপূর্ণ। পণ্য বাজারে ছাড়ার আগে অবশ্যই গ্রাহক বাজেট মাথায় রাখতে হবে। পণ্যের দাম যদি সাধারন বাজেটের চেয়ে বেশি হয়ে যায় তাহলে কাস্টমার টার্গেট করা কষ্টকর হয়ে পড়বে।

একটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির কাস্টমার ছাড়া বাকি কেউ পণ্য ক্রয় করতে আগ্রহী হবে না। আবার পণ্যের দাম কমাতে গিয়ে মান খারাপ করে ফেললে চলবে না। তাহলেও একটি নির্দিষ্ট সময় পর সেই পণ্য আর কেউ কিনবে না।

মার্কেটিং করার কৌশল
মার্কেটিং করার কৌশল

৬. পণ্যের সঠিক বিবরণী

পণ্যের সঠিক বিবরণী গ্রাহকের কাছে তুলে ধরতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় একটি পণ্য সম্বন্ধে ভালো ধারনা না থাকার কারণে সেটি গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছায় না। এর জন্য পণ্য সম্পর্কে সুন্দর একটি লিখিত ও আকর্ষণীয় বিবরণী তুলে ধরতে হবে।

পণ্যের একটি সুন্দর ছবি দিতে হবে। একটি সুন্দর ও ভালো মানের ছবি ও সুন্দর বিবরণী পণ্যটিকে গ্রাহকের কাছে আরো  আকর্ষণীয় করে তুলবে।

৭. অন্য প্রতিদ্বন্দীদের দিকে নজর দিতে হবে

বর্তমান প্রতিযোগীতার বাজারে একই জিনিস নিয়ে অন্য অনেকে ব্যবসা করছে।  এই সবের মধ্যে নিজের পণ্যটিকে সবার কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আশেপাশের সবার দিকেও নজর রাখতে হবে। একই পণ্য নিয়ে অন্য যারা কাজ করছেন তারা কিভাবে কাজ করছেন, গ্রাহককে কি কি ধরনের সেবা দিচ্ছে সে সব বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

কারণ, অনেক সময়ই গ্রাহক পণ্য কিনার সময় অন্য কোম্পানির সাথে তুলনা করে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার পণ্যটি অন্যদের থেকে কোন কোন দিক থেকে ভালো এবং ঠিক কি কারণে আপনার পণ্যটি গ্রাহক কিনবে তার একটি সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারলে মার্কেটিং এ সুবিধা হবে।

৮. বিভিন্ন অফার দেওয়া

বিভিন্ন বিশেষ দিবস গুলোতে বিভিন্ন অফারের আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এটি ক্রেতাদের মাথায় ও থাকবে যে বিশেষ দিবস গুলোতে এই ব্যান্ডটি বা এই প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ অফারের আয়োজন করে থাকে। এছাড়া ক্রেতাদের বিভিন্ন সুবিধা অফার করা যায়। এটা মার্কেটিং করার কৌশল এর মধ্যে অন্যতম একটি কৌশল।

কোন একটি নির্দিষ্ট পণ্য ক্রয় করলে ক্রেতা একটি বিশেষ অফারের আওতায় পড়বে এই ধরনের কিছু সুযোগ সুবিধা রাখা যায়। বিভিন্ন গিফট এর আয়োজন করা যেতে পারে। সবাই ই গিফট পেতে পছন্দ করে থাকে। সেক্ষেত্রে যদি একটি নির্দিষ্ট পণ্য ক্রয়ে ছোট একটি গিফট এর আয়োজন থাকে তাহলে ক্রেতা আগ্রহী হবে বেশি।

৯. সামাজিক কোন কাজে পণ্যের ব্যবহার:

যদি সম্ভব হয় তাহলে সামাজিক কোন কাজে নিজের পণ্যটি ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সাধারন মানুষ খুব কাছ থেকে পণ্যটি দেখতে পাবে এবং তার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবে। একবার সাধারন মানুষের ভালো লাগলে সেই পণ্যটি তখন মানুষের মুখে মুখে প্রচার হবে।

১০. মেলার আয়োজন করা

নিজের পণ্যটি কাস্টমারের খুব কাছ পর্যন্ত পৌছে দিতে মেলার আয়োজন করা যায়। মেলায় এক্ষেত্রে বিভিন্ন র‌্যাফেল ড্র বা বিভিন্ন ছাড়ের আয়োজন করা যেতে পারে। ছাড়ে জিনিস পেলে অনেক সময় কাস্টমার খুশি হয় এবং পণ্যের মান ভালো হলে পরবর্তীতে একই জিনিস কিনতে আগ্রহীও হয়। এটাও মার্কেটিং করার কৌশল এর মধ্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

