নতুন ব্যবসা শুরু করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে?

আপনি কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন ব্যবসা করার? আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভ কামনা।

ব্যবসা শুরু করতে চেয়ে বসে থাকলে কিন্তু চলবে না, আপনাকে করতে হবে নিখুঁত পরিকল্পনা, এতে করে আপনি পরবর্তী কাজ গুলো সুষ্ঠু ভাবে করতে পারবেন।

ব্যবসা করব শুধু ভাবলেই হবে না, সেই ভাবে মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে, একজন সফল ব্যবসায়ী হতে প্রয়োজন পরিশ্রমী মনোভাব, অদম্য ইচ্ছাশক্তি, যে কোনো সমস্যায় নিজেকে স্থির রাখার দক্ষতা ও ধৈর্য।

ধরে নিলাম ব্যবসায়ী হবার মানবিক গুনাবলি আপনার আছে, তাহলে চলুন জেনে নেই ব্যবসায়ী হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠান দাড় করাতে কি কি প্রয়োজন :

১. #সুন্দর_নাম : আপনার প্রতিষ্ঠানটির সুন্দর নামকরন করুন। নামকরণের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে,

* এমন নাম রাখতে হবে যা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে মিলে না যায়। এতে করে ক্রেতারা দ্বিধাগ্রস্ত হবে না।

* ব্যবসার সাথে নামটি যুক্তিযুক্ত হতে হবে।

*নামটি অবশ্যই আনকমন হতে হবে, তবে এমন নাম রাখা উচিত নয় যা মনে রাখা কঠিন হয়ে যায়।
দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় নাম আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রচার ও প্রসার বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

মোটকথা নামটি সহজ, সাবলীল হতে হবে যাতে করে ক্রেতার মনে আপনার প্রতিষ্ঠান সহজেই জায়গা করে নিতে পারে।

২. #লিঃ_কোম্পানি / #একক_মালিকানা / #পাটনারশীপ

৩. #অফিস_ঠিকানা

৪. #ট্রেড_লাইসেন্স

৫. #TIN_সাটর্ফিকেট

৬. #VAT_সাটর্ফিকেট

৭. #ট্রেড_মার্ক

৮. #মেম্বার_শীপ ( যদি লাগে)

৯. #IRC#ERC ( যদি লাগে)

জেনে তো নিলেন ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন।

 

ঘোষণা 
 পাঠকের প্রশ্ন, বিশেষজ্ঞের উত্তর
 যে কোন আইনি সেবা পেতে আপনার নাম-ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার সহ আপনার সমস্যা বিস্তারিত লিখে আমাদের ই-মেইল করুন ( digitallawfirmlimited@gmail.com ) অথবা নিকটস্থ চেম্বারে সরাসরি চলে আসুন।

ডিজিটাল ল’ অ্যান্ড কনসালট্যান্সি ফার্ম লিমিটেড 

প্রধান কার্যালয় : উত্তর খামের, কাপাসিয়া, গাজীপুর – ১৭৩০
ই-মেইল : digitallawfirmlimited@gmail.com
মোবাইল:  ০১৭১১১১৩৮৫২, ০১৯৫৫৩৭৬১৪৯

খুচরা ব্যবসায় কাকে বলে? খুচরা ব্যবসায় কত প্রকার ও কি কি?

খুচরা ব্যবসায় বিপণন ব্যবস্থার একটি অংশ। খুচরা ব্যবসায় ও খুচরা ব্যবসায়ী (Retailing and Retailers) বণ্টন প্রণালির মধ্যে ভোক্তার সবচেয়ে নিকট খুচরা ব্যবসায়ী অবস্থান করে। ভোগ্য পণ্যের ক্ষেত্রে খুচরা ব্যবসায়ীরাই ভোক্তার সাথে যোগসূত্র স্থাপনের প্রধান ভিত্তি।

খুচরা ব্যবসায় কাকে বলে :-

উৎপাদনকারী বা অন্য কোন উৎস হতে পণ্য ক্রয় করে চূড়ান্ত ভোক্তার নিকট পৌঁছে দেওয়া সংক্রান্ত কার্যাবলিকে খুচরা ব্যবসায় বা Retailing বলে। যে ব্যক্তি খুচরা ব্যবসায়ের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করে তাকে খুচরা ব্যবসায়ী বা Retailer বলে।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ব্যক্তিগত ভোগের জন্য যারা পণ্য খরিদ করে তাদের নিকট যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন পণ্য (যেমন চাল, ডাল, টুথপেস্ট ইত্যাদি) বিক্রি করে, তবে সে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান খুচরা ব্যবসায়ে নিয়োজিত হয়েছেন বলে বিবেচনা করা হবে অনুরূপভাবে, কোন কৃষক রাস্তার ধারে বসে শাক-সবজী বা ধান-চাউল বিক্রি করলে তিনিও খুচরা ব্যবসায়ে নিয়োজিত বলে করা হবে। খুচরা ব্যবসায়ী প্রধানত চূড়ান্ত ভোক্তাদের নিকট অব্যবসায়িক ব্যবহারের (non-business use) জন্য পন্য বিক্রি করে থাকে।

W.J. Stanton খুচরা ব্যবসায়ের যে সংজ্ঞা প্রদান করেছেন তা হলো “Retailing includes all activities directly related to the sale of goods or services to the ultimate consumer for personal, non-business use.”

অর্থাৎ ব্যক্তিগত, অব্যবসায়ী কাজের জন্য চূড়ান্ত ভোক্তার নিকট পণ্য ও সেবা বিক্রির সাথে সরাসরি জড়িত সর্বপ্রকার কার্য খুচরা ব্যবসায়ের অন্তর্ভুক্ত।

Philip Kotler & Gary Armstrong এর মতে“Retailing includes all the activities involved in the selling of goods or services directly to final consumers for their personal, non-business use.”

অর্থাৎ যারা ব্যক্তিগত বা অব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পণ্য ক্রয় করে, তাদের নিকট পণ্য বিক্রয়ের সাথে জড়িত সকল কার্যক্রমই হলো খুচরা ব্যবসায়।

উপরের দুটি সংজ্ঞাতেই খুচরা ব্যবসায়ের প্রকৃতি একইভাবে বর্ণিত হয়েছে। এ ব্যবসায়ের প্রধান উদ্দেশ্য হলো চূড়ান্ত ভোক্তার নিকট সরাসরি পণ্য বিক্রি করা এবং চূড়ান্ত ভোক্তাদের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে থেকে ভোগ্যপণ্য বন্টনের কাজে লিঙ্ক থাকা।

খুচরা ব্যবসায় কত প্রকার ও কি কি :-

বর্তমান যুগে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যেকোন আয়তনের হতে পারে। ভোক্তার আবাসস্থলের পাশে ছোট মুদি দোকান থেকে স্বপ্নের বিশাল বিক্রয় শাখাও এর অন্তর্ভুক্ত।

খুচরা ব্যবসায়ের ধরন বিভাজনে সেবা প্রদানের ধরন, পণ্য সারির দৈর্ঘ্য ও গভীরতা তুলনামূলক মূল্য গ্রহণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংগঠন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে খুচরা ব্যবসায়কে বিভিন্ন ভাবে ভাগ করা হয়, যা নিচে আলোচনা করা হলো –

খুচরা ব্যবসায় কাকে বলে

ক. সেবার পরিমাণভিত্তিক খুচরা ব্যবসায় (Amount of service) :-

ভিন্ন ভিন্ন পণের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ সেবার প্রয়োজন হয়। তাই সেবার পরিমাণ ভিত্তিতে খুচরা ব্যবসায়কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:

১. স্ব-সেবা খুচরা ব্যবসায় (Self service retailers) :-

যে খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে চূড়ান্ত ভোক্তাদের নিজের প্রয়োজনীয় পণ্য নিজেকে খুঁজে বের করে ক্রয়ের জন্য নির্বাচন করতে হয় তাকে স্ব-সেবা খুচরা ব্যবসা বলে। যেমন: সুপার মার্কেট হলো স্ব-সেবা খুচরা ব্যবসায়।

২. সীমিত সেবা খুচরা ব্যবসায় (Limited service retailers) :-

যে খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত ভোক্তাদের কতিপয় নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সেবা প্রদান করে তাকে সীমিত সেবা খুচরা ব্যবসায় বলে। যেমন: সিয়ার্স (Sears), জেসি পেনি (JCPenney) এ ধরনের খুচরা ব্যবসায়।

৩. পূর্ণ সেবাদানকারী খুচরা ব্যবসায় (Full service retailers) :-

যে সকল খুচরা ব্যবসায় চূড়ান্ত ভোক্তাদের প্রয়োজনীয় সকল সেবা প্রদান করে তাদেরকে পূর্ণ সেবাদানকারী খুচরা ব্যবসা বলে।

খ. পণ্য সারি ভিত্তিক খুচরা ব্যবসায় (Product lines retailing) :-

পণ্য সারির ভিত্তিতে খুচরা ব্যবসায়ীকে নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

১. বিশিষ্ট পণ্যের দোকান (Speciality stores) :-

যে খুচরা ব্যবসায়ীরা সীমিত পণ্য সারির বৈচিত্র্যময় পণ্যসম্ভার চূড়ান্ত ভোক্তার জন্য উপস্থাপন করে তাকে বিশিষ্ট পণ্যের দোকান বলে।

২. বিভাগীয় বিপণি (Departmental stores) :-

একই দালানে অবস্থিত ও একই মলিকানা ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত বিভিন্ন পণ্য পৃথক পৃথক বিভাগের মাধ্যমে চূড়ান্ত ভোক্তার নিকট বিক্রয়ের ব্যবস্থাসংবলিত খুচরা ব্যবসায়কে বিভাগীয় বিপণি বলে। যেমন: Infinity Mega Mall.

