শুরুটা করি নারী উদ্যোক্তাদের একটি সাফল্যের কাহিনি দিয়ে। দেশের নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য বিক্রির জন্য বিশেষায়িত ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস গৃহবধূ ডটকম যাত্রা শুরু করেছে। সাইটটিতে শুধু নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য ও সেবা বিক্রি করা হবে। তবে নারী কিংবা পুরুষ যে কেউ সেখান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। উদ্যোক্তা হিসেবে নারীদের এগিয়ে নিতে প্ল্যাটফর্মটি দারুণ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে। কারণ প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে অনলাইনে কেনাকাটা ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে। সেখানে এ মার্কেটপ্লেসটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলা চলে। বলে রাখা ভালো, গৃহবধূ ডটকমের কর্ণধারও একজন নারী। সাহেদা তাজনিয়া নামের ওই নারী নিজেও একজন উদ্যোক্তা হিসেবে এ ধরনের একটি প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু করলেন।
বিশ্বজুড়ে বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে পণ্যের বেচাকেনা ক্রমেই নি¤œমুখী। আর জনপ্রিয়তা বাড়ছে, অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচা। সে পালে হাওয়া দিতে আমাদের দেশে বেশ কিছু অনলাইন মার্কেটপ্লেস গড়ে উঠেছে। এর বাজারও ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে প্রায় এক হাজার অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ৩০ থেকে ৪৫ হাজার পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিদিনই এ মাধ্যমে পণ্য বিক্রির পরিমাণ বাড়ছে। এতগুলো মার্কেটপ্লেস থাকলেও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষায়িত কোনো মার্কেটপ্লেস এতদিন ছিল না বা গড়ে ওঠেনি। সে ক্ষেত্রে গৃহবধূ ডটকম অবশ্যই দারুণ একটি উদ্যোগ। এর মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে নারী মার্চেন্টরা নিজেদের পণ্য নিজেরাই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রির সুযোগ পাবেন। অনেকে উদ্যোক্তা হতেও উৎসাহিত হবেন।
এখন আসি মূল কথায়। সম্প্রতি ‘স্টাডি অন এমপ্লয়মেন্ট, প্রডাকটিভিটি অ্যান্ড সেক্টরাল ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে দেশে বেকারত্বের চিত্র তুলে ধরেছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে এখন ছদ¥ বেকারের সংখ্যা এক কোটি ২৫ লাখ। তবে এখনও ১২ লাখ পুরুষ আর ৯ লাখ নারী পুরোপুরি বেকার রয়েছেন। এই ২১ লাখ বেকার সপ্তাহে এক ঘণ্টাও মজুরির বিনিময়ে কাজ পাননি। অবশ্য এ ধরনের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রায়ই। তবে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে পুরুষের তুলনায় নারীর কর্মসংস্থান বেশি হয়েছে। আর এক বছরের ব্যবধানে নারী বেকার কমেছে সাড়ে চার লাখ। অন্যদিকে পুরুষ বেকার কমেছে দেড় লাখ। এখানে কর্মক্ষেত্রে নারীদের অগ্রগতির বিষয়টি স্পষ্ট। তবে এখনও বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ বেকার রয়েছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
দেশে বেকারত্ব নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। নানা ধরনের পন্থার কথাও বাতলে দেওয়া হয়। বেকারত্ব দূরীকরণ, নতুন কর্মসংস্থান, অর্থনীতির উন্নতিসহ নানা দিক বিবেচনায় উদ্যোক্তা গড়ে তোলার কথা বলা হয় প্রায়ই। দেশে বিপুলসংখ্যক বেকার জনগোষ্ঠী থাকায় তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা বা উৎসাহিত করার ধারণাটা বেশ জোরালো হয়েছে। নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে অনেকে উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হচ্ছেনও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ আবার নারী। এখানে বলে রাখা ভালো, দেশে উদ্যোক্তা হতে গিয়ে মূলধন প্রাপ্তি, সহযোগিতা, কর্মী, জায়গাপ্রাপ্তিসহ নানা ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা রয়ে গেছে অনেক। পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও এগুলো মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে তার সঙ্গে নারীদের সামনে আরও কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যা তাদের সামনে বাধার পাহাড় তৈরি করে রেখেছে।