পরিশেষে

এই ছিল আজকে মার্কেটিং করার কৌশল নিয়ে সংক্ষিপ্ত লেখা। মার্কেটিং হতে হবে একটু গুছানো, অন্যদের থেকে আকর্ষণীয়। অন্য প্রতিদ্বন্দীদের থেকে আলাদা। সঠিক কৌশল প্রয়োগ করতে পারলে মার্কেটিং এ ভালো ফল পাওয়া যাবে এবং ব্যবসা হবে সফল।

আপনার ওয়েব ডেভেলপার আপনাকে ভয়ংকর ক্ষতির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেনাতো?

আপনার ওয়েব ডেভেলপার আপনাকে ভয়ংকর ক্ষতির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেনাতো?
লক্ষ্য টাকার E- Commerce বিজনেস এর জন্য ওয়েবসাইট তেরীর বাজেট রেখেছেন মাত্র ৪/৫ হাজার টাকা? খাল কেটে কুমির টেনে আনছেন নাতো?
আচ্ছা ভেবে দেখুনতো যেখানে শুধু ডোমেইন & হোস্টিং কিনতে এক বছরের জন্য খরচ হয় ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা নুন্যতম, একটা থিম বা স্ক্রিপ্ট এর মূল্য থাকে ৪০০০-৫০০০ টাকা তাহলে একটা ওয়েবসাইট তৈরী করার জন্য শুধু মেটেরিয়ালই লাগছে এরাউন্ড ৬০০০ টাকা তারপর সাইট কাস্টমাইজ/ ডেভেলপমেন্ট খরচ রয়েছে, সেখানে ইনটোটাল ৫০০০ টাকাতে আপনার ওয়েব ডেভেলপার কিভাবে আপনাকে ওয়েবসাইট দিচ্ছে?
তাহলে যেই ডেভেলপাররা এমন লোভনীয় ওফার দিয়ে আপনাদের ফাঁদে ফেলছে তারা কি দিচ্ছে?
সেই সকল ডেভেলপাররা নাল বা ক্রাকড স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে প্রি মেইড কোন একটা ওয়েবসাইট বারবার বিভিন্ন জনের কাছে সেল দিচ্ছে।
আমারা সাধারণ মানুষ যাদের ডেভেলপমেন্ট এর এই টেকনোলোজি নিয়ে ৫% ও ধারনা নেই তাই না বুঝেই এই ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের ক্ষতি ডেকে আনছি, আসেন নাল বা ক্রাকড স্ক্রিপ্ট কি তা সহজ করে বুঝায়, ধরুন আপনি রাস্তায় একটি তালা কুড়িয়ে পেলেন এবং বাড়িতে এসে মহা খুশিতে সেই তালা দিয়ে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোন জিনিস তালা বন্ধ করে রাখলেন, আচ্ছা সেই তালার চাবি যে অন্য কারর কাছে নেই সেটা আপনি সিউর হতে পারবেন? সেই তালা দিয়ে আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোন জিনিস তালা বন্ধ করা কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে?
ঠিক ব্যাপারটা এইরকম নাল স্ক্রিপ্ট হচ্ছে সেই পরে পাওয়া তালা, যা আপনি বব্যহার করলেন ঠিকই কিন্তু চাবি অন্য কারর কাছে, যা দিয়ে খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইট এর সকল তথ্য চুরি ও হ্যাক করা যাই, যার ফলে খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইট এর নিয়ন্ত্রন এবং নিরাপ্ততা হারাবেন।
আবার সেই সকল ডেভেলপার বলবে যে আপনাকে লাইফটাইম সাপোর্ট ও দেবে, এবার ধরুন আপনি একজনের কাছ থেকে একটি তালা নিয়ে ঘরে তালা দিয়ে বাইরে গেলেন, এখন অই তালার যে চাবি তা সেই ব্যক্তির কাছে অবশ্যই আছে, এখন যদি উনি আপনার ঘরের তালা খুলে চুরি করে নেই, পরবর্তীতে আপনি এসে যদি উনাকে ধরেন তবে সে শিকার করবে? আপনার হারানো জিনিস ফিরে পাবেন? কারন আন-অথরাইজড জিনিসের কোন সাপোর্ট হয়না।
তাই আশা করা যাই কোন বুদ্ধিমান মানুষ অন্যের তালা নিজের ঘরে লাগিয়ে রাখবেন না।
