‘বিদেশি স্টাডি সেন্টার স্থাপন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’

বাংলাদেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাভজনক শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার স্থাপন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। মঙ্গলবার (১১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন এ কথা উল্লেখ করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ কলেজের স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনার সাময়িক অনুমতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই অনুমোদনের পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনার অনুমোদন দেওয়ায় দেশের ক্রমবিকাশমান উচ্চশিক্ষা খাতে ব্যাপক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে।

বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনার অনুমোদন প্রসঙ্গে একক নীতি এবং ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধি প্রণয়নের অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি বরাবর চিঠি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা-২০১৪ পুনর্মূল্যায়ন তথা সংশোধন ছাড়া এসব লাভজনক শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হবে না মর্মে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতিকে আশ্বস্ত করা হয়।

এরপর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনার আকস্মিক অনুমোদন দেওয়া হয়, যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস/ স্টাডি সেন্টার পরিচালনা প্রজ্ঞাপন-২০১৪-এর বৈসাদৃশ্য এবং এর ফলে উচ্চশিক্ষা খাতে সৃষ্ট বৈষম্যের কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হয়।

১. ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০’ অনুযায়ী বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ট্রাস্ট আইন-১৮৮২-এর অধীন অলাভজনক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে ‘বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টার কোম্পানি আইন, ১৯৯৪’-এর অধীন লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনুমোদন দেওয়ায় কথা উল্লেখ করা হয়েছে,  যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

২. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর ৪৪(৭) ধারা অনুযায়ী, ‘কোনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ তহবিলের অর্থ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় ব্যয় ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্যে ব্যয় করা যাবে না’, অথচ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টার প্রজ্ঞাপন ২০১৪-এর বিধি ৭(ঝ) অনুযায়ী, উদ্বৃত্ত অর্থ-সম্পদ উদ্যোক্তা, স্থানীয় প্রতিনিধি ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন হবে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা খাতে এ জাতীয় দ্বৈতনীতি কার্যকর হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বেন।

৩. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল গঠন, শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা ও বৃত্তি প্রদানের বাধ্যবাধকতাসহ নানাবিধ শর্ত থাকলেও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনও বিধিমালা রাখা হয়নি।

৪. বৈষম্যমূলক বিধির আওতায় সহজ শর্তে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লাভজনক শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনার অনুমোদন কার্যকর হলে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে। সম্ভাবনাময় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীর বিপরীতে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিশাল অঙ্কের ব্যয় মেটাতে গিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা খাতে বৈদেশিক মুদ্রাপাচার রোধের বিপরীতে নিম্নমানের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামসর্বস্ব ক্যাম্পাস পরিচালনার মাধ্যমে সনদ বাণিজ্যের আশঙ্কা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গত তিন দশক ধরে স্বল্প খরচে মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা প্রদান করে আসছে। বর্তমানে বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সক্ষমতা ও মানের বিচারে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিদেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এসব ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য সরকারি সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হলে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হবে।

সমিতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনার বিভিন্ন বিধিমালা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং অলাভজনক উচ্চশিক্ষার নীতির পরিপন্থী।

সার্বিক বিবেচনায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের শাখা ক্যাম্পাস/স্টাডি সেন্টার পরিচালনার অনুমোদন স্থগিত করে দেশের উচ্চশিক্ষা খাতে বৈষম্যহীন একক নীতি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধি প্রণয়নের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়।

For You, With You, For Ever…. 

সমাহার ডট নেট-এর  পণ্য সামগ্রী ও সেবা পেতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

  • অ্যাপ, সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট, ডিজিটাল মার্কেটিং ও ডোমেইন হোস্টিং রেজিস্টেশন করা হয়।
  • নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ফ্যাশন, পারফিউম, মেডিসিন, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, টিভি, ক্যামেরা, মোটরবাইক, আসবাবপত্র, এপার্টমেন্ট, বাণিজ্যিক এবং আবাসিক প্রপাটির পাশাপাশি জমি ও প্লট সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ ভোক্তাদের জন্য নিবেদিত বিভিন্ন রকমের সার্ভিসগুলো দেয়া হয়।
  • আমাদের রিসেলার হয়ে অবসর সময়ে বিনিয়োগ ছাড়া, দৈনিক শুধু ৩-৪ ঘন্টা সময় দিয়ে নিশ্চিত পেসিভ ইনকাম করুন। ৬/৭ মাস নিয়মিত সময় দিলে অবশ্যই মাসিক ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকামের নিশ্চয়তা রয়েছে।
  • আকর্ষণীয় কমিশনে ডিলার, এজেন্ট ও সেলার সেন্টার দেয়া হচ্ছে…

