মিষ্টি কুমড়া সবজি হিসেবে খুবই পরিচিত। এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্য উপকারিতা। মিষ্টি কুমড়ার গুণের কথা কমবেশি সকলেরই জানা। আবার অনেকের প্রিয় সবজিও এটি। প্রত্যেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের উচিত সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন এই সবজিটা খাওয়া। এমনকি চিকিৎসকরা অনেক সময় মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার কথা বলে থাকেন।
মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, লোহা, সোডিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ফলিক এ্যাসিড, আঁশ, জল, এনার্জী, কার্বহাইড্রেড ম্যাগনেশিয়াম। তবে শুধু কুমড়াতেই নয়, এর লতা-পাতা,ফুল সবগুলোতেই অনেক উপকারিতা রয়েছে। কুমড়া শাক খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, চোখের সমস্যাসহ অনেক বিষয়ে উপকারিতা পাওয়া যায়।
আসুন জেনে নেই কুমড়া শাকের বিভিন্ন উপকারিতার দিকগুলো-
আয়রনের ঘাটতি পূরণ: কুমড়ার পাতায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। যা দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে দেহের রক্তের অভাব হতে দেয় না। নারী ও শিশুদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। তাই এক্ষেত্রে কুমড়া শাক ভালো অস্ত্র হতে পারে।
ভিটামিন সি: কুমড়ার পাতায় প্রচুর ভিটামিন সি বিদ্যমান। তাই এটি ক্ষত সারাতে বেশ কার্যকর। তাই যে কোনো আঘাত বা অভ্যন্তরীণ সমস্যা দূর করতে কুমড়া শাক খাওয়া যেতে পারে।
হাড় মজবুত ও দৃষ্টিশক্তি: কুমড়া শাক দাঁত ও হাড় মজবুত করতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার কুমড়া শাকের তরকারি, স্যুপ বা কুমড়া পাতার রস খেতে পারেন। এছাড়াও চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে ভূমিকা রাখে এই শাক।
ত্বক: মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে থাকে। একই সঙ্গে চুলের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে মিষ্টি কুমড়া।
মাতৃস্বাস্থ্য: শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্যও কুমড়া শাক খুবই উপকারী। কারণ এটি শরীরের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি সরবরাহ করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: কুমড়ার শাকে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া এই শাক খেলে রক্তের কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
You must be logged in to post a comment.