ফেম গোল্ড ব্লীচ ক্রিম রিভিউ
ফেম গোল্ড ব্লীচ ক্রিম এর রিভিউ পর্বে আপনাদের স্বাগতম। কেমন আছেন সবাই? আজ আমি আপনাদের সামনে ফেম গোল্ড ব্লীচ ক্রিম “গোল্ডেন গ্লো” এর সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরবো।
ফেম এর অন্যান্য সব গুলো প্রোডাক্ট সম্পর্কে আমার ধারণা মোটামুটি যথেষ্ট ভালো আছে। তবে, এই পণ্যটি নমনীয় মানে সেন্সেটিভ স্কিন এর মানুষদের জন্য বিশেষ উপযোগী একটি ক্রিম।
ফেম এর ব্লিচ ক্রিমের অবশ্য এখন অনেক গুলো প্রকারভেদ আছে যেমন ব্লুবেরি, এপল, ম্যাংগো এবং হারবাল ব্লিচ।
আমাদের মত যাদের ত্বক অনেক নমনীয় তাঁদের কাছে ওয়াক্সিং এর ব্যথা সহ্য করার থেকে ব্লিচ ক্রিম দিয়ে ফেসিয়াল করাটাই বেশি ভালো। তাছাড়া ওয়াক্সিং পদ্ধতি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর ও বটে।
ভাল দিকঃ
মুখের লোমের রঙ পরিবর্তন করে আপনার মুখটিকে আরও ফর্সা উজ্জ্বল করে তোলে।অল্প সময়ের মধ্যেই চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ।
খারাপ দিকঃ
ত্বক ফুলে যেতে পারে।ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া এবং ত্বক এ সাময়িক জ্বালা কিম্বা লাল হতে পারে।প্রথম বার ব্যবহার করার পর পরের ২০ দিন পর মুখের রঙ একটু কালো দেখাবে।
Fem Gold Fairness Creme Blach 64 G
দামঃ ২৩০ টাকা খুচরা মুল্য
ক্রিম এর সাথে যা যা পাবেনঃ
ক্রিমের সাথে প্যাকেটের ভেতর আপনারা পাবেন ক্রিম বেস এবং এক্টিভেটর পাউডার, এর সাথে আরও পাবেন একটি স্পেটুলা ও প্লাস্টিক প্লেট। আপনি ছবির মাঝেই সবকিছু আপাতত দেখে নিতে পারেন।
ব্লিচ কি
ব্লিচ হল যা আপনার মুখের লোমের রঙ পরিবর্তন করে আপনার মুখটিকে আরও ফর্সা উজ্জ্বল করে তোলে। ব্লিচ দ্বারা অল্প সময়ের মধ্যেই চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা হয়।
এবার আসুন জেনে নিই পার্লারে না গিয়ে বাসাতেই কিভাবে মুখে ব্লিচ করবেন।
আমার অভিজ্ঞতাঃ
আমি একজন রেগুলার ফেম ব্যবহার কারী। আমার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং স্কিন টোন ধরে রাখতে এটি আমাকে সাহায্য করে। আমার কাছে ফেম এর বেশ কয়েকধরণের ব্লিচ ক্রিম আছে। আমি এটি অনলাইন থেকে কিনেছি এবং আপনি এটি যেকোনো স্কিন প্রোডাক্ট বিক্রয় করে এমন দোকান থেকেই কিনতে পারবেন।
এটির পরিমাণ ২০ গ্রাম এর সুন্দর কৌটা থেকে শুরু হয়।আমার মতে এটি আপনি দুইবার ব্যবহার করতে পারবেন।
কিন্তু, এবার আমি 64 G পেয়েছি , শুনে অবাক হবেন যে, আমি ৩০ বার ব্যবহার করেছি, সত্যি খুব আশ্চর্যজনক ব্যাপার। আপনাকে বার বার দোকানে গিয়ে কেনার কোন ঝামেলাই পোহাতে হবেনা।
আমার মতে এটি একটি সাশ্রয়ী প্যাক। আপনি অনেক কিছুই বেশি পাচ্ছেন মাত্র ২৩০ টাকায়।
এর প্যাকেটের ভেতর কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং ব্লিচ করার নিয়ম তার সম্পূর্ণ বিবরণ দেয়া আছে। তাই আপনার এটি ব্যবহারে কোন ধরনের কোন সমস্যা-ই হবেনা।
যারা প্রথম ব্যবহার করবেন তাঁদের জন্য তো ব্লিচ করার নিয়ম অবশ্যই অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার।
মুখে ব্লিচ করার নিয়ম
ধাপ সুমহ ঃ
মুখে ব্লিচ করার নিয়ম এর জন্য এর ভিতর একটি নির্দেশিকা পাবেন। ব্যবহারের শুরুতেই আপনাকে সঠিক পরিমাণে ক্রিম বেস এবং এক্টিভেটর পাওডার নিতে হবে।