এছাড়াও আপনি আপনার ব্যবসার জন্য ট্রেডিশনাল মার্কেটিং অথাৎ সরাসরি আপনার ব্যবসার প্রচার করাতে চাইলে। সমাহার ডট নেট এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যেখান থেকে আপনি আপনার ব্যবসার জন্য খুবই কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা ট্রেডিশনাল মার্কেটিং করাতে পারবেন। এছাড়া ও সমস্ত প্রকার ডিজিটাল অথবা ট্রেডিশনাল সুবিধা নিতে পারবেন।

আপনি যদি আপনার ব্যবসাকে কি ভাবে অনলাইনে নিয়ে যাবেন বা ব্যবসাকে বড় করবেন অথাৎ ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন তা জানতে চান তবে , সময় নষ্ট না করে এখুনি  রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।  তার জন্য আপনাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। সম্পূর্ণ ফ্রীতে আপনি পরামর্শ পাবেন।

⌂ প্রধান কার্যালয়ঃ সিকদার প্লাজা (১ম ও ২য় তলা), লতাপাতা বাজার, কাপাসিয়া, গাজীপুর – ১৭৩০

মোবাইলঃ ০১৭১১১১৩৮৫২ , ই-মেইলঃ support@samahar.net

আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছি। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন…

লকডাউনে সক্রিয় ৪ ভার্চুয়াল কোর্ট

লকডাউনে সক্রিয় ৪ ভার্চুয়াল কোর্ট

লকডাউন চলাকালে বিভিন্ন মামলায় আসামিদের জামিনের মেয়াদ ও আদালতের অন্তবর্তীকালীন আদেশের কার্যকারিতা বাড়িয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

তবে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনটি দ্বৈত ও একটি একক ভার্চুয়াল বেঞ্চে সপ্তাহে দু’দিন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারিক কার্যক্রম চলবে।

পাশাপাশি দেশের অধস্তন আদালতসমূহের মধ্যে জেলা ও মহানগর প্রতি একজন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা জরুরি বিষয়ে বিচারকার্য পরিচালিত হবে।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার গোলাম রব্বানী সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত পরিস্থিতিতে আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ১১ পর্যন্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছে এবং অন্যান্য সব অধস্তন আদালত ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।

লকডাউনে মুভমেন্ট পাসের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন, কারা পাবেন

করোনা সংক্রমণ রোধে আজ থেকে সারাদেশে থাকবে সরকারের নতুন বিধিনিষেধ। ২১ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরি সেবার প্রয়োজনে চলাফেরার জন্য লাগবে মুভমেন্ট পাস। মোট ১৪টি শ্রেণিতে ‘মুভমেন্ট পাস’ দিতে একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে পুলিশ।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ চলাকালীন জরুরি প্রয়োজনে চলাচলের জন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ চালু করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে লকডাউনে বিশেষ কয়েকটি কারণে এবং পুলিশের দেয়া ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া যাবে না। এই পাস দেয়া শুরু করেছে পুলিশ। পাস দিতে একটি অ্যাপও চালু করা হয়েছে।

অ্যাপে আবেদনকারী কোথা থেকে কোথায় যাবেন, তা জানতে চাওয়া হবে। সেই সব তথ্য ধাপে ধাপে দিতে হবে। এরপর আবেদনকারীর একটি ছবি আপলোড করে আবেদন জমা (সাবমিট) দিতে হবে। ফিরতি বার্তায় আবেদনকারীকে পাঠানো হবে। সেটা ডাউনলোড করে প্রিন্ট নেয়া যাবে। প্রিন্ট কপিটিই মুভমেন্ট পাস হিসেবে গণ্য করা হবে। একবার পাস নিলে তার সময়সীমা থাকবে তিন ঘণ্টা। অর্থাৎ, তারিখ ও সময় দেয়ার পর থেকে পরবর্তী তিন ঘণ্টা সময় গণনা শুরু হবে। এছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া ও বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আসার জন্য লাগবে আলাদা মুভমেন্ট পাস।