৩. সুপার মার্কেট (Supermarket) :-

যে বৃহদায়তন খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খাদ্যজাতীয় পণ্য বিক্রির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বিক্রয় করে থাকে তাকে সুপার মার্কেট বলে। যেমন: আমেরিকান স্টোর, আগোরা (Agora), স্বপ্ন (Swapno) ইত্যাদি সুপার মার্কেট।

৪. সুবিধাজনক স্টোরস (Convenience stores) :-

যে গুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সীমিত পণ্য সারির উচ্চ মুনাফা অর্জনযোগ্য পণ্য বিক্রয় করা হয় এবং যার অবস্থান সাধারণত আবাসিক এলাকার কাছাকাছি হয় তাকে সুবিধাজনক স্টোরস বলে। যেমন ফ্যামিলি মার্ট (Family Mart), সেভেন-ইলেভেন (Seven Eleven)

৫. সুপারস্টোরস (Superstories) :-

যে বৃহদায়তন খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সুপার মর্কেটের চেয়ে বড় হয় এবং বৈচিত্র্যময় খাদ্য ও ব্যবহার্য পণ্যের সম্ভার থাকে সেই প্রতিষ্ঠানকে সুপারস্টোরস বলে।

৬. ক্যাটাগরি কিলার (Category killer) :-

যে বিশেষায়িত খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ পণ্য সারির বিপুল পণ্যসম্ভার উপস্থাপন করা হয় এবং বিক্রয়কর্মীরা সাধারণত সকল পণ্য সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা রাখে তাকে ক্যাটাগরি কিলার বলে। যেমন: আইকিয়া (IKEA), স্পোর্টমার্ট (Sports Marn) ইত্যাদি কাটগরি কিলার।

গ. তুলনামূলক মূল্যের ভিত্তিতে খুচরা ব্যবসায় (Retailing on the basis of related price) :-

অধিকাংশ খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক মূল্যের সাধারণ মানের পণ্য ও সেবা ব্যবহার করে থাকে। নিচে তুলনামূলক মূল্যের ভিত্তিতে মুচরা ব্যবসায়ের শ্রেণিবিভাগ বর্ণনা করা হলো

১. অফার স্টোরস (Discount stores) :-

যে খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে কম মূল্যে কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে অধিক পরিমাণ পণ্য বিক্রির প্রচেষ্টায় নিয়োজিত থাকে তাকে অফার স্টোরস বলে।

২. অফ প্রাইস খুচরা ব্যবসায়ী (Off-price retailers) :-

যে খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পাইকারি মূল্যের তুলনায় কম মূল্যে চূড়ান্ত ভোক্তার নিকট পণ্য বিক্রয় করে তাকে অফ প্রাইস খুচরা ব্যবসায়ী বলে।

৩. ওয়্যারহাউজ ক্লাব (Warehouse clubs) :-

যে খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তার সদস্যদের একটি বিশেষ হারে কমিশন প্রদান করে ওয়্যারহাউজ ক্লাবের নামে মুদি পণ্য, কাপড়, যন্ত্রপাতি বিক্রয় করে তাকে ওয়্যারহাউজ ক্লাব বলে। যেমন: প্রাইসক্লাব, সামস হোলসোদ ক্লাব হলো ওয়্যারহাউজ ক্লাব।

ঘ. সংগঠনের ভিত্তিতে খুচরা কারবার (Organization based retailing) :-

খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান মালিকানার ভিত্তিতে পরিচালিত হলেও কর্পোরেট অথবা চুক্তিভিত্তিক খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিচে সংগঠনের ভিত্তিতে খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিবিভাগ দেখানো হলো

১. বিপণিমালা (Chain stores) :-

যে সকল খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান একই মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণাধীনে দুই বা ততোধিক শাখার মাধ্যমে যখন একই ধরনের পণ্য বিক্রয় করে তাকে বিপণিমালা বলে। এই ব্যবসায় আবার দুই প্রকার।

স্বেচ্ছামূলক চেইন স্টোরস (Voluntary chain stores ) :-

যে সকল খুচরা ব্যবসায়ী পাইকারি বাজারিদের সৌজন্যে সম্মিলিতভাবে পণ্য ক্রয় করে সাধারণভাবে চূড়ান্ত ভোক্তাদের নিকট বিক্রয় করে থাকে তাদের স্বেচ্ছামূলক চেইন স্টোরস বলে

সমবায় খুচরা ব্যবসায়ী ( Retailer cooperative) :-

যে সকল স্বাধীন খুচরা ব্যবসায়ী দলীয়ভাবে কেন্দ্রীয় ক্রয় সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে যৌথভাবে চূড়ান্ত ভোক্তার নিকট বিক্রয় ও বাজার প্রসারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাকে সমবায় খুচরা ব্যবসায়ী বলে।

২. ফ্রাঞ্চাইজ সংগঠন (Franchise organization) :-

যে খুচরা ব্যবসায়ী উৎপাদনকারী, পাইকারি বিক্রেতা, সেবা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির সাথে একটি চুক্তির মাধ্যমে স্বাধীনভাবে এক বা একাধিক দোকানের মালিকানা ও পরিচালনার অধিকার লাভ করে তাকে ফ্রাঞ্চাইজ সংগঠন বলে।

৩. মার্চেন্ডাইজিং একত্রীকরণ (Merchandising conglomerates) :-

কেন্দ্রীয় মালিকানায় বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীর সমন্বয়ে গঠিত কর্পোরেশনকে মার্চেন্ডাইজিং একত্রীকরণ বলে।

8. বহুশাখা বিপণি (Multiple stores) :-

নিজেস্ব মালিকানা ও পরিচালনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে শাখা খুলে উৎপাদনকারী যখন তার উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী ভোক্তাদের নিকট বিক্রয় করে তখন তাকে বহুশাখা বিপণী বলে।

যেমন: আমাদের দেশে বাটা শু কোম্পনি, ইকরা সিরামিক, সাধনা ঔষধালয় (প্রাঃ) লিঃ ইত্যাদি।

৫. বিপণিবিহীন খুচরা ব্যবসায় (Non-stores retailing) :-

খুচরা দোকান ছাড়াই যখন ভোক্তার নিকট পণ্য বিক্রয় করা হয়। তখন তাকে বিপণিবিহীন খুচরা ব্যবসায় বলে।

এছাড়াও আরো কিছু বিভাগ রয়েছে –

১. সরাসরি বিক্রয় (Direct selling) :-

ক্রেতার নিকট পণ্যসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরে সরাসরি পণ্য বিক্রয় প্রক্রিয়াকে সরাসরি বিক্রয় বা প্রত্যক্ষ বাজারজাতকরণ বলা হয়। যেমন: বিভিন্ন ধরনের অনলাইন শপের মাধ্যমে খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্রেতার নিকট সরাসরি পণ্য বিক্রয় করে।

২. টেলি-মার্কেটিং (Tele-marketing) :-

টেলিফোনের মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ প্রক্রিয়াকে টেলি মার্কেটিং বলা হয়।


৩. অটোমেটিক ভেল্ডিং (Automatic vending) :-

ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগ বাতীত যন্ত্রের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করার প্রক্রিয়াকে অটোমেটিক ভেন্ডিং বলে। সাধারণত চা, কফি, কোমল পানীয় ইত্যাদি এ পদ্ধতিতে বিক্রয় করা হয়।

অনলাইনে হালাল উপার্জনের বিভিন্ন পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব

সত্যিকার অর্থে আমাদের চারপাশেই লক্ষ-লক্ষ কোটি-কোটি টাকা ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় আছে। কিন্তু আমাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা না থাকার কারণে সে টাকাগুলো আমরা উপার্জন করতে পারছি না। বলতে পারেন যে এটা কিভাবে সম্ভব? 

গ্রাম থেকে বিশ্বজুড়ে SDN এর মাধ্যমে আপনিও হতে পারবেন Global Entrepreneur

সমাহার ডট নেট (SDN) ডিজিটাল ও ট্রেডিশনাল পদ্ধতির সমন্বয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ২০১৫ সাল থেকে। সবার জন্যে যেমন রয়েছে কাজ করার সুযোগ তেমনি রয়েছে কাজের স্বাধীনতাও।

ডিজিটাল উদ্যোক্তা পরিচয়টাই মূল পরিচয় নয়।প্রয়োজন দক্ষতা,কোয়ালিটি,পরিচিতি,মার্কেটিং এবং সেল।

ডিজিটাল উদ্যোক্তা পরিচয়টাই মূল পরিচয় নয়।প্রয়োজন দক্ষতা,কোয়ালিটি,পরিচিতি,মার্কেটিং এবং সেল।

ডিজিটাল উদ্যোক্তা হবে খুব বেশি টাকা লাগেনা।লাগে ধৈর্য ধরে সময়কে সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর কৌশল।আমাদের ব্যবসা সম্পর্কে দক্ষতা নেই,ব্যবসা সম্পর্কে ধারনা নেই,কিন্তু মুখে বলে ফেলি টাকা হলেই ব্যবসা হয়।

ক্ষুদ্র ব্যবসাকে বড় করার জন্য এই বিষয় গুলি আজ থেকেই কাজে লাগান

ক্ষুদ্র ব্যবসাকে বড় করার জন্য এই বিষয় গুলি আজ থেকেই কাজে লাগান

একটা ছোট ব্যবসাকে বড় করা কোন মুখের কথা না। অনেক কষ্টের, এটা বলতে হবে। অনেকেই ব্যবসায় রাত দিন সময় দিয়ে যান। কষ্ট করেন। কিন্তু কেন জানি ব্যবসা বড় হচ্ছে না।

যদিও রাতারাতি কোন ব্যবসা বড় হয় না। অনেক লম্বা সময় দিতে হয়।
তবে কিছু বিষয় ফলো করলে এবং প্রয়োগ করলে আপনার ছোট ব্যবসা অবশ্যই দাঁড়াবে। সেই জন্য আজ থেকেই এই বিষয় গুলিতে নজর দেয়া খুব দরকার।

১) ক্রেতার চাহিদার দিকে শতভাগ মনোযোগ দিন।
ক্রেতার চাহিদা মত কাজ করলে আপনি ব্যবসাকে বড় করতে পারবেন।
যত টুক পারেন্‌ ক্রেতা যাতে শতভাগ খুশি থাকতে পারে, সেটা নিশ্চিত করেন। আপনার প্রথম দিকে লাভ কম হোক, আপনি কষ্ট করে হলেও ক্রেতার চাহিদার দিকে নজর দিন। এভাবে করতে থাকেন কাজ। একজন ক্রেতা আপনাকে ১০ জন ক্রেতা এনে দিবে।

২) কাস্টমার সার্ভিস উন্নত করেন।
খুব-ই ভাল মানের কাস্টমার সেবা দিন। ধারাবাহিক ভাবে করেন এটা।
সবাইকে সমান ভাবেই সেবা দিন।
এটা সব সময় মনে রাখবেন যে, আপনার পন্য যত ভাল মানের ই হোক না কেন, কাস্টমার সার্ভিস ভাল না দিলে আপনি ব্যবসা বড় করতে পারবেন না। কখনই সম্ভব না সেটা।

৩) বিশ্বস্ততা অর্জন করেন।
বিশ্বাস অর্জনে আপনাকে কাজ করে যেতে হবে।
আপনাকে যদি বিশ্বাস করে ক্রেতা, তবেই তো আপনার থেকে কিনবে, তাই না?
একজন ক্রেতা হুট করেই কিনবে না। দেখে শুনে জাচাই করেই কিনবে আপনার থেকে। সেই জন্য বিশ্বাস টা তৈরি করা লাগবে।
বিশ্বাস বাড়ানোর জন্য আপনার পন্য নিয়ে আপনি দক্ষ হন।
ভাল মানের কন্টেন্ট দিন। এমনিতেই বিশ্বাস বাড়বে। এটা একদম শতভাগ প্রমানিত।

৪) সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক বেশি এক্টিভ থাকেন।
সব সময়ের জন্য টিপস এটা। কারন সোশ্যাল মিডিয়া তে এত বেশি মানুষ এখন সময় দেয়, যেটা অন্য সময়ে দিত না। এটাই একটা দুনিয়া। এখানে আপনাকে সময় দিতেই হবে নিয়মিত। যত বেশি দিবেন সঠিক ভাবে, তত বেশি পরিচিতি পাবেন।