ইতি মধ্যেই আসা করি নাল স্ক্রিপ্ট যে কতোটা ভয়ংকর হতে পারে তা বুঝতে পেরেছেন।
তারপর ও নাল স্ক্রিপ্ট এর এর ক্ষতিকর কিছু দিক নিয়ে বলি।
১) আন সিকিউর ওয়েবসাইট।
২) যেকোন সময় ওয়েবসাইট ডাউন হয়ে যাওয়া, সাইট ক্রাশ করা।
৩) আপনার কনফিডেনশিয়াল তথ্য খুব সহজেই চুরি হওয়া।
৪)ক্লাইন্টের তথ্য চুরি হওয়া।
৫) খুব সহজেই আপনার সাইট হ্যাক হতে পারে।
এইগুলো প্রাথমিক ক্ষতিকর দিকগুলো।
তাই বলি একটা সিকিউর, সেফ, প্রফেশনাল ওয়েবসাইট বানাইতে হলে কমপক্ষ্যে ১০০০০ থেকে ১৫০০০ টাকা ডেভেলপমেন্ট বাজেট রাখুন। প্রফেশনাল ডেভেলপার বা কোন এজেন্সি থেকে ডেভেলপমেন্ট করুন।
এছাড়া ও আপনার ওয়েবসাইট তৈরীর পরে নিজেই আপনার ওয়েবসাইট সিকিউর করে নিন, কিছু জিনিস আপনার ওয়েব ডেভেলপার থেকে বুঝে নিন যেমন –
১) এডমিন ইউ আর এল চেঞ্জে করুন /admin না রেখে।
২) ওয়েবসাইট এর ব্যাকআপ নিজের কাছে সগ্রহ করুন।
৩) স্ট্রং credential ব্যবহার করুন।
৪) ssl certificate অন আছে কিনা বুঝে নিন।
৫) ইউজড টেকনোলোজি হাইড করিয়ে নিন।
৬) At least use Ddos, bruteforce & SQL injection attack prevention.
যদি ওয়েবসাইট wordpress এ হয়ে থাকে তবে নিজেই এডমিন প্যানেল থেকে অনেকটা বুঝে নিতে পারবেন। এছাড়া ও অনেক সিকিউরিটি ইস্যু নিয়ে কাজ করতে হয়।
অনেকে বলতে পারেন ভাই আমার সাইট বেশ কিছুদিন ভালোই চলছেতো, তাদের উদ্যেশে বলবো ভাইয়া চুরি একদিনই হয় আর যেদিন সব যায় সেদিনই জিনিসের গুরুত্ব বুঝা যায়।
যখন একটা রানিং সাইট হ্যাক হয়ে যাবে বা ক্রাশ হয়ে যাবে ডাটাবেজ সহ আপনার এতোদিনের কস্টের ফল সেদিন বুঝবেন। আমার ক্ষুদ্র কর্ম জীবনের অভিজ্ঞতাই এমন ভুক্তভূগী অনেককেই দেখেছি।
অনেকে ছোট পরিসরে শুরু করতে চাই কম বাজেটে, তারাই এমন ধোকাতে বেশি পরেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলবো শুরু যখন করছেন তখন একটু কষ্ট হলেও ভালোভাবে করুন। কারন তাহলে একটা সময় পর অনেক কষ্টের ফল পাবেন আশা করি কিন্তু কষ্ট করে হারানোর সম্ভবনা খুবই কম।
এছাড়া ও যারা নিজেদের ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তারা নিয়মিত ওয়েবসাইট এর হেলথ স্টাটাস চেক করান প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপার থেকে। নিজের অনলাইন প্লাটফর্মকে সেফ জোন এ রাখুন।
এছাড়া ও যেকোন ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজনে বা কিছু জানার থাকলে বিনা দ্বিধায় প্রশ্ন করুন কমেন্টে অথবা ইনবক্স করুন আমি আমার বেস্ট দিয়ে আপনার উত্তর করার ও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো। এই লিখা থেকে যদি একজন ও উপকৃত হন তবে আমার কষ্ট সার্থক।❤️

Wholesalebd.Net Limited

বৈধ সকল ধরনের পণ্য বেশি বেশি শেয়ার করুন, বিক্রয় হবেই, ইনশাআল্লাহ।
বি:দ্র- বেশি বেশি গ্রুপে ইনভাইট করুন, এতে ক্রয় – বিক্রয় আরো বাড়বে।
Share all kinds of valid products more and more, sales will be done, inshallah.
B: Invite more and more groups, it will increase the buying and selling.