গতকাল মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে মুভমেন্ট পাস অ্যাপের উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।

পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা যায়, করোনার টিকা গ্রহণ, মুদি দোকানে কেনাকাটা, কাঁচা বাজার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা, চাকরি, কৃষিকাজ, পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ, ত্রাণ বিতরণ, মৃতদেহ সৎকার, ব্যবসা ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে নাগরিকেরা মুভমেন্ট পাস নিতে পারবেন। https://movementpass.police.gov.bd/ লিংকে ঢুকে মুভমেন্ট পাসের জন্য আবেদন করতে হবে। মুভমেন্ট পাস ক্লিক করে মোবাইল নম্বরটি প্রবেশ করাতে হবে। এরপর গ্রাহকের মোবাইলে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) চলে যাবে। ওটিপি প্রবেশ করালে পাসের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

মুভমেন্ট পাসের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য

যে থানা এলাকা থেকে যাবেন, যে থানা এলাকায় যাবেন, নাম, লিঙ্গ, বয়স, ভ্রমণের কারণ, পাস ব্যবহারের তারিখ ও সময়, পাসের মেয়াদ শেষের তারিখ ও সময়, জাতীয় পরিচয়পত্র, নিজস্ব গাড়ির তথ্য এবং ছবি এসব তথ্য দিতে হবে।

এই পাসধারী ব্যক্তি বাধামুক্তভাবে সড়কে চলাচল করতে পারবেন। তবে সবাই এই পাস পাচ্ছেন না। শুধু জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দেয়া হবে এই পাস। যিনি পাস পাবেন শুধু তিনিই এটি ব্যবহার করে কাজ করতে পারবেন। পাস নেয়ার সময় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতে চাইলে আবেদনকারী সেটাও করতে পারবেন। পাস কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য না বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।

 

এদিকে, দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে মুভমেন্ট পাস অ্যাপের উদ্বোধনকালে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, মুভমেন্ট পাস ব্যবহার করে নাগরিকরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারবেন। তবে এক মোবাইল নম্বর ও গাড়ি নম্বর দিয়ে একবারই পাস নেয়া যাবে।তিনি আরও বলেন, আমরা বিনা প্রয়োজনে কাউকে রাস্তায় দেখতে চাই না। প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে এবং ঘরে ফিরে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করবেন। আপনার মাধ্যমে যেন আপনার প্রিয়জন করোনায় সংক্রমিত না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আইজিপি বলেন, লকডাউনের দিনগুলোতে অপ্রয়োজনীয় মুভমেন্ট বন্ধ করতে হবে। গত বছর সাধারণ ছুটি দেয়ার পর অনেকেই একসঙ্গে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সংক্রমণের শঙ্কা বাড়িয়েছেন। এবারও ঠিক তাই করছেন। আমি গ্রামের বাসিন্দাদের অনুরোধ করব, যারা ঢাকা থেকে গ্রামে গেছেন, তাদের আইসোলেটেড করুন। তারা যেন অন্যকে আক্রান্ত করতে না পারে।

সাংবাদিকদের মুভমেন্ট পাস লাগবে না

জরুরি প্রয়োজনে মুভমেন্ট পাস সাংবাদিকদের নেয়া লাগবে না। এই পাস শুধুমাত্র যারা কাজে বাইরে বের হবেন তাদের নিতে হবে বলে । যাদের একান্তই বাইরে যাওয়া প্রয়োজন হবে, তাদের জন্য মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াতের জন্য অফিসিয়াল কিংবা জরুরি প্রয়োজনে মুভমেন্ট পাস নেয়া লাগবে। তবে এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের এই পাস নেয়া লাগবে না।

মুভমেন্ট পাস নিতে যা করতে হবে-

১. একটি সচল মোবাইল নম্বর দিতে হবে। সেই নম্বরে একটি ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) যাবে। সেটা দিতে হবে।

২. আবেদনকারীর জন্ম তারিখ দুই বার লিখতে হবে। জন্ম তারিখ যদি ০১-০২-১৯৯৪ হয় তাহলে ০১০২১৯৯৪ লিখতে হবে।

৩. আবেদনকারী যে এলাকায় বা থানার আওতায় বাস করেন তার নাম উল্লেখ করতে হবে।

৪. জরুরি প্রয়োজনে যে এলাকায় যাবেন সেই থানার নাম উল্লেখ করতে হবে। সেই সঙ্গে পুরুষ নাকি নারী সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

