করোনার মিছিল-শিশির আহাম্মেদ খান

করোনার মিছিল

শিশির আহাম্মেদ খান

মরব যখন একলা কেন
মরব সবাই মিলে !
করোনাভাইরাস বয়ে নিব
ঈদের ছুটি পেলে ।

যানবাহন নাই থাকুক
যাব পায়ে হেটে,
কার আগে কে যাবে
কাধে কাধে মিলে !

আহাম্মক এক মাতাল জাতি
করোনার কি দুশ ?
শহরের রোগ গ্রামের পথে
চলছে ছুটে রোজ ।

করোনার ছোঁয়ায় লাশের মিছিল
বাড়ছে রোজ রোজ,
তবু মোদের করোনার লাগি
ডাকছি মিছিল, করছি করোনার ভোজ।

কল্পনার রং তুলি -শিশির আহাম্মেদ খান

কল্পনার রং তুলি
শিশির আহাম্মেদ খান

কল্পনায় অনেক কিছু
বাস্তবে তা মিথ্যা,
কল্পনায় যা ঘটে
বাস্তবে তা কিতসা।

বাস্তব অনেক কঠিন
বুঝা বড় দ্বায়,
কল্পনা শুধু কল্পনায়
বাস্তবতা আর নয় ।

কল্পনার কলম খানি
একটু না বাকাঁ!
কল্পনার রং তুলি
অচিন পুরের ছবি আঁকা।

কল্পনা ফুরিয়ে গেলে
বাস্তব যায় দেখা ।

একজন নারী -শিশির আহামেদ খান

একজন নারী
শিশির আহামেদ খান

এক জন নারী
একটা জাতির ঠিকানা ,
আদর সোহাগ স্নেহ-মমতা
তার আঁচলেই আছে জমা ।

তার মাঝেই খুঁজে পাই
বোনের অকৃত্রিম ভালবাসা
কখনও আবার নববধু সেজে
স্বপ্নদেখে এক রঙি্গন ভোরের ।

কত না প্র্রেম মনেতে জমা
সে কথা কেউ কি আর জানে?
ওরে তার পেটেতে জম্ম সবার,
লালন নারীর কোলে !

তবু কেন আজ ?
নারীরা হচে্ছ শিকার র্নিযাতনের?
এসমাজ তবে আজ,
সভ্যতার দোহাই দিয়ে
মোরা বাঁচব কেমনে ?

তারিখ:-24/09/20

রূপোর থালা -শিশির আহাম্মেদ খান

রূপোর থালা
শিশির আহাম্মেদ খান

ওরে ফেলে আসা সেই সেদিনের কথা
পড়ছে মনে বেশ,
এত বছর পরেও এসে কাটছে না তার রেশ !
সৌনালী সব স্মৃতির মেলায় খুঁজে পাইনা তল !
রূপোর থালায় সাজিয়ে তারে ,ঝরছে নয়ন জল।


সে সব দিনগুলি যে হইহুল্লোরে মুখর হয়ে থাকত
দুঃখ্য নামের সোনার হরিণ যে কোথায় লুকিয়ে থাকত !
কত দিনের লুকোচুরি কত ঘরের কোনে
শৈশবের ঐ দিনগুলি যে বারংবার হৃদয় নদে ঢেউতুলে ।

এ যুগের শিশু -শিশির আহাম্মেদ খান

এ যুগের শিশু
শিশির আহাম্মেদ খান

আমরা সবাই এ যুগের শিশু
মুক্তি যুদ্ধ দেখি নাই,
কেমন করে যুদ্ধ হল
তাও দেখি নাই !

তবুও আমরা এ যুগের সৈনিক
এসো সোনার বাংলা সাজাই,
মানুষ কে ভালবেসে
ক্ষুধা – দারিদ্রতাকে পরাজিত করতেই চাই।

এসো আমরা দেশ গড়ার যুদ্ধে যাই
ত্রিশ লক্ষ শহীদের খুনে রাঙ্গানো যে মাটি
এস এর মাঝে শান্তির বাসর সাজাই,
এসো আবার যুদ্ধে যাই ।