 

ধৈর্য, অধ্যাবসায় আর পরিশ্রম, এই তিনটি এক হলে সাফল্যকে আর থামানো যায় না।
– Napoleon Hill⌚️??
Connect Us.
WholeSaleBD
https://www.facebook.com/wholesalebd.net

 

Connect Us.
WholeSaleBD
https://chat.whatsapp.com/DVuoc0ISrce8j8zBYTrKtv

Join us.
Shah Ali Wholesale Market
https://chat.whatsapp.com/BjJFGeTyqD4FeDoGgtNeqe

 

জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে কি পেলাম সেটাই বড় প্রশ্ন নয়, বরং কি করেছি সেটাই বড় প্রশ্ন।
– Thomas Carlyle ⌚️??
Join us.
WholeSale Market-পাইকারি মার্কেট✅
https://www.facebook.com/groups/wholesalebd01976661110

 

কাঁচা বাদাম ভালো নাকি ভাজা বাদাম?

আমাদের প্রতিদিনের খাবারে পরিচিত একটি নাম হলো বাদাম। এর মধ্যে রয়েছে আখরোট, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম ইত্যাদি। বাদামে থাকে প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। বেশিরভাগ বাদামে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ফাইবার এবং প্রোটিন বেশি থাকে। প্রতিদিন পরিমিত বাদাম খেলে তা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। বাদাম ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরের জন্য একাধিক উপকার করে। বাদাম দুইভাবে খাওয়া হয়- কাঁচা ও ভাজা। কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর? জেনে নিন-

ভাজা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

ভাজা বাদামের স্বাদ ও সুন্দর গন্ধের কারণে মুখে দুর্দান্ত স্বাদ লাগে। ফলে মুঠো মুঠো খেলেও অরুচি লাগে না। যেন আরও খেতে ইচ্ছা হয়। কাঁচা বাদামের তুলনায় ভাজা বাদাম হজম করা কিছুটা সহজ। তাই হজম নিয়ে ‍দুশ্চিন্তা থাকলে কাঁচা বাদামের বদলে ভাজা বাদাম খেতে পারেন।

ওজন কমাতে চাইলে

আপনি যদি ওজন কমানোর পরিকল্পনা করেন, তাহলে তেলে ভাজা বাদাম খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিন। বাদাম তেলে ভাজলে তার সঙ্গে অনেকটা তেল যোগ হয়। এটি বাদামের ফ্যাট ও ক্যালরির পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর পরিবর্তে আপনি শুকনো ভাজা বা কাঁচা বাদাম বেছে নিতে পারেন।

তাপের প্রভাব

বাদাম ভাজার সময় ব্যবহৃত তাপ এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনের মাত্রা কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে। তাপের ফলে বাদামের স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। সেইসঙ্গে যদি তাপে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না হয় বা খুব বেশিক্ষণ সূর্যের সংস্পর্শে থাকে তাহলে এই চর্বি নষ্ট হয়ে বাদামে কটু স্বাদ এবং গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে।

ঘরেই ভেজে খান

আপনি যদি ভাজা বাদাম খেতে পছন্দ করেন এবং সেইসঙ্গে পুষ্টিগুণও ধরে রাখতে চান তবে তাহলে বাজার থেকে কাঁচা বাদাম কিনে ওভেন বা এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহার করে ঘরেই রোস্ট করুন। এতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। অতিরিক্ত লবণযুক্ত প্যাকেট করা বাদামে থাকে অতিরিক্ত তেল ও উচ্চ সোডিয়াম। তাই এসব এড়াতে বাড়িতেই ভেজে খান।

টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে

 

নিকস্টেপস হেল্থকেয়ার 

প্রধান কার্যালয় : লতাপাতা বাজার, লতাপাতা প্লাজা ( ২য় তলা), কাপাসিয়া, গাজীপুর – ১৭৩০
ই-মেইল : niksteps@lukiye.com
মোবাইল:  01711113852 , 01918288948, 01611145788