৫. আপনি যেহেতু জরুরি প্রয়োজনে বের হবেন, অবশ্যই সেই কাজের নাম উল্লেখ করতে হবে। ১৩টি কাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতেও যদি আপনার প্রয়োজনটি উল্লেখ না থাকে তাহলে অন্যান্য অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। আপনার কাজটি শেষ করতে কত সময় লাগবে তা উল্লেখ করতে হবে।

৬. পাস পেতে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি ইস্টডেন্ট আইডি, জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট নম্বর ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের নম্বর জমা দিতে হবে।

৭. জরুরি কাজে বের হওয়ার সময়ে আপনার নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার করবেন কি না সেটি নিশ্চিত করতে হবে। যদি নিজের গাড়ি ব্যবহার করেন তাহলে গাড়ির নম্বর উল্লেখ করতে হবে।

৮. সবগুলো শর্ত পূরণের পরে আবেদনকারীর একটি সদ্য তোলা ছবি জমা দিয়ে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে আবেদনকারী ফিরতি বার্তায় পাস পেয়ে যাবেন।

যে সিভিগুলো শুরুতেই বাদ পড়ে যায়

এই অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে—একের পর এক প্রতিষ্ঠানে সিভি (কারিকুলাম ভিটা বা জীবনবৃত্তান্ত) পাঠান, কিন্তু ডাক পান না। প্রাথমিক বাছাইতেই বাদ পড়ে যান। কী কী কারণে প্রথম দর্শনেই আপনার সিভি বাদ পড়তে পারে? জানিয়েছেন বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের ট্যালেন্ট অ্যাকুইজিশন লিড স্পেশালিস্ট তানজিনা গিয়াস

১. যোগাযোগের তথ্যবিভ্রাট

সিভিতে আপনার সঠিক ই-মেইল, ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, শুরুতেই নিশ্চিত করা দরকার। সব সময় চেষ্টা করা উচিত, যে টেলিফোন নম্বর বা ই–মেইল আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন, সিভিতে সেটিই ব্যবহার করা। ভুল ফোন নম্বর বা ই–মেইল ঠিকানা দেওয়ার কারণে অনেকের কাছেই চাকরিদাতারা পৌঁছাতে পারেন না বা যোগাযোগ করতে পারেন না। সিভিতে বিশ্ববিদ্যালয় বা অফিসের ই–মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ, অনেক সময় এসব ডোমেইন থেকে ই–মেইল ব্লক করে দেওয়া হয়। আপনি ই–মেইলে যাঁর রেফারেন্স ব্যবহার করছেন, তাঁর সঠিক ফোন নম্বর বা ই–মেইলও উল্লেখ করা খুব জরুরি।

২. বানান ও ব্যাকরণে ভুল

সিভিতে বানান ও ব্যাকরণ ভুল হলে শুরুতেই একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। শুনতে খুব সাধারণ মনে হলেও এই ‘ছোটখাটো’ ভুলের কারণে আপনাকে মূল্য দিতে হতে পারে। সিভি লেখার পর অবশ্যই বানান ও ব্যাকরণে কোনো ভুল হলো কি না, তা যাচাই করতে হবে। এমএস ওয়ার্ড বা অনলাইনের অন্য কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করে খুব সহজে এই ভুল শুধরে নেওয়া যায়। সিভি লেখার পর নিজে দু–তিনবার পড়ে নিলে সবচেয়ে ভালো। প্রয়োজনে বন্ধু বা শিক্ষকের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। একটি ছোট উদাহরণ: ‘FROM’ ও ‘FORM’ দুটি বানানই শুদ্ধ, কিন্তু অর্থ আলাদা। মনের অজান্তেই আপনি হয়তো টাইপ করতে গিয়ে ভুল করে ফেলেছেন। এ ক্ষেত্রে বানান যাচাই করার সফটওয়্যার আপনাকে কোনো ভুল দেখাবে না। কিন্তু আপনি যখন পড়ে দেখবেন, তখন ভুল ধরতে পারবেন।

যে সিভিগুলো শুরুতেই বাদ পড়ে যায়

তানজিনা গিয়াস, ট্যালেন্ট অ্যাকুইজিশন লিড স্পেশালিস্ট, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড ছবি: সংগৃহীত