এটা সত্য, অনেক নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করায় তাদের ক্ষমতায়নের ধারণায় অগ্রগতি হয়েছে অনেক। সীমাহীন বাধা অতিক্রম করে অনেকেই সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছেন। তবে তাদের সার্বিক অগ্রগতি এখনও আশাব্যঞ্জক পর্যায়ে পৌঁছেনি। রফতানি বাণিজ্যে নারী উদ্যোক্তাদের ভূমিকা এখনও সীমিত। এছাড়া আরও অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা কাক্সিক্ষত সফলতা পাচ্ছেন না। এক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি দেশে অনেক আগে থেকে চলে আসা সামাজিক গোঁড়ামিও কাজ করছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এর কারণ খুঁজে বের করে তা দ্রুত সমাধান করা জরুরি। কারণ দেশের সমৃদ্ধির স্বার্থে নারীদের এগিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই। আর এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা না গেলে নারীরাও সামনে এগোতে পারবেন না ভালোভাবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে নারী উদ্যোক্তাদের ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা (বিআইডিএস) গবেষণায় এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত উঠে এসেছে। গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে মাত্র দুই শতাংশ নারী উদ্যোক্তার পণ্য রফতানি হচ্ছে। পণ্য বাজারজাতকরণে যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকা, ঋণপ্রাপ্তিতে বিশেষ সুবিধা না থাকা এবং সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিবন্ধকতায় অবিবাহিত নারীরা এখনও উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি হতে পারছে না। এছাড়া দেশের ৮৬ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাই বিবাহিত। তাদের ৬৫ শতাংশেরই আবার পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। এখানে যে বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে সেটি হলো, অবিবাহিত নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার সংখ্যা সীমিত। এছাড়া যাদের আগে থেকেই পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে বা আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ বেশি। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও আগে থেকে মূলধনের সংস্থান না থাকা নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ সীমিত।
একটা সময় ছিল, যখন এদেশে নারীরা ছিলেন অবহেলিত। উদ্যোক্তা হওয়া দূরে থাক, শিক্ষার সুযোগ বঞ্চিত, বাল্যবিয়ে, নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হতে হতো তাদের। বাড়ির কাজ ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ কল্পনাও করা যেত না। ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা চাকরির বাজারে তাদের প্রবেশের সুযোগ ছিল সীমিত। তবে বর্তমানে সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে অনেক। নানা ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে আসছেন। গত কয়েক বছরে দেশের পাবলিক পরীক্ষাগুলোয় নারীদের জয়জয়কার। চাকরিসহ নানা ক্ষেত্রে পুরুষদের সঙ্গে সমানতালে লড়ছে তারা। দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির স্বার্থে এটি ভালো খবর নিঃসন্দেহে। তারপরও উদ্যোক্তা হওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা এখনও প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন, যা তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথকে বাধাগ্রস্ত করছে।
বিআইডিএস ও এসএমই ফাউন্ডেশনের গবেষণা অনুযায়ী, দেশে ৭৫ শতাংশ নারী উদ্যোক্তার বয়স ৩১ থেকে ৫০ বছর। আর তরুণ নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা মাত্র ১৩ শতাংশ। শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর। অথচ আজকের পৃথিবীতে এই তরুণদেরই অর্থনীতির চালিকাশক্তি মনে করা হয়। তরুণ জনশক্তিকে মূল পরিকল্পনায় রেখে দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। সেখানে আমাদের দেশে যদি এই বয়সের নারীরা উদ্যোক্তা হতে এগিয়ে না আসেন, তাহলে নারী উদ্যোক্তাদের সফলতার হারও কম থাকবে বলেই মনে হয়। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, অপেক্ষাকৃত তরুণরা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অনেক বেশি অগ্রসর। সে জন্য তরুণ নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। কিন্তু এটিই আমাদের সামনে মূল চ্যালেঞ্জ নয় কি?
গবেষণা বলছে, উদ্যোক্তা হতে গিয়ে নারীরা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন পরিবার কিংবা সমাজ থেকে। পরিবার থেকে আর্থিক কোনো সহযোগিতাও তারা পাচ্ছেন না। আবার তরুণদের উৎসাহ না থাকায় তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার হারও মাত্র দুই শতাংশ। সার্বিকভাবে বাধা পাচ্ছেন সব বয়সের নারীরাই। এমনকি অনেক নারীর স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়ির লোকজনও চান না, তারা উদ্যোক্তা কিংবা ব্যবসায়ী হয়ে উঠুক। অতীতে নারীদের বিরুদ্ধে সমাজে যেসব ধ্যান-ধারণা প্রচলিত ছিল, এটি তারই বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হয়। এর থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। এসব বাধা দূর করতে হলে সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। অবশ্য আশাব্যঞ্জক ব্যাপার হলো, এ ধরনের পারিবারিক ও সামাজিক বাধা ক্রমেই শিথিল হচ্ছে।