৫) প্রতিনিয়ত নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন।
ব্যবসায় এগিয়ে যাবার অন্যতম উপায় হল, নিত্যনতুন কিছু নিয়ে চেষ্টা করা। তবে এটা সব সময় নিজের লাভ না, বরং ক্রেতার কথা ভেবে করতে হবে। কিভাবে ক্রেতাকে একই মুল্যে আরও ভাল সেবা দেয়া যায়, সেটা নিয়ে ভাবেন। ক্রেতা সব সময় নতুনত্ব চান।

ফ্রি মার্চেন্ট রেজিষ্ট্রেশন চলছে…

ফ্রি মার্চেন্ট রেজিষ্ট্রেশন চলছে… (সময় সিমিত)
? পণ্য/সেবা আপনার, বিক্রয় ও প্রমোশনের দায়িত্ব আমাদের
 
আপনি কি একজন উদ্যোক্তা? আপনি কি পণ্য উৎপাদন/ আমদানি/ রপ্তানি/ সরবরাহের সাথে জড়িত? আপনার পণ্য/ সেবা সমূহ দ্রুত প্রসার ও প্রচারে আগ্রহী? তাহলে আজই ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে হয়ে যান Samahar Dot Net এর একজন গর্বিত মার্চেন্ট হিসেবে।
 
? বিজনেস ক্যাটাগরি, প্রোডাক্ট ক্যাটাগরিঃ কনজুমার, ফুডস এন্ড বেভারেজ, অর্গানিক ফুডস এন্ড প্রোডাক্টস, ইলেকট্রনিক্স, মেডিসিন, আমদানিকৃত চাইনিজ, থাই ও ইন্ডিয়ান কসমেটিক্স এন্ড স্টেশনারি, গার্মেন্টস, ফেব্রিক্স/ ফ্যাশন-বায়িং হাউজ, লেদার, ই-কমার্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফার্নিচার, বেবি টয়েস, এগ্রো, গ্রোসারি ইত্যাদি।
 
? মার্চেন্ট হওয়ার যোগ্যতাঃ
নিজস্বভাবে উৎপাদন/ আমদানি/ সরবরাহ ও রপ্তানিতে নিয়োজিত উদ্যোক্তা ও নতুন বিজনেস স্টার্টআপ, নিবন্ধিত কোম্পানি, ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্ত বিজনেস প্রোপাইটরগণ মার্চেন্ট হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।
 
? মার্চেন্ট হিসেবে কি কি সুবিধা পাবেন?
✅ আপনার পণ্য/ সেবার দ্রুত প্রচার, প্রসার ও নিশ্চিত সেলস বাড়াতে পারবেন।
✅ পরিবহণ, স্টোর/ ওয়্যার হাউজ খরচ সাশ্রয় করতে পারবেন।
✅ ডিপো/ ডিলার/ ডিস্ট্রিবিউটর সহ এসআর/ আরএসএম খরচ সাশ্রয় করতে পারবেন সাথে ৬৪ জেলায় পণ্য বিক্রয় নিশ্চিত করতে পারবেন।
✅ বিজনেস নেটওয়ার্কে যুক্ত থেকে সহজে প্রোডাক্ট সোর্সিং সহ সেল্ফ প্রমোশনের সুযোগ।
✅ ভার্চুয়াল অফিস অ্যাড্রেস/ শেয়ার অফিস স্পেস ব্যবহার এর সুযোগ সহ যৌথ ভাবে স্টোর/ ওয়্যার হাউজ ব্যবহারের সুযোগ।
✅ যথাযথ নিরাপত্তার সহিত পরিবহন ও সারাদেশে পণ্য দ্রুত ডেলিভারির সু-ব্যবস্থা।
✅ একাউন্টস, স্টক-আউট সহ ইনভেটরি ম্যানেজমেন্ট সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা ও নিয়মিত আপডেট প্রাপ্তি।
✅ সাশ্রয়ী খরচে দ্রুত পণ্য আমদানি, রপ্তানিতে এলসি, ই-আরসি, আই-আরসি সহ সকল পেপারস সাপোর্ট।
✅ ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট কর্তৃক অনলাইন মার্কেটিং, ফেসবুক বুস্টিং, সহ টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অধিক পণ্য বিক্রয়ে নিশ্চয়তা।
✅ নিজস্ব গ্রাফিক্স ডিজাইনার কর্তৃক প্রোডাক্ট ইমেজ, প্যাকেজিং, অ্যাড ব্যানার ডিজাইন সহ ভিডিও এডিটর কর্তৃক এনিমেশন অ্যাড তৈরি করে এডভার্টাইজিং করা হয়।
✅ নিজস্ব ওয়েব ডেভেলপার কর্তৃক ওয়েব সাইটে প্রোডাক্ট পোস্টিং সহ দক্ষ ও অ্যাকটিভ সাপোর্ট টিমের মাধ্যমে ২৪/৭ কল এবং অনলাইন চ্যাটিং সাপোর্ট।
 
 
আরও বিস্তারিত জানতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

যারা ব্যবসায় অসফল হয় ও তাদের সফল হতে হলে কি করা উচিত?

ব্যবসায় সফল হতে চাইলে নিজেকে-ই ব্যবসার নিয়ন্ত্রক হতে হবে।

এখানে আমরা কোনো মানুষ ব্যবসায় কেনো অসফল হয় ও  ব্যবসায় সফলতা পেতে মানুষকে কি করা উচিত তা জানাবো। মানুষ ব্যবসা শুরু করে কিন্তু ব্যবসায় প্রতি সঠিক জ্ঞান ও ব্যবসায় প্রতি ভালোবাসা ও একাগ্রতা না থাকার কারণে ব্যবসায় অসফল হয়ে ব্যবসা ছেড়ে দেন।

যেকোনো ব্যবসা করার আগে সেই ব্যবসার প্রতি একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার। তবেই কোনো মানুষ সেই ব্যবসায় লাভবান হতে পারবেন। তবে তার থেকেও জরুরি ব্যবসার প্রতি ভালোবাসা থাকার। যদি ব্যবসার প্রতি ভালোবাসাই না থাকে তবে ব্যবসায় উন্নতি করা সম্বভ নয়। তাই যেকোনো ব্যবসা করার আগে নিজের মধ্যে ব্যবসার প্রতি ভালোবাসা ও ভালো লাগা আছে কি না তা বুঝে নেওয়া দরকার।

 

মানুষ কি কি কারণে ব্যবসায় অসফল হয় :- মানুষ বিভিন্ন কারণে ব্যবসায় অসফল হতে পারে যেমন –

১. কোনো কাজ করার পূর্বে তার উপর সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। ঠিক সেই ভাবে ব্যবসা করার আগে ব্যবসার উপর সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন , নয়তো ব্যবসায় অসফল হতে পারেন।

২. যেই ব্যবসাটি করবেন বলে ঠিক করেছেন সেই ব্যবসায় পণ্য আপনার এলাকায় বিক্রি হয় না কি দেখুন।

৩. ওই পণ্য বেঁচে আপনার কত লাভ থাকবে তা দেখুন।

৪. ওই পণ্য বেচতে আপনার কত খরচ হতে পারে তা দেখুন। অথাৎ আপনি মাসে ১ লাখ টাকা লাভ করলে আপনার ব্যবসা চালাতে কত টাকা খরচ হচ্ছে তা দেখুন। যেমন – ১ লাখ টাকা লাভ করেছেন তার থেকে কর্মচারীর মাইনা ও অন্যান্য খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে অথাৎ আপনার নেট লাভ ৫০ হাজার টাকা।

৫. আপনি যেই পণ্য বেচছেন সেই পণ্যের বর্তমান  চাহিদা কেমন ও ভবিষ্যতে এর চাহিদা কেমন হতে পারে দেখুন।

৬. আপনার ব্যবসার সঠিক মার্কেটিং করুন।  কারণ মার্কেটিং এর মাধ্যমেই মানুষ আপনার ব্যবসা ও পণ্যের ব্যাপারে জানতে পারবে। কথায় আছে ” যেটা দেখা যায় ,সেটাই বিক্রি হয় ” আপনাকেও আপনার পণ্য লোককে মার্কেটিং এর মাধ্যমে দেখতে হবে। তবেই বিক্রি বৃদ্ধি পাবে।

 

ব্যবসায় সফল হতে কি করবেন :- ব্যবসায় সফল হতে গেলে আপনাকে কয়েকটা জিনিষ মাথায় রাখতে হবে , যেমন –

১. আপনি যেই পণ্য বেঁচেছেন তাঁর প্রয়োজন মানুষের কাছে কতটা।

২. সেই পণ্য কি মানুষের উপকারে বা দরকারে আসছে।

৩. সেই পণ্যর গুনগত মান বাজারে অন্য প্রোডাক্টের তুলনায় ভালো ও সস্তা হওয়া প্রয়োজন।

৪. আপনি যেই পণ্য বেঁচছেন তা কি মানুষের নিত্য প্রয়োজনে কাজে লাগে।

৫. আপনি যেই পণ্য বেঁচছেন তাতে লাভের শতাংশ কত।

৬. আর এর সাথে ব্যবসা শুরু করলে ব্যবসার সঠিক মার্কেটিং করুন। আপনি যদি ব্যবসার বাকি জিনিস গুলি ঠিক রাখেন আর মার্কেটিং না করেন তবে যত ভালোই ব্যবসা হোক না কেনো ব্যবসায় সফলতা পাবেন না। কারণ আপনার পণ্যের ব্যাপারে লোক জানতে না পারলে লোক কিনবে কি করে। তাই ব্যবসার সঠিক মার্কেটিং করুন।

রিলায়েন্স , টাটা , আমাজন , ফ্লিপকার্ট এই সকল কোম্পানির কথা আমরা সকলেই জানি কিন্তু তবু ও এই সকল কোম্পানি মার্কেটিং এর জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে থাকে।

এই ব্যবসার ব্যাপারে আরো জানতে নিচে দেওয়া ভিডিওটি দেখতে পারেন। সেখানে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

 

আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছে। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন

———————————————————————

আপনার ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট বানাতে চাইলে সমাহার ডট নেট দিচ্ছে বিরাট অফার। আপনি কি ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট বানাতে চান ? সমাহার ডট নেট আপনার ব্যবসার জন্য  খুবই কম খরচে ওয়েবসাইট বানিয়ে দেবার উদ্যোগ নিয়েছে। তাই আজই যোগাযোগ করুন।

আপনি আপনার ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট বানাতে চাইলে বা ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা ট্রেডিশনাল মার্কেটিং অথাৎ অনলাইনে বা সরাসরি আপনার ব্যবসার প্রচার করাতে চাইলে। সমাহার ডট নেট-এর  পণ্য সামগ্রী ও সেবা পেতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

সমাহার ডট নেট এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যেখান থেকে আপনি আপনার ব্যবসার জন্য খুবই কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা ট্রেডিশনাল মার্কেটিং করাতে পারবেন। এছাড়া ও সমস্ত প্রকার ডিজিটাল অথবা ট্রেডিশনাল সুবিধা নিতে পারবেন।

 

আপনি যদি আপনার ব্যবসাকে কি ভাবে অনলাইনে নিয়ে যাবেন বা ব্যবসাকে বড় করবেন অথাৎ ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন তা জানতে চান তবে , সময় নষ্ট না করে এখুনি অথবা ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।  তার জন্য আপনাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। সম্পূর্ণ ফ্রীতে আপনি এই সার্ভিসটি পাবেন।

রিপিট কাস্টমাররা লাভজনক: প্রমানের পরিসংখ্যান !