৩. অপ্রাসঙ্গিক তথ্য

সিভিতে সঠিক ও যথাযথ থাকতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক ও অনুপযুক্ত তথ্যের জন্য সিভি বাদ পড়ে যেতে পারে। আবার প্রয়োজনের তুলনায় খুব সামান্য তথ্য দিলে হয়তো নিয়োগদাতার আপনার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন না। সুতরাং ভারসাম্য বজায় রেখে সিভিতে শুধু অপরিহার্য তথ্য দিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সব সময় ওপরের দিকে রাখা উচিত। সিভিতে সাম্প্রতিক কাজের অভিজ্ঞতা এবং সর্বশেষ সাফল্যগুলো প্রথম দিকে রাখা উচিত। আপনি যে চাকরির জন্য আবেদন করছেন, তার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য রাখার চেষ্টা করুন।

৪. মিথ্যা অথবা বিভ্রান্তিকর তথ্য

সিভিতে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য দেওয়া নিশ্চয়ই অপরাধ। আপনার বর্তমান পদ বা সাফল্য সম্পর্কে মিথ্যা লেখা, চাকরি অথবা পড়ালেখার মধ্যে দীর্ঘ বিরতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া, পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন করা অথবা উল্লেখ না করা—এসব কারণে সিভি বাদ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ব্যক্তিগত অপ্রয়োজনীয় তথ্য, অপ্রাসঙ্গিক আইকন, নিজের অনানুষ্ঠানিক ছবি—এসব দেখে অনেক নিয়োগদাতা আপনার ব্যাপারে অনাগ্রহী হতে পারেন।

৫. যথাযথ পদ্ধতি বা পদ অনুযায়ী আবেদন না করা

সঠিক কাজের ধরনে আবেদন না করলেও সিভি বাদ পড়ে যায়। যেকোনো পদের জন্য সিভি দেওয়ার আগে অবশ্যই ‘জব ডেসক্রিপশন’ বা ‘আবেদনের প্রক্রিয়া’ পড়তে হবে। অপ্রাসঙ্গিক পদে কিংবা নির্ধারিত ধরন অনুসরণ না করে সিভি দিয়ে ইন্টারভিউয়ের অপেক্ষায় বসে থাকলে ভুল হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে বলে বা সিভির ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দিয়ে দেয়। আপনি সেটি অনুসরণ না করলে বা ‘জব ডেসক্রিপশন’–এর সঙ্গে আপনার যোগ্যতা মানানসই কি না, তা যাচাই না করলেও ফলাফল নেতিবাচক হতে পারে।

জেনে নিন মোবাইল দিয়ে আর কাজ করা যায়

আমরা অনেকেই মোবাইলের ব্যবহার বলতে ফেসবুক, গেম খেলা আর মোবাইলে কথা বলাকেই বুঝি। কিন্তু একটি ভালো মানের মোবাইল আপনার ব্যবসা বা অফিসের অনেক কাজকে সহজ করে দিতে পারে। এ জন্য আপনার দরকার  হবে কিছু প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার। মোবাইল ফোন দিয়ে আপনি যে কাজগুলো করতে পারবেন তা নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন।

অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ভালো মানের মোবাইল ফোন। অবশ্যই তা হতে হবে স্মার্ট ফোন। তবে আইফোন, উইন্ডোজ ও অ্যানড্রয়েড—সব ফোনেই সুবিধাগুলো পাওয়া যায়। উইন্ডোজ ফোনে স্থায়ীভাবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট ও এক্সেল দেওয়া হয়। সঙ্গে স্ক্যানিংয়ের জন্য অফিস লেন্স ও ভিডিও কলের জন্য স্কাইপও দেওয়া থাকে। ড্রপবক্স ও ওয়ানড্রাইভের মতো ফাইল শেয়ার করার সুবিধাও থাকে। চাইলে আপনি আরও ফিচার যুক্ত করে নিতে পারেন। আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েডের জন্য আলাদা আলাদ ভার্সনের সফটওয়্যার পাওয়া যায়। সবচেয়ে সহজে পাওয়া যায় অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন সফটওয়্যার।

স্মার্ট ফোন যেটাই হোক, সেক্ষেত্রে ব্যাটারি-লাইফ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথমেই দেখতে হবে ফোনটির ব্যাটারি যেন এমএএইচ বেশি থাকে। স্টোরেজ সাইজ, ক্যামেরা রেজ্যুলেশন, প্রসেসর যেন চাহিদা সম্পন্ন হয়। ইউএসবি ওটিজি সুবিধা থাকলে সরাসরি পেনড্রাইভ, কি-বোর্ড ও মাউস ব্যবহার করতে পারবেন।