প্রেম সুধা- শিশির আহাম্মেদ খান

প্রেম সুধা
শিশির আহাম্মেদ খান

হতাশা আর দীর্ঘ শ্বাস
তোমার উচ্ছ্বাসে আমার কারাবাস ,
সব কিছুই নীয়তির অবকাশ
তুমি নেই, তাই এ জীবন খেয়ায় সর্বনাশ।

মনের পৃথিবী আজ আধাঁরে ঢাকা
মিথ্যে আশ্বাসে বেঁচে থাকা,
স্বপ্ন গুলো আজ মেঘে ঢাকা !
তুমি নেই তাই, জীবনের সব আয়োজন ফাঁকা।

বেদনার পরশ ভোলা
রূপালি দিন গুলো সব পথ ভোলা ,
বাঁধন ছিড়ে উড়ল ঘুরি নাটাই ছাড়া
এইত বেশ ভালোই আছি তুমি ছাড়া ।

কষ্ট নামের সোনার হরিণ
মন গহীনে করে খেলা ,
প্রেম গাঙ্গের সুধা নিয়ে
দিলে গো এ কেমন জ্বালা ।

লেখার সময় কাল – ২৩\০২\২০১১

 

মায়ের মূল্য – শিশির আহাম্মেদ খান

মায়ের মূল্য
শিশির আহাম্মেদ খান

মা বড় ধন রক্তের বাঁধন
ধরণীর বুকে ;
যতই জঘন্য হও তুমি সকলের মাঝে ,
পুষ্পতুল্য পবিত্র তবু তুমি মায়ের কাছে।

সন্তান যতই আগ্নেগিরি গড়োক মায়ের বুকে !
তবুও কেন সন্তানের মঙ্গল হোক
এই কামনা জপে নিজ মনে ।

জানিনা সষ্টার এ কেমন খেলা
মা যেন এক দয়ার সাগরে
ভেসে চলা ভালবাসার ভেলা ।

যতই রচিত হোক না ভালবাসার স্মৃতি কথা
তবু বলিব, বিধাতার পরে দুনিয়ার উপরে
মায়ের ভালবাসার কাছে সব কিছুই বৃথা ।

দোলক বোলক আসমান বেদীয়া
খোদার আরশে উঠেছে ছেদীয়া,
তবু সন্তানের প্রতি ভালবাসা হয় নাক ম্লান।

তার পদতলে নারী জাতির সম্মান !
এত আমার কথা নয়,
বলেছেন আল্লাহ মহান।

যতই আসুক বাধা বিজয়ের পথে
মায়ের প্রার্থনা আছে তোমার সাথে ,
মার মতন এত আপন জন
নেই আর এ দুনিয়াতে ।

২৬\৩\২০১১

অজপাড়া গাঁয়- শিশির আহাম্মেদ খান

অজপাড়া গাঁয়
শিশির আহাম্মেদ খান

নিরবতার বাঁধ ভেঙ্গে ঐ দিগন্ত হাসায়
বিকেলের ঝলমলে রোদ ছড়িয়ে পড়ে
রূপ ঠাকুরের গাঁয় !
আকাশ দাঁড়িয়ে দেখ ঐ পাহাড় সীমায় ।

মেঘের আড়ালে যখন সূর্য লুকায়,
উদিত হয় ধনু পূব আকাশ সীমায় !
রাখাল গরু নিয়ে ঘরে ফিরে যায় ,
ক্লান্ত শান্ত কৃষকেরা কাজের সমাপ্তি ঘটায়।

কৃষাণ বধুয়া বসে একে একে গল্প শোনায়
আর নিজেদের ব্যস্ত রাখে উকুন আনায়,
বৃদ্ধা দাদী বসে দাওয়ায়,
ভাঙ্গা মুখে সে পান চিবায়।

কিশোর- কিশোরীরা মেতে ওঠে মজার খেলায়
নৌকার পাল উঠায়ে গান ধরে মাঝি ভাঙ্গা গলায় ,
সেই গান যেন অচেনা আবেগ ছড়ায় !
সূর্য টা তখনি সাগরে লুকায়।

গোধূলির আকাশ পানে দ্বীপ ছড়ায়,
শান্তির দেবতা নেমে আসে এই অজপাড়া গাঁয়।

লিখার সময় কাল =16 / 07/ 2007 # ১ লা শ্রাবণ ১৪১৪

Cart
Your cart is currently empty.