রিপিট কাস্টমাররা লাভজনক: প্রমানের পরিসংখ্যান !

আপনি হয়ত শেষ কয়েক মাস যাবৎ চেস্টা করে যাচ্ছেন কিলার এড ওয়ার্ড ক্যাম্পেইন নিয়ে, রি-টারগেটিং সেট আপ করতে, বা আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ম্যাসেজিং প্রচার করতে। এগুলো আপনি করতেই পারেন। কিন্তু আপনার যেসব কাস্টমার ইতিমধ্যেই আছে তাদের তুলনায় আপনি এসব প্রমোশন থেকে যেসব কাস্টমার পারেন তারা কম লাভজনক। কেউ হয়ত এর সাথে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। দুঃখিত তাদের জন্য। কিন্তু এটাই সত্য। আসুন ব্যাখা করি।

এখন হয়ত আপনি বলবেন, নতুন কাস্টমার না আসলে রিপিট কাস্টমার আসবে কিভাবে। তাই নতুন কাস্টমার সংগ্রহ অবশ্যই দরকার আছে। প্রথম বারের মত কেউ আপনার পণ্য কিনলেই সে এক সময় রিপিট কাস্টমার হবে। কিন্তু সমস্যা হল গড় পড়তা সব ই-কমার্স ষ্টোরই তাদের  মার্কেটিং বাজেটের ৮০% এর বেশি ব্যয় করে নতুন কাস্টমার সংগ্রহ করতে এবং কাস্টমার ধরে রাখার কার্যক্রম পরে থাকে ব্যাক সিটে ।

এটি যে একটি বাজে সিদ্ধান্ত তার প্রমান হল এই তথ্যটি, একটি ই-কমার্স সাইটেরর ৪০% আয় হয় তার ৮% কাস্টমারদের কাছ থেকে ! এই ৮% কাস্টমার হল আপনার রিপিট কাস্টমার এবং তারা দারুনভাবে লাভজনক।

তাহলে প্রশ্ন কেন তারা লাভজনক ?

এই পোস্টে আমি পরিসংখ্যান দিয়ে বোজাতে চেস্টা করবো রিপিট কাস্টমারদের শক্তি এবং কি পরিমাণ মুনাফা তারা দিয়ে থাকে। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখা যাক পরিসংখ্যান কি বলে।

৫ কারন রিপিট কাস্টমারদের লাভজনক হবার

একজন রিপিট কাস্টমার পুনঃ পুনঃ ক্রয় করে থাকে।

এটাই সাধারণত হয়ে থাকে। তবে রিপিট কাস্টমারদের সংজ্ঞা অনুসারে বলা যায় একজন ভিজিটর যিনি কমপক্ষে দুবার ক্রয় করেছেন তিনিই রিপিট কাস্টমার।

মজার বিষয়টি হল যখন একজন ভিজিটর আপনার রিপিট কাস্টমার হবেন তার ক্রয় করা পণ্যের পরিমাণ আগের তুলনায় আরো বাড়তে থাকবে। একটি ক্রয়ের পর একজন ক্রেতার ২৭% ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে।

Likelihood-of-another-purchase

সে যাই হউক যদি আপনি সে কাস্টমারকে ফেরত পান দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বারের মত তখন তাদের আরো একটি ক্রয়ের সম্ভাবনা থাকে ৫৪%।

একজন রিপিট কাস্টমারকে আপনি যত বেশি বার ফেরত পাবেন তাদের সম্ভাব্য লাইফ টাইম ভ্যালু তত বেড়ে যায়! তাই আপনি যদি আপনার ষ্টোরের মুনাফা বাড়াতে চান তাহলে আপনার বিদ্যমান কাস্টমারদেরকে দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার ফিরে আসার জন্য উৎসাহিত করুন। তবে সতর্ক থাকতে হবে যে, আপনি তাদেরকে কিভাবে প্রলুদ্ধ করছেন। আপনি হয়ত ভাবছেন যে, পরেরবার ফেরত আসার জন্য আপনি তাদেরকে ডিস্কাউন্ট অফার করবেন।কিন্তু আমি এ ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক হতে বলবো। ডিসকাউণ্ট কাস্টমার ফেরত আনতে কার্যকর, কিন্তু এটি প্রায় সব সময়ই একটি অবাঞ্ছিত প্রত্যাশাও সেট করে দেয়। যেসব কাস্টমাররা ডিসকাউন্ট পেয়ে ফিরে আসে তারা সব সময়ই ডিসকাউণ্ট পাবেন বলে আসা করেন অথবা তারা আরেকটি ডিসকাউন্ট পাওয়া পর্যন্ত তাদের ক্রয়কে স্থগিত রাখেন। তার চেয়ে বরং কাস্টমারদেরকে আপনার সাইটে ফেরত আনতে আপনি রিটেনশান টুল ব্যবহার করতে পারেন । এখানে ৫ কাস্টমার রিটেনশান টুল যেগুলো আপনার সাইটকে একটি লাভজনক সাইটে পরিণত করতে সাহায্য করবে।

No-repeats-from-discounts

একজন রিপিট কাস্টমারের কাছে সেল করাও সহজ ।

ই-কমার্স এ কনভাসান রেট খুবই পরিবর্তনশীল, এবং ইন্ডাস্ট্রি ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে অনুমান নির্ভর ধারনাটি হল কনভার্সন রেট ১% থেকে ৩%। এটি গড় কনভার্সন রেট।

কিন্তু একজন রিপিট কাস্টমার আসলে অন্যান্য কাস্টমারদের তুলনায় অনেক বেশি হারে কনভারট হয়ে থাকে।

মার্কেটিং মেট্রিক্স বই অনুসারে একজন রিপিট কাস্টমারের কনভারট হবার সুযোগ থাকে ৬০% থেকে ৭০%। এই খবরটি আপনার ষ্টোরের জন্য দারুন একটি খবর। আপনার যত বেশি রিপিট কাস্টমার থাকবে আপনাকে তত কম কনভার্সন টেকনিক প্রয়োগ করতে হবে।

repeat-customers-are-more-likely-to-convert

এডোবি রিপিট কাস্টমারদের কনভার্সন রেট নিয়ে একটি জরিপ চালিয়ে ছিল। সেখানে তারা দেখতে পায় যে কাস্টমার আপনার স্টোর থেকে ২ বার ক্রয় করেছেন তার কনভারট হবার সম্ভাবনা একজন প্রথম বার শপারের তুলনায় ৯ গুন বেশি।

9-first-time-shoppers-one-repeat

রিপিট কাস্টমারদের বেলায় কনভার্সন হবার হারে আপনি বেশ বড় ধরনের স্পাইক দেখতে পাচ্ছেন। আপনি নিশ্চয়ই এটি মিস করতে চাইবেন না।

এই কনভার্সন রেট একজন রিপিট কাস্টমারকে একজন নতুন কাস্টমারের তুলনায় অনেক বেশি লাভজনক করে তুলেছে।

রিপিট কাস্টমারদেরা প্রতিবার অনেক বেশি পরিমাণে ক্রয় করে থাকে।

রিপিট কাস্টমারদের কনভার্সন রেট যে বেশি তাই নয় তাদের অর্ডারের ভ্যালু প্রথম বার ক্রয় করা যে কোন কাস্টমারের অর্ডারের ভ্যালুর তুলনায় অনেক বেশি। এর মানে একজন রিপিট কাস্টমার আপনার স্টোর থেকে অনেক বেশি পরিমাণে পণ্য ক্রয় করে থাকে।

২ টি ফ্যাক্টর একজন রিপিট কাস্টমার কি পরিমাণ ব্যায় করে এর উপর প্রভাব ফেলে। সেগুলো হচ্ছে পূর্বের ক্রয়ের সংখ্যা এবং কত সময় ধরে তারা আপনার কাস্টমার আছে তার পরিমাণ।

চলুন পূর্বের ক্রয়ের সংখ্যা কেমন হতে পারে দেখি।

আরযে মেট্রিক্স এর চালানো এক জরিপে দেখা গেছে একজন রিপিট কাস্টমার যিনি আপনার স্টোর থেকে প্রায়শই ক্রয় করে থাকে তিনি একজন এভারেজ কাস্টমার থেকে অনেক বেশি লাভজনক। তারা দেখতে পায় যে , আপনার ১০%  শীর্ষ লয়াল কাস্টমাররা কম লয়াল ৯০% কাস্টমারের তুলনায় ৩ গুন বেশি ক্রয় করে থাকে  এবং শীর্ষ ১% কাস্টমাররা কম লয়াল ৯০% কাস্টমারের তুলনায় ৫ গুন বেশি ব্যয় করে থাকে ।

repeat-customers-are-worth-more

এই জরিপ রিপিট ক্রয় ও বর্ধিত অর্ডার ভ্যালুর মাজে সম্পর্ক দেখাচ্ছে, কিন্তু রিপিট ক্রয় হচ্ছে বর্ধিত অর্ডার ভ্যালুর শুধু  মাত্র একটি উপাদান। একজন কাস্টমার  কত সময় ধরে আপনার সাইটে ক্রয় করছেন সেটার পরিমাণ অর্ডার সাইজে প্রভাব ফেলে।

বেইন এন্ড কোম্পানির চালানো এক জরিপে দেখা গেছে একজন কাস্টমার যে সময়টা আপনার সাইটে ব্যায় করে সেটা এবং তারা যে পরিমাণ অর্থ ব্যায় করে তাদের মধ্যে সরাসরি কো রিলেশন সম্পর্ক বিদ্যমান। (মানে একটি বাড়লে অন্যটি বাড়ে একটি কমলে অপরটি কমে ।)

বেইন তাদের জরিপে দেখতে পায়, একজন এপারেল শপার কোন একটি কোম্পানি থেকে প্রথম বার ক্রয়ের ৩০ মাস পর থেকে প্রতি অর্ডারে ৬৭% বেশি পরিমাণে ক্রয় করে থাকে।

Bain-more-purchases-over-time

তারা অন্য সব ক্যাটাগরিতেও একই ফলাফল পান। রিপিট কাস্টমারদের লাইফ টাইম ভ্যালু বেশি হয় একই সাথে সময়ের সাথে প্রতি অর্ডারের ভ্যালুও বাড়তে থাকে ।

রিপিট কাস্টমাররা বিশেষ সময়গুলোতে অনেক ব্যয় করে থাকে !