নিরাপত্তা বিষয়ক কাজ

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি আপনার অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জনিত কাজগুলো তদারকি করতে পারবেন। আপনার প্রতিষ্ঠানে যদি সিসি ক্যামারা লাগানো থাকে  আর তাতে যদি ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তাহলে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় বিষয় আপনার আয়ত্বে রাখতে পারবেন। এজন্য আপনার মোবাইল ফোনের ফিচার হতে হবে  উন্নত।

ডকুমেন্ট তৈরি

ওয়ার্ডে কিছু লেখা, ষ্প্রেডশিটে হিসাব রাখা, প্রেজেন্টেশন স্লাইড তৈরি, ই-মেইল আদান-প্রদান কিংবা ফাইল সংরক্ষণে পিডিএফে রূপান্তর—কম্পিউটারে এসব কাজে সাধারণত ‘মাইক্রোসফট অফিস’ ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি মাইক্রোসফট স্মার্টফোনের জন্যও এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুবিধা দিচ্ছে। তাই ফোনেও ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট বা আউটলুক ব্যবহার করা যাবে। স্মার্টফোনে অফিসের কাজ সারার জন্য গুগলেরও রয়েছে অ্যাপ্লিকেশন ‘জি-স্যুট’। পিডিএফ করার ক্ষেত্রে ফোনে কম্পিউটারের চেয়েও সুবিধা বেশি। ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ডকুমেন্ট স্ক্যান করে পিডিএফ করা যায়। এ ক্ষেত্রে স্ক্যান করার জন্য ক্যামস্ক্যানার এবং পিডিএফ ফাইল পড়ার জন্য এডোবি রিডার অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে।

মেইল আদানপ্রদান

অফিশিয়াল কাজে ই-মেইল আদান-প্রদান খুবই জরুরি। এ কাজ আরো ভালোভাবে করা যায় আউটলুক ও গুগল ইনবক্স ব্যবহার করে। অনেক প্রতিষ্ঠানেই আজকাল নিজস্ব ই-মেইল সার্ভারের মাধ্যমে অফিশিয়াল মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এ কাজের জন্য আউটলুক আদর্শ। তবে স্মার্টফোনে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও অনেক সময় টাচ স্ক্রিনে টাইপ করতে সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে ব্লুটুথ কি-বোর্ড ব্যবহারে সুবিধা পাওয়া যাবে।

বাইরে থেকে অফিসে কাজ

অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের জন্য স্বতন্ত্র কম্পিউটার না দিয়ে একটি মূল সার্ভারে লগইন করে কাজ করার ব্যবস্থা  রাখে। এতে খরচ ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা কমে। এ ব্যবস্থায় অফিসের বাইরে থেকেও স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের মাধ্যমে কাজ করা যায়। এ জন্য সাধারণত টিম ভিউয়ার, মাইক্রোসফট রিমোট ডেস্কটপ ও ষ্প্ল্যাশটপ অ্যাপ ব্যবহার করা হয়।

ফাইল শেয়ার

অফিসের কাজ বাইরে থেকে করা গেলেও সেগুলো দ্রুত পৌঁছাতে না পারলে সমস্যা। এ ক্ষেত্রে ড্রপবক্স ও গুগল ড্রাইভ কাজের অ্যাপ্লিকেশন। ড্রপবক্স বা গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে অনলাইনে ফোল্ডার তৈরি করে সেখানে ফাইল রেখে লিংকটি ই-মেইল করে কাঙ্কি্ষত ব্যক্তিকে পাঠিয়ে দিলেই হলো। এ ক্ষেত্রে ডেস্কস্টপ ও স্মার্টফোনের নির্দিষ্ট কোনো ফোল্ডার নির্বাচন করে রাখলে সুবিধা পাওয়া যাবে বেশি। এতে ফাইল সহজে হারাবে না।

ভিডিও কনফারেন্স

ভিডিও কলের মাধ্যমে এখন জরুরি মিটিংও সেরে নেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কাজের অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে স্কাইপ। অ্যাপটির মাধ্যমে টিম মিটিং ও সরাসরি আউটলুকে ইভেন্ট তৈরির সুযোগ আছে।