কাঁচা বাদামের যত উপকারিতা

যারা নিয়ম মাফিক কাঁচা বাদাম খেয়ে থাকেন, তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান প্রবেশ করে। যেমন- কাঁচা বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ওমেগা ৩, আয়রন, ভিটামিন-ই। কাঁচা বাদামের পুষ্টিগুণ হাড়ের জোর বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি, মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্যানসারের আশঙ্কাও দূরে রাখে।

বাদামের মধ্যে উপস্থিত প্রোটিন আমাদের শরীরে মাংসের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। যে সকল মানুষ প্রতিনিয়ত শরীরচর্চা করেন তাদের ক্ষেত্রে কাঁচাবাদাম খুবই ভাল খাবার। এর কারণ শরীরচর্চা করার পরবর্তীতে শরীরে অনেকটা প্রোটিনের প্রয়োজন হয় এবং যে প্রোটিন অনায়াসে আপনারা বাদাম থেকে পেয়ে যাবেন। তবে যাঁদের হজমের সমস্যা আছে তাঁরা কাঁচা বাদাম এড়িয়ে চলুন।

ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে ভাল কাজ করে। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে প্রায় অনেকের হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা শুরু হয়। তখন তাদের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- তখন শরীরে ক্যালসিয়ামের খুবই দরকার পড়ে। দাঁতের ক্ষয় হওয়া আটকাতেও কাজে আসে বাদাম। এছাড়াও আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে।

রক্তসল্পতায় ভুগলেও কাঁচা বাদাম বিশেষভাবে কার্যকরী। কাঁচা বাদামের মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন-ই ত্বকের জন্য খুবই ভাল। নিয়ম মাফিক কাঁচা বাদাম খেলে শরীরে থাকবে সতেজ, বাড়বে উজ্জ্বলতা । ত্বকে কোনরকম বলিরেখা আসবে না। এছাড়াও এই বাদামের মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন-ই চুলও ভাল রাখতেও সাহায্য করে।

আপনি চাইলে কাঁচা বাদাম পিষে বাদাম থেকে দুধ বের করে নিয়ে তা খেতে পারেন। না হলে সরাসরি কাঁচা বাদাম জলে ভিজিয়ে রেখে তা চিবিয়েও খেতে পারেন। তবে একমুঠোই খান। বেশি নয়। তবে শরীরে বিশেষ সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন! সূত্র- নিউজ ১৮

নিকস্টেপস হেল্থকেয়ার 

প্রধান কার্যালয় : লতাপাতা বাজার, লতাপাতা প্লাজা ( ২য় তলা), কাপাসিয়া, গাজীপুর – ১৭৩০
ই-মেইল : niksteps@lukiye.com
মোবাইল:  01711113852 , 01918288948, 01611145788

যে হাটে বিক্রি হয় দেড়-দুই কোটি টাকার শুকনা মরিচ

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, চাঁদপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বৃহত্তর দীঘিরপাড় হাটে বস্তায় বস্তায় শুকনা মরিচ নিয়ে আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আসতে থাকেন মরিচের ক্রেতারা। শুরু হয় হাঁকডাক-বেচাকেনা। এভাবেই প্রতি শুক্র ও সোমবার জমে ওঠে মরিচের এই ঐতিহ্যবাহী হাট। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে মরিচ বেচাকেনা। প্রতি হাটে দেড় থেকে দুই কোটি টাকার মরিচ বেচাকেনা হয় বলে ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের দাবি।

হাটে আসা কৃষক ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা নদীর পারে শতবর্ষ পুরোনো দীঘিরপাড় হাটের অবস্থান। একসময় এ হাটে মরিচের দু–চারটি আড়ত থাকলেও বর্তমানে অর্ধশতাধিক আড়ত আছে। একাধিকবার পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয় এ হাট। তবে এ হাটে নৌকা ও গাড়ি দিয়ে মালামাল বহন করা সহজ এবং যাতায়াত খরচ কম। সে জন্য মুন্সিগঞ্জসহ আশপাশের পাঁচ জেলার চরাঞ্চলে উৎপাদিত মরিচ স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সপ্তাহের দুই দিন এ হাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। চৈত্র ও বৈশাখ—এ দুই মাস এই হাটে চলে মরিচের ধুম কেনাবেচা। প্রতি হাটে দেড় থেকে দুই হাজার মণ মরিচ বিক্রি হয়। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার কোম্পানি ও বড় ব্যবসায়ীরা এ হাট থেকে মরিচ কিনে নিয়ে যান।