বাংলাদেশে যেমন ব্যবসায়ীদের মুল ব্যাবসাটা হয়ে থাকে ঈদে ।( তবে এর সাথে এখন আরো কিছু উৎসবও যোগ হয়েছে )। সারা বিশ্বেও বিষয়টা একই ধারার। মানে তাদের আয়ের বড় অংশটা আসে তাদের বিশেষ দিন বা সিজনের বিক্রি থেকে।

যেমন আমেকিকাতে আপনি যদি গোসলের পোশাক বিক্রি করেন তবে মার্চ / এপ্রিলে আপনার বিক্রি অনেক বেড়ে যাবে। কস্টিউম বিক্রি করলে আপনার সিজন অক্টোবরে। আর অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের ব্যাস্ত সময়টা হচ্ছে সাইবার মানডে ও ক্রিসমাসের মাজের সময়টা ।

এই সময়গুলো তাদের ই-কমার্স ষ্টোরের সফলতার পেছনে বিশাল ভুলিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত কাস্টমাররা যেমন এই সময়টাতে আগের তুলনায় বেশি পরিমাণে পণ্য কেনেন একই সাথে নতুন অনেক কাস্টমার যোগ দেন। প্রশ্ন এই ব্যস্ত সময়গুলোতে কাস্টমাররা কত বেশি পরিমাণে ক্রয় করে থাকে ?

Holiday-increase-in-spending

এডোবির মতে, হলিডে রাসের সময় গড়ে একজন কাস্টমার প্রতি লেন্দেনে ১৭ % বেশি অর্থ ব্যয় করে থাকে । নিসন্দেহে দারুন খবর , তবে আপনার রিপিট কাস্টমার পরিমাণে এর চেয়ে বেশি ব্যয় করে থাকে।

আপনার রিপিট কাস্টমাররা হলিডে রাসের সময় প্রতি লেনদেনে ৫% বেশি ব্যায় করে থাকে । এটাই শেষ কথা নয় রিপিট কাস্টমাররা কঠিন সময়গুলোতেও সহায়তা করে থাকে। একই জরিপে দেখা গেছে অর্থনৈতিক মন্দার সময় রিপিট কাস্টমাররা অরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে । ইউরোপে অর্থনৈতিক  মন্দার সময় যখন সবখানেই বাজে সময় যাচ্ছিল সে সময়টাতে রিপিট কাস্টমারসদের থেকে মুনাফার শতকরা হার বেড়ে ছিল। এই তথ্য প্রমান করে, আপনার রিপিট কাস্টমাররা কঠিন অর্থনৈতিক মন্দার সময়ও আপনার অনুগত থাকে।

রিপিট কাস্টমাররা আপনার ষ্টোরের শেয়ার বেশি করে থাকে

রিপিট কাস্টমাররা যে শুধুমাত্র কেনাকাটার সময় গুরুত্বপূর্ণ তাই নয়, তারা আপনাকে কিছু মার্কেটিং সম্ভাব্যনাও দিয়ে থাকে। মাউথ অব ওয়ার্ড হচ্ছে সবচেয়ে ভাল বিজ্জাপন । রিপিট কাস্টমাররা এই কাজটি করে থাকেন খুবই ভালভাবে।

বেইন এন্ড কোম্পানির মতে তারা নিজেরা বর্ধিত হারে কেনাকাটা করার সাথে সাথে রেফার করে বর্ধিত হারে নতুন নতুন কাস্টমারদেরও সাইটে পাঠিয়ে থাকে। প্রতিবার একজন কাস্টমার যখন আপনার কাছ থেকে কেনাকাটা করেন, তারা আগের চেয়ে বেশি সাছন্দ  বোধ করে এবং ফলশ্রুতিতে তারা পজিটিভ রেফার করতে আরো বেশি আগ্র্যহী থাকে।

Bain-repeat-purchases

বেইন তাদের জরিপে দেখতে পায় যে, ১০ বার ক্রয় করার পর আপনি মাত্র একবার ক্রয় করা  ক্রেতার তুলনায় ৫০% বেশি লোককে রেফার করে থাকেন।

এই জরিপে বেইন দেখিয়েছেন একজন রিপিট কাস্টমার আরো বেশি ক্লায়েন্ট আকর্ষণের মাধ্যমে মুনাফার হারকে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই রেফার করাকে আরো অনেক বাড়িয়ে দেয়া যেতে পারে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়ার মাধ্যমে।

রিপিট কাস্টমাররা গুরুত্বপূর্ণ

আমার মনে হয় আমি দেখাতে পেরেছি আপনার রিপিট কাস্টমার বেজ থাকার সুবিধাগুলো কি কি। সেক্ষেত্রে আপনি এখন জানতে চাইবেন, কিভাবে আমি এখন আরো বেশি রিপিট কাস্টমার পেতে পারি?

বেশ সেক্ষেত্রে আরো অনেক রিপিট কাস্টমার পেতে আপনি পড়তে পারেন “কাস্টমার রিটেনসানের দারুন এক গাউড”। এখানকার কৌশলগুলো জানতে পারলে আপনি বিভিন্ন রিটেনশান টুলের ব্যবহার করতে পারবেন। আপনাকে সাহায্য করতে অনলাইনে হাজারও টুল রয়েছে ।

যেমন ডট মেইলার ইমেইল রিটেনশান করতে, অসাধারন কাস্টমার সার্ভিস দিতে লারক, এঙ্গেগিং কাস্টমার লয়ালিটি প্রোগ্রাম বানাতে সুইট টুথ

২৫% রিপিট কাস্টমার পাবার লক্ষ্য নিয়ে শুরু করুন, এবং আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার ষ্টোরের মুনাফার হার বাড়তে শুরু করেছে।

তথ্য সুত্রঃ

https://econsultancy.com/blog/11051-21-ways-online-retailers-can-improve-customer-retention-rates/

http://www.practicalecommerce.com/articles/3937-How-to-Earn-Loyal-Repeat-Ecommerce-Customers-

https://www.sweettoothrewards.com/blog/repeat-customers-profitable-stats-to-prove/

https://www.bigcommerce.com/ecommerce-answers/how-can-you-encourage-repeat-ecommerce-customers/

 

আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছে। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন! সমাহার ডট নেট-এর পণ্য সামগ্রী ও সেবা পেতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

২৯ ফ্রি অনলাইন ডিজাইন টুলঃ অপূর্ব সুন্দর ওয়েব কনটেন্ট বানাতে

২৯ ফ্রি অনলাইন ডিজাইন টুলঃ অপূর্ব সুন্দর ওয়েব কনটেন্ট বানাতে

ফ্রি কিছু কে পছন্দ না করে ?

কিছু করা জন্য যদি আপনি একটি ফ্রি টুল পান তাহলে আপনার মার্কেটিংয়ের জন্য পে করতে হবে না। সেক্ষেত্রে আপনি যতক্ষণ ফ্রি টুল থেকে কোয়ালিটি রেজাল্ট পাবেন ততক্ষণ পর্যন্ত বাজেট নস্ট করার কোন মানে হয় না ।

এই পোস্টে আমি অসাধারন কিছু ফ্রি টুলের কথা বলবো যেগুলোর জন্য আপনাকে এক পয়সাও ব্যয় করতে হবে না। টেম্পলেট, ব্রাউজার একেস্টেনশান, থেকে অনলাইন ফটো এডিটর সব কিছুই আছে এ তালিকায়। এসব অসাধারন ফ্রি ওয়েব ডিজাইন টুল সম্পর্কে জানতে হলে পড়তে থাকুন

ফ্রি ফন্ট টুলস

১। টাইপ জিনিয়াস

আপনার পরের প্রজেক্টের জন্য হয়ত পারফেক্ট ফন্ট কম্বিনেশন প্রয়োজন । টাইপ জিনিয়াস তার ব্যবহারকারিদের জন্য অসাধারন কম্বিনেশনের ফন্টস পাওয়াকে সহজ করেছে। এটি বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে ফন্টের ব্যবহার দেখিয়ে থাকে যাতে করে আপনি খুব সহজেই বুজতে পারবেন ফন্টগুলো আপনার জন্য সঠিক কিনা ।

1

২। গুগল ফন্টস

আপনি যদি আপনার পরের প্রজেক্টের জন্য কোয়ালিটি সম্পন্ন টাইপোফ্রাফি খুজে থাকেন তবে গুগল ফন্ট চেক করুন।ওয়েব ফন্টের এই ডাইরেক্টরি ব্যবহারকারিদের জন্য তাদের ওয়েব সাইটে সেকেন্ডের মধ্যে ফন্ট যোগ করার বা আপনার কম্পিউটারে ডাউনলোড করে রেখে পরে পরে ব্যবহারের সুবিধা দেয়। এখানকার সব ফন্টই ওপেন সোচ মানে। ব্যবহারকারী কাস্টমাইজড করতে, উন্নতি করতে, এবং শেয়ার করতে পারবে।

 

৩। হোয়াটফন্ট

আপনি হয়ত কোন ওয়েব সাইটে গিয়ে একটি ফন্ট দেখে ভাবলেন এমন কিছু একটাই আপনি চাচ্ছেন। হোয়াটফন্ট এর  সাহায্য নিয়ে আপনি শুধু মাত্র এক ক্লিকেই, সহজেই জেনে নিতে পারেন ফন্টের নাম। এটি ডাউনলোড এবল বুক মারকেলেট, গুগল ক্রম একেস্টেনশান, অথবা সাফারি একেস্টানশান এর জন্য। এখন থেকে আপনি আর কখনোই কোন পছন্দের ফন্টের নাম জানতে না পেরে হতাশ হয়ে থাকবেন ন।

3

৪। ডাফন্ট ৫। ১০০১ ফ্রি ফন্টস ৫। ফন্ট স্কুইরেল

আপনার ডিজাইনকে খুব সুন্দর করতে বিশেষ ফন্টের দরকার হতে পারে। অনলাইনে হাজারো ফ্রি রিসোরচ রয়েছে। আমি তাদের থেকে ছেটে আমাদের পছন্দের কয়েকটি একত্রিত করেছিঃ ডাফন্ট,  ১০০১ ফ্রি ফন্টস , ফন্ট স্কুইরেল ।

এই সাইটগুলো ফন্টের ব্যপক এক লাইব্রেরি অফার করে যেগুলো খুবই উচ্চমান সম্পন্ন, সহজে ডাউনলোড করা যায় এবং স্পস্টভাবে লাইসেন্সিংশর্ত উল্লেখ করা আছে।

৭। টিফ

আপনি হয়ত দুটো ফন্টের  মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন। এমনটা হলে টিফের সাহায্য নিতে পারেন। টিফের সাহায্যে ব্যবহারকারীরা একটি ফন্ট অন্যটির উপরে বিছিয়ে দিতে পারে যাতে করে তাদের মধ্যকার পার্থক্য সহজেই ধরতে পারা যায়।

এমনকি আপনি ঠিক কোন কোন অক্ষর তুলনা করে দেখতে চান তাও ঠিক করে দিতে পারেন তাদের আপার কেস ও লোয়ার কেস দুই ধরনের ক্ষেত্রেই। টিফ এখন সব গুগল ওয়েব ফন্ট এবং যেকোন সিস্টেম ফন্ট সাপোর্ট করে। সবচেয়ে ভাল সেবা পেতে