আমার মতে একদম অল্প পরিমাণ ধরুন, এক চিমটি পরিমাণ পাউডার যথেষ্ট এক জনের জন্য। আপনি স্পেটুলা দিয়ে পরিমাপ করে এক স্পেটুলা পরিমাণ পাউডার নিলেই হয়ে যাবে।
তারপর , একে এমন ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে যতক্ষন পর্যন্ত না পাওডার সম্পূর্ণ ভাবে ক্রিমের সাথে মিশে যায়। এরপর স্পেটুলা ব্যবহার করে মুখের যেখানে যেখানে আপনি ব্যবহার করবেন সেখানে লাগিয়ে নিন।
১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
একটু কিছুক্ষন স্বল্প মাত্রার কামড় এর মত একটু চুলকুনির মতো লাগতে পারে পার্শ্বপতিক্রিয়া হিসেবে।
তবে এটা কোন ভয়ের কিছুনা।
প্রথম বার আপনি একটা প্যাচ টেস্টের মতো করে অল্প পরিমাণ ব্যাবহার করে দেখতে পারেন। কিছুক্ষন পর খেয়াল করবেন আপনার ত্বকের লোমগুলো কিছুটা সোনালি আভা ছড়াচ্ছে ।
এবং স্কিন টোন এর মাঝেও খানিকটা উজ্জ্বল ভাব চলে আসতে শুরু করেছে।
ব্লিচ করার উপকারিতা
এটি শুধু মাত্র মুখের উজ্জ্বলতা কিংবা মুখের মাঝে থাকা লোমের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেনা ।
বরং এটি আপনার বার্ধক্য জনিত ছাপ, দাগ সহ অবাঞ্ছিত লোম ও পরিস্কার করে। লোম কূপের মাঝে জমে থাকা ময়লা পরিস্কার করে ফলে ত্বক অনেক বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে কোষ গুলিতে এবং ত্বক থাকে দীপ্তিময়।
এর কার্যকারিতা প্রায় দুই সপ্তাহ আমার মুখে বিদ্যমান থাকে।
সব মিলিয়ে এই ব্লিচ টা আমার কাছে ভালোই লাগে বিশেষ করে অন্যান্য উদ্ভট গন্ধ যুক্ত ব্লিচ থেকে অন্তত অনেকগুন ভালো।
আমার মতামতঃ
আমার মতে আপনি যদি ব্লিচ ব্যাবহার করেন তবে এই গোল্ড ফেম ব্লিচ টি ব্যাবহার করে দেখতে পারেন। যারা ফেম ব্যাবহার করেন তারা তো অবশ্যই একবার হলেও এটি ব্যাবহার করে দেখতে পারেন পার্থক্য যাচাইয়ের জন্য।
আর যারা এখনো ফেম এর কোন পন্য ব্যবহার করেন নাই তারাও একবার এটি ব্যাবহার করে দেখতে পারেন।
অভিজ্ঞদের মতে ফেয়ার পলিশ , ব্লিচ ক্রিম থেকে ভাল।
ফেয়ার পলিশ কি? এই প্রশ্ন আপনার মনে আসতেই পারে। ফেয়ার পলিশ হল ব্লিচ ক্রিম থেকে আলাদা কিছু, যা ত্বকে আলাদা উজ্জ্বলতা এনে দেয়। অনেক সময় ত্বক কালো হয়ে যায় এবং হাত-পা কালো হয়ে যায়। ফেয়ার পলিশ সেই সমস্যার সহজ সমাধান।
টিপস
তবে মনে রাখবেন ফেয়ার পলিশ ২৮ বছর বয়সের আগে করা উচিত না।
রুক্ষ বা শুষ্ক ত্বক হলে গোল্ড ফেসিয়াল আপনারই জন্য।
নরমাল অথবা তৈলাক্ত ত্বক হলে আপনি করবেন সিলভার ফেসিয়াল।
পার্লারগুলোতে একটা হোয়াইটেনিং ফেসিয়াল করাতে ১২০০-১৮০০ টাকা ব্যয় করতে হবে প্রতি বারেই, যা অনেকের জন্যই অনেকটাই ব্যয়বহুল।
তাই আজ আপনাদের জানাচ্ছি জাফরানের সাহায্যে হোয়াইটেনিং ফেসিয়াল করার পদ্ধতি।
হোয়াইটেনিং ফেসিয়াল করতে যা যা লাগবেঃ
হোয়াইটেনিং ম্যাসাজ ক্রিম
ফেসিয়াল ক্রিম
ফেসিয়াল কিট
আগেই বলেছি নমনীয় ত্বকের অধিকারিদের জন্য এটি একদম ত্বক উপযোগী একটি ব্লিচ ক্রিম। এছাড়াও ফেম ইন্ডিয়ার মাঝে সুনামধন্য ব্লিচ ক্রিম এর কোম্পানি।
তারপরেও বলছি, যত পরিচিত ব্র্যান্ড হোক না কেন আপনি ব্যাবহার শুরু করার পূর্বে একবার হলেও পরীক্ষামূলক ব্যাবহার করবেন সচেতনতার সহিত কারণ ত্বক আমাদের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দেহের অংশের মাঝে একটি।
আবারো কথা হবে অন্য সময় অন্য কোন পন্য নিয়ে আপনাদের সাথে, ধন্যবাদ।
You must be logged in to post a comment.