সরেজমিন গত শুক্রবার সকালে দেখা যায়, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা আড়তগুলোয় বস্তায় বস্তায় মরিচ নিয়ে বসেছেন। মরিচের ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম এ হাট। বিক্রেতারা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সুরে সুরে ডাকছিলেন আর বলছিলেন, ‘দেখে নেন, বুঝে নেন, একের মাল, ফ্রেশ মাল…।’ বস্তা দেখিয়ে কোনোটি ৩৫০ টাকা কেজি, আবার কোনোটি ৩০০ টাকা কেজি দাম হাঁকানো হচ্ছিল। ক্রেতারা মরিচ নেড়েচেড়ে দাম কমাতে বলছেন। দরদামে মিললে মরিচ কিনে নিচ্ছিলেন ক্রেতারা। সাধারণত মরিচের মান ও আকার ভেদে কেজিপ্রতি ১৯০ থেকে ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দীঘিরপাড় এলাকার কৃষক শরিফ মোল্লা তাঁর জমির শুকনা মরিচ ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে এ হাটেই বিক্রি করছেন। এবার দাম বেশি হওয়ায় খুশি তিনি। তিনি বলেন, ‘কখনো উৎপাদন বাড়ে, দাম কমে। আবার কখনো উৎপাদন ও দাম—দুটোই কম থাকে। গত বছর যে জমিতে ৭০ থেকে ৮০ মণ মরিচ হয়েছে, এ বছর মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ মণ মরিচ হয়েছে। দাম পাব কি না, সে শঙ্কায় ছিলাম। এবার কাঁচা মরিচের দাম ভালো পেয়েছি। এখন শুকনা মরিচের দামও ভালো। উৎপাদন কম হলেও দামের কারণে ভালোই লাভ হয়েছে।’

পাশের শরীয়তপুরের নওপাড়া এলাকার কৃষক বাদল মিজি। তিনি এ হাটে ৩২ মণ মরিচ বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘মরিচ বিক্রির জন্য এ হাট আমাদের প্রথম পছন্দ। এখানে মান বিচারে ন্যায্য দাম পাওয়া যায়। আশপাশের কৃষক-ব্যবসায়ীরা এ হাটে মরিচ নিয়ে আসেন। যাঁরা কিনতে আসেন, তাঁরাও মান যাচাই করে মরিচ কিনতে পারেন।’

নারায়ণগঞ্জের মরিচ ব্যবসায়ী জসিম চৌধুরী বলেন, তিনি প্রতি মৌসুমে দীঘিরপাড়ের এ হাট থেকে দেড়-দুই হাজার মণ মরিচ কেনেন। সেগুলো আবার বিভিন্ন আড়ত ও বাজারে পাইকারি বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘বৈশাখের মাঝামাঝি  ৪০০ থেকে ৪৬০ টাকা কেজি পর্যন্ত মরিচ কিনেছিলাম। সে সময় মানসম্মত মরিচও বেশি ছিল। এখন মৌসুমের শেষ দিকে মরিচের আকার ছোট ও ফ্যাকাশে হয়েছে। দামও কমতে শুরু করেছে। গত কয়েকবারের তুলনায় এ বছর এই হাটে মরিচের দাম বেশি। তবে এ হাটে বস্তার ওপরে যেমন মরিচ থাকে, নিচ পর্যন্ত সেই মানের মরিচই পাওয়া যায়। কোনো ছলচাতুরী করা হয় না।’

এ হাটের মোল্লা এন্টারপ্রাইজ নামের আড়তের আড়তদার সামছুল ইসলাম বলেন, মরিচের আড়তগুলো শুধু শুক্র ও সোমবার এক বেলার জন্য খোলা হয়। এ সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা মরিচ বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। তিনি একাই প্রতি হাটে ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করেন। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে অর্ধশতাধিক আড়তদার আছেন।

দীঘিরপাড় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিজল মোল্লা বলেন, ‘আমাদের এ হাট খুবই পরিচিত। দূরের জেলার মানুষেরা এখানে মরিচ বিক্রি করতে আসেন, আবার কিনতেও আসেন। মরিচ হাটে তোলার আগে ভালো করে শুকানো, বাছাই কাজ করা হয়। এবার প্রতি হাটে এক থেকে দেড় হাজার মণের বেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে, যার বাজারমূল্য দেড় থেকে দুই কোটি টাকা। মরিচের আকার, রং ও ধরন অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়। ক্রেতা-বিক্রেতারা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী দামে মরিচ কেনাবেচা করেন।’