এই সাইটটি সাম্প্রতিক ব্রাউজার ভার্সন ব্যবাহারের পরামর্শ দিয়ে থাকে।

Tiff

ফ্রি টেমপ্লেটস

৮। হাব স্পটের ১০ ইনফোগ্রাফিক টেমপ্লেটস

প্রায়শই আমাদের ভিজুয়াল কনটেন্ট বানানোর প্রয়োজন পরে। সমস্যা হলো আপনার যদি ডিজাইন করার অভিজ্জতা না থাকে তবে গ্রাফিক্স বানাতে আপনাকে খুবই সমস্যায় পরতে হয়। এই ফ্রি ইনফোগ্রাফিকের প্যাক দিয়ে আপনি প্রফেশনাল লোকিং ইনফোগ্রাফিক বানাতে পারবেন এবংবহু ঘণ্টা সময়ও বাচাতে পারবেন। সবচেয়ে  ভাল দিকটি হচ্ছে আপনার কোম্পানির ব্যন্ডের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য আপনি খুব সহজেই কাস্টমাইজ করতে পারবেন।

infographic-templates-8

৯ কেনভা

আপনি যদি ই-বুক, ইনফোগ্রাফিক, বিজনেস কার্ড বা ইমেইল হেডার বানাতে চান তবে কেনভা আপনার এই প্রক্রিয়াকে সহজ করে দিবে। মুলত এই ফ্রি ওয়েব ডিজাইন টুলটি আপনাকে আপনার ভাবনার মত করে প্রফেশানাল, সহজে কাস্টমাইজ করা যায় এমন সব কাজের সুযোগ দিবে।

সবচেয়ে ভাল অংশ ?

ডিজাইনার নন এমন লোকদের কথা মাথায় রেখেই এই টুলটি ডিজাইন করা হয়েছে। শুধুমাত্র ড্রাগ করে ছেড়ে দিয়েই আপনার মনের মত করে ডিজাইন করে নিতে পারেন। ইমেজ পরিবর্তন, ফন্ট বসানো, রঙ ঠিক করা আরো অনেক কিছু করা যাবে এই টুল দিয়ে। আপনি এটি দিয়ে এমন সব ডিজাইন করতে পারবেন যার জন্য আপনি নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করতে পারবেন।

১০। হাব স্পটের ৫০ কাস্টমাইজএবল সিটিএ টেমপ্লেটস

আপনি যদি চান আপনার সাইটে ভিজিটররা নিদ্রিস্ট কোন কাজ করুক তাহলে সেটা খুবই সহজভাবে বানাতে হবে । যার কারনে সিটিএ আগমন। আপনার বাটনের পেছনে ডিজাইনের পাশাপাশি, রং, সাইজ, এবং শ্যাপ সব কিছুরই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। ভিজিটরদেরকে উৎসাহ দিতে হাব স্পট ৫০ টি প্রি ডিজাইন টেম্পেট করে রেখেছে যেগুলো আপনি আপনার সাইটে কাজে লাগাতে পারেন। এই টেম্পলেটগুলো কাস্টমাইজ এবল এবং এগুলোকে রং ও প্লেসমেন্টের পরিবর্তন করে সাইটের সাথে মানানসই করে ব্যবহার করা যাবে।

CTA_Templates

১১। প্লেসইট

মাজে আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ বা টুইটার একাউন্টের প্রফাইলের জন্য আপনার কিছু পলিসড করা ইমেজের দরকার হতে পারে। আপনি হয়ত আপনার নেয়া স্ক্রিনশটটিকে ম্যানুয়ালি কাস্টমাইজ করতে চাইছেন। প্লেসইট এসবের দারুন এক সমাধান। সরাসরি কমন স্টক ফটো টেম্পলেট আপলোড করুন এবং দেখুন আপনার স্ক্রিন শট এ জীবন ফিরে আসছে।

placeit

১২। হাব স্পটের ৫ পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড শেয়ার টেমপ্লেটস

স্লাইড শেয়ারের ধারনা আপনার হয়ত বেশ ভালো লাগে কিন্তু পাওয়ার পয়েন্টে ডিজাইন করতে আপনার কোন  অভিজ্জতা নেই। কোন সমস্যা নেই। বেশি কোন প্রচেষ্টা ছাড়াই আপনি এদের ব্যবহার করতে পারবেন। শুধু আপনার কনটেন্ট যোগ করুন, রং সমন্বয় করুন আপনার ব্র্যান্ডের সাথে মিল রেখে, এবং ইমেজ যোগ করুন। এই টেম্পলেটগুলো খুব সরল থেকে জটিল রেঞ্জের মধ্যে।

ফ্রি কালার টুলস

১৩। পিকটাকুলাস

ওয়েব ডিজাইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে কালার প্যালেট– আপনি চাইবেন আপনার ইমেজ, গ্রাফিক্স এবং ফন্টস সব কিছুই যেন আপনার ম্যাসেজটি বহন করে এবং কনভারশান বাড়ায়। প্রায়শই দেখা যায় আপনি হয়ত কোন একটি রং যেমন নীলের সঠিক শ্য্যড খুজে পাচ্ছেন যা আপনি আপনার কোন ফটোগ্রাফ এ ব্যবহার করতে চাচ্ছেন– এই প্রয়োজনেই পিকটাকুলাস এসছে। আপনি একটি ছবি আপলোড করুন এবং এটি আপনাকে পরামর্শ দিবে রং ব্যবহারের ,তাদের হেক্স কোড সহ। আপনার কালার পেলেট আর কখনোই অসামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না।

pictaculous

১৪। কালারজিলা

সবচেয়ে বেসিক থেকে সবচেয়ে এডভান্স কালার সম্পর্কিত প্রয়োজন মেটাতে কালারজিলা অসাধারন একটি টুল। আপনি যদি কোন ওয়েব পেইজের নিদ্রিস্ট পিক্সেলের হেক্স কোড খোজ করেন, বা রঙয়ের ডোম উপাদান বিশ্লেষণ অথবা জানতে চান ইলিমেন্ট তথ্য যেমন ট্যাগ নেম, আইডি, এবং সাইজ, তাহলে এই টুলটি একাই এসব বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এই টুলটিকে আপনি পেতে পারেন গুগল ক্রমের এক্সটেনশান হিসেবে বা ফায়ার ফক্স এডঅন হিসেবে। একবার ব্যবহার শুরু করলে এটি আপনার প্রিয় একটি ডিজাইন টুলে পরিণত হবে এ কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

ফ্রি এনোনেসন টুল

১৫। অসাম স্ক্রিন শট

আপনি হয়ত স্ক্রিন শট নেয়া, কর্প, এডিট, এবং পাদটিকা দেয়ার জন্য একাধিক প্রোগ্রাম নিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন। অসাম স্ক্রিন শট একটি ফায়ার ফক্স এবং ক্রম এর একটি ব্রাউজার এক্সেটেনশান যা দিয়ে আপনি খুব সহজেই ওয়েবের যেকোন কিছু স্ক্রিন শট হিসেব নিতে এবং এডিট করতে পারেন। এটি সরাসরি ব্রাউজারের মধ্যেই সেটা করা হয়ে থাকে। এই এক্সেসটানশানটিও হতে পারে আপনার ব্রাউজার অবিছেদ্য একটি অংশ। আপনিও এটি ব্যবহার শুরুর পর পুরনো অন্য সব স্ক্রিন শট নেবার প্রোগ্রাম কাছে ফিরে যাবেন না।

awesome_screenshot

১৬। স্কিটস

এটি এভারনোটের একটি স্ক্রিন ক্যাপচার প্রোগ্রাম। এটি মার্কেটার ও ডিজাইনারদের জন্য দারুন এক ফ্রি টুল। ব্যবহারকারীরা তাদের পুরনো বা নতুন স্ক্রিন শটে শেপ, এরো, টেক্সট, এবং ডুডল ব্যবহার করে ক্যাপসান দিতে পারেন। আপনি যদি আপনার কাজ করা ইমেজগুলো কোন সংঘঠিত, ক্লাউড বেজড জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখতে চান তবে এভারনোট ব্যবহার করতে পারেন, এদের ফ্রি সার্ভিস ও আছে। এভাবনোটে একাউন্ট না থাকলে কোন সমস্যা নেই। কেননা সব ধরনের ক্যাপচারিং, মার্ক আপ, সেভিং, এবং শেয়ারিং ফাংশনের জন্য কোন এভাবনোটে একাউন্টের প্রয়োজন নেই।

ফ্রি ফটো এডিটিং টুলস

১৭। পিক মাঙ্কি

আপনার হয়ত পাওয়ার পয়েন্টে ব্যবহার করার জন্য কিছু ভিজুয়াল কনটেন্ট প্রয়োজন কিন্তু ফটোশপের (যদিও আমরা ফটো শপ বিনা পয়সায় ব্যবহার করতে পারি) জন্য কোন বাজেট নেই, কি করতে পারেন ভাবছেন। আপনি যদি আপনার ইমেজ রি-কালার করতে চান, বর্ডার দিতে চান, টেক্সট যোগ করতে চান, এমনকি গ্রাফিক্স বসাতে চান— এগুলোর সবই আপনি অরো একটি সফটওয়ার ডাউনলোড না করেই করতে পারবেন, পিকমাঙ্কি ব্যবহার করে।

Picmonkey

১৮। বিফানকি

আপনি যদি সুন্দর, ইন্সটাগ্রাম ফটো ফিল্টার খুজে থাকেন তবে আপনি বিফানকিকে অবশ্যই পছন্দ করবেন। এই ফ্রি ফটো এডিটিং টুলটির রয়েছে অসাধারন সব ফিচার যেমনঃ ইফেক্টস, ফ্রেমস, গ্রাফিক্স, এবং টেক্সচার। আপনি একজন ডিজাইনার হন বা না হন এর ইন্টারফেজ খুব সরল একই সাথে সহজেই বোধগোম্য । সাধারন কোন ইমেজকে অসাধারন করতে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে কোন কোলাজ শেয়ার করতে আপনার দরকার হবে শুধুমাত্র কয়েকটি ক্লিকের।

BeFunky_Photo_Editor

১৯। ভিএসসি ও কেম এবং ২০। স্নেপ সিড

এগুলো ওয়েব ডিজাইন টুল না হলেও আপনার জন্য খুবই উপকারি কিছু টুল হবে। মনে করুন আপনি একটি অনুষ্ঠানে আছেন, সেখান থেকে অসাধারন একটি ইমেজ নিয়েছেন,যে তা আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে  চাচ্ছেন কিন্তু একটি সমস্যা ছবিটা অন্ধকার দেখাচ্ছে। আপনার সাথে ল্যাপটপ ও নেই। এখন উপায় ? মোবাইল ফটো এডিটিং এপ  ভিএসসি ও কেম এবং স্নেপ সিড দিয়ে আপনি খুব সহজেই ইমেজের পরিবর্তন করে নিতে পারে ঠিক যেমনটি আপনি চান। উভয়ই এপই এন্ড্রইয়েড ও আইওএস এ ফ্রি পাওয়া যায়