এরপরও দেশে অনেক নারী উদ্যোক্তা ট্রেড লাইসেন্স পেতে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। অনেকের বাড়তি অর্থ দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স পেতে হয়েছে, প্রয়োজন হয়েছে দীর্ঘ সময়ের। এভাবে অহেতুক জটিলতায় পড়লে নারীরা উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন সেটাই স্বাভাবিক। এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সবার আগে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে নারীবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। আর্থিক সংস্থানের জন্য মূলধনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে ঋণপ্রাপ্তিতে বাধার মুখে পড়ছেন তারা। সেক্ষেত্রে নারী উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যাংকের নিয়মনীতিতে শিথিলতা আনতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ জন্য বিশেষ নির্দেশনা জারি করতে পারে। এছাড়া ভূমি, কাঁচামাল, বাজারজাত, রফতানিসহ যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলোও সমাধান করা জরুরি।
লেখার শেষ পর্যায়ে এসে আরও একজন অদম্য নারীর কথা বলতে চাই। কয়েক মাস আগে সাবেক একজন সহকর্মী হঠাৎ করেই চাকরি হারান। তখন তার তেমন কোনো অর্থ সঞ্চয় না থাকায় দিশাহীন হয়ে পড়েন তিনি। তবে সে সময় ত্রাতা হয়ে এগিয়ে আসেন তার স্ত্রী। আগে থেকেই তিনি বাসা থেকে শখের বশে নারীদের পোশাক তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করতেন। তবে স্বামী চাকরি হারানোর পর সেই উদ্যোগটি তিনি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নিয়ে যান, সফলও হয়েছেন। স্বামীর দুঃসময়ে তাকে যোগ্য সমর্থনটা দিতে পেরেছেন তিনি। পরে অবশ্য সাবেক সেই সহকর্মী ভালো চাকরি পেয়েছেন। দুজনের যৌথ আয়ে এখন সুখে-শান্তিতে বসবাস করছেন তারা।
বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্যে উদ্যোক্তা হিসেবে শিক্ষিত নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়েও অনেক নারী শিল্পায়ন ও ব্যবসায় সম্পৃক্ত হচ্ছেন। তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানেও তারা ক্রমেই সমৃদ্ধ হচ্ছেন। এখন তাদের জন্য দরকার যোগ্য পৃষ্ঠপোষকতা। এজন্য তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, প্রযুক্তি জ্ঞান বাড়াতে হবে, মূলধনের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে নারী উদ্যোক্তাদের বিষয়ে অনেক তথ্যই এখনও অজানা রয়েছে। রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে উদ্যোগ নিয়ে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান করা জরুরি। নারীদের এগিয়ে নিতে হলে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। পাশাপাশি তরুণ বয়সী নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের মনে রাখা দরকার, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কর্মসংস্থানের বড় উৎসও বটে। এ খাতে নারীদের ব্যাপকহারে যুক্ত করতে পারলে উন্নয়নের গতি আরও বাড়বে। সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি।
For You, With You, For Ever….
সমাহার ডট নেট-এর পণ্য সামগ্রী ও সেবা পেতে রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন।
- অ্যাপ, সফটওয়্যার, ওয়েবসাইট, ডিজিটাল মার্কেটিং ও ডোমেইন হোস্টিং রেজিস্টেশন করা হয়।
- নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, ফ্যাশন, পারফিউম, মেডিসিন, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, টিভি, ক্যামেরা, মোটরবাইক, আসবাবপত্র, এপার্টমেন্ট, বাণিজ্যিক এবং আবাসিক প্রপাটির পাশাপাশি জমি ও প্লট সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ ভোক্তাদের জন্য নিবেদিত বিভিন্ন রকমের সার্ভিসগুলো দেয়া হয়।
- আমাদের রিসেলার হয়ে অবসর সময়ে বিনিয়োগ ছাড়া, দৈনিক শুধু ৩-৪ ঘন্টা সময় দিয়ে নিশ্চিত পেসিভ ইনকাম করুন। ৬/৭ মাস নিয়মিত সময় দিলে অবশ্যই মাসিক ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ইনকামের নিশ্চয়তা রয়েছে।
- আকর্ষণীয় কমিশনে ডিলার, এজেন্ট ও সেলার সেন্টার দেয়া হচ্ছে…
এছাড়াও আপনি আপনার ব্যবসার জন্য ট্রেডিশনাল মার্কেটিং অথাৎ সরাসরি আপনার ব্যবসার প্রচার করাতে চাইলে। সমাহার ডট নেট এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। যেখান থেকে আপনি আপনার ব্যবসার জন্য খুবই কম খরচে ডিজিটাল মার্কেটিং অথবা ট্রেডিশনাল মার্কেটিং করাতে পারবেন। এছাড়া ও সমস্ত প্রকার ডিজিটাল অথবা ট্রেডিশনাল সুবিধা নিতে পারবেন।
আপনি যদি আপনার ব্যবসাকে কি ভাবে অনলাইনে নিয়ে যাবেন বা ব্যবসাকে বড় করবেন অথাৎ ব্যবসার প্রসার ঘটাবেন তা জানতে চান তবে , সময় নষ্ট না করে এখুনি রিসেলার, সেলার সেন্টারে সরাসরি যোগাযোগ করুন। তার জন্য আপনাকে কোনো টাকা খরচ করতে হবে না। সম্পূর্ণ ফ্রীতে আপনি পরামর্শ পাবেন।
আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে দরকারী কিছু তথ্য দিয়েছে। পরবর্তী পোস্ট পাওয়ার জন্য সাথেই থাকুন
You must be logged in to post a comment.