টঙ্গিবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়নুল আলম তালুকদার বলেন, দীঘিরপাড় বাজারের মরিচের হাটটি শুধু মুন্সিগঞ্জকেন্দ্রিক নয়; বিভিন্ন জেলা থেকে এ বাজারে মানুষ মরিচ বেচাকেনা করতে আসেন। এ বছর কৃষকেরা মরিচ চাষে লাভবান হয়েছেন। কাঁচা মরিচের দামও বেশি ছিল, এখন শুকনা মরিচের দামও ভালো যাচ্ছে।

মরিচ বাছাই শেষে বস্তাবন্দী করা হচ্ছে। গত শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় বাজারের মরিচের হাটে
মরিচ বাছাই শেষে বস্তাবন্দী করা হচ্ছে। গত শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় বাজারের মরিচের হাটে

 

বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য

এ কে এম ফয়সাল : সৌদি থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষ শুরু করেন মিরাজুল। খরচ মিটিয়ে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। মিরাজুল ইসলাম (৩৩)। ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। আকামা জটিলতায় খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এক বছর বেকার থাকার পর ইউটিউবে পতিত জমিতে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখেন। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেমে পড়েন ড্রাগন চাষে। দেড় বছরের ব্যবধানে এখন উপজেলার সবচেয়ে বড় ড্রাগন বাগান তাঁর। এ বছর খরচ বাদে আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম
বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামের বাসিন্দা মিরাজুল। উপজেলার টগরা গ্রামে দেড় একর জমিতে তিনি ড্রাগনের বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর বাগানে এখন সাড়ে তিন হাজার ড্রাগন ফলের গাছ আছে।

মিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক হিসেবে ১০ বছর সৌদিতে কাজ করে ২০১৯ সালে দেশে ফেরেন তিনি। আকামা সমস্যার কারণে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কিছু একটা করবেন বলে ভাবছিলেন। একদিন ইউটিউবে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখতে পান। সেই থেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহ জন্মে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেড় একর পতিত জমি ড্রাগন চাষের উপযোগী করেন। গাজীপুর থেকে ৬০ টাকা দরে ৬০০ চারা নিয়ে আসেন। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। পরের বছর জুনে ফল পাওয়া শুরু করেন।

ড্রাগনের বাগান করতে মিরাজুলের খরচ হয়েছিল ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ফল বিক্রি করে তাঁর খরচ উঠে গেছে। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গাছে ফল আসে। বছরে ছয় থেকে সাতবার পাকা ড্রাগন সংগ্রহ করা যায়। এখন পরিপক্ব ও রোগমুক্ত গাছের শাখা কেটে নিজেই চারা তৈরি করেন। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি বাগানে চুইঝাল, এলাচ, চায়না লেবুসহ মৌসুমি সবজি চাষ করেন। এ ছাড়া ড্রাগনের চারাও উৎপাদন করে বিক্রি করেন তিনি।

মিরাজুল ইসলাম  বলেন, বাগানের বেশির ভাগ গাছে এ বছর ফল ধরেছে। গত মঙ্গলবার বাগান থেকে দেড় টন ফল সংগ্রহ করেছেন। ২৫০ টাকা কেজি দরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন। স্থানীয় বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন বিক্রি হয়। নভেম্বর পর্যন্ত আরও পাঁচ–ছয়বার বাগান থেকে ফল তোলা যাবে। আশা করছেন, খরচ বাদে এবার আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভ থাকবে।

মিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার বাগান থেকে চারা নিয়ে অনেকে বাড়িতে ও ছাদে ছোট পরিসরে ড্রাগনের বাগান করেছেন। আমি এ পর্যন্ত ৪০ টাকায় দেড় হাজার চারা বিক্রি করেছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ বয়সের একটি ড্রাগনের চারা রোপণের পর ২৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এর মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তবে কয়েক দিন পরপর সেচ দিতে হয়। বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার দিতে হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুন্নেছা বলেন, মিরাজুল ইসলামকে ড্রাগন চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। উপজেলায় তাঁর বাগানটি সবচেয়ে বড়। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে ছোট থেকে বাগানটি বড় করেছেন।

Cart
Your cart is currently empty.