ফ্রি স্টক ফটো রিসোরচ

২১। কমফাইট

আপনি যদি সৃস্টিশীল ইমেজ খুজে থাকেন কিন্তু সার্চ ইঞ্জিনে তাদের পেতে গিয়ে নানা রকম জামেলাপূর্ণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় তবে চেক করে দেখতে পারেন কম ফাইট। কম ফাইট এর একটি এলগোরিদম আছে যার মাধ্যমে সবচেয়ে সুন্দর ইমেজকে সবার উপরে প্রদর্শন করা হয়।

বোনাসঃ এট্রিবিউশান নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই কেননা এটি সয়ংক্রিয়ভাবে এইচটিএমএল কোড জেনারেট করে যেখানে আসল লেখককে ক্রেডিট দেয়া হয় ।

২২। ডেথ টু স্টক ফটো

প্রতি সপ্তাহে আপনি যদি হাই কোয়ালিটি ইমেজ পেতে চান তবে আপনার শুধু একটি ইমেইল এড্রেস থাকলেই হবে। অফিস শট থেকে শুরু করে জিভে জল আনা খাবারের ছবি এই ফ্রি স্টক ফটো সার্ভিসের এক ছবির সংগ্রহ আছে বিশাল যা যে কারো চাহিদা মেটাতে সক্ষম। এই ছবিগুলো ব্যবহার করতে পারেন আপনার ওয়েব সাইটে, সোশ্যাল চ্যানেলে, মক আপে ।

Compfight

২৩। হাব স্পটের স্টক ফটো

আপনি যদি এট্রিবিউট ফ্রি ছবি পেতে চান যা আপনি আপনার ডিজাইনে ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনি হাব স্পট এর ফ্রি ইমেজ স্টক দেখতে পারেন। হাব স্পট হাজারো ফ্রি ইমেজ অফার করে যা আপনি যেখানে খুশি ব্যবহার করতে পারেন। তার জন্য যা আপনাকে করতে হবে তা হল শুধুমাত্র ডাউনলোড।

berries

২৪। হাব স্পটের ২৫০ হলিডে স্টক ফটো’স

নিদ্রিস্ট কোন ক্যাটাগরির ছবি যদি আপনি হাবের আগের স্টক থেকে খুজে না পান তবে এখানে দেখতে পারেন। এখানে হলিডে সম্পর্কিত সব ছবি পাওয়া যায় যেমন হোলোয়েন, থ্যাঙ্কস গিভিং, হানুকাহ, ক্রিসমাস, এবং নিউ ইয়ার্স।

২৫। আনপ্লাস

আপনি যেমনটা চান ঠিক তেমন ধরনের ছবি পেতে আন প্লাস এ যেতে পারেন। এখানেও ছবি ব্যবহারের জন্য এট্রিবিউশান দিতে হবে না

UnSplash

ফ্রি ইণ্টার এক্টিভ ডিজাইন টুল

২৬। ইনফোজিআর ডট এম

আপনি যদি খুব সাধারন ধরনের ইনফোগ্রাফিক পছন্দ না করে ইন্টারএক্টিভ ইনফোগ্রাফিক পছন্দ করলে এই অনলাইন ডিজাইন টুলটি চেক করে দেখতে পারেন। এর সাহায্যে আপনি এই প্রোগ্রাম গভীরে না গিয়েও সহজেই গ্রাফ, মানচিত্র, টেক্সট, এবং এমনকি ভিডিও যোগ করতে পারেন।এর ইনফোগ্রাফিকের ডানে আছে সোশ্যাল শেয়ারিং টুলস তাই কাস্টম পিন-ইট বাটন তৈরি করা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

infogr.am_example

২৭। ইনভিশিন এবং ২৮। মারভেল

আপনার কোন জটিল ডিজাইনের প্রয়োজনে আপনি হয়ত কোন ফটো টাইপ এপ খুজে নিতে পারেন। এটি আপনার ধারনাকে বাস্তবে পরিণত করে দেবে। অনলাইনে ফ্রি অনেক অপসান থাকলেও সহজ ব্যবহার ও কার্যকারিতার দিক দিয়ে আমি বেছে নিয়েছি এই দুটিকে।

অবশ্য ইনভিশিন ফ্রির পাশাপাশি এডভান্স গ্রাহকদের জন্য পেইড সার্ভিসের ব্যবস্থাও রেখেছে ।

ফ্রি ড্রয়িং টুলস

২৯। গুগল ড্রয়িং

মাইক্রোসফটের অদ্ভুদ পেইন্ট ড্রয়িংকে বিদায় বলে পলিসড ও প্রফেশনাল গুগল ড্রয়িংকে হ্যালো বলতে পারেন। আপনার যদি একটি ব্যাক্তিগত জিমেইল একাউন্ট থাকে বা আপনার কোম্পানি যদি গুগল এপ ব্যবহার করে তবে কাস্টম ভিজুয়াল কনটেন্ট বানাতে পারেন।

Google_Drawing

 

তথ্যসুত্রঃ

http://blog.hubspot.com/blog/tabid/6307/bid/33899/13-Free-Design-Tools-for-Visual-Marketers-on-a-Budget.aspx

http://blog.proofhq.com/best-free-design-tools-007309/

https://creativemarket.com/blog/2015/01/26/10-graphic-web-design-tools-that-will-explode-in-2015

 

আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছে। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন! সমাহার ডট নেট-এর পণ্য সামগ্রী ও সেবা পেতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

বিজনেস এসোসিয়েশন এর মেম্বারশিপ কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বিজনেস এসোসিয়েশন এর মেম্বারশিপ কেন গুরুত্বপূর্ণ

আমাদের দেশে নতুন উদ্যোক্তারা ডিজিটাল টেকনোলজি সম্পর্কে তুলনামূলক ভাল জ্ঞান রাখলেও দেখা যায় আইন ও কৌশলগত বিষয়ে তাদের প্রচুর প্রশ্ন থাকে? সে আলোকে আজকের এই লেখা।

প্রথম কথা হলো ব্যবসায়িরা কেন বিভিন্ন ট্রেড এসোসিয়েশন এর মেম্বার হন?

১। যিনি যে ব্যবসা করেন যখন তিনি সে ট্রেড এসোসিয়েশন এর মেম্বার হন তখন তাকে তার সাপ্লায়ার বা ভেন্ডররা বিশ্বাস করে যে, তিনি ২ দিনের জন্য এখানে আসেননি তিনি দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা করবেন তাই তার সাথে কাজ করা যায়। ই-কমার্স সেক্টরে বিশ্বাসটা আরো বেশী গুরুত্বপূর্ণ।

২। যখন ট্রেড এসোসিয়েশন এর লোগো ব্যবহার করেন তখন ক্রেতা বা সাধারণ মানুষ ওই প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বাস করে যেমন, REHAB এর লোগো থাকলে জনসাধারণের বিশ্বাস তৈরী হয় যে, এই হাউজিং কোম্পানী প্রতারণা করবেনা। একটি অনলাইন কোম্পানীর ক্ষেত্রেও বিশ্বাস তৈরী করতে এসোসিয়েশন মেম্বারশিপ দরকার।

৩। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় এসোসিয়েশন এর সদস্যপদ ছাড়া যেনতেনভাবে ব্যবসা করা যায়। কিন্তু অনেক সুবিধা পাওয়া যায়না। যেমন BASIS এর মেম্বার হওয়া ছাড়া কোনো সরকারী টেন্ডারে আবেদন করা যায়না। ভবিষ্যতে e-CAB এর ক্ষেত্রে এধরনের পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে।

৪। কখনো কখনো ব্যাংক লোন, ফরেন ইনভেস্টমেন্ট, ব্যবসায়ী হিসেবে বিদেশ গমনের জন্য ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ট্রেডবডির মেম্বার হতে হয়।

৫। আপনি যদি বিদেশী কোম্পানীর সাথে কোনো কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে বিজনেস এসোসিয়েশন এর সদস্যপদ বা চেম্বারস অব কমার্সের সদস্যপদ ছাড়া অনেক কোম্পানী আপনার সাথে কাজ করবে না।

৬। সরকার চায় প্রতিটি বিজনেস সেক্টরের সমিতি বা সঙ্ঘ থাকুক। তাতে সরকারী যেকোনো নীতি বা নোটিশ তাদের এসোসিয়েশন এর মাধ্যমে সবাইকে জানানো যায়। তাই এসোসিয়েশন এর সাথে থাকলে আপনার ব্যবসা নিয়ে সরকার কি নীতি পলিসি তৈরী করছে তা আপনি জানতে পারবেন।

৭। কখনো কখনো সরকার তার সিদ্ধান্তগ্রহণের জন্য এসোসিয়েশন ডাকে। এবং তাদের পরামর্শ অনুসারে সরকার বিভিন্ন আইন প্রণয়ন, কর ধার্যকরণ, ভ্যাট ঠিক করণ ইত্যাদি করে থাকে। এসোসিয়েশন এর সাথে থাকলে আপনি সরকারকে এসব ব্যাপারে এসোসিয়েশন এর মাধ্যমে পরামর্শ দিতে পারবেন। কারণ সরকার কারো একার কথা শুনতে চাইবেনা। কিন্তু অনেকের কথা শুনতে চাইবে।

৮। সরকার যখন বিদেশের সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন দেশে সফরে অথবা বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের মিটিংএর সংশ্লিষ্ট এসোসিয়েশনকে সম্পৃক্ত করে। এতে করে এসোসিয়েশন এর সাথে যুক্ত থাকলে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সুযোগ তৈরী হয়।

৯। কোনো কোম্পানী যদি গ্রাহকের সাথে কোনো প্রতারণা করে তাহলে গ্রাহক আইনগতভাবে মামলা দায়ের করার আগে এসোসিয়েশনকে অভিযোগ করতে পারে। তখন এসোসিয়েশন উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করে দেয়। এটা না করে সরাসরি আইনের আশ্রয় নিলে দীর্ঘদিন আদালতে দৌড়ঝাপসহ উভয়ের অর্থ ও সময় নষ্ট হয়।

১০। যখন দেশের মধ্যে বা বিদেশের কোনো ব্যবসায়ির সাথে B2B লেনদেন হয়। কোনো কারণে একপক্ষ প্রতারিত হলে তখন এসোসিয়েশন এর মাধ্যমে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে কখনো কখনো সমস্যার সমাধান ও ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায়।

 

দ্বিতীয়ত: বিজনেস এসোসিয়েশন এর মেম্বার না হলে কি হবে?