রিমাইন্ডার হিসেবে ব্যবহার

আপনার মোবাইল ফোনটিকে নোটবুক ও রিমাইন্ডার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। প্রত্যেকটি স্মার্ট ফোনে রিমাইন্ডার ফিচারটি যুক্ত থাকে। এছাড়াও গুগল ক্যালেন্ডার, মাইক্রোসফট মেইল অ্যান্ড ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে একটি সম্মিলিত ক্যালেন্ডার ও শিডিউল তৈরি করা সম্ভব। এর মাধ্যমে কার, কোথায়, কখন কোন কাজ রয়েছে, তা প্রতিষ্ঠানের সবাই জানতে পারে। নোটবুক হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে গুগল প্লেস্টোর থেকে বিভিন্ন অ্যাপস ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এই ধরনের অ্যাপের মধ্যে কালার নোট অনেক জনপ্রিয়।

আপনি জেনে খুশি হবেন যে, সমাহার ডট নেট ( Samahar.Net ) ২০১৫ থেকে সফল ভাবে ডিজিটাল ও ট্রেডিশনাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে আসছে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। তাই আপনার ব্যবসার ডিজিটাল ও ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর জন্য আমরা আপনাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসার আমন্ত্রণ রইলো। বিস্তারিত – ০১৭১১১১৩৮৫২

নিজের বিজনেস সম্পর্কে কাস্টমারদের জানানোর জন্যে ওয়েবসাইট তৈরি করুন।

নিজের বিজনেস সম্পর্কে কাস্টমারদের জানানোর জন্যে ওয়েবসাইট তৈরি করুন।আপনি যদি আপনার ব্র্যান্ডের প্রসার চান প্রথমত ওয়েবসাইট তৈরি করুন, যেখানে আপনার বিজনেস তথ্য পাওয়া যাবে।

এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কৌশল-আপনার বিজনেস পরিচিতির জন্যে ওয়েবসাইট তৈরি করুন।এমনভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করুন যাতে আপনার ওয়েবসাইট প্রফেশনাল লুক থাকে।

১.ভিজিটরদের জন্যে ব্যবহারউপযোগী ওয়েবসাইট তৈরি করুন।

২.নিয়মিত সঠিক তথ্য দিয়ে ওয়েবসাইট আপডেট রাখুন।

৩.কোম্পানির কাজের ম্যান অনুযায়ী ডিজাইন সুন্দর করুন।

৪.এমন ভাবে কন্টেন্ট তৈরি করুন যাতে ক্লায়েন্ট আপনার পণ্যের ব্যাপারে আকর্ষণবোধ করে।

৫.প্রতিটি পেজে “কল টু অ্যাকশান” বাটন যুক্ত ভিজিটরকে কিনতে বা কেনার ব্যাপারে যোগাযোগ করতে উৎসাহবোধ করে।

৬.ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের ট্র্যাকিং করার টুল গুগল আনালাইটিকস ব্যবহার করুন।

৭.ওয়েবসাইট এমন টেকনোলজি ব্যবহার করুন যাতে ভিজিটর এবং সার্চইঞ্জিন উভয়ের জন্যে ব্যবহারযোগ্য হয়।

৮. একটি অ্যাক্টিভ কমিউনিটি তৈরি করুন।ফেসবুক,টুইটার,লিঙ্কডিন সহ বাবি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি অ্যাক্টিভ কমিউনিটি থাকা ভালো।

৯.সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয়ভাবে নিয়মিত অংশগ্রহণের জন্যে ম্যানেজমেন্ট টুলস ব্যবহার করুন।

১০.আপনার টার্গেটকৃত ক্রেতাদের সাথে সোশ্যালমিডিয়াতে বিভিন্ন আলোচনাতে অংশগ্রহণ করুন।

১১.কাউকে মেইল করার সময় আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পেজ কিংবা গ্রুপের লিঙ্ক গুলো সিগনেচার হিসাবে ব্যবহার করুন।

১২.আপনার ওয়েবসাইটের সাথে ব্লগ পেজ যুক্ত রাখুন।

এই কাজ গুলো করার আপনাকে অবশ্যই ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।আপনার বিজনেসকে ব্র্যান্ড হিসাবে গড়তে আজ থেকেই শুরু হোক আপনার প্রথম ধাপ।

Cart
Your cart is currently empty.