বিজনেস এসোসিয়েশন এর মেম্বার না হলেও আপনি ব্যবসা করতে পারবেন। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা থেকে বুঞ্চিত হবেন। আপনি কি কি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন তা নির্ভর করছে আপনি কি ব্যবসা করেন? আপনার কোন এসোসিয়েশন এর সাথে যুক্ত হওয়া উচিত। সে সেক্টরে সরকারের বিধি-বিধানগুলো কি কি? যেমন ATAB এর মেম্বার ছাড়া আপনি ট্রাভেল এজেন্সি পরিচালনা করতে পারবেন না।

 তৃতীয়ত: কেন সরকার চায় সব ব্যবসায়ীরা এসোসিয়েশন এর মধ্যে থাকুক

১। এতে করে যেকোনো নোটিশ এসোসিয়েশন এর মাধ্যমে দেয়া যায়।

২। সরকারের নীতি ও পলিসি তৈরীতে এসোসিয়েশন এর মাধ্যমে পরামর্শ নেয়া যায়।

৩। কেউ কোনো কোম্পানীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আগে এসোসিয়েশন এর মাধ্যমে সমঝোতা করা যায়।

৪। সংবিধান অনুসারে যেকোনো লোক যেকোনো বৈধ ব্যবসা করতে পারে। তাই ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার সময় অনেক সময় অনেককিছু ভেরিফাই করা যায় না। কিন্তু যখন এসোসিয়েশন তাদের মেম্বারশিপ দেয় তখন কিছু ভেরিফিকেশন হয় তাতে প্রতারণা কমে যায় এবং জনগন সেবা পায়। সরকার সব সময় চায় সঠিক ব্যবসায়িরা ব্যবসা করুক।

৫। আধুনিক বাজার ব্যবস্থায় ব্যবসায়ী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। তােই সবাইকে একটি প্লাটফর্মের আওতার আনতে সরকার ট্রেডবডিকে উৎসাহিত করে।

আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছে। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন! সমাহার ডট নেট-এর পণ্য সামগ্রী ও সেবা পেতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

ই-কমার্স বিজনেস কোম্পানি মডেল (সবগুলো ডিপার্টমেন্ট নিয়ে কাজ না করে এই ব্যবসা নামা এত সহজ নয় ) !

ই-কমার্স বিজনেস  কোম্পানি মডেল
প্রতিটা বিজনেসের মূলে থাকে কিছু প্ল্যান বা পরিকল্পনা । ই-কমার্স  ব্যবসায়ে  একটি কোম্পানিকে তার কাংখিত লক্ষ্যে নিজের
কোম্পানিকে নিয়ে যেতে হলে থাকতে হবে কিছু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা । সেই পরিকল্পনাগুলো  নির্ধারণ করবে সেই কোম্পানি কতদূর পর্যন্ত যাবে এবং নিজস্ব একটি ব্র্যান্ড হিসেবে দেশ- বিদেশে প্রতিষ্ঠিত হবে । প্রতিটি পদক্ষেপ এখানে জরুরি । এ ব্যবসায়ে বেশকিছু ডিপার্টমেন্ট রাখতে হবে যা এ ব্যবসায়ের উন্নতি এবং কাজগুলো ঠিকভাবে সম্পূর্ণ করে সমন্বয় সাধন করবে । প্রত্যেক ডিপার্টমেন্ট এখানে  ঠিকমত কাজ করলেই ব্যবসা অগ্রসর কিংবা প্রসার হবে ।
কিছু ডিপার্টমেন্ট এর কথা উল্লেখ করা হল যা এ ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি
১।টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টঃ
যাবতীয় প্রযুক্তিগত দিকগুলো এ ডিপার্টমেন্টের কাজ । সাইট ডেভেলপ করা , নতুন ফিচার এড করা , এপ সার্ভিস ভালো রাখা , সহজ করা মোবাইল ও ওয়েবের মাঝে সমন্বয় রাখা এবং ইলেক্ট্রনিক পেমেন্টগুলো ঠিকমত কাজ করছে
নাকি তা দেখা । সাইটের কোন রকম টেকনিক্যাল সমস্যা হলে অল্প সময়ে তা ঠিক করা এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি করা সাইটকে এ ডিপার্টমেন্ট এর কাজ হবে ।
 ২।পেমেন্ট ডিপার্টমেন্টঃ
প্রতিষ্ঠানে যাবতীয় অর্থনৈতিক বিষয় দেখার কাজ এ ডিপার্টমেন্টের । ক্রেতার পেমেন্ট সেলস ডিপার্টমেন্ট থেকে বুঝে নেওয়া ।
প্রতিষ্ঠানের জন্যে কোথায় কি পরিমাণ ব্যয় করতে হবে মার্কেটিং সহ অন্য খাতে এবং কোম্পানির লোকদের বেতন সব এখানকার কাজ হবে।
৩।মার্কেটিং এন্ড সেলস ডিপার্টমেন্টঃ
ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে সুন্দর আকর্ষণীয়ভাবে প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করতে হবে । নিয়মিত আপডেট থাকতে হবে মার্কেটিংয়ে ।
প্রোডাক্ট নিয়ে প্রমোশন দিতে হবে বিভিন্ন সময়ে ,যাতে বিক্রি বাড়ে । সেল করার ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ডেলিভারি টিমের থেকে পাওয়া অর্থ ও অনলাইনে পাওয়া অর্থ পেমেন্ট  ডিপার্টমেন্টকে দিতে হবে । এভাবে সমন্বয় রাখতে হবে ।
৪।আইডিয়া ও পরিকল্পনা ডিপার্টমেন্টঃ
নিত্য নতুন আইডিয়া বের করার দায়িত্ব থাকবে এ ডিপার্টমেন্টের । কোম্পানির জন্যে সময় উপযুগী বিভিন্ন বিষয় ভাবতে হবে । কিভাবে সেল বাড়ানো যায় । কি ধরণের বিজ্ঞাপন দিতে হবে , কি ধরণের আইডিয়া হবে । কোন ধরণের প্রমোশন চালু করতে হবে কোন সময় । কোন প্রোডাক্ট কোন সময়ে তৈরি করলে বা সংগ্রহ করলে কোম্পানির উন্নতি হবে । যাবতীয় এ বিষয়গুলো নিয়ে আইডিয়া ও প্ল্যান করতে হবে।
৫।কর্পোরেট মিটিং এন্ড ব্র্যান্ডিং ডিপার্টমেন্টঃ
বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সাথে মিটিং ,সেমিনার  করতে হবে ।। কোন নতুন প্রোডাক্ট এর এক্সেস কোন প্রতিষ্ঠানে করানো যায় নাকি তা নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে । ব্র্যান্ডিং করবে কোম্পানির সাথে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে
সমন্বয় রাখবে । ব্যবসায়িক বিভিন্ন সুযোগ গ্রহণ করবে কোম্পানিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যে।
 ৬।মার্কেট এনালাইসিস ডিপার্টমেন্টঃ
বাজারের অবস্থা কেমন , মানুষ কি রকম প্রোডাক্ট এর প্রতি বেশি আগ্রহী সেইরকম এনালাইসিসগুলো করতে হবে । কি রকম প্রোডাক্ট এর প্রতি সামনের সময়ে আগ্রহ সৃষ্টি হবে তা বুঝতে হবে , জরিপ করতে হবে । কখন কি রকম প্রোডাক্ট মানুষ চায় তা এনালাইসিস করতে হবে ।
৭।লিগ্যাল ডিপার্টমেন্টঃ
যাবতীয় আইনি বিষয়ক সমস্যা ও বিষয়াদি কোম্পানির দেখবে  ও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ।
৮।অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ডিপার্টমেন্টঃ
এ ডিপার্টমেন্ট এর কাজই হবে নতুন নতুন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট তৈরি করা এবং মানুষকে আগ্রহী তোলার মত কিছু ভিন্নরকম বিজ্ঞাপন নির্মাণ করা । যাতে করে প্রোডাক্ট এর প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ে এবং মানুষ কিনে । নতুনত্ব থাকবে বিজ্ঞাপনে প্রোডাক্ট নিয়ে বিক্রি ব্যবস্থাপনায় ।
৯।প্রোডাক্ট ডিপার্টমেন্টঃ
এ ডিপার্টমেন্ট হবে কোম্পানির সবচেয়ে বড় ডিপার্টমেন্ট । প্রোডাক্ট এর যাবতীয় কাজ এরা করবে ।
●প্রোডাক্ট অর্ডার টিমঃ
ক্রেতার কাছ থেকে প্রোডাক্ট  এর অর্ডার নিবে ।
● প্রোডাক্ট সোর্সিং টিমঃ
প্রোডাক্ট কোথায় পাওয়া যায় তার সোর্স করবে এবং কোম্পানির জন্যে সংগ্রহ করবে ।
 ●প্রোডাক্ট রিসার্স ও ডেভেলপমেন্ট টিমঃ
প্রোডাক্ট এর গুণগত মান ঠিক রাখবে , তা নিয়ে রিসার্স করবে এবং নিজেদের তৈরি নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট থাকলে তা তৈরি করবে ও উন্নত করবে ।
 ●প্রোডাক্ট ভ্যালু নির্ধারণ টিমঃ
এ টিমের কাজ হবে বাজার যাচাই করে প্রোডাক্ট এর ভ্যালু নির্ধারণ করা , যাতে করে সহনীয় এবং আকর্ষণীয় মূল্যে ক্রেতা প্রোডাক্ট পায় । সাথে নিজেদের লাভ কত থাকবে তাও ঠিক করা ।
  • প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি টিমঃ
এ টিমের কাজ হবে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি নিয়ে কাজ করা ।
● প্রোডাক্ট রিভিউ টিমঃ
প্রোডাক্ট বিষয়ক সুন্দর পরিপাটি আকর্ষণীয় ছবি সম্বলিত রিভিউ তৈরি করা , যাতে ক্রেতা প্রোডাক্ট রিভিউ পড়ে এর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে কিনে ।
●প্রোডাক্ট প্যাকেজিং  টিমঃ
প্রোডাক্ট সুন্দরভাবে প্যাকেজ করাই হচ্ছে এই টিমের একমাত্র কাজ ।
● প্রোডাক্ট ডেলিভারি টিমঃ
এই টিমের সেলস ডিপার্টমেন্ট এর সাথে এদের সংশ্লিষ্টতা থাকবে । তাদের কাজ হবে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করা ও পেমেন্ট সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টকে তা দেওয়া ।
১০।কাস্টমার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টঃ
কাস্টমার প্রোডাক্ট নিয়ে কোন সমস্যায় পরলে তার সমাধান দেয়ার দায়িত্ব এ টিমের । কাস্টমারের সাথে কথা বলা , তার সার্ভিস নিশ্চিত করা এদের কাজ।
১১। ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টঃ
যাবতীয় সব বিষয়গুলো সমন্বয় সাধন করে কোম্পানি পরিচালনা করা , বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া ,কোম্পানিকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যাওয়া এই ডিপার্টমেন্ট এর কাজ  ।
বিঃদ্রঃ সবগুলো ডিপার্টমেন্ট নিয়ে কাজ না করে এই ব্যবসা নামা এত সহজ নয় ।
আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছে। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন! সমাহার ডট নেট-এর পণ্য সামগ্রী ও সেবা পেতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
Cart
Your cart is